Categories
খাদ্য তালিকা

জেনেনিন ১০টি ভিটামিন সি যুক্ত খাদ্য তালিকা

আজকে এমন ১০ টি ভিটামিন “সি” যুক্ত খাদ্য তালিকা নিয়ে আলোচনা করবো যে খাদ্য মানব শরীলের জন্য গুরুত্বপুর্ণ একটি উপাদান। এই উপাদান টি হচ্ছে ভিটামিন “সি” এই ভিটামিন সি এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা মানব শরীরের জন্য খুবই জরুরি। এর কারণে রক্ত চলাচল থেকে শুরু করে শিরা ও ধমনীর কর্মক্ষমতা বজায় রাখা, শরীলের কোষ গঠন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি সব কিছুতেই ভিটামিন সি-এর উপস্থিতি অপরিহার্য।
১০টি ভিটামিন সি যুক্ত খাদ্য তালিকা

এই উপাদান অত্যন্ত উচ্চ মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন দূষণ থেকে রক্ষা করে, এবং নানা ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে ভিটামিন সি। এমনকি এটিপি, ডোপেমিন ও পেপটাইন হরমোনের ক্ষেত্রেও ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে মোটকথা আমাদের মানব শরীরের চালিকাশক্তি বজায় রাখার জন্য ভিটামিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের ভিটামিন সি-এর দৈনিক চাহিদা হলো ৬০ মিলিগ্রাম। আর এই ভিটামিন সি আমরা আমাদের প্রতিদিনের খাবার থেকেই পেয়ে থাকি। এই জন্য ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উত্‍সের কথা ভাবতেই আমাদের মনে পড়ে লেবুর ছবি! কিন্তু আপনি কি জানেন , সর্বোচ্চ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ প্রথম দশটি খাবারের মধ্যেই লেবুর স্থান নেই? এটা জেনে সত্যি! অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই লেবুর চেয়ে আরো অনেক বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। আসুন তাহলে জেনে নিই সারাবিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ ভিটামিন সি যুক্ত দশটি খাবারের কথা –

১০টি ভিটামিন সি যুক্ত খাদ্য তালিকা

১। কাঁচা মরিচ:

আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা যে সর্বোচ্চ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের তালিকার প্রথমেই রয়েছে আমাদের অতি চেনা কাঁচা মরিচ। আমরা সালাদ, স্যুপ, ভর্তার সাথে বা এমনিতেই কাঁচা মরিচ খেয়ে থাকি। এই কাচা মরিচে প্রতি ১০০ গ্রাম রয়েছে ২৪২.৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। লাল মরিচে প্রতি ১০০ গ্রাম রয়েছে ১৪৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
কাচা মরিচ

২। পেয়ারা:

মরিচের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পেয়ারা। এই পেয়ারা প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে ২২৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। আর একটি মাঝারি আকারের পেয়ারায় প্রায় ১২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন “সি “ পাওয়া যায়। কিন্তু পেয়ারার জাতভেদে এর ভিটামিন “সি” এর পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে।
পেয়ারা

৩। বেল মরিচ:

এই বেল মরিচ বাংলাদেশে পাস্তা সস বা পিজার উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি মেক্সিকান মরিচ। এই মরিচটি অন্যন্য দেশেও অনেক খাবারে ব্যবহৃত করে থাকে। বেল মরিচে প্রতি ১০০ গ্রাম রয়েছে ১৮৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন “সি”।
বেলমরিচ

৪। টাটকা ভেষজ:

আমরা জানি যে বেশির ভাগ ভেষজই নানান পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে সেটা তাজা হোক অথবা শুকনো। কিন্তু তাজা থাইম ও পোর্সলেতে রয়েছে আর সব ভেষজ থেকে বেশি ভিটামিন সি। এতে প্রতি ১০০ গ্রাম থাইমে রয়েছে ১৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং প্রতি ১০০ গ্রাম পোর্সলেতে রয়েছে ১৩৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এই সব খাবার বেশি বেশি করে খেলে ভিটামিন “সি” এর অভাব থাকবে না।

৫। গাঢ় সবুজপাতা এবং শাক:

আমার প্রতিদিন যে সব খাবার হিসেবে কাঁচা পাতা খাই যেমন পুদিনা বা লেটুস তেমনই একটি হলো Kale, এই সব এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন “সি”। Kale তে প্রতি ১০০ গ্রাম রয়েছে ১২০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। শাকের ভেতরে সরিষা শাক সর্বোচ্চ ভিটামিন “সি” যুক্ত। আর প্রতি ১০০ গ্রাম সরিষা শাকে রয়েছ ৭০ মিলিগ্রাম ভিটামিন “সি”।

৬। ব্রকোলি:

আমরা সবাই তাজা শাক-সবজি খেতে পছন্দ করি। কেননা এতে রয়েছ প্রচুর পরিমানে ভিটামিন “সি”। ১০০ গ্রাম সবুজ টাটকা ব্রকোলি -এর আরেকটি ভালো উত্‍স। এটিতে প্রতি ১০০ গ্রাম রয়েছে ৯৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন “সি”।

৭। কিউয়ি ফল:

ভিটামিন “সি” এর জন্য এর আরেকটি উত্‍কৃষ্ট উত্‍স। কিউয়ি ফল এ প্রতি ১০০গ্রাম রয়েছে ৯৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন “সি”। এটিও খেলে ভিটামিন “সি” এর অভাব পুরন হবে।
কিউয়ি ফল

৮। পেঁপে:

আমাদের সবার অতি পরিচিত ফল পেঁপে রয়েছে অষ্টম স্থানে।এই পেঁপেকে ভিটামিন “A” এবং ফোলেটের আধার হিসেবে প্রাধান্য দেয়া হলেও এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন “সি” । পাকা পেঁপে প্রতি ১০০ গ্রাম রয়েছে ৬২ মিলিগ্রাম ভিটামিন “সি”। এই ফলটি আমরা সহযে পাওয়া যায়। ভিটামিন সি এর অভবে পুরন এর জন্য এই ফল টি খাওয়া যায়।
পেঁপে

৯। কমলা:

এই ফলটিও আমাদের সবার পরিচিত। প্রতি ১০০ গ্রাম অংশে কমলার খাদ্যযোগ্য রয়েছে ৫৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন “সি”। যা অন্যন্য ফলের তুলনায় কম আছে।

কমলা
কমলা

১০। স্ট্রবেরী:

অতি চমত্‍কার স্বাদের ফল স্ট্রবেরী এমনিতে খাওয়ার পাশাপাশি আইসক্রিম, কেক, ডেজার্ট এবং আরো বিভিন্নভাবে এই ফল কে খাওয়া হয়ে থাকে। কমলার সম পরিমাণ ভিটামিন “সি” রয়েছে। স্ট্রবেরীতে প্রতি ১০০ গ্রাম রয়েছে ৫৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন “সি”। এটি অন্যন্য ভিটামিন সি যুক্ত ফলের তুলনায় অনেক কম রয়েছে।
স্ট্রবেরী

সংক্ষেপে,
আমাদের এই শেষ কথাটি সবার ভ্লোভাবে জানা থাকা দরকার। উপরের এই ভিটামিন সি খাবারগুলি বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকার সহ দুর্দান্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আমাদের প্রতিদিনের ডায়েটের অংশ হওয়া উচিত। এই ভিটামিন সি আমাদের দেহ দ্বারা ক্যালসিয়াম শোষণকে উন্নত করে এবং হাড়ের শক্তি সর্বাধিক করে তোলে। ভিটামিন সি যুক্ত ফল গুলো ফুসফুসের ক্যান্সার এবং গ্লাইওমার মতো নির্দিষ্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করার সম্ভাবনাও দেখিয়েছে। অত এব ক্যান্সারের চিকিত্সার ক্ষেত্রে, ওরাল ভিটামিন সি উপ-অনুকূল শোষণের কারণে অপর্যাপ্ত। কিন্তু, অন্তঃসত্ত্বা ভিটামিন সি ইনফিউশনগুলি নির্দিষ্ট কেমোথেরাপির ওষুধগুলির থেরাপিউটিক কার্যকারিতা এবং সহনশীলতার উন্নতি দেখিয়েছে। এগুলি রোগীদের বৃদ্ধির সম্ভাবনাও দেখিয়েছে জীবনের মানের এবং তেজস্ক্রিয়তা এবং কেমোথেরাপি চিকিত্সা ব্যবস্থার বিষক্রিয়া হ্রাস। উচ্চ ডোজ ভিটামিন সি (অ্যাসকরব্যাট) ইনফিউশনও অগ্ন্যাশয় এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে নির্দিষ্ট কেমোথেরাপির বিষ হ্রাস করার সম্ভাবনা দেখিয়েছে। সূত্র (ওয়েলশ জেএল এট আল, ক্যান্সার চেমার ফার্মাকল)

Categories
ভেষজ গাছ

অড়হর গাছের অপকারিতা

প্রকৃতির এই বিচিত্র মেলায় চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য ভেষজ উদ্ভিদ। এর মধ্যে রয়েছে অড়হর। এটির যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনী রয়েছে অড়হর গাছের অপকারিতা। যাদের একেকটি একেক গুণে ভরপুর। সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর প্রত্যেকটা জিনিসের পিছনে প্রকৃতির জন্য মঙ্গল রেখেছেন অন্য দিকে অড়হর গাছের অপকারিতা রয়েছে। তেমনি আজ আমরা প্রকৃতির এক বিস্ময়কর ভেষজ উদ্ভিদ এর নানা দিক নিয়ে আলোচনা করবো। যার নাম হল অড়হর।

  • পোস্টি পড়ার পর আপনি জানতে পারবেন
  • অড়হর গাছের উপকারিত সম্পর্কে।
  • অড়হর গাছের অপকারিতা সম্পর্কে।
  • অড়হর গাছের গুনাগুণ সম্পর্কে।
  • অড়হর গাছের ঔষুধি গুনাগুণ সম্পর্কে।
  • অড়হর গাছের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
  • অড়হর গাছের চাষাবাদ সম্পর্কে।
  • অড়হর গাছ কোথায় পাওয়া যায়।
  • অড়হর গাছের বহিঃসংযোগ সম্পর্কে।

অড়হর গাছের অপকারিতা

যেকোনো বিষয়ের ভালো দিকগুলো জানার সাথে সাথে। একসাথে জানা উচিত তার মন্দ দিকগুলো। তাই শুরুতেই অড়হর অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।

অড়হর একটি প্রাকৃতিক ভেষজ উদ্ভিদ হওয়ায় এর থেকে ক্ষতির আশঙ্কা না থাকাটাই স্বাভাবিক।
কারণ প্রকৃতি শুধুমাত্র মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত। এটি কোন বিজ্ঞানী ঔষধি গাছ না। তাই এর ক্ষতির দিকটা না দেখায় ভালো।

অড়হর গাছ

অড়হর একটি ঔষধি গাছ যার ইংরেজি নাম হলঃ- pigeon pea এবং বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছেঃ- Cajanus cajan এটি এক প্রকারের ডাল বীজ। যা হার্ব জাতীয় বর্ষজীবি গাছের অধিভুক্ত। এ গাছ গুলোর পাতা কিছুটা লম্বা ও মথা চোখ আকৃতির হয়। অড়হর গাছের ফুল হলদে এবং বীজ ছোট ছোট গোলাকার আকৃতির।

গাছটি সাধারণত দু থেকে আড়াই মিটার লম্বা হতে পারে। অড়হর গাছটি শক্ত হলেও পাতা কান্ড খুবই নরম হয়। অড়হর গাছের পাতা ৫ থেকে ৭ সেন্টিমিটার লম্বা ও ১ থেকে ১/২ সেন্টিমিটার চওড়া হয়।

আমি নিজস্ব গবেষণায় এটি সম্পর্কে বা এটির অপকারিতে সম্পর্কে তেমন কোন পোস্ট বা রেফারেন্স না পাওয়ায়। এটির উপকারিতাকেই ফোকাস করে নিন্মে আলোচণা তুলে ধরলাম।

অড়হর গাছের উপকারিতা

অড়হর গাছ মানব স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ উদ্ভিদ। আদিকাল থেকে অড়হর গাছের পাতা ও বিচি নানা রোগের সমস্যায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে যেমনঃ-

অরুচিতে অড়হর

আমরা যারা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে খাদ্যে অরুচি। তাই শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টির যোগান দানে। খাবের রুচি বাড়ানো অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যাদের খাদ্য অরুচি সমস্যা আছে তারা নিয়মিত ভাবে অড়হর গাছের রস সেবনে। বেশ ভালো একটা উপকার পেতে পারেন।

এক বা দেড় কাপ অড়হর গাছের ডালের জুসের সাথে সামান্য আদার রস, মরিচ ও লবন মিশিয়ে মিশ্রণটি সেবন করতে পারেন। নিয়মিতভাবে অড়হর রস সেবনে আপনার মুখে হারিয়ে যাওয়া রুচি আবার পিরে আসবে।

জন্ডিস নিরাময়ে অড়হর

জন্ডিস একটি মারাত্মক ব্যাধি। এটি সহজে সেরে উঠতে চায় না। অনেক সময় দীর্ঘদিনের চিকিৎসার পরও কোনো ফল পাওয়া যায় না। তাই যাদের জন্ডিসের মতো সমস্যা আছে তারা চাইলে। জন্ডিস নিরাময় অড়হর গাছের পাতার রস সেবন করতে পারেন। এতে অনেক বেশি সুফল পাওয়া যাবে।

ব্যবহার বিধি

প্রথমে কয়েকটা অড়হর পাতা নিয়ে নিন। তারপর সেগুলোকে পরিষ্কার বা বিশুদ্ধ জলে ধুয়ে নিন। এবার পাতা গুলোকে ব্লান্ডের বা শিল পাটায় বেটে থেঁতো করে নিন। তারপর একটা ছাঁকনির সাহায্যে রসগুলো আলাদা করে নিন।
এবার সংগ্রহীত রসে সামান্য লবন নিয়ে রসের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রনটিকে একটি পরিষ্কার পাত্রে কিছুটা সময় গরম করে নিন।তারপর প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে অড়হর গাছের এ রসটি সেবন করুন। জন্ডিস নিরাময় গাছের পাতার রস অনেক বেশি উপকার সাধন করে।

অশ্বরোগে অড়হর

যারা অশ্বরোগে ভুগছেন তারা প্রিতিদিন নিয়ম করে। সকালে ও বিকালে এক বা দু চামচ অড়হর পাতার রস একটু গরম করে সেবন করতে পারেন। এতে অশ্বরোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

কাশিতে অড়হর

যারা কাশিতে অক্রান্ত তারা প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ চা চামচ অড়হর পাতার রসের সঙ্গে মুধু মিশিয়ে মিশ্রণটি সেবন করতে পারেন।

ফোলাতে-

যাদের বিষ ব্যথার কারণে বা শরীরের কোন স্থানে আঘাত লাগার কারণে স্থানটি ফোলে গেছে। তারা চাইলে আক্রান্ত স্থানে অড়হর ডালের পুলটিস দিতে পারেন। এতে ফোলা কমে যাবে।

জিহবার ক্ষত

যাদের মুখে গাঁ, মাড়ি ক্ষত বা জিহবায় ক্ষত আছে তারা প্রতিদিন দু থেকে তিনটি অড়হর গাছের কচি পাতা চিবিয়ে খেলে মুখের ক্ষত সেরে যাবে।

ডায়াবেটিস

যারা ডায়াবেটিস সমস্যা বা ব্লাড সুগার সমস্যায় ভুগছেন। তারা প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে। অড়রহ পাতার রস একটু গরম করে সেবন করতে পারেন। এছাড়াও ১০ গ্রাম অড়হর গাছের মূলকে ছেঁছে দুই কাপ পানিতে ভালো করে সেদ্ধ করে খেতে পারেন। এতে অনেক বেশি উপকার পাবেন।

সাপের দংশনে ও ফোলা

স্থানে অড়হর বিচি বাটা প্রলেপ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সাপে কাটা রুগীর ক্ষেত্রে খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে চলে যাওয়াই ভালো। কেননা ভেষজ উদ্ভিদ আস্তে আস্তে কাজ করে। তাই প্রথমিক চিকিৎসা হিসেবে অড়হর ব্যবহার করলেও সম্পূর্ণ চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া অত্যন্ত জরুরী।

হাত পা জ্বালা-পোড়া

যাদের হাত পা জ্বালাপোড়া করে। তারা অড়হর রাসকে হাত পায়ে মেখে ঘন্টা খানেক রেখে দিলে অনেকটা আরাম পাবেন।

পুষ্টি গুনাগুণ

অড়হর একজাতীয় ভেষজ ঔষধি গাছ। এ গাছের প্রতি ১০০ গ্রামে ৩.৫ আউন্স পুষ্টি বিদ্যমান। এছাড়াও ১,৪৩৫ কিজু শক্তি, ৬২.৭৮ g শর্করা, ১৫ g খাদ্য আঁশ, ১.৪৯ g স্নেহ পদার্থ রয়েছে। তবে এ গাছে ০ গ্রাম চিনি যুক্ত থাকায়। ডায়াবেটিস চিকিৎসায় গাছটি অনেক বেশি ফলদায়ক।

তাছাড়াও অড়হর গাছে প্রোটিন, ট্রিপ্টোফ্যান, ভিটামিন, খনিজ, জিংক, পটাসিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়াম সহ অসংখ্য পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি গাছ।

চাষ পদ্ধতি

সারা বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৪৪.৯ লক্ষ টন অড়হর ডাল উৎপন্ন হয়। গাছটির অর্ধ শতাংশ অর্থাৎ ৬৩% শাতাংশ উৎপন্ন হয় ভারতে। এছাড়াও বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে অড়হর চাষ করা হয়। যেমন:- যশোর, রংপুর, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া সহ বেশ কিছু অঞ্চলের এটির চাষ লক্ষ করা যায়।

বাংলাদেশে বর্ষার শুরুতে এপ্রিল বা মে মাসে এটির বীজ লাগানো হয়। যা ফেব্রুয়ারি-মার্চের দিকে পেকে যায়।
আরোও পড়ুনঃ বাসক পাতার উপকারিতা
জানলে অবাক হবেন পাথরকুচি পাতা খাওয়ার উপকারিতা

বহিঃসংযোগ

গাছটি সম্পর্কে বা গাছটি নিয়ে বেশ কয়েকটি সাইটে বহিঃসংযোগ পাওয়া যায়। যেমনঃ- ভারতের রাজস্থান, ভারতীয় কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মহিলা কৃষকদের জন্য কবুতর শস্য
“কাজানাস কাজন”। Germaplasm রিসোর্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (GRN)। কৃষি গবেষণা (এএস), মার্কিন কৃষি ডিপ।

“কৃষি গবেষণা পরিসেবা। জার্মপ্লাজম Resource ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ। যা সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-১৯।

শেষ কথা
এরকম আরোও গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ উদ্ভিদ ও তাদের গুণাবলী সহ, ভিবিন্ন রোগের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে চোখ রাখুন আমাদের সাইটে। এবং আজকের পোস্টের আলোচ্য বিষয় অড়হর গাছ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য জানা থাকলে অব্যশই এ পোস্টের কমেন্ট এ তা লিখে যাবেন। ধন্যবাদ।

Categories
ভ্যাকসিন

ভ্যাকসিন নিয়ে সব তথ্য এবং ভ্যাকসিন নিবন্ধন

ভ্যাকসিন কি?

করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৬০ সালে। পরবর্তীতে আরও অনেকবার করোনা ভাইরাসের নমুনা পাওয়া গেলেও ২০২০ সালে চিনে করোনা ভাইরাস শনাক্তের প্রায় ১ মাস পরে। ১৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। তার পরবর্তীতে এটি প্রায় সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
ভ্যাকসিন নিবন্ধন

করোনা প্রতিরোধে জন্য সারা বিশ্ব জুড়ে শুরু হয় গবেষণা। অবশেষে সন্ধান মিলে ভ্যাকসিনের। ভ্যাকসিন (Vaccine) হল:- এমন এক ধরণের জৈব রাসায়নিক যেটি মানব দেহের immunity system বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে একটা নির্দিষ্ট রোগ বা জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করতে শক্তির যোগান দেয়। তাকে ভ্যাকসিন বলে।

ভ্যাকসিন সাধারণত, কোনো প্রাণীরে দেহে রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, জীবাণু ইত্যাদি। বা মৃতদেহের কোনো অংশবিশেষ হতে প্রস্তুতকৃত ঔষধ। যা ঐ প্রাণীর দেহে ঐ ভাইরাস, জীবাণু বা ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে আন্টিবডি সৃষ্টি করে। এতে মানব দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিপায়। এবং ঐ ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বেষ্টণী বা শক্তি তৈরি করে।

ভ্যাকসিন কিভাবে কাজ করে

ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধের হিসেব অনুযায়ী। বিশ্বে ২৭৩ টি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণার চললেও, মোট ১২ টি ভ্যাকসিন গবেষণার তৃতীয় ধাপ পার হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি ভ্যাকসিন ৭০ শতাংশ থেকে ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে লক্ষ করা গেছে। এরই মধ্যে পাঁচটি ভ্যাকসিন বিভিন্ন দেশের সরকার জনগণের ওপর প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র জার্মানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি।

  • ফাইজার বায়এন্টেক
  • যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডানা
  • চিনের চিনোভ্যাক
  • রাশিয়ার স্পুটনিক ৫ এবং
  • অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকা

CDC তথ্য মতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন মানবদেহ কে কয়েক স্তরের সুরক্ষা দেয়। ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর দেহের টি লিম্ফোসাইট এবং বি লিম্ফোসাইট বাড়াতে কাজ করে। আর লিম্ফোসাইটের কাজ হল শরীরের পর্যাপ্ত এন্টিবডি তৈরি করে। আর এ এন্টিবডি শরীরে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার মত রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ভ্যাকসিন পাসপোর্ট

করোনাকালে বহু নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হয়েছি আমরা। যেমন :- কোভিড-19, ভ্যাকসিন, হোম কোয়ারেন্টাইন ইত্যাদি। এবারে এ তালিকায় উঠে এসেছে ‘ ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ এখন প্রশ্ন আসতে পারে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট আবার কি?

ভ্যাকসিন পাসপোর্ট হলঃ- কোন নাগরিক করোনা টিকা নিয়ে ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া মুক্ত হয়ে আছেন, এমন নিশ্চয়তা। দেশের প্রত্যেকটা মানুষকে দরকারি জিনিসপত্রের সাথে এখন থেকে Vaccine টিকা সনদ নিয়ে ঘুরতে হবে বলে ধারণা করা হয়।

ভ্যাকসিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাজ্যের সরকারি ওয়েবসাইটের মধ্যে বেশকিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া বা উপসর্গের কথা বলা হয়েছে। সেগুলো দশজনের মধ্যে এক জনের হতে পারে যেমন:-

  1. শরীরের যে স্থানে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় সেখানে ব্যথা হওয়া ফুলে যাওয়া, কিংবা লাল হয়ে যাওয়া।
  2. মাংস পেশী বা অস্থিসন্ধিতে ব্যথা।
  3. শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া অর্থাৎ জ্বর হওয়া।
  4. মাথাব্যথা এবং শীতল অনুভূতি।
  5. ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর শরীরের এগুলা কার্যকর হতে এক সপ্তাহ সময় লাগে। এজন্য শরীরে জ্বর সহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। তারমানে শরীরে ভ্যাকসিন কাজ শুরু করছে।

ভ্যাকসিনের দাম

সরকারিভাবে মহামারি করোনা ভাইরাসের অক্সফোর্ড টিকা ভ্যাকসিনের দাম পড়বে প্রায় ৫$ অর্থাৎ ৪২৫ টাকা। তবে বেসরকারি টিকার দাম পড়বে ৮$ প্রায় ৭০০ টাকা করে। এটি দেশে খুবদ্রুত প্রয়োগ শুরু হবে। কেননা অন্যান ভ্যাকসিনের তুলনায় এ ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম।

কোভিশিল্ড টিকার দাম

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী পুনাওয়ালা বলেন। তাদের উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকার সিঙ্গেল ডোজ ভারতের খোলা বাজারে ১০০০ রুপিতে অর্থাৎ ১৪$ বিক্রি হবে। তবে ভারত সরকার তাদের উৎপাদিত টিকার ৯০ শতাংশ কিনে নিবেন। যেগুলো বিক্রি করা হবে প্রায় ৪$ অর্থাৎ ২৫০ রুপি করে।

করোনা টিকা ২য় ডোজ

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি এক ডোজ টিকা দেয়ার মাধ্যমে, দেশে শুরু হয় করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি। করোনা ভাইরাসের টিকা মডার্নার অর্থাৎ ২য় ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০২১ সালের ১৪ই আগস্ট। BBC ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ২২৩,৩৫৬,৮১৫ ডোজ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে।

ভ্যাকসিন নিবন্ধন

আপনি চাইলে ঘরে বসে করোনা টিকা/ ভাকসিন নিবন্ধ করতে পারবেন খুব সহজে। করোনা ভ্যাকসিন নিবন্ধনের জন্য যা যা লাগবে। আপনি যদি স্টুডেন্ট হোন তাহলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড বা জন্মনিবন্ধন দিয়ে ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করতে পারেন। আপনি যদি ভোটার হয়ে থাকেন এক্ষত্রে ভোটার কার্ড ( NID) অথবা পাসপোর্ট দিয়ে আবেদন করা যাবে ভ্যাকসিনের জন্য। আবেদন প্রক্রিয়া নিম্নে তুলে ধরা হলঃ-

আপনার হাতে থাকা মোবাইল কম্পিউটার ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ দিয়ে প্রথমে চলে আসুন গুগোল ব্রাউজার। এবার চার্স অপশনে চার্স করুন (www.surokkha.gov.bd)
ভ্যাকসিন নিবন্ধন

এবার আপনি ওপর থেকে আপনার পছন্ধের অপশনটি বেছে নিন। উদাঃ আপনি জতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকা নিবন্ধন করবেন। তাহলে সবার ওপরের অপশনটি ক্লিক করুন। এবার আপানর সামনে ২য় পেইজটি পেয়ে যাবেন। যেখানে আপনাকে আপনার শ্রেণী (ধরণ) নির্বাচন করতে বলবে। এখন নির্বাচন অপশনে ক্লিক করে আপনার শ্রেণী নির্বাচন করুন।

এরপর আপনি ৩য় ধাপে অতিক্রম করবেন সেখানে আপনার শ্রেণীর অনুযায়ী তথ্য দিতে বলবে। ধরুন আমি পূর্বে শ্রেণী হিসেবে বেছে নিয়েছি ১৮ বছর ও তদুর্ধ। তাই আমার সামনে এই পেইজটি অপেন হয়েভ্যাকসিন নিবন্ধ

এখন পেইজটিতে থাকা অপশন গুলো যথাযথ ভাবে বসাতে হবে। যেমন:- প্রথমে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার। তারপর জন্ম দিন, মাস, বছর। এরপর আপনার সামনে আসা ইংরেজি ও গনিত সংখ্যাটি দেখে দেখে সঠিকভাবে শূর্ণস্থানে বসিয়ে নিন। এটি একেক জনের একেক রকম দেখাবে। আপনার যেমন দেখাবে হুবহুব সেই রকম বসাতে হবে। উদাঃ আমাকে দেখাইছে ( U9MZHR) আমি দেখে দেখে হুবহুব কোডটি বসিয়ে নিচের যাচাই করুন অপশনে ক্লিক করব।

টিকা কেন্দ্র বেচে নিন

আপনার দেওয়া জন্মনিবন্ধনের নাম্বার, তারিখ, মাস, বছর, ও (I am not Robot) কোডটি সঠিক থাকলে। আপনার সামনে আপনার জন্মনিবন্ধন তথ্য গুলো দেখাবে।

টিকা কেন্দ্র বেচে নিন
আপনি যে কেন্দ্রে থেকে টিকা নিবেন সেই কেন্দ্র টি বাচাই করে নিবেন।

যদি উপরের তথ্যগুলো আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ডের সাথে মিলে যায়। তাহলে নিম্নের প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর গুলো বসাতে হবে। যেমন:- আপনাকে একটি ফোন নাম্বার দিতে হবে, যেখানে আপনার করোনা আপডেট, ডেট গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। তারপর আপনার বর্তমান ঠিকানা যেমন:- বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, পোষ্ট অফিস, ওয়ার্ড, হোলডিং বা রাস্তা নাম্বার ইত্যাদি।

তারপর সবগুলো খালি স্থান যথাযথ ভাবে পূরণের পর। একটু নিচে গেলে দেখবেন একটি অপশন আছে। যেখানে লেখা আছে ( যে কেন্দ্রে টিকা নিতে ইচ্ছুক) অপশনটাতে আপনার নিকটস্থ কেন্দ্রের নাম সিলেক্ট করুন।

টিকা কার্ড সংরক্ষণ

টিকা কার্ড সংগ্রাহ
কোভিড১৯ এর টিকা দেওয়ার পর কার্ড সংরক্ষন করুন

সবগুলো ঠিকঠাক হয়ে গেলে, একটু নিছে আসলে সবুজ রং এর একটি বাটন পাবেন (সংরক্ষণ করু)। এখন সংরক্ষণ করুন অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনাকে পরবর্তী পেইজ এ নিয়ে আসবে। যেখানে লেখা থাকবে।

মোবাইল OTP প্রদান করুন। আপনি একটু আগে যেই নাম্বারটি দিয়েছেন। সেই নাম্বারে ৬ থেকে ৮ ডিজিটের একটি কোড যাবে। কোডটি এনে OTP অপশনে দিয়ে। নিচের নিবন্ধন সম্পন্ন করুন। অপশনে ক্লিক করুলে আপনার করোনা টিকা আবেদেন শেষ হয়ে যাবে।

এরপর আপনাকে একটি মেসিস দেখাবে। আপনার আবেদন সম্পন্ন হয়েছে। তার একটু নিচে প্রথমে একটি অপশন পাবেন। টিকা কার্ড সংগ্রহ করুন।

টিকা কার্ড সংগ্রাহ

এবার আপনার টিকা কার্ডটি সংগ্র করতে টিকা কার্ড সংগ্রহ অপশনটাতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী একটি পেইজ এ নিয়ে যাবে। সেখানে আপনার। নিবন্ধনকৃত ফোন নাম্বারটি, জন্ম তারিখ, সাল, মাস OTP ইত্যাদি দিয়ে যাচাই করুন অপশনে ক্লিক করুন।

সবগুলো ঠিক থাকলে আপনার সামনে আপনার আবেদনকৃত টিকা ফরমটি পেয়ে যাবেন। এখন ওপরের ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার টিকা কার্ডটি হাতে পেয়ে যাবেন। এবারে যেকোন কম্পিটার দোকানে গেলে তারা আপনার টিকা কার্ডটি প্রিন্ট করে বের করে দিব।

টিকা দিন এখনি

এখন, টিকা মেসিস পেতে অপেক্ষা করুন। নির্দিষ্ট সময়ে আপনি নিবন্ধনের সময় দেওয়া নাম্বারে টিকা মেসিস পেয়ে যাবেন। সেখানে আপনার টিকার ডেট ও কেন্দ্র বলে দেওয়া হবে। এখন নির্দিষ্ট তারিখ এ নির্দিষ্ট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে টিকা নেওয়া সম্পন্ন করুন।

Categories
খাদ্য তালিকা

রমজান মাসের স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্য তালিকা

আমরা যেহেতু মুসলিম তাই আমাদের সকলের যানা থাকা দরকার রমজান মাসে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। আজকে আলোচনা করবো রমজান মাসের স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্য তালিকা নিয়ে চলুন তাহলে যেনে নেওয়া যাক…

রমজান মাসের স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্য তালিকা

ইফতার

১.আমরা যারা রোজা রাখি তাদের জন্য ইফতার স্মপর্কে জানা থাকে দরকার। আজকে আলোচনা করবো রমজান মাসের মান স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্য তালিকানিয়ে। যখন করবেন অবশ্যি মনে রাখবেন সারাদিন রোজা রেখে তেলে ভাজা খাবার আগে খবেন না। আপনি সবার আগে পানি পান করবেন। এর পর কিছু খাবেন। তাহলে আর কোন সমস্যা হবেনা।

২. আমরা যারা সারাদিন রোজা রাখি ইফতারের সময় ভালো খাবার খেতে মন চায় বেশি। তেলে ভাজা খাবার বেশি না খেয়ে অল্প করে খাবেন। তাহলে গ্যাস স্মস্যা আর দেখা দিবে না। আমরা জানি পেঁয়াজু/ বেগুনী/ কাবাবঃ ইফতারের সময় আমাদের দেশে পেঁয়াজু বেগুনী থাকবেই। এই সব তেলে আজা খাবার বেশি করে না খেয়ে অল্প করে খেতে হবে। যেমনঃ ২টি পেঁয়াজু বা ২টি বেগুনী অথবা ২টি কাবাব খেতে পারেন। ১টি পেঁয়াজু আর একটি বেগুনী, একটি বেগুনী আর একটি কাবাব এভাবেও মিলিয়ে খেতে পারেন। খেয়াল রাখবেন যেন এ ধরনের খাবার ২টির বেশি না খান। কারণ প্রতিটি পেঁয়াজু, বেগুনী বা অন্য যে কোন তেলে ভাজা খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ ৫০ থেকে ৭০ এর মত হতে পারে। একটি টিকিয়া কাবাবে ক্যালরি হলো ৮০ আর চপে ৮৫। যদি আপনি সিঙ্গারা খান তাহলে অবশ্যই একটি সিঙ্গারা খাবেন কারণ এক্টী সিঙ্গারাতে ১৪০ ক্যালরি থাকে যা ২টি রুটির সমান! আর যদি আপনি সিঙ্গারা খান তাহলে পেঁয়াজু/ বেগুনী/ কাবাব খাবেন না। এতে করে অন্য সমস্যা হতে পারে।

৩.হালিমঃ আমরা জানি যে সারাদিন রোজা রাখার পর জাল জাতীয় খাবার বেশি খেতে মন চায় তাই আপনি হালিম কেতে পারেন। তবে বেশি খাওয়া যাবে না। কারন হালিমে বিভিন্ন রকমের ডাল আর মাংস মেশানো থাকে তাই এতে প্রচুর ক্যালরি থাকে। এক বাটি ভরে হালিম না খেয়ে আধা বাটি হালিম খান। তবে দোকানের হালিম না খেয়ে বাসায় তৈরি করুন। এতে করে আর কোন সমস্যা হবে না।

৪. ছোলা মুড়িঃ ইফাতারের সময় যদি হালিম না খান তাহলে এক বাটি ছোলা মুড়ি খান কিন্তু যদি আধা বাটি হালিম খান তাহলে আধা বাটি ছোলা মুড়ি খান। কারণ এক কাপ মুড়িতে ৭০ ক্যালরি। আপনি যদি একই সাথে হালিম আর এক বাটি ছোলা মুড়ি খান তাহলে সেটাতে অনেক ক্যালরি হবে।

৫. শরবতঃ ইফাতের সময় অবশ্যই সরবত খাবেন। কারন সারাদিন রজা থাকার পর ভেতরে অনেক পানি শূন্যতা থাকে তাই ইফতারের সময় সরবত খাবেন। আবার অতিরিক্ত চিনি দিয়ে শরবত না তৈরি করে ডাবের পানি পান করুন। শরবত যে একদম ছেড়ে দিবেন তা বলছিনা। ৩/৪ দিন পর পর চিনি মেশানো লেবুর শরবত বা অন্য কোন ফলের শরবত খেতে পারেন। কিন্তু বাইরে থেকে রঙ মেশানো শরবত এনে খাবেন না। বাহিরের সরবত অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি করতে পারে।

৬. ইফতারের সময় শশা খেতে পারেন। কারন শশাতে পানি রয়েছে । সারাদিন রোজা রাখার পর একটু শশা খেতে পারলে অনেক টা পানি শূন্যতা পূরন করবে।

৭. ইফতারের সময় আপনি কলা/ একটি আপেল/ লিচুর সময় হলে ৩/৪ টি লিচু খেতে পারেন।

রোজার মাসে রাতের খাবার

০১.রাতের জন্য একটি রুটি অথবা আধা কাপ ভাত/ অর্ধেক পরোটা যে কোন একটি খাবেন। তাহলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

০২. রাতের রাখার সময় তখন ২ টুকরো মাছ অথবা মাংস। ২টি মাছ আর ২টি মাংসের টুকরো এক সাথে খাওয়া যাবেনা। এতে করে খাওয়ার রুচি কমে যাবে।

০৩. যে কোন শাক।
০৪. ২/৩ চা চামচ টক দই।

সেহেরি

দেখা যায় অনেকেই সেহেরিতে কিছু খান না। আবার কেউবা এক বা দুই কাপ চা খান। কিন্তু এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। অবশ্যই আপনি সেহেরিতে কম খান বা বেশি খান কিন্তু নিয়ম মেনে খাবেন। যেমন –

ক) আধা কাপ ভাত অথবা একটি রুটি
খ) ১ টুকরো মুরগীর মাংস
গ) সবজি ১ কাপ
ঘ) টক দই ১ কাপ

বিশেষ করে যারা টক দই খেতে পারেন না তারা ১ কাপ সর ছাড়া দুধ খেতে পারেন। এতে করে অনেক ভালো উপকার পাবেন।

রমজান মাসে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু টিপস

১. যদি পিৎজা খেতে চান তাহলে এক স্লাইসের বেশি খাবেন না। এক স্লাইসে প্রায় ৩০০ ক্যালরি।
২. বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এ ফ্রাই করা মুরগীর প্রতিটি টুকরোতে প্রায় ২০০ ক্যালরি থাকে। তবে এটি বুঝে শুনে খাবেন। নতুবা সমস্যা হতে পারে।

৩. এটিও সাবধানে খাবেন কারন, ছোট একটি প্যাকেটের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এ ২৭০ ক্যালরির মত থাকে।

৪. ঝাল খাবার খাবেন না।

৫. ইফতার করার পর কিছু খাওয়ার পর প্রচুর পানি পান করবেন।

৬. যদি গ্রিন টি পান করতে পারেন তাহলে ভালো, নাহলে দুধ চিনি ছাড়া চা পান করুন। এছাড়া ইফতারে এমনিতেই প্রচুর ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া হয় তাই চায়ের সাথে দুধ চিনি মিশিয়ে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের কোন প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে রমজান মাস শুরু হওয়ার ৩/৪ দিন আগে থেকেই ক্যাফেইন গ্রহণ কমিয়ে দিলে ভালো। কারণ যারা বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করেন তারা রোজা পালনের কারণে হঠাৎ সারা দিন ক্যাফেইন গ্রহণ না করলে মাথা ব্যথায় ভোগেন। তাই এটি গ্রহন করা থেকে বিরত থাকবেন।

৮. ইফতারের পর অন্তত ২০-২৫ মিনিট হাঁটুন।

৯. সেহেরিতে সময় নিয়ে উঠুন যেন শেষ মুহূর্তে তাড়াতাড়ি খেতে গিয়ে বেশি খেয়ে না ফেলেন। এবং কিছুটা সময় হাটার সময় পান। ভোর রাতে সেহেরি তে খাওয়া শেষ করে কমপক্ষে ১৫ মিনিট হাঁটুন।
এভাবে একটু নিয়ম মেনে আর ক্যালরি হিসাব করে যদি খান তাহলে আশা করছি এই মাসে তেলে ভাজা আর দোকানের খাবার খেয়ে আপনার ওজ়ন বাড়বেনা ইনশাল্লাহ। বিশেষ করে যাদের ওজন বেশি তারা বাসার বাইরে খেলে এমন ভাবে খাবেন যেন আপনাদের ক্যালরি গ্রহণ ১৪০০ এর মধ্যে থাকে।

Categories
মেডিকেল কলেজ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

বাংলাদেশে যতো গুলো মেডিকেল কলেজ রয়েছে তার মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ। এটি কোথায় অবস্থিত সেটি নিয়ে আলোচনাক করবো। এই কলেজটি ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন এই প্রতিষ্ঠনটি বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই কলেজ থেকে স্নাতক পর্যায়ে পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি ঢাকার শাহাবাগ এ অবস্থিত। এটি শাহাবাগ থানার, শাহবাগমোড়ে জাতীয় জাদুঘরের উত্তরে এই হাসপাতালটির অবস্থান। এই মেডিকেল কলেজটিতে মোট পাঁচটি বহুতল ভবন রয়েছে; ব্লক এ, বি, সি, ডি এবং কেবিন ব্লক। এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষা,গবেষণা এবং চিকিৎসা সমান্তরাল ভাবে চলে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত

ব্লক- এ
এই ভবনটিতে কি কি আছে তা যানবো এ- ব্লকটি সাত তলা বিশিষ্ট,লাইব্রেরী, এখানে আছে অডিটোরিয়াম, লেকচার থিয়েটার, হাসপাতালের রেকর্ড শাখা, ছাত্র হোস্টেল, ডেন্টাল অনুষদ এবং ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগ।

ব্লক- বি
এই ব্লকটি ছয় তলা ভবন, এর পূর্ব অংশে উপাচার্যের অফিস, কন্ট্রোলার অফিস, প্রশাসনিক বিভিন্ন অফিস, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, কনফারেন্স হল, রেডিওলজি বিভাগ, ডিজিটাল লাইব্রেরী, রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র, হাসপাতালের রন্ধন কেন্দ্র, এন্ডোসকপি কক্ষ, এমআরআই কক্ষ ও সিটি স্ক্যান এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং সেবিকাদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

এই ব্লকের পশ্চিম অংশ নয় তলা বিশিষ্ট ভবন, এটিতে রয়েছে এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্র, ফার্মাকোলজি, প্যাথলজি, হেমাটোলজি, ভাইরোলজি এবং মাইক্রোবায়োলজিসহ প্রায় সবগুলো বিভাগের অবস্থান এই ভবনটিতে। এখানে ওয়ানস্টপ ল্যাববেরটরী সেবাও দেয়া হয় বি ব্লকের নিচ তলা থেকে।

ব্লক-সি
এর পরে ১০ তলা ভবন নিয়ে সি ব্লকটি হচ্ছে মূল হাসপাতাল ভবন। এই হাসপাতাল পরিচালকের অফিসসহ পরিচালকের অন্যান্য অফিস, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, পিজিক্যাল মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট, পিডিয়াট্রিকস, নবজাতক বিভাগ, পিডিয়াট্রিক নিউরোলজি, অফথালমোলজি, নাক, কান, গলা, অবস্টেট্রিকস এবং গাইনিকোলজি, সার্জারি, লিথোট্রিপসি কক্ষ, হেপাটোবিলিয়ারি সার্জারি, এনেসথিওলজি, পেইন ক্লিনিক, অপারেশন থিয়েটার, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের অবস্থান এই সি ব্লকে।

ব্লক-ডি
এই ব্লক টি আঠারো তলা ভবন নিয়ে এর অবস্থান; ভবনটি এখনো নির্মাণাধীন। ক্যাজুয়ালটি বিভাগ, জরুরি বিভাগ, অবস্টেট্রিক ও গাইনিকোলজি ইমার্জেন্সী, কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সী, অর্থোপেডিকস ইমার্জেন্সী, কার্ডিওলজি, হেপাটোলজি, পিডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারলজি, অর্থোপেডিকস, সাইকিয়াট্রি, গ্যাস্ট্রোএন্টারলজি, হেমাটোলজি, মেডিসিন এবং অনকোলজি বিভাগের অবস্থান এই ব্লকে।

এছাড়া এই মেডিকেলে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিনের অবস্থানও এই ব্লকে। এবং কম্পিউটারাইজড আলট্রাসনোগ্রাফি, গামা ক্যামেরাসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা আছে এখানে।

এই সবগুলো ক্যাজুয়ালটি ডিপার্টমেন্ট, নিউরোসার্জারি, মেডিসিন বহির্বিভাগ, সার্জারি, গ্যাস্ট্রোএন্টারলজি, হেমাটোলজি, হেমাটোলজি, সাইকিয়াট্রি, পিডিয়াট্রিক সার্জারিএবং হাসপাতালের ডিসপেনসারি আলাদা একটি কমপ্লেক্সে অবস্থিত।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফোন নাম্বার

ফোন: +৮৮-০২-৯৬৬১০৫১-৫৬, +৮৮-০২-৯৬৬১০৫৮-৬০,

+৮৮-০২-৮৬১৪৫৪৫-৪৯ +৮৮-০২-৮৬১২৫৫০-৫৪

ওয়েব সাইট: www.bsmmu.org

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কোন থানায় অবস্থিত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাহবাগ থানায় অবস্থিত। শাহবা মোড়ে জাতীয় যাদু ঘরে উত্তরে এটি অবস্থিত।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের তালিকা

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শুরু থেকে এখন পযন্ত যারা দায়িত্ব প্লন করেছেন, সেই সব অধ্যক্ষর দের তালিকা। তার মধ্যে প্রথম অধ্যক্ষ ডা. মেজর উইলিয়াম জন ভারজিন

ক্রম
নাম
মেয়াদকাল
০১ ডা. মেজর উইলিয়াম জন ভারজিন ০১.০৭.১৯৪৬ ১৪.০৮.১৯৪৭
০২ ডা. লে. কর্নেল এডওয়ার্ড জর্জ মন্টোগোমেরি ১৫.০৮.১৯৪৭ ১৯.০৭.১৯৪৮
০৩ অধ্যাপক টি আহমেদ ১৯.০৭.১৯৪৮ ০১.০১.১৯৫২
০৪ ডা. কর্নেল এম কে আফ্রিদি ০১.০১.১৯৫২ ২০.০৩.১৯৫৩
০৫ অধ্যাপক নওয়াব আলী ২১.০৩.১৯৫৩২১.০৩.১৯৫৩ ১০.০৪.১৯৫৪
০৬ অধ্যাপক এ কে এম এ ওয়াহেদ <১১.০৪.১৯৫৪/td> ২০.০১.১৯৫৫
০৭ অধ্যাপক নওয়াব আলী ২১.০১.১৯৫৫ ০১.০২.১৯৫৭
০৮ অধ্যাপক মো. রেফাত উল্লাহ ০১.০২.১৯৫৭ ০১.০৯.১৯৫৮
০৯ অধ্যাপক হাবিব উদ্দীন আহমেদ ০২.০৯.১৯৫৮ ০৪.০৬.১৯৫৯
১০ ডা. লে. ক. এম এম হক ০৪.০৬.১৯৫৯ ১১.০৯.১৯৬৩
১১ অধ্যাপক এ কে এস আহমেদ ৯.০৯.১৯৬৩ ২৮.১২.১৯৬৩
১২ ডা. গোলাম কিবরিয়া ২৮.১২.১৯৬৩ ০৮.০২.১৯৬৪
১৩ ডা. লে. ক. বোরহানুদ্দীন ০৯.০২.১৯৬৪ ২৭.০১.১৯৬৯
১৪ অধ্যাপক কে এ খালেদ ২৭.০১.১৯৬৯ ৩০.১২.১৯৭০
১৫ ডা. সাইফুল্লাহ ০১.০১.১৯৭১ ২০.০৫.১৯৭১
১৬ অধ্যাপক এম আর চৌধুরী ২৫.০৫.১৯৭১ ০২.০৭.১৯৭৪
১৭ অধ্যাপক এম এ জলিল ০৩.০৭.১৯৭৪ ০৬.০৫.১৯৭৬
১৮ অধ্যাপক এম এ কাশেম ০৭.০৫.১৯৭৬ ০১.১০.১৯৭৮
১৯ অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ ০২.১০.১৯৭৮ ২৫.১১.১৯৮০
২০ অধ্যাপক মাজহারুল ইমাম ২৫.১১.১৯৮০ ০১.১০.১৯৮১
২১ অধ্যাপক এম এ মাজেদ ০১.১০.১৯৮১ ০২.০৭.১৯৮২
২২ অধ্যাপক এম আই চৌধুরী ০২.০৭.১৯৮২ ৩১.০১.১৯৮৫
২৩ অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম ১.০১.১৯৮৫ ১৩.১২.১৯৮৬
২৪ অধ্যাপক ওয়ালিউল্লাহ ৩.১২.১৯৮৬ ৩০.০১.১৯৯০
২৫ অধ্যাপক এম. কবিরউদ্দীন আহমেদ ৩১.০১.১৯৯০ ৩০.০৩.১৯৯১
২৬ অধ্যাপক জওয়াহুরুল মাওলা চৌধুরী ৩০.০৩.১৯৯১ ১৪.০১.১৯৯৫
২৭ অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ ১৪.০১.১৯৯৫ ২২.০১.১৯৯৫
২৮ অধ্যাপক এম এ হাদী ২২.০১.১৯৯৫ ৮.০৭.১৯৯৬
২৯ অধ্যাপক এ বি এম আহসান উল্লাহ ১৮.০৭.১৯৯৬ ১৯.০৯.১৯৯৯
৩০ অধ্যাপক এ কে এম শহীদুল ইসলাম ১৯.০৯.১৯৯৯ ২৯.০৮.২০০১
৩১ অধ্যাপক মো. আবদুল কাদির খান ২৯.০৮.২০০১ ১৫.১১.২০০১
৩২ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ ১৫.১১.২০০১ ০৭.০৮.২০০৩
৩৩ অধ্যাপক মো. ফজলুল হক ০৭.০৮.২০০৩ ২৯.০৯.২০০৩
৩৪ ২৯.০৯.২০০৩ ২৬.০৬.২০০৬
৩৫ অধ্যাপক সৈয়দ মাহবুবুল আলম ২০.০৬.২০০৬ ০১.০৩.২০০৭
৩৬ অধ্যাপক এম আবুল ফয়েজ ০১.০৩.২০০৭ ০৭.০১.২০০৮
৩৭ অধ্যাপক কাজী দীন মোহাম্মদ ১৭.০১.২০০৮ ০৯.০১.২০১৪
৩৮ অধ্যাপক মো. ইসমাইল খান ০৯.০১.২০১৪ ১৩.০৫.২০১৭
৩৯ অধ্যাপক শফিকুল আলম চৌধুরী (ভারপ্রাপ্ত) ১৩.০৫.২০১৭ ১৩.০৬.২০১৭
৪০ অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ ১৩.০৬.২০১৭ ৩১.১২.২০২০
৪১ অধ্যাপক মোঃ টিটো মিঞা ০১.০১.২০২১

আড়ও পড়ুনঃ
ফরিদপুর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত
রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক

এই কলেজের উপাচার্য হাসপাতালটির সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী। এই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়।

Categories
মেডিকেল কলেজ

ফরিদপুর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত
আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ফরিদপুরের অন্যতম সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ সম্পর্কে। আলোচনা করব এটি কোথায় অবস্থিত। কিভাবে ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে যাবেন এ নিয়ে বিস্তারিত।

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড! সুধু মাত্র একটা ভালো ও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থায় পারে, একটা জাতিকে পরিবর্তন করতে। বিশ্ব বিখ্যাত সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট ( Samrat Napolian Bonaparte) বলেছেন “ তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও। (Give me an educated mother) আমি তোমাদেরকে একটি শিক্ষিত জাতি দেবো। (I will give you an educated nation. ”

বর্তমান দেশে প্রায় ৩৭ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ৯৬টি বেসরকারি কলেজ রয়েছে। এর মধ্য ঢাকা বিভাগে প্রায় ১০ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ অবস্থিত। এছাড়াও দেশের অন্যান বিভাগ যেমনঃ- রাজশাহী বিভাগে ৫ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩টি, খুলনা বিভাগে ৫ টি, রংপুর বিভাগে ৩ টি, সিলেট বিভাগে ৩ টি, এবং বরিশাল বিভাগে ২ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

ফরিদপুর শহরে অবস্থিত, কলেজ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সরকারি কলেজ হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ। যার প্রাক্তন নাম ছিল ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ। এটি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ নামে প্রসিদ্ধিলাভ করেছে। যেটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি সরকারি কলেজ। এখানে ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্সে বর্তমানে ১৮০টি আসন রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

আছেন অধ্যাপক ডাঃ মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
এটির বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯০০ জন। কলেজটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হলঃ www.bsmmc.edu.bd ২০১৭ সালের ১৫ এ জুন কলেজটির নতুন করে সকল কার্যক্রম চালু হয় এবং স্থায়ী ক্যাম্পাসে শুরু হয়।

আপনি চাইলে বাংলাদেশের যে কোন জেলা থেকে এই নান্দনিক কলেজটিতে ভর্তি হয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। কলেজটির একপাশে নতুন করে নির্মাণ হয়েছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। যেখানে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার রোগী তাদের নানা সমস্যা নিয়ে ভিড় করেন।

এছাড়া কলেজটি অবকাঠামো এতটাই সুন্দর যে, প্রত্যেক দিন বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে দেখা মিলে শতশত দর্শনার্থী। কলেজটি যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত তাই বুঝাই যাচ্ছে শিক্ষা মানে অনেক বেশি উন্নত। তাই আপনি যদি চান খুব সহজে এখানে স্বল্প খরচে ভর্তি হয়ে আপনার কলেজ জীবনকে গড়ে তুলতে পারেন।

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে ঢাকা বিভাগের (প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগ) একটি জেলা ও প্রশাসনিক অঞ্চল হল ফরিদপুর জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে ফরিদপুর জেলাটি বাংলাদেশের একটি “A” শ্রেণীভুক্ত জেলা।

যেভাবে ঢাকা থেকে কলেজটাতে যেতে পারবেন

ঢাকা থেকে ফরিদপুর ১১৮ কিলোমিটার যেটি মানিকগঞ্জের ওপর দিয়ে সোজা গিয়ে মিলিত হয়েছে ফরিদপুরে। ফরিদপুর পৌঁছাতে সর্বউচ্চ ২-৩ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। আপনেরা যারা ঢাকা থেকে ফরিদপুরে সকালের গাড়িতে যেতে ইচ্ছুক তারা চাইলে কমফোর্ট লাইন পরিবহন এর নন এসি টিকেট নিয়ে সরাসরি ফরিদপুর উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন
যেটি সকাল 7 টা 45 মিনিটে ঢাকা থেকে ফরিদপুর কাউন্টার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এবং ফরিদপুর কাউন্টারে এসে পৌঁছাতে সময় লাগে 9 টা 45 মিনিট। এছাড়াও ঢাকা টু ফরিদপুরে দুপুরে ও রাতে বিভিন্ন ধরনের বাস পাওয়া যায়। যেমনঃ গ্রীনলাইন বাস। গোল্ডেন লাইন বাস। শ্যামলী ট্রাভেলস। সাকুরা পরিবহন ইত্যাদি।
যেকোন বাসে ছড়ে খুব সহজে। ফরিদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল কলেজে আসতে পারেন। কলেজটি মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত।

আরও পড়ুনঃ রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

Categories
মেডিকেল কলেজ

রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

রংপুর মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গের রংপুর জেলায় অবস্থিত একটি সরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়। এটি ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজধানী ঢাকা হতে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি রংপুর শহরের ধাপ এলাকার জেল রোডে জেলা কারাগারের বিপরীতে অবস্থিত। রংপুর মেডিকেল কলেজ এর মূল ক্যাম্পাস এবং হাসপাতালের আয়তন প্রায় ৭৬০০ বর্গমিটার।

রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

বাংলাদেশের মধ্যে যতো গুলো মেডিকেল কলেজ রয়েছ তার মধ্যেঅন্যতম এটি একটি। এই মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস টি বাংলাদেশের রংপুরের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত। এই কলেজটি রাজশাহী থেকে ২১০ কিলোমিটার ও ঢাকা থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কুড়িগ্রাম সদর থেকে ৫৩ কিলোমিটার দূরত্ব। এই মেডিকেল কলেজটি আন্তঃদেশীয় রংপুর সদর (সৈয়দপুর-নীলফামারী) মহাসড়কের পাশে অবস্থিত।

রংপুর মেডিকেল কলেজ

রংপুর মেডিকেল কলেজ ১৯৭১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন প্রথম ব্যাচে শিক্ষার্থী ছিলো ৫০ জন যা বতর্মানে ১৭৫ জন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সমুহের জন্য প্রতি বছর ১০টি আসন সংরক্ষিত থাকে যেমন ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ।

রংপুর মেডিকেল কলেজের অফিস সম্পর্কিত

উত্তর বঙ্গের একটি ঐতিহ্যবাহী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এটি ৬৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয় ১৯৬৬ সালে। এর পর ১৯৭৬ সালের ১৯ শে র্মাচ তৎকালীন সরকারের স্থাস্হ্য বিষয়ক উপদেষ্টা জাতীয় অধ্যাপক মরহুম ডাঃ ইব্রাহিম এই হাসপাতাল ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তখন থেকেই এই হাসপাতালের সেবা কার্য্যক্রম শুরু হয়। এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১০০০ টি। এই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবাকার্য্যক্রমকে কয়েকভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ ইনডোর বিভাগ, আউটডোর বিভাগ , জরুরী বিভাগ ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। এছাড়াও ডায়রিয়া ট্রেনিং ইউনিট, ইপিআই প্রোগ্রাম, ইওসি কার্য্যক্রম, ডটস কর্ণার, এম,আর ক্লিনিক, মডেল ফ্যামিলি প্লানিং ক্লিনিক, ব্রেষ্ট ফিডিং সেন্টার , সমাজ সেবা কার্য্যক্রম ইত্যাদি। এই হাসপাতালটি অত্র এলাকার ৮ টি জেলার বিপুল পরিমান দুস্থ জনগনের সেবা কার্য্যক্রমের জন্য প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে।

ইতিহাস

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের গভর্নর জেনারেল মোনায়েম খান, পূর্ব পাকিস্তানে আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে ১৯৬৬ সালে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট রংপুর মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পর্বতীতে এটি ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট করা হয়।

Categories
শিক্ষা

Hello world!

Welcome to WordPress. This is your first post. Edit or delete it, then start writing!