Categories
মেডিসিন

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট এর উপকারিতা

আজকে জানবো ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট এর উপকারিতা। ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট হলো ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি এর সমন্বয়ে তৈরি একটি ট্যাবলেট যা সাধারণত সব বয়সী মানুষ খেতে পারে যদি ক্যালসিয়াম এর অভাব থাকে। ক্যালসিয়াম হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাক্রো মিনারেল, যা আমাদের শরীরে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। মূলত সব খনিজ উপাদানের মধ্যে দেহে ক্যালসিয়ামের পরিমাণই সবচেয়ে বেশি; যার মধ্যে শতকরা ৯৯ ভাগ হাড় ও দাঁতের ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়ামের সাথে যুক্ত থাকে। আজ আপনাদেরকে আমরা ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট সম্পর্কে জানাবো। আপনারা আজ জানবেন –

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট এর উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের অপকারিতা
ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খেলে কি হয়
ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের নাম ও দাম
শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয়

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার সময় তো এত সব আলোচনা জানতে আমাদের আর্টিকেলের সাথেই থাকুন। চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট এর উপকারিতা

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট সব বয়সী মানুষ খেতে পারলেও অযথা কারণে এটি গ্রহণ করার কোনো দরকার হয় না। আপনার শরীরে যখন ক্যালসিয়াম আর ডি এর অভাব হবে তখনই আপনি এটি গ্রহণ করবেন। একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভবতী হওয়ার পূর্বে তার শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি আর ক্যালসিয়াম আছে কি না তা চেক করে নিতে হয়,নয়তো নবাগত বাচ্চা ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগবে এবং মায়ের শরীর ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। আসুন দেরি না করে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট এর উপকারিতা সম্পর্কে অবগত হই-

১৷ হাড়ের সমস্যার সমাধান করে: অপ্রাপ্তবয়স্কে যাদের হাড় ভেঙে গেছে, হাড়ের ক্ষয় হয়ে গেছে,হাড়ের ঘনত্ব কমে গেছে বা হাড় বেঁকে গেছে তাদের জন্য ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়া খুব জরুরী। ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট হাড়ের গঠন বৃদ্ধি করে ও হাড় শক্ত, মজবুত করতে সাহায্য করে।

২৷ মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে: হাড় ক্ষয় হলে মাংসপেশীর ব্যথা হবে এটাই স্বাভাবিক মাংসপেশী ব্যথা চিরতরে দূর করতে ও শরীরে পর্যাপ্ত ডি তৈরির জন্য ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট গ্রহণ করা জরুরি।

৩৷ দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: হাড় ছাড়াও দাঁতেও কিছু পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। দাঁত মজবুত ও শক্তিশালী করতে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের জুরি নেই।

৪৷ হরমোনের কার্যকারিতা বজায় রাখতে: ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের হরমোন উৎপাদন ,হরমোনের ব্যালেন্স রক্ষা করতে সহায়তা করে। এছাড়াও মহিলাদের যখন মেনোপোজ হরমোনের ক্ষরণে কমে যায় তখন হাড় ক্ষয় হতে পারে। তাই বয়ঃসন্ধিকাল থেকে সব সময় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বা ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খেতে হবে।

৫৷ বাচ্চাদের শারীরিক বৃদ্ধি বাড়াতে: বাচ্চাদের শারীরিক বৃদ্ধি সাধারণত ছোটবেলাতেই বেশি হয়। হাড় ,পেশির যখন বৃদ্ধি হবে তখনই তো শারীরিক বৃদ্ধি নিশ্চিত হবে। এই শারীরিক বৃদ্ধির জন্য যথাযথ পুষ্টি দরকার। ক্যালসিয়াম ও ডি একসাথে বাচ্চাদের গ্রোথ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে যেসব বাচ্চা খাবার থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান পায় না তাদের জন্য সাপ্লিমেন্ট খাওয়া খুবই ভালো।

৬৷ বাচ্চাদের জন্য: ক্যালসিয়াম অভাবজনিত রোগ রিকেটস এবং বৃদ্ধদের অভাবজনিত রোগ অস্টিওপ্যোরেসিস সমস্যাআর সমাধান আগে থেকে নিতে হলে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বা প্রয়োজনে ট্যাবলেট খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট

গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মা চেষ্টা করেন নবাগত সন্তানের যথাযথ পুষ্টি নিশ্চিত করতে। গর্ভধারণের পূর্বেই মায়ের শারীরিক অবস্থা (অর্থাৎ শারীরিকভাবে মায়ের শরীরে সব পুষ্টি উপাদান যথাযথ আছে কি) জানা খুব জরুরী। তার মধ্যে একটি হলো মায়ের ক্যালসিয়াম ও ডি এর অভাব আছে কি না।

যদি গর্ভধারণের আগে জানা সম্ভব না হয় এবং পরে এসে বুঝতে পারেন মা ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগছেন এমতাবস্থায় মায়ের জন্য ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। এখন আসি কেন গর্ভাবস্থায় মাকে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খেতে হবে সেই নিয়ে। গর্ভাবস্থায় যদি অপুষ্টিতে ভোগে তবে সন্তান মা থেকে সঠিক পুষ্টি পাবে না, ফলে সন্তানের হাড়ের সমস্যা যেমন হাড় বাঁকা, সহজে ভঙ্গুর হয়ে পড়া, হাড়ের ঘনত্ব কম হওয়া, পেশির সংকোচন প্রসারণের ব্যর্থতা ইত্যাদি হবে। এছাড়াও সন্তানের হরমোনাল সমস্যা, কম ওজন দেখা যাবে। এই সমস্যাগুলো দূর করতে গর্ভাবস্থায় মাকে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়া খেতে হবে এবং শিশু জন্মের পরও মাকে সেটা চালিয়ে যেতে হবে কিছুদিন।

গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় মাকে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ানোর সময় সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা ভুল ডোজ খাওয়ানো হলে সন্তানের উপর তার প্রভাব পড়বে। সন্তানের সুস্থতার প্রতি লক্ষ করে গর্ভাবস্থায় মাকে সচেতন হতে হবে প্রতিটি খাবার খাওয়ার সময়, তেমনিভাবে ঔষধ খাওয়ার সময়ও সচেতন থাকা জরুরি।

গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম হলো:- মায়ের বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয় তাহলে মাকে ১০০০ মি.গ্রা এর ট্যাবলেট খেতে হবে। মায়ের বয়স যদি ১৮ এর বেশি হয় তবে ১০০০ -১৩০০ মি.গ্রা এর ট্যাবলেট খেতে হবে। মূলত মা কিরূপ অপুষ্টিতে ভুগছেন সেই অনুযায়ী তাকে ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। দেখা যেতে পারে উপরোক্ত পরিমাণের চেয়ে কম বেশি ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের প্রয়োজন হতে পারে মায়ের ওজন, উচ্চতা অনুযায়ী। তবে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার আগে গর্ভবতী মাকে অবশ্যই নিকটবর্তী ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার অপকারিতা

সকল জিনিসের যেমন উপকারিতা আছে তেমনি কমবেশি অপকরিতাও থাকতে পারে এই বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। না জেনে বুঝে কোনো ঔষধ বা ট্যাবলেট খাওয়া উচিত নয়। চলুন তাহলে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের অপকারিতা সম্পর্কে অবগত হই।

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের অপকারিতা বললে আসলে তেমন কিছু নেই, তবে ট্যাবলেটটি গ্রহণ করলে এক এক জনের শরীরে এক এক রকম কিছু লক্ষণ দেখা যায়। সেগুলো হলো:

  • বমি বমি পাওয়া ও দুর্বল লাগা।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হওয়া।
  • মাথাব্যথা ও শরীরের অন্যান্য অংশে ব্যথা অনুভব করা।
  • প্রেসার কম বেশি হওয়া, প্রস্রাবের সমস্যা হওয়া।

উপকারিতা জানার পাশাপাশি অপকরিতা জানলে সতর্ক থাকা যায়। তাই দুটোই জানতে হবে।

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খেলে কি হয়?

ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে এক্টিভ ফর্ম ভিটামিন D3 এর সমণ্বয়ে এই ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট তৈরি করা হয়। এখন আপনি ভাবতেই পারেন অন্য সব ভিটামিন আর মিনারেল বাদ দিয়ে কেন এই দুইটি উপাদান দিয়েই ট্যাবলেট বানানো হয়েছে এর উত্তরটা জানা খুব জরুরী, তা হলো- আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি আর ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয় তখন আপনার হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। যাদের ক্যালসিয়াম ও ডি এর অভাব ক্যালসিয়াম জনিত রোগ আছে তাদের জন্য ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলা দুষ্কর।

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট এর নাম ও দাম

বাজারে নানা ধরনের ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এই নিয়ে আপনি একটু বিভ্রান্ত হতে পারেন প্রথমে । তবে কিছু বেসিক তথ্য জানা থাকলে আপনি নিজেই বুঝবেন আপনি কোনটা কিনবেন। ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে এক্টিভ ফর্ম অর্থাৎ শরীরে দ্রুত শোষণ হয় বা ভালো শোষণ হয় হলো ক্যালসিয়াম কার্বনেট ও ক্যালসিয়াম সাইট্রেট। আর ভিটামিন ডি এর মধ্যে সবচেয়ে এক্টিভ ফর্ম হলো D3, যাকে কোলেক্যালসিফেরল বলা হয়। আপনি বাজারে গিয়ে সবার আগে দেখবেন এই উপাদানগুলো কোন ট্যাবলেটে আছে।

এছাড়াও আমাদের আজকের আর্টিকেলে কিছু ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের নাম আপনাদের জানাবো যা সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে অর্থাৎ মানুষের কাছে চাহিদা বেশি। ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের কয়েকটি নাম ও তাদের বর্তমান দাম হলো-

১৷ Calbo-D Tablet: Calbo -D Tablet টি মূলত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর একটি পণ্য।বেশিরভাগ সময় এটি ৩০০-৩৫০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। আর এই প্যাকেটে সাধারনণত ৩০ পিস করে থাকে প্রতিটি পিসের দাম ১০-১৫ টাকা করে। তবে জায়গা ও ফার্মেসি অনুযায়ী দামের কম বেশি হতে পারে এবং কম পিচ কিনলে দামটাও বেশি রাখে। আপনি যদি প্যাকেটসহ কিনেন তাহলে দাম কম পাবেন।

২৷ Caldical-D Tablet: Caldical-D Tablet টি হলো জিসকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর একটি পণ্য। এটিও সাধারণত পিস ৭-১০ টাকা করে রাখে।প্রতিটি প্যাকেটে ১৫ বা ৩০ বা ৫০ টি করে থাকে এবং সেই অনুযায়ী দাম নির্ধারণ হয়।

৩৷ Calbon- D Tablets: Calbon-D Tablets টি হলো এরিস্টোফার্মা লিমিটেড এর একটি পণ্য। এই কোম্পানির ঔষধটি প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ৭-১০ টাকা করে রাখে। বিভিন্ন ফার্মেসি অনুযায়ী দামের ভিন্নতা হতে পারে।

৪৷ Calcin-D Tablet: Calcin-D Tablet টি হলো রেনেটা ফার্মা লিমিটেডের একটি পণ্য। মূলত ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের দাম প্রায় সব কোম্পানির কাছাকাছিই; দামের তেমন কোনো ভিন্নতা নেই। এই কোম্পানির ট্যাবলেটটি প্রতি পিস ৮-১০ টাকা করে বিক্রি হয়।

এখানে উল্লিখিত সব কোম্পানির ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট-গুলোর দাম বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রকম হতে পারে; সাথে অনলাইনেও দামের অনেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও বাজারে আরো বিভিন্ন কোম্পানির ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট আছে, তবে এই উপরোক্ত কয়েকটি বাজারে বেশি প্রচলিত তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলে এই কয়েকটা ট্যাবলেটের কথা বলা হয়েছে। আপনি চাইলে আপনার নিকটস্থ দোকানে যেসব ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট আছে সেগুলোও খেতে পারেন।

শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট হলো এক ধরনের সাপ্লিমেন্ট যেটা খাদ্য তালিকা বাদ দিয়ে কখনোই গুরুত্ব দেওয়া ঠিক নয়। খাদ্য তালিকা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি না পেলে তবেই ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খেতে হবে। শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির অনেক উপায় আছে। আপনাদের কাছে আজ সেটা নিয়েও কথা বলবো যাতে আপনারা খাদ্য থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে পারেন। ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়গুলো হলো-

  • দুধ খেতে হবে ও দুগ্ধজাতীয় অন্যান্য খাবার যেমন: দই, ছানা,পনির, মাখন,দই এর লাচ্ছি ইত্যাদি।
  • বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার যেমন চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, কুমড়োর বিচি, শিমের বিচি,চিয়া সিডস ইত্যাদি।
  • যে সকল মাছ সামুদ্রিক বা তৈলাক্ত সেগুলো খেতে হবে ,যেমন: পাঙ্গাস মাছ, ইলিশ মাছ, কোরাল মাছ ,স্যালমন ,রূপচাঁদ মাছ ইত্যাদি।
  • সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন ফলের রস বা শরবত খেতে হবে।

উপরোক্ত খাবারগুলো ছাড়াও আরো খাবার আছে যা আপনার শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করবে। তবে চেষ্টা করবেন সব সময় সব ধরনের তাজা শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার পাশাপাশি উপরোক্ত খাবারগুলো খাওয়ার।

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয়?

আমরা সবাই জানি যে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। তেমনি অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট বা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে শারীরিক নানা সমস্যা হতেই পারে। চলুন জেনে নিই শরীরে ক্যালসিয়াম ডবি ট্যাবলেট বেশি হলে কি হয়-

  1. ক্যালসিয়ামের পরিমাণ রক্তে বেড়ে গেলে একে হাইপারকেলেসিমিয়া বলে।হাইপারকেলেসিমিয়া হলে বমি বমি ভাব, দুর্বলতা বোধ, ক্লান্তি অনুভব হয়। হাত, মুখ শুকিয়ে যায়।
  2. অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম খেলে হজমে সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়।
  3. বেশি পরিমাণ ক্যালসিয়াম কিডনি ফিল্টার করতে সমস্যা হয়। অনেক সময় কিডনিতে পাথর ও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণের ফলে।
  4. আবার অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম খেলে রক্তচাপের পরিবর্তন হয় আবার অনেকে মনে করেন কারো কারো হার্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে কিভাবে বুঝবো অতিরিক্ত পরিমাণ খেয়েছি কিনা বা কম খাচ্ছি কি না। কারণ অতিরিক্ত খেলেও সমস্যা হয় কম খেলেও সমস্যা হয়। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে পারেন। আবার যেসব মায়েরা বাচ্চাকে দুধ খাওয়ান তাদের বেশি ক্যালসিয়াম খেতে হয়। সাধারণত ১০০০ মিলিগ্রাম থেকে ১৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গর্ভাবস্থায় ও প্রসূতি মাকে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে ব্যক্তিবিশেষে এর পার্থক্য হতে পারে। খাবার থেকে এই চাহিদা পূরণ না হলে ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ ছোটদের কাশির সিরাপ এবং খাওয়ার নিয়ম

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার সময়

আপনি যতই বিজ্ঞ হোন না কেন ঔষধ বা ট্যাবলেট খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে খাবেন। আপনাকে আপনার স্বাস্থ্য অনুযায়ী যে পরি পরিমাণ ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খেতে বলা হয়েছে আপনি সেই পরিমাণ ট্যাবলেটই খাবেন। ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট কোনো চুষে খাওয়ার ট্যাবলেট নয়। এটি পানি দিয়ে সাধারণ ঔষধের মতো খেতে হয়। ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার ভালো সময় হলো- রাতে বা সকালে খাওয়ার পর খেতে পারবেন। এছাড়াও খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে ও পরে অন্যান্য ঔষধ খাবেন না কারণ এতে শোষণে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

পরিশেষে এটাই বলবো যে, আপনি আমাদের আর্টিকেল থেকে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও বিস্তারিত তথ্য জেনে কারো পরামর্শ ছাড়াই এটি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। কেননা আপনার শরীরে কি পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি দরকার তা একজন ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞই বলতে পারবেন। তাই শারীরিক কোনো পরীক্ষা না করে বা অভাবজনিত লক্ষণ না থাকা সত্বেও ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাবেন না, আর যদি খান তবে খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। পরবর্তীতে নতুন কোনো টপিক নিয়ে আবার আপনাদের কাছে আসবো সেই পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলের সাথেই থাকুন।

Categories
মেডিসিন

সিপ্রোসিন সিরাপ কেনো খেতে হয় জেনেনিন

সিপ্রোসিন সিরাপ কেনো খেতে হয় আমরা অনেকেই জানি না। আজকের আলোচনায় থাকছে সিপ্রোসিন নিয়ে। ধরুন আপনার দেহে অনেকগুলি রোগ রয়েছে৷ এক্ষেত্রে আপনাকে যেটি করতে হবে সেটি হলো সেই প্রতিটি রোগের জন্য খেতে হবে এক একটি ঔষধ। কিন্তু এটি কি আদৌও সম্ভব? আমরা মোটামুটি সকলেই জানি মাত্রাতিরিক্ত ঔষধ সেবনের ফলেও কিন্তু বাড়তি রোগ জন্মাতে পারে। এক্ষেত্রে সব রোগের সাথে একসাথে টেক্কা দিতে কাজ করবে সিপ্রোসিন সিরাপ। যে সিরাপ সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনার প্ল্যানিং সাজিয়েছি। এছাড়াও আজকের আলোচনায় বোনাস হিসেবে থাকছে সিপ্রোসিন আই ড্রপসহ বেশকিছু চোখ ও কানের ড্রপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, আমাদের আজকের এই আয়োজন কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে!

সিপ্রোসিন সিরাপ কি

মূলত সিপ্রোসিন সিরাপ হলো এমন একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসা করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটিকে অনেকেই সিপ্রোসিন ড্রাই সাসপেনশনও বলে থাকে। বলে রাখা ভালো এই সিপ্রোসিন সিরাপে সক্রিয় উপাদান হিসাবে সিপ্রোফ্লক্সাসিনের আধিক্য রয়েছে। যা ব্যাকটেরিয়ার বেড়ে যাওয়ার হারকে থামিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।

আমাদের দেহে বিশেষ করে শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাক্ট, পাকস্থলী, অন্ত্র, ফুসফুস, হাড় এবং জয়েন্টগুলোতে যে নরম টিস্যুগুলি রয়েছে, সে নরম টিস্যুগুলিতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের মাত্রা রোধ করতে এটি ব্যবহৃত হয়। যার ফলে কমে যায় দেহের ৮০% রোগের পরিমাণ। সিপ্রোসিন সিরাপ কেনো খেতে হয় বা এর ব্যবহারকালীন সতর্কতা কি কি সে-সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

সিপ্রোসিন সিরাপ কেনো খেতে হয়

সিপ্রোসিন সিরাপ সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য জানতে পেরে ইতিমধ্যেই হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জেগেছে, সিপ্রোসিন সিরাপটা আসলে কেনো খেতে হয় বা এর প্রয়োজনীয়তাটাই বা কি!

মূলত আপনার দেহে যদি বহুবর্ষজীবী, মৌসুমী এলার্জিক রাইনাইটিস, ঠান্ডা ছুলি, হাঁপানি উপসর্গ, লিভার রোগ, যকৃতের ডিসঅর্ডারস, আগম অ্যালার্জি, খাবার কারণে অ্যালার্জিক চোখ উঠা, ধারণক্ষমতা পরিবর্তন, রক্ত বা রক্তরস এলার্জি প্রতিক্রিয়া, ক্ষুধামন্দার রোগ থেকে থাকে তবেই আপনি এই সিপ্রোসিন সিরাপ ব্যবহার করতে পারবেন।

কেননা উপরে বর্ণিত প্রতিটি রোগের মূল কারণ হলো দেহের কোষে তৈরি হওয়া ব্যাকটেরিয়া। মূলত এই ব্যাকটেরিয়াকে তাড়াতে ব্যবহার করা হয় সিপ্রোসিন সিরাপ।

সিপ্রোসিন সিরাপ কিভাবে ব্যবহার করে

সিপ্রোসিন সিরাপ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না জানলে এর কার্যকারিতা আপনার দেহের উপর এফেক্ট ফেলতে পারবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে যেসব নিয়ম মানতে হবে সেসব নিয়ম হলো:

  • ব্যবহারে পূর্বে সিরাপটিকে আপনার ডাক্তার দ্বারা নির্দেশিত সিরাপ হিসেবে টেস্ট করে আনুন বা পরামর্শ নিন।
  • সিরাপ ব্যবহারের আগে অবশ্যই ঔষধের লেবেলের নির্দেশাবলী সাবধানে পড়ে নিন।
  • ব্যবহারের আগে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন।
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণে দিনে ২ থেকে ৩ বার এটি ব্যবহার করতে থাকুন।

সিপ্রোসিন সিরাপ ব্যবহারে সতর্কতা কি

সতর্কতা হলো আমাদের নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। ঔষধ গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও আপনাকে অবলম্বন করতে হবে সর্বোচ্চ সতর্কতা। এবার আমরা একে একে জেনে নিবো সিপ্রোসিন ব্যবহারে সতর্কতাগুলি কি কি সে-সম্পর্কে।

আপনার যদি সিপ্রোফ্লক্সাসিন বা সিপ্রোসিন ড্রাই সাসপেনশন এর কোনো উপাদান রিলেটেড অ্যালার্জি থাকে তবে আপনি এই সিরাপ ব্যবহার করতে পারবেন না।

রিসেন্টলি আপনি যদি নিজস্ব রোগ সারাতে টিজানিডিন ঔষধ সেবন করে থাকেন তবে আপনি এই সিপ্রোসিন সিরাপ ব্যবহার করতে পারবেন না।

রিসেন্টলি আপনি যদি অন্যান্য কুইনোলন ঔষুধ যেমন: মক্সিফ্লক্সাসিন, নরফ্লক্সাসিন, অফলক্সাসিন বা নালিডিক্সিক অ্যাসিড গ্রহণ করেন তবে আপনি কোনোভাবেই সিপ্রোসিন সিরাপ ব্যবহার করতে পারবেন না।

স্কিলড চিকিৎসকের মতে স্তন্যপান করানো শিশুর সম্ভাব্য ক্ষতির সৃষ্টির কারণে এই সিপ্রোসিন সিরাপ বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় ব্যবহার করা উচিত নয়।

বাচ্চার মায়েরা বিশেষ করে যাদের ক্ষেত্রে সিপ্রোসিন সিরাপ নেওয়া আবশ্যক তারা বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় Ciprocin Dry Suspension ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

আপনি যদি গর্ভবতী হোন কিংবা মনে করেন আপনি গর্ভবতী হতে পারেন বা গর্ভাবস্থার পরিকল্পনা করছেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই সিপ্রোসিন সিরাপ গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশে সিপ্রোসিন সিরাপের দাম কত

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সিপ্রোসিন সিরাপ ২৫০ মিলিগ্রামের দাম মাত্র ১০০/-। যাদের এই সিরাপটি গ্রহণ করা বর্তমানে আবশ্যক হয়ে গেছে তারা চাইলে অনলাইনে কিংবা ঘরের কাছে কোনো ফার্মেসি থেকে সিরাপটি কালেক্ট করে নিতে পারেন।

চোখের ড্রপের নামগুলি কি কি

চোখের ড্রপের নামগুলি কি কি
চোখের ড্রপের নামগুলি কি কি

সিপ্রোসিন সিরাপের আলোচনা শেষ করার পর এবার আসি বোনাস পয়েন্টে। চোখের বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে প্রত্যেকের প্রাথমিক ধারণা থাকা উচিত। সবচেয়ে বড় ব্যাপার চোখে কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ড্রপ দেবেন না। তবে কিছু প্রাইমারি ড্রপ সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো৷

লিউকিব্রিন: এটি মূলত চোখের ড্রপ হিসাবে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। যা সাধারণত চোখের উচ্চ চাপকে হ্রাস করতে সাহায্য করে। কার্বোনিক অ্যানহাইড্রেসের প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করা এই ড্রপ চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে তবেই ব্যবহার করতে হবে।

আর্টিফিশিয়াল টিয়ার: চোখের জ্বালাপোড়া বেড়ে হলে এই ড্রপ ব্যবহার করা হয়। রোগীর কম্পিউটারের অত্যধিক ব্যবহার, অত্যধিক বই পড়া, রোদের আবহাওয়া, গরম বা এয়ার কন্ডিশনার এবং নির্দিষ্ট কোন ওষুধ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে ড্রপটি ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে।

মক্সিফ্লক্সাসিন: আক্রান্ত চোখে এক ফোঁটা করে দিনে ৩ বার প্রয়োগ করলে চোখের ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যা সমাধান হয়৷ এটির অতিরিক্ত ব্যবহার আবার চোখের ক্ষতি বয়ে আনতে পারে৷ সুতরাং ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং এটি ব্যবহার করার সময় বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

আইমক্স: এটিও আরেকটি জনপ্রিয় আই ড্রপ। এটি ব্যবহারের পূর্বে আপনার ডাক্তারকে নিজের বর্তমান ঔষধের তালিকার সম্পর্কে অবগত করতে হবে। ব্যবহারের পর বেলায় সরাসরি আলো এবং তাপ থেকে দুরে রেখে এটিকে যত্নে রাখতে হবে।

মক্সিনিস এলপি: কর্টিকোস্টেরয়েড একটি ড্রপ হলো এই মক্সিনিস এলপি আই ড্রপ।ফোলা, চোখের লাল হয়ে যাওয়া বা চোখের জ্বালা কমাতে ব্যবহৃত হয় এই আই ড্রপ। এটি মৌসুমী এলার্জি রাইনাইটিস কমাতেও সাহায্য করে। আপনি যদি চোখের রেডনেস, চোখের ফোলাভাব, চোখের সংবেদনশীলতা, শুকনো চোখ, মাথা ব্যাথা এবং খিটখিটে মেজাজ দূর করতে চান তবে এই ড্রপ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ইউজ করতে পারেন।

সিপ্রোসিন সিরাপের পাশাপাশি বোনাস ইনফো হিসেবে বেশকিছু চোখের ড্রপ সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। আশা করি আপনার আই রিলেটেড যেকোনো রোগ সারাতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী উপরের ড্রপগুলি ইউজ করবেন।

কানের ড্রপের নামগুলি কি কি

সিপ্রোসিন সিরাপ, আই ড্রপের পাশাপাশি কানের কিছু ড্রপ সম্পর্কে জেনে নিলে কেমন হয়? কানের সমস্যা তো মোটামুটি আমাদের সকলের মাঝেই দেখা যায়। সঠিক সময়ে সঠিক ডাক্তারের গাইডলাইন নেওয়ার পাশাপাশি কানের বিভিন্ন ড্রপ সম্পর্কেও আমাদের জানতে হবে।

সিপ্লক্স: এটি একটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ। যা গলা, ত্বক, কান, নাক, সাইনাস, হাড়, শ্বাসযন্ত্র এবং মূত্রনালীর ব্যাকটেরিয়া এডিকশনকে রোধ করে।

ক্লোরফেন: ক্লোরফেন এমন একটি কানের ড্রপ যা আপনার কানের ব্যাকটেরিয়া এফেক্ট, মুখের আলসার এবং দাঁতের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করবে।

ওটেক এসি প্লাস: এই ইয়ার ড্রপটি প্রাথমিকভাবে কানের সংক্রমণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। ড্রপটি ইউজ করার প্রায় ২ ঘণ্টা পরে এর কার্যকারিতা লক্ষ্য করা যায়।

ওল্টাউর: এটি এমন একটি অ্যান্টিবায়োটিক ড্রাগ যা কানের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে৷ আপনি চাইলে সেই ক্যাটাগরির টেবলেট বা ক্যাপসুলও খেতে পারেন৷
আরোও পড়ুনঃ সিনকারা সিরাপ খেলে কি মোটা হয়
আরোও পড়ুনঃ জেনে নিন বার্না ক্রিম কি কাজ করে

পরিশেষে: সিপ্রোসিন সিরাপ, কিছু আই ড্রপ এবং কিছু ইয়ার ড্রপের কাজ, সিপ্রোসিন সিরাপ কেনো খেতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি বিভিন্ন তথ্য একসাথে পেয়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছে। ধন্যবাদ।

Categories
মেডিসিন

জেনে নিন বার্না ক্রিম কি কাজ করে

একটু সতর্ক থাকলে অনেক সময় অগ্নি দুর্ঘটনা এড়ানো গেলেও পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবুও ভাগ্যের পরিহাসে দুর্ঘটনা যদি ঘটেই যায়, তবে যথাযথ চিকিৎসা নিতে হবে। অনেকে পোড়ার স্থানে দাগ এবং যন্ত্রনা নিয়ে খুব উৎকণ্ঠিত থাকেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি আকস্মিক দুর্ঘটনায় বা মুহূর্তের অসতর্কতায় পুড়ে যাওয়ার মতো মারাত্মক ও যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতে পড়েন আপনাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনাকে জেনে নিতে হবে বার্না ক্রিম কি কাজ করে সে-সম্পর্কে। চলুন তবে আজকে এই বার্না ক্রিম কি কাজ করে এবং আগুনে পোড়ার অন্যান্য ক্রিম বা মলমগুলি কি কি হতে পারে সে-সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বার্না ক্রিম কি কাজ করে

অনেকের মনেই হয়তো শিরোনাম দেখেই ঘুরপাক খাচ্ছে আসলে এই বার্না ক্রিম কি কাজ করে! চলুন আর্টিকেল এই অংশে এ-ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।

গবেষণা বলছে বার্না ক্রিম মাইক্রোনাইজড সিলভার সালফাডিয়াজিন, ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপি এবং জৈব রাসায়নিক টেকনিক কাজে লাগিয়ে পোড়া কোষকে দূর করে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। বলে রাখা ভালো ব্যাকটেরিয়াতে সিলভার সালফাডিয়াজিনের কাজ করার পদ্ধতি সিলভার নাইট্রেট এবং সোডিয়াম সালফাডিয়াজিন থেকে মোটামুটি আলাদা। এক্ষেত্রে সিলভার সালফাডিয়াজিন শুধুমাত্র কোষের ঝিল্লি এবং কোষ প্রাচীরের উপর কাজ করে তার ব্যাকটেরিয়াঘটিত প্রভাব তৈরি করে।

যদিও এই টেকনিকটির সঠিক কোনো রুলস বা প্রক্রিয়া এখনো খুঁজে বের করা হয়নি। তবে গবেষণার ফল হিসেবে জানা যাং সিলভার সালফাডিয়াজিনের কার্যকারিতা সম্ভবত একটি সিনারজিস্টিক মিথস্ক্রিয়া বা প্রতিটি উপাদানের কাজ থেকে হতে পারে। এই সময় সিলভার আয়নগুলি নিউক্লিওফিলিক অ্যামিনো অ্যাসিডের সাথে আবদ্ধ হয়ে যায়। সেইসাথে প্রোটিনে সালফাইড্রিল, অ্যামিনো, ইমিডাজল, ফসফেট এবং কার্বক্সিল গ্রুপের সাথে প্রোটিনের বিকৃতি এবং এনজাইম একসাথে বাধা সৃষ্টি করে।

একটা সময় গিয়ে সিলভার পৃষ্ঠের ঝিল্লি এবং প্রোটিন একসাথে সাথে আবদ্ধ হয়। যার ফলে ঝিল্লিতে প্রোটন লিক হয়, এবং কোষের মৃত্যু ঘটে। এছাড়াও বার্না ক্রিম কি কাজ করে তার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সালফাডিয়াজিন হলো ব্যাকটেরিয়া প্যারা-অ্যামিনোবেনজয়িক অ্যাসিড (PABA), এনজাইম ডাইহাইড্রোপ্টেরোয়েট সিন্থেটেসের একটি সাবস্ট্রেটের প্রতিযোগিতামূলক প্রতিরোধক। যা ফলিক অ্যাসিডের সংশ্লেষণের জন্য বেশ প্রয়োজন। এবার আশা করি বুঝতে পেরেছেন বার্না ক্রিম কি কাজ করে! যদিও টেকনিকটি বেশ জটিল। তবে রোগ সারাতে এটি শতভাগ কার্যকর।

আগুনে পোড়ার ওষুধ

বার্না ক্রিম কি কাজ করে সে-সম্পর্কে জেনে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন বার্না ক্রিমও কিন্তু আগুনে পোড়ার ঔষধ। তবে এই পর্যায়ে আমরা আরোকিছু আগুনে পোড়ার ঔষধ সম্পর্কে জানবো। যা কঠিন বিপদে আপনাকে পুরোপুরি সাহায্য করতে পারবে। চলুন তবে শুরু করা যাক।

Dermoplast ক্রিম: ডার্মোপ্লাস্ট ব্যথা এবং চুলকানি স্প্রে হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এটি বার্ন ক্রিম হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়। ছোটখাটো কাটা, স্ক্র্যাপ, পোড়া, পোকামাকড়ের কামড় এবং রোদে পোড়া ব্যথা এবং চুলকানি দ্রুত উপশম করতে এই ক্রিমটির জুড়ি মেলা ভার। বলে রাখা ভালো এটি একটি নো-টাচ অ্যাপ্লিকেশন এবং দ্রুত ব্যথা উপশমকারী ঔষুধ। সাথে পোড়া ব্যাথাও দূর করতে পারে এই ক্রিম।

Alocane Emergency Burn Gel: বার্ন জেলটিতে থাকা ব্রাজিলিয়ান অ্যালোভেরা ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে হাইড্রেট করতে সক্ষম। বিশেষ করে পোড়া ত্বককে সারিয়ে তুলতে পারে এই জেল। জেলটি ত্বকের জ্বালা প্রশমিত করার পাশাপাশি পোড়া এবং স্ক্র্যাপগুলিকে শীতল করে তোলে। আমরা সকলেই জানি অ্যালোভেরাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল থাকে। যা সামান্য পোড়া এবং আঘাতকে সংক্রমণ এবং জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা করে। সাধারণত পপিং ফোস্কা পোড়া জায়গায় এই জেলটি বেশি ব্যবহার করা উচিত। প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যালোকেন ম্যাক্সিমাম স্ট্রেন্থ ইমার্জেন্সি বার্ন জেল দিনে ৩/৪ বার ব্যবহার করলে আশা করি ভালো রেজাল্ট পাবেন।

Burnshield ক্রিম: প্রাকৃতিক চা-গাছের তেলের প্রশান্তিদায়ক এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ফিচারের বেশ কার্যকরী পোড়ার ক্রিম হলো এই বার্নশিল্ড ক্রিম। রোগীরা ক্ষত ঠান্ডা করতে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য এটিকে যদি পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারে তবে দ্রুত পোড়া স্থান সেরে উঠবে। এই বার্নশিল্ড হলো বার্ন-কেয়ারের জন্য বার্ন জেল এবং বার্ন ড্রেসিংয়ের একটি অসাধারণ জীবাণুমুক্ত জেল বা ক্রিম।

Calendula Gel: খনিজ, বোটানিকাল এবং জৈবিক পদার্থের থেরাপিউটিকভাবে সক্রিয় মাইক্রো-ডোজ হলো এই ক্যালেন্ডুলা জেল। শতভাগ নিরাপদ ক্রিম হওয়ায় এটি প্রায় ৬৫ টিরও বেশি দেশে লক্ষ লক্ষ রোগীর দ্বারা ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত পোড়া স্থান সারিয়ে তুলতে ব্যবহৃত হয়।

Safetec Burn জেল: মূলত বার্ন জেল ফার্স্ট এইড প্যাকেটে প্রতিটিতে 0.9-গ্রাম বার্ন জেল থাকে। এই জেল বা ক্রিম আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে শীতল এবং প্রশমিত করে। মূলত কাজটি করে তাপ আটকে না রেখে। 2% লিডোকেইনের সাথে জেলটিতে রয়েছে অ্যালোভেরা। এটি হাসপাতাল, অফিস কিংবা যেকোনো স্থানে সাথে করে নিয়ে গেলে সূর্যের আলোতে সৃষ্ট ত্বকের ক্ষতি হতেও বাঁচা যাবে।

আশা করি উপরের যেকোনো ক্রিমই আপনাকে আগুনে জ্বলসে যাওয়া ত্বককে সুস্থ করে তুলবে। পাশাপাশি যাদের সূর্যের আলোতে ত্বক নষ্ট হয়ে যায় তারাও নিজেদের ত্বকের যত্ন নিতে সক্ষম হবে।

বার্না ক্রিম এর দাম

বার্না ক্রিম কি কাজ করে সে-সম্পর্কে কেবল জানলেই হবে? ক্রিমটি এফোর্ড করার মতো অর্থও থাকতে হবে। তবে তার আগে জেনে নিতে এই বার্না ক্রিমটির দাম কত হতে পারে সে-সম্পর্কে। বর্তমান বাজার মূল্যে এই বার্না ক্রিম ২৫ গ্রাম টিউবের মূল্য মাত্র ৬০/-। আশা করি দামটি আপনার হাতের নাগালেই রয়েছে এবং এটি কিনতে পারাটা আপনার জন্য খুব একটা কঠিন কাজ হবে না।

বার্না ক্রিম স্কয়ার ব্যবহারের নিয়ম

এই বার্না ক্রিম কি কাজ করে সে-সম্পর্কে জানার পরবর্তী কাজ হলো ক্রিম স্কয়ার ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া।
মূলত বার্না ক্রিম ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করে। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে দিনে ২/৩ বার নিয়ম মেনে এটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে কোনোভাবেই এটিকে আপনি ৩/৪ বারের বেশি ব্যবহার করতে পারবেন না।

মূলত এই ক্রিম দ্বিতীয় এবং তৃতীয়-ডিগ্রি আগুনে পোড়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করতে পারেন। তার আগে সরাসরি চিকিৎসা নিতে হবে আপনাকে। তবে হ্যাঁ…গর্ভাবস্থায় এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এই ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো।
আরোও পড়ুনঃ সিনকারা সিরাপ খেলে কি মোটা হয়

পরিশেষেঃ কেমন লাগলো আমাদের আজকের এই বার্নন ক্রিম পরিচিতি ও ব্যবহার। এই বার্না ক্রিম কি কাজ করে সে-সম্পর্কিত আর্টিকেলটি? আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর কি পেয়েছেন? জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।

Categories
মেডিসিন

সিনকারা সিরাপ খেলে কি মোটা হয়

সিনকারা সিরাপ খেলে মোটা হওয়া যায় এই কথাটি একেবারে সত্য নয়। সিনকারা সিরাপ আসলে হামদার্দ এর একটি আয়ুর্বেদিক মাল্টিভিটামিন সিরাপ যা আপনার দেহের বিভিন্ন ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে। অনেকেই বলেন যে, সিনকারা সিরাপ খেয়ে মোটা হয়েছেন। কিন্তু সিনকারা সিরাপ আপনাকে সরাসরি মোটা হতে সাহায্য না করলেও পরোক্ষভাবে সিনকারা সিরাপ মোটা হতে সাহায্য করে।
সিনকারা সিরাপ খেলে কি মোটা হয়

যারা অধিক চিকন অর্থাৎ যাদের ওজন আন্ডারওয়েটের তালিকায় আছে তারা মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন হার্বাল ঔষধ গ্রহণ করে থাকেন, যার মধ্যে সিনকারা সিরাপ অন্যতম। আসুন এবার সিনকারা সিরাপ যেভাবে আপনাকে পরোক্ষভাবে মোটা হতে সাহায্য করবে সেই নিয়ে কথা বলি।তার আগে আপনাকে সিনকারা সিরাপের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে।

সিনকারা সিরাপ খেলে কি মোটা হয়

সিনকারা সিরাপ খেলে সাধরনত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃধিপায় এবং মুখের রুচি বৃদ্ধি পায়। এই সিরাপ খেলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তা নিচে আলোচনা করা হলো-
শক্তিবর্দ্ধক হিসেবে কাজ করে: যারা অধিক পরিশ্রম করেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সুযোগ হয় না তারা সহজেই দুর্বল হয়ে যায় এবং কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন না।সিনকারা সিরাপ দুর্বলতা বোধ কমিয়ে শরীরে শক্তি প্রদান করতে সাহায্য করে এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের সুস্থতা বজায় রাখে।

খাবারে রুচি বৃদ্ধি করে: খাবারের প্রতি রুচি কম হলেই খাবার খেতে ইচ্ছে হয় না ফলে শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরি চাহিদা পূরণ হয় না, এর ফল হলো চিকন-পাতলা শরীর। সিনকারা সিরাপ খাবারের প্রতি রুচি আনতে সহায়তা করে ফলে আপনি আপনার শরীরের জন্য যতটুকু প্রযোজ্য খাবার ততটুকু গ্রহণ করতে পারবেন।

ভিটামিন ও মিনারেল চাহিদা পূরণ করে: সিনকারা সিরাপের মধ্যে খাদ্যের ছয়টি ভিটামিন ও বিভিন্ন মিনারেল আছে যা দেহের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে।

হজমজনিত সমস্যা কমায়: সিনকারা সিরাপ পেটের নানা সমস্যা দূরে রাখে (পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া), খাবার হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার দ্রুত সমাধান দেয়।

রক্তস্বল্পতা কমায়: শরীরে যথাযথ পুষ্টির অভাব হলেই রক্তস্বল্পতা হয়।সিনকারা সিরাপ মিনারেল ও ভিটামিন রক্তস্বল্পতা কমাতে সাহায্য করে এবং গর্ভাবস্থায় মায়েদের পুষ্টি নিশ্চিত করে।তবে গর্ভাবস্থায় অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করে খাবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। এছাড়াও সিরাপটি ঋতুবতী মেয়েদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করে।

মানসিক সুস্থতা বজায় রাখে: ক্লান্তি আর অবসাদ আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে ।অধিক ক্লান্তির জন্য দৈনন্দিন ও অফিসের নানা চাজে বিঘ্ন ঘটে।কিন্তু আপনি যদি সিনকারা সিরাপ সেবন করেন তবে আপনার এই সমস্ত সমস্যা লাঘব হয়ে যাবে। ক্লান্তি দূর হলে মানসিক ভাবেও উপকার হবে অর্থাৎ মানসিক সুস্থতা বজায় থাকবে।

মোটা /স্বাস্থ্যবান হতে সাহায্য করে: সিনকারা সিরাপ রুচি বাড়াতে সাহায্য করে ফলে আমাদের ক্ষুধা বেড়ে যায় অর্থাৎ বেশি খাবার খাওয়ার প্রতি চাহিদা বৃদ্ধি পায়। খাবার চাহিদা বাড়লে তবেই না মোটা/ স্বাস্থ্যবান হওয়া যায়। সিনকারা সিরাপ এইভাবেই পরোক্ষভাবে মোটা হতে সাহায্য করে।

সিনকারা সিরাপের দাম

বাংলাদেশের সিনাকারা সিরাপের দাম নির্ভর করে কোন বোতলে কত পরিমাণে সিরাপ আছে এবং বোতলের সাইজ কতটুকু তার উপর। এছাড়াও সিনকারা সিরাপের দাম এক এক অঞ্চলে এক এক রকম ব্যবসায়ীরা নির্ধারণ করেন তাদের আনা নেওয়া খরচ বাবদ।আবার যারা অনলাইনে ব্যবসা করেন তাদের দাম ও অফলাইন অর্থাৎ বাজারের দামের মধ্যে কিছুটা অমিল আছে।
সাধারণত ১০০ মিলি সিনকারা সিরাপের দাম ৫০-৭০টাকা, ২২৫ মিলি সিনকারা সিরাপের দাম ১০০-১২০ টাকা, ৪৫০ মিলি সিনকারা সিরাপের দাম ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে রাখা হয়।

সিনকারা সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম

সিনকারা সিরাপ মোটামুটি সব বয়সী মানুষ খেতে পারে।তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।বলা হয়ে থাকে আর্য়ুবেদিক এই সিনকারা সিরাপটি বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন বাচ্চাদের পরিমাণমতো সিরাপটি খাওয়ালে তাদের মেধাশক্তি বৃদ্ধি পাবে। আর যারা বয়স্ক মানুষ আছেন তাদের অনেক সময় স্মৃতিভ্রম সমস্যা লক্ষ্য করা যায় ; এছাড়াও তাদের শরীরের শক্তি যোগানের জন্য তাদের নিয়মিত সিনকারা সিরাপ খাওয়া উচিত।

সিনকারা সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম
সিনকারা সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম
  • বাচ্চাদের জন্য সিনকারা সিরাপ খাওয়ার পরিমাণ ১ টেবিল চামচ =১ ডোজ। দিনে দুই ডোজ খেতে হবে। (খাওয়ার পরে)
  • বয়স্কদের জন্য সিনকারা সিরাপ খাওয়ার পরিমাণ ২ টেবিল চামচ= ১ডোজ। দিনে দুই ডোজ খেতে হবে।(খাওয়ার পর)

তবে সিনকারা সিরাপটা খালি খাওয়া উচিত নয়, পানির সাথে মিশিয়ে তবেই খেতে হয়। এছাড়াও প্যাকেটের মোড়কে বিধিমালা লিখা থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সিনকারা সিরাপ বেশি খেলে যা হয়

প্রত্যেক জিনিসই পরিমাণমতো খেতে হবে (যেমন: দৈনন্দিন খাবার – ভাত, মাছ মাংস) ও যেকোনো ঔষধ। পরিমাণের বাইরে বেশি খেলে যেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাবে তেমনি কম খেলেও শরীরের উপকার হবে না।তাই সব কিছুই পরিমাণমতো খাওয়া খুব জরুরী। অনেকেই মনে করেন সিনকারা সিরাপ হার্বাল প্রোডাক্ট ;বেশি খেলে সমস্যা হবে না। আসলে কথাটি ঠিক না; সিনকারা সিরাপ বেশি খেলে রুচি বৃদ্ধি পাবে ফলে বেশি বেশি খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হবে।আর শরীরে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ হলে সেটির ফল হিসেবে ওজন বেড়ে যাওয়া, ওজন বেশি বেড়ে গেলে বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনা দেখা যায়। তবে এক জনের শরীরে এক এক রকম ভাবে ঔষধের প্রতিক্রিয়া হতে দেখা যায়। কারো অতিরিক্ত ঘুম পায় আর বেশি ঘুমালে শরীর দুর্বল হয়ে যায়।এছাড়াও ব্যক্তিবিশেষে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাই বেশি পরিমাণে না খেয়ে পরিমাণমতো খাওয়ার চেষ্টা করুন।

সিনকারা সিরাপ খেলে কতদিনে মোটা হওয়া যাবে?

সিনকারা সিরাপ খেলে কতদিনে মোটা হওয়া যায় এই ধারণাটি আসলে সম্পূর্ণ ভুল। আপনার ওজন যদি কম থাকে তবে তার কারণ হতে পারে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খান না, হতে পারে আপনার খাওয়ার রুচি নেই বা হতে পারে আপনার হরমোনের নানা সমস্যা আছে।আপনার যদি খাবারের রুচি না থাকে তবে আপনি যখন সিনকারা সিরাপ গ্রহণ করবেন তখন আপনার খাবারে রুচি বাড়বে আর ওজন ও বাড়বে।
আরোও পড়ুনঃ ছোটদের কাশির সিরাপ এবং খাওয়ার নিয়ম

সিনকারা সিরাপ একটা হার্বাল প্রোডাক্ট, কতদিন সিনকারা সিরাপ খেলে মোটা হবো এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি।আপনি যখন সিনাকারা সিরাপ খাওয়া বন্ধ করে দিবেন তখন যদি আপনার খাবারের প্রতি রুচি ঠিক থাকে তবে আপনার ওজন স্বাভাবিক থাকবে।তবে সিনকারা সিরাপ গ্রহণের পাশাপাশি ব্যায়াম ও নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলেই আপনার ওজন ঠিক থাকবে। পরিমাণমতো সিনকারা সিরাপ খেলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। তাই আপনি চাইলে নিয়মিত সিনকারা সিরাপ খাওয়া চালিয়ে যেতে পারেন সিরাপটির অন্যান্য সব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া জন্য।

Categories
মেডিসিন

ছোটদের কাশির সিরাপ এবং খাওয়ার নিয়ম

শিশুদের ঠান্ডা বা সর্দি লাগলে আমরা শিশুদের কাশির সিরাপ দিয়ে থাকি। শিশুরা অত্যন্ত নাজুক হয়ে থাকে তাই কি ধরণের কাশির সিরাপ দেয়া হচ্ছে এ বেপারে পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত। শিশু সর্দি কাশি বা ঠান্ডায় আক্রান্ত হলে মা বাবা নিজেরা বা দোকানদার এর পরামর্শে কাশির সিরাপ দিয়ে থাকেন। এদের বেশির ভাগ এ ওভার দা কাউন্টার মেডিসিন অর্থাৎ এ ওষুধ গুলা কিনতে কোনো ডাক্তার প্রেসক্রিপশন লাগে না। এতে নানা ধরণের বিপদের মুখোমুখি হতে পারে আপনার ছোটো সোনামনি।চলুন জেনে নেই ছোটদের কাশির সিরাপ সম্পর্কে

ছোটদের কাশির সিরাপ

আমাদের দেশে শিশুদের জন্য অনেক ধরণের কাশির সিরাপ রয়েছে। শিশুদের কাশির সিরাপ এ শিশুদের জন্য উপযোগী মেডিসিন বিভিন্ন পরিমানে মিশ্রিত থাকে। শিশু শাস্ত্র গবেষণায় এসব কাশির সিরাপের উপাদান নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে আমাদের দেশে যে সিরাপ গুলা শিশুদের জন্য তৈরী করা হয়েছে তার সব গুলো নিরাপদ নয়। কিছু কাশির সিরাপ এ কোডিন, ডেকসট্রো-মিথোরফেন পাওয়া গেছে যা শিশুদের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক। এতে নানারকম পার্শ্বপ্রতিকিয়া দেখা দিতে পারে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই অনিরাপদ কাশির সিরাপগুলো গ্রহণের ফলে শিশুদের শরীরে খিঁচুনি, ঝিমুনি, অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, কিডনি ও লিভারের ক্ষতিসহ নানা সমস্যা তৈরি করে। শিশুদের জন্য বহুল ব্যবহৃত সালবিউটামল সিরাপ একটু বেশি মাত্রায় গ্রহণ করলেই অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন ও শরীরে কাঁপুনি হতে পারে। আবার অনেক কাশির সিরাপে হাইড্রোকার্বন নামক রাসায়নিক উপাদান থাকে। সাধারণত বুক ব্যথা কমানো ও কাশি দমনে এ সিরাপ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু হাইড্রোকার্বন এক ধরনের ভয়াবহ নারকোটিক, যা শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। তাই শিশুদের কাশির সিরাপ দেয়ার বেপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

হামদর্দ কাশির সিরাপ

হামদর্দ একটি ফার্সি শব্দ যার মানে অন্যের প্রতি সহানুভূতি। হাকিম হাফিজ আব্দুল মজীদ ১৯০৬ সালের ১লা আগস্ট দিল্লিতে প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন হামদর্দ। ভারত উপমহাদেশের একটি বিখ্যাত ফার্মাটিকাল কোম্পানি হলো হামদর্দ। হামদর্দ ল্যাবরোটরীজ ইউনানী এবং হারবাল ওষুধের জন্য বিখ্যাত। পৃথিবীর বৃহত্তম ইউনানী ওষুদের প্রস্তুতকারক হলো হামদর্দ। হামদর্দ এর প্রায় ১৫০ টি পণ্যের মধ্যে তাদের হামদর্দ কাশির সিরাপ অনেক পরিচিত একটি সিরাপ।

 হামদর্দ কাশির সিরাপ
হামদর্দ কাশির সিরাপ

হারবাল ওষুধ শিল্পে হামদর্দ বাংলাদেশ এর একটি পরিচিত নাম। হামদর্দ কাশির সিরাপ দাবি করে যে তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিকিয়া নেই। হামদর্দের ২৭০ টি চিকিৎসালয় আছে বাংলাদেশে। সর্দি কাশি হলেই এখন র এন্টিবায়োটিক খেতে হবে না। হামদর্দ এর কাশির সিরাপ টির নাম হলো সিরাপ এ্যালভাসিন। এ সিরাপ টির মূল উপাদান হচ্ছে বিভিন্ন ভেষজ এবং হার্ব।

হামদর্দ কাশির সিরাপ এর উপকারিতা

  • ফুসফুস এর বিষাক্ত উপাদান পরিশোধনে সাহায্য করে।
  • হামদর্দ কাশির সিরাপ শুষ্ক কাশি কমায়।
  • ঠান্ডা সর্দি কমাতে সাহায্য করে।
  • পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত।

অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে একটি সময় পর আমাদের শরীরে আর এন্টিবায়োটিক কাজ করে না। তাই সাধারণ সর্দি কাশি হলে এন্টিবায়োটিক না গ্রহণ করে হামদর্দ কাশির সিরাপ নেয়া যেতে পারে। হামদর্দ এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান এ সেবা পোছিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে।

টোফেন সিরাপ

টোফেন সিরাপ টি মূলত হাঁপানি রোগের চিকিৎসায় বেবহৃত হয়। এর এন্টি এলার্জিক গুণাবলী ও রয়েছে। সাডিয়াম ক্রোমাগ্লাইকেট এর মতো টোফেন সিরাপটি ও ঠান্ডাজনিত অসুখে ডাক্তার রোগীকে দিয়ে থাকেন। টোফেন সিরাপ এন্টিহিস্টামিন এর ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এন্টি-এ্যানাফাইল্যাকটিক গুণাবলী রয়েছে এ সিরাপটিতে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এ সিরাপ টি নিয়মিত গ্রহণ করলে ইনহেলার এর মতো কাজ করে। এসব পরীক্ষায় অন্য সিরাপ গুলু অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে এন্টিহিস্টামিন কার্যকারিতায়। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে টোফেন সিরাপ গ্রহণে হাঁপানি রোগের তীব্রতা ও স্থায়িত্ব কমে যায়।

টোফেন সিরাপ খাবার নিয়ম

২ বছরের অধিক শিশুঃ ১ মিগ্রা. করে প্রতিদিন দুইবার খাবারের সাথে সিরাপ টি গ্রহণ করবে । খুব বেশি ঘুম যদি পায়, চিকিৎসা শুরুর প্রথম কদিন রাতের বেলা ডোজ কমিয়ে ০.৫ থেকে ১ মিগ্রা. করে ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী দেয়া যেতে পারে। এ সিরাপ টি গ্রহণে শিশুদের যেসব পার্শপ্রতিক্রিয়া হতে পারে :

  • পেট ফাঁপা
  • তন্দ্রাচ্ছন্নতা
  • মুখ গহ্বরের শুষ্কতা
  • সামান্য মাথা ঘোরা ভাব হতে পারে

তবে অবশ্যই চিকৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে কোনোভাবেই টোফেন সিরাপ দেয়া যাবে না। এ বেপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

কাশির সিরাপ এর নাম বাংলাদেশ

আমরা অনেকেই গলা খুসখুস, কাশির সমস্যায় ভুগে থাকি। তখন আমরা বোঝে না বোঝে কাশির সিরাপ খেয়ে থাকি। আমাদের দেশে এখন অনেক ধরণের কাশির সিরাপ পাওয়া যায়। কফ, কাশি হলেই আমাদের বাজার থেকে সিরাপ কিনে খাওয়া উচিত নয়। এতে অনেক সময় নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় যেমন: ঝিমুনি ,দুর্বলতা, মাথা ঘুরা, বমি বমি ভাব, সাময়িক ডায়রিয়া, কিডনি জটিলতা ইত্যাদি। এই কাশির সিরাপ এর নাম, বাংলাদেশ এ যেগুলা পাওয়া যায় তা আমাদের ভালো ভাবে জেনে রাখা উচিত।

এডলফ: কাশির সিরাপের্ নাম বললে প্রথমে এ সিরাপটির কথা চলে আসে। অপসোনিন ফার্মাসিটিকলস লিমিটেড এ সিরাপ টি বাজারে নিয়ে এসেছে। এটি ১০০ মিলি বোতল এ বাজারজাত করা হয়ে থাকে। এ সিরাপ টির মূল্য ৬৫ টাকা।

রিমুকফ: রিমুকফ সিরাপ টি কাশির সিরাপ হিসাবে খুব এ ভালো কাজ করে থাকে। ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিকলস এ সিরাপ টি বাজারজাত করে থাকে। এটি সিরাপ টি দুইটি সাইজে পাওয়া যায়। প্রতি টি ১০০ মিলি রিমুকফ সিরাপের মূল্য ৫৫ টাকা এবং প্রতিটি ২০০ মিলি সিরাপের মূল্য ১১০ টাকা।

এডভ্যাস: বাংলাদেশ এর ওষুধ শিল্পে স্কয়ার ফার্মাসিটিকলস এর বেশ সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশ এ এডভ্যাট; কাশির সিরাপ হিসাবে খুব জনপ্রিয় ও পরিচিত একটি সিরাপ। স্কয়ার কোম্পানি এ সিরাপ টি বাজারে নিয়ে এসেছে। এ সিরাপ দুইটি সাইজে এ পাওয়া যায়। ১০০ মিলি সাইজের সিরাপ টির দাম হচ্ছে ৬০ টাকা। প্রতিটি ২০০ মিলি সিরাপের মূল্য ১১০ টাকা।

ই কফ: নাম শোনায় স্পষ্ট বোঝা যায় এটি কফের সিরাপ। খুসখুসে কফ এবং কাশের জন্য এ সিরাপ টি খুব এ ভালো। এডরুক ফার্মাসিটিকল এ সিরাপ টি বাজারজাত করে থাকে। এ সিরাপ টি মাত্র একটি সাইজে এ পাওয়া যায়। ১০০ মিলি সিরাপ টির বাজার মূল্য হলো ৫০ টাকা।

তুষকা: এ সিরাপ টি বহুল জনপ্রিয় এবং পুরানো কাশের সিরাপ। এ সিরাপ টির নাম শুনে নি এমন লোক খোঁজে পাওয়া কঠিন। এটি ঠান্ডা সর্দি এবং কাশের জন্য খুব এ উপকারী। প্রতি ১০০ মিলি তুষকা সিরাপ এর দাম ৬৫ টাকা। এটি বাজারে মাত্র একটি সাইজে এ পাওয়া যায়।

ইবেক্স: ইবনে সিনা ফার্মাসিকলস লিমিটেড কোম্পানি এ সিরাপ টি বাজারে নিয়ে এসেছে। এটি একটি স্বনামধন্য কোম্পানি। তারা মূলত ইউনানী এবং হারবাল ওষুধ বেশি বানিয়ে থাকে। এ কফের সিরাপ টি আমাদের কাশের জন্য অনেক উপকারী। প্রতি ১০০ মিলি সিরাপ এর দাম মাত্র ৩৫ টাকা। ইবনে সিনা তাদের সিরাপ ও ওষুধ অনেক সাশ্রয় মূল্যে বিক্রি করে থাকে।

কাশির সিরাপ বেশি খেলে কি হয়

ঠান্ডা সর্দি হলেই আমরা সবাই ছুটি কাশির সিরাপ এর দোকানে। আমরা ভাবি হয়তো সিরাপ খেলেই কাশি ভালো হয়ে যাবে। আসলেই কি তাই ?কাশি হলেই দোকান থেকে কফ সিরাপ কিনে খাওয়া কোনো সমধান হতে পারে না। হাইড্রোকার্বোন নামক একটি রাসায়নিক উপাদান কাশির সিরাপ এ থাকে যে কফ এবং বুকব্যথা উপশমে সাহায্য করে। এটা ছাড়া ও কফ সিরাপ এ আরো কিছু উপাদান থাকে যেমন গুয়াইফেনেসিন, সিউডোএফেড্রিন, ডেক্সট্ররমিথোমরফনি ও ট্রাই মিথোপ্রলিপ্রি। এ উপাদানগুলো অনেক সংবেদনশীল। তাই ভুলে কাশির সিরাপ বেশি খেয়ে ফেললে কি হয় তা অনেকেই জানতে চায়। নিচে কাশির সিরাপ বেশি খেয়ে ফেললে কি কি সমস্যা হতে পারে তা দেয়া হলো:

  • শরীরের রক্ত চাপ বেড়ে বা কমে যেতে পারে।
  • মাথা ঘুরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • অনেকের খিঁচুনি দেখা দিতে পারে।
  • কারো কারো রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে।
  • ডায়াবেটিকস রোগীদের ক্ষেত্রে সুগার ফল হতে পারে। ব্লাড প্রেসার কমে রোগী জ্ঞান ও হারিয়ে ফেলতে পারে।
  • সিরাপ এ যে মরফিন থাকে তা স্নায়ু এবং পেশিকে দুর্বল করে ফেলতে পারে।
  • পাতলা পায়খানা বা সাময়িক ডাইরিয়া দেখা দিতে পারে।
  • অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন দেখা দিতে পারে।
  • অনেকের কিডনি, যকৃতে জটিলতা দেখা দিতে পারে।কাশি হলে অবশই ডাক্তার দেখিয়ে তার আসল কারণ বের করতে হবে। যদি কেউ ভুলে কাশির সিরাপ বেশি খেয়ে ফেলে তাহলে দেরি না করে অব্যশই তাকে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যেতে হবে। আশা করি কাশির সিরাপ বেশি খেলে কি হয় তা আপনারা বুজতে পেরেছেন।

    বড়দের কাশির সিরাপ

    ঠান্ডা জ্বর সর্দি কাশি হলে বড়দের কি ধরণের সিরাপ খেতে হয় তা অনেকেই জানতে চায়। তবে আপনি যে সিরাপ এ খান না কেন আগে ডাক্তার থেকে পরামর্শ নিয়ে তারপর খাবেন। এছাড়া সব ওষুধ কোম্পানি তাদের সিরাপ এর গায়ে পরিমান ও দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। ভালোমতো পরে তার পর ওষুধ খাবেন। বাংলাদেশ এ এখন অনেক ওষুধ কোম্পানি আছে যারা বড়দের কাশির সিরাপ নিয়ে কাজ করে থাকে। যেমন ইনসেপ্টা ,স্কোয়ার,ইবনে সিনা। তারা খুব ভালো মানের বড়দের কাশির সিরাপ বাজারে নিয়ে এসেছে। যেমন ধরুন এডভ্যাস, ই কফ, ইভেক্স ইত্যাদি। সিরাপ কিনার পূর্বে অবশই সিরাপ এর মেয়াদ আছে কিনা দেখে কিনবেন। মেয়াদ উর্ত্তীণ সিরাপ খেলে আপনি মারা ও যেতে পারেন বিষক্রিয়া হয়ে। এছাড়া ঠান্ডা সর্দি হলে নিচের কাজ গুলো করুন:

    প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন। গরম পানির দ্বারা ভাপ নিন এতে কফ অনেক পাতলা হয়ে যাবে। হালকা গরম পানিতে একটু নুন দিয়ে কুলকুচি বা গার্গল করুন। মুখে কোনো লজেন্স, লবঙ্গ বা আদা রাখলেও আরাম পাবেন। এছাড়া নবজাতক কে ঠান্ডা সর্দি হলে গরম দুধ ও পানীয় দিতে পারেন। লেবু ও মধু একসাথে মিশিয়ে দিতে পারেন। ঠান্ডা বাতাস যাতে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। গরম ভাপের বেবস্থা করতে পারেন। এতে নবজাতক আরামবোধ করবে।

    নবজাতকের কাশির সিরাপ

    এ সময়ে নবজাতক শিশুরা ভাইরাল ইনফেকশন, সর্দি, কাশি, ঠান্ডায় ভুগে থাকে। অনেকে নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কাইটিস এ আক্রান্ত হয়ে পরে। তাই এসময় নবজাতকের বেপারে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক মায়েরা নবজাতকদের কাশির সিরাপ এর নাম জানতে চায়। কিটোটিফেন সিরাপ সর্দি ও কাশির জন্য(৬ মাস থেকে ৩ বছর- আধা চামচ x ২বার/ ৩ বছরের উপর- এক চামচ x ২বার) ৩ থেকে ৫দিন। সঙ্গে যদি শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে সালবিউটামল সিরাপ: (২ বছর থেকে ৫ বছর বয়স- ১ চামচ করে x দিনে তিনবার) এবং ৩ থেকে ৫ দিন। তবে অব্যশই ডাক্তার এর সাথে আগে পরামর্শ করে নিবেন। যদি কাশি ৩-৫ দিনের মধ্যে ভালো না হয় অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি কাশির ক্ষেত্রে (হাঁপানি ও জন্মগত হৃদরোগ) এবং কাশির সঙ্গে জ্বর থাকলে (নিউমোনিয়া) অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

    বেক্সিমকো কাশির সিরাপ

    বেক্সিমকো ফার্মাসিটোকলস আমাদের দেশের অত্যন্ত স্বনামধন্য ওষুধ কোম্পানি। এছাড়া বেক্সিমকো একটি বহুজাতিক কোম্পানি যা ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ঠান্ডা সর্দি ,কাশির জন্য বেক্সিমকো বেশ কিছু সিরাপ বের করেছে। নিচে বেক্সিমকো কাশির সিরাপ এর তালিকা দেয়া হলো:

    বুড়াটাস: এ সিরাপটির মূল উপাদান হচ্ছে বুড়াটাস যা বুটামিরেট সাইট্রেটের একটি প্রস্তুতি,এটি (শুষ্ক) কাশির লক্ষণীয় চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। দিনে ৩ বার এ সিরাপ ৫ মিলি করে খাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    ডেক্সট্রিম: ডেক্সট্রিম হল ডেক্সট্রোমেথরফান হাইড্রোব্রোমাইড, ফেনাইলেফ্রাইন হাইড্রোক্লোরাইড এবং ট্রিপ্রোলিডিন হাইড্রোক্লোরাইডের সংমিশ্রণ। এ সিরাপ খাবেন যদি আপনার সামান্য গলা বা শ্বাসনালীর জ্বালার কারণে কাশি থাকে। সর্দি বা হাঁচি থাকে, নাক বা গলা চুলকায়, চুলকানি বা নাক বন্ধ থাকে। ১২ বছরের উপরে যাদের বয়স তারা ৫ মিলি করে প্রতি ৪ ঘন্টা অন্তর অন্তর খাবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে ক্ষণস্থায়ী উচ্চরক্তচাপ, শুষ্ক মুখ, অস্থিরতা, ধড়ফড়, অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া যেমন ফুসকুড়ি, বুকে শক্ত হওয়া, শ্বাসনালী নিঃসরণ ঘন হওয়া, বিষাক্ত সাইকোসিস এবং রক্তের ডিসক্রেসিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

    মুকোসল: মুকোসল একটি প্রেসক্রিপশন ঔষধ এবং এটি এমব্রোসোল এর একটি সম্মিলিত প্রস্তুতি।মুকোসল কাশির লক্ষণ উপশম করার জন্য বেবহার করা হয়ে থাকে।

    কত মিলিকরে নিতে হবেসিরাপ

    2-5 বছর বয়সী: 2.5 মিলি (1/2 চা চামচ), দিনে 2-3 বার
    5-10 বছর বয়সী: 5 মিলি (1 চা চামচ), দিনে 2-3 বার
    10 বছর বয়সী এবং প্রাপ্তবয়স্ক: 10 মিলি (2 চা চামচ), দিনে 3 বার

    সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

    সমস্ত ওষুধের মতো, মুকোসল ওপার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যদিও সবার সাথে এমন হয় না ।মুকোসল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া যেমন ত্বকের এলারজি, ছত্রাক বা অ্যাঞ্জিওনিউরোটিক শোথ, এপিগ্যাস্ট্রিক ব্যথা, পেট অতিরিক্ত ভরাট অনুভূতি।
    আরোও পড়ুনঃ মেডিপ্লাস টুথপেস্ট এর উপকারিতা

    বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমাদের পরামর্শ থাকবে যেকোনো ধরণের ওষুধ গ্রহণের পূর্বে অব্যশই ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে তারপর খাবেন। এতে সিরাপ বা ওষুধ গ্রহণ থেকে ভবিষৎ স্বাস্থ্য জটিলতা হওয়ার সম্ভনা থাকবে না।

Categories
মেডিসিন

মেডিপ্লাস টুথপেস্ট এর উপকারিতা

আপনি হয়তো জেনে থাকবেন মুখের স্বাস্থ্য সার্বিক স্বাস্থ্যের ওপর শক্ত প্রভাব ফেলে। গবেষণা বলছে, মুখের মধ্যে যেকোনো রোগ (দাঁতে গর্ত, মাড়ি রোগ বা ক্ষত) পুষে রাখলে এবং তা সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে পরবর্তীতে এটি শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই কিছু বিষয় মেনে চললে দাঁতের এসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এসব বিষয়ের মাঝে মেডিপ্লাস টুথপেষ্ট ব্যবহার অন্যতম। আজ আমরা জানবো মেডিপ্লাস টুথপেস্ট এর উপকারিতাসহ এই টুথপেষ্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে। চলুন তবে দেরি না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক এবং জানা যাক এই মেডিপ্লাম টুথপেষ্টের ম্যাজিক কি!

মেডিপ্লাস টুথপেস্ট এর উপকারিতা

একটু খেয়াল করে দেখবেন, সকালে উঠে যে জিনিসগুলির সবেচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে, তার মধ্যে অন্যতম হলো টুথপেস্ট। মূলত যার কল্যাণেই মহা মূল্যবান দাঁতগুলি সুস্থ থাকে সারাদিন। একটু চেষ্টা করলেই বাজারে হরেক রকমের টুথপেস্ট পেয়ে যেতে পারেন। কিন্তু আপনার দাঁতের জন্য কোন টুথপেষ্টটি আপনার জন্য পারফেক্ট তা কিভাবে বুঝবেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে পুরোপুরি সাহায্য করতেই আমরা সাজেস্ট করবো মেডিপ্লাস টুথপেষ্ট। মূলত মেডিপ্লাস টুথপেস্ট এর উপকারিতার কারণে এটি সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয়। যদি আপনি এই টুথপেষ্টটির নাম নতুন শুনে থাকেন তবে সবার আগে আপনার জেনে নেওয়া উচিত মেডিপ্লাস টুথপেস্ট এর উপকারিতা সম্পর্কে। পরবর্তী এর ব্যবহার, কোম্পানি, দাম ইত্যাদি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

মেডিপ্লাস টুথপেস্ট এর উপকারিতা হিসেবে সবার আগে বলতে হয় এর দ্রুত কার্যকারিতা সম্পর্কে। সবচেয়ে বড় কথা হলো এই ভেজালের বাজারে মেডিপ্লাস টুথপেষ্ট একটি গুনগত মান সম্পন্ন এবং স্বাস্থ্যকর পণ্য। যা চোখ বুঝে যেকেউই ব্যবহার করতে পারে৷

সাধারণত দেখা যায় অনেক টুথপেষ্ট তৈরি করার সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরনের ভেজাল বা নিন্মমানের উপকরণ মিশিয়ে টুথপেষ্ট তৈরির কাজ সারে। এক্ষেত্রে আপনাকে লেভেলযুক্ত প্যাক দেখে তবেই এই মেডিপ্লাস টুথপেষ্টটি কিনতে হবে। নতুবা যেনো-তেনো উপকরণে তৈরি এবং কোয়ালিটি নেই এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করে মেডিপ্লাস টুথপেস্ট এর উপকারিতা আশা করাটা বড্ড বোকামি হবে।

যারা হলদে দাঁতের জন্য পাবলিক প্লেসে গিয়ে চরম লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়ছেন তারা চাইলে এই মেডিপ্লাস টুথপেষ্টের সাহায্য নিতে পারেন। এটি বেশ উপযোগী একটি প্রোডাক্ট। যা আপনার দাঁতের হলদে দাগ দূর করতে সক্ষম।

এছাড়াও এই মেডিপ্লাস টুথপেষ্ট আপনার দাঁতকে মুক্তার মতো ঝকঝকে করতে সাহায্য করবে। সেই সাথে মুখের অবাঞ্ছিত দূর্গন্ধ দূর করতেও শতভাগ কাজে দিবে এই টুথপেষ্ট। সাশ্রয়ী মূল্যে এই প্রোডাক্টটি হাতের নাগালেই পাওয়ার ফলে ব্যবহার করতে গিয়ে কোনো বাঁধার সৃষ্টি হবে না।

মেডিপ্লাস টুথপেস্ট এর উপকারিতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবে বলতে হয় এটি ব্যবহারে খুব একটা বাড়তি শর্ত নেই। অর্থ্যাৎ আপনি যদি যেকোনো সাধারণ রোগে আক্রান্তও হোন, সে মুহূর্তেও ইজিলি এই টুথপেষ্ট ব্যবহার করে দাঁত পরিষ্কার করতে পারবেন। বলে রাখা ভালো এই টুথপেষ্টটি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে পুদিনা পাতা। যা যেকোনো বয়সী ব্যাক্তির দাঁতের মাড়ি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে৷

এছাড়াও এতে থাকা এলকোহল, ম্যাগনোলিয়া, আসারাম, অ্যাঞ্জেলিকা দহুরিকা, গ্লেডিতসিয়া সিনেনসিস ফ্রুক্টাস, থাইম, বোরাস, মেন্থল উপাদান আপনার দাঁতের যত্নে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।

কোন টুথপেস্ট দাঁতের জন্য ভালো?

মেডিপ্লাস টুথপেস্ট এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরে আপনি নিশ্চয় ইতিমধ্যেই বুঝে গেছেন কোন টুথপেষ্টটি আপনার দাঁতের জন্য পারফেক্ট! তবে মেডিপ্লাস টুথপেষ্ট ছাড়াও আরো বেশকিছু টুথপেষ্ট রয়েছে। যারা স্বভাবতই বা কোনো অজানা কারণে মেডিপ্লাস টুথপেষ্ট কালেক্ট করতে পারেননি বা পারছেন না তারা চাইলে অন্য প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আমি একটি টুথপেষ্ট সাজেশন লিষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করছি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।

মেসওয়াক টুথপেষ্ট: আমরা অনেকেই হয়তো “ডাবোর” কোম্পানি চিনি। যা একটি সম্পূর্ণ হালাল কোম্পানি। কোয়ালিটি এবং ইসলামিক ব্যাপারের দিকে যারা খুবই সচেতন তারা এই মেসওয়াক টুথপেষ্ট ব্যবহার করতে পারেন। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা এই টুথপেস্ট ব্যবহারকারীর নিঃশ্বাস এর দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে এবং মুখের চটচটে ভাব দূর করে ফ্রেশ ফিল করতে সাহায্য করে।

মেসওয়াক টুথপেষ্ট
মেসওয়াক টুথপেষ্ট

সেন্সোডেন টুথপেষ্ট: আপনি কি আপনার দাঁতের জন্য দাঁতের ত্রুটি এবং দাগের উপস্থিতি রোধ করা ছাড়াও ডেন্টাল এনামিলের সুরক্ষক হিসেবে কোনো টুথপেষ্ট ব্যবহার করতে চান? এক্ষেত্রে আপনাকে বেশ ভালো রেজাল্ট দিবে এই সেন্সোডেন টুথপেষ্ট। বলে রাখা ভালো এটি একটি মলম টাইপের টুথপেষ্ট। এটি দাঁত পরিষ্কার করার পাশাপাশি মুখের ভেতরে থাকা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতেও শতভাগ ভুমিকা পা

সেন্সোডেন টুথপেষ্ট
সেন্সোডেন টুথপেষ্ট

বিনাকা টুথপেষ্ট: পুরো বিশ্বে সেরা টুথপেষ্টের তালিকায় বিনাকা টুথপেষ্ট বর্তমানে ৪ নাম্বারে অবস্থান করছে। একটি গবেষণা বলছে দাঁতের অতিরিক্ত অ্যানামেলের যমদূত হলো এই বিনাকা টুথপেষ্ট। খাবারের পরে এটি ব্যবহার করলে খুব দ্রুত সময়ে পারফেক্ট আউটপুট পাওয়া যাবে।

বিনাকা টুথপেষ্ট
বিনাকা টুথপেষ্ট

পেপসোডেন্ট টুথপেষ্ট: পেপসোডেন্ট টুথপেষ্ট চিনে না এমন কোনো পাবলিকই মনে হয় বাংলাদেশে নেই। এটি একটি বেশ জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের অথেনটিক প্রোডাক্ট। যা সাধারণত তৈরি করা হয় ভেষজ উপাদান সাসাফ্রাস গাছ থেকে। পাশাপাশি এই টুথপেষ্ট তৈরিতে ইরিয়াম নামক পদার্থ ব্যাবহার করা হয়। আপনি যদি মুখের মধ্যে আটকে থাকা জীবাণু দূর করে এবং দাঁতকে করে শক্তিশালী ও মজবুত করতে চান সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন এই জনপ্রিয় পেপসোডেন্ট টুথপেষ্ট।

মেডিপ্লাস টুথপেস্ট এর উপকারিতা জেনেও যারা অন্য কোনো টুথপেষ্টের উপর ক্রাশ খেয়ে বসে আছেন তারা চাইলে নিজের পছন্দের টুথপেষ্টটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে তা কেনার আগে অবশ্যই উপরের সেরা ৫ টি টুথপেষ্ট লিষ্ট চেক করে নিবেন। নতুবা দাঁতের রোগ সারাতে গিয়ে দাঁতের ক্ষতি ডেকে আনার মতো চরম বোকামিতে পড়ে যাবেন।

মেডিপ্লাস টুথপেস্ট এর দাম

শুধু কি মেডিপ্লাস টুথপেস্ট এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলেই হবে? এর দাম সম্পর্কেও তো জেনে নিতে হবে। আগেই বলেছিলাম এই টুথপেষ্টটি উপকারের তুলনায় বেশ সাশ্রয়ী দামেই পাবেন আপনি। মেডিপ্লাস টুথপেষ্ট ৯০ গ্রাম ওজনের প্যাকটির দাম মাত্র ৯০ টাকা। আবার ১৪০ গ্রাম প্যাকের দাম বাংলাদেশী টাকায় মাত্র ১৩০ টাকা। আশা করি এই প্রাইজে মেডিপ্লাস টুথপেষ্ট কেনার মতো সিদ্ধান্ত নিতে আপনার খুব একটা ভাবতে হবে না। সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হলো কোয়ালিটির সাথে কোনো কম্প্রোমাইজ না করে দ্রুত প্রোডাক্ট কালেক্ট করে নেওয়া এবং তা ব্যবহার করা শুরু করে দেওয়া।
আরোও পড়ুনঃ জেনেনিন আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে

মেডিপ্লাস টুথপেস্ট কোন কোম্পানির?

এতোক্ষণে হয়তো এই কার্যকর টুথপেষ্ট কোন কোম্পানির সে সম্পর্কে জানার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়ে গেছে। যাই হোক…বলে রাখা ভালো মেডিপ্লাস টুথপেষ্ট হলো মেডিপ্লাস ডিএস টুথপেস্ট অ্যান্ডর্ডস বাংলাদেশ কোম্পানি কতৃক তৈরি করা একটি প্রোডাক্ট।
আরোও পড়ুনঃ জেনেনিন ই ক্যাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে

পরিশেষেঃ মেডিপ্লাস টুথপেস্ট এর উপকারিতা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে চেষ্টা করেছি এ-সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্যগুলিকে একসাথে করার। যাতে একটি সহজ এবং সাবলীল গাইডলাইন পেতে পারেন। আশা করি কিছুটা হলেও সফল হয়েছি। পরবর্তী আয়োজনের আমন্ত্রণ রইলো। ভালো থাকুন। সুন্দর হাসুন।

Categories
মেডিসিন

জেনেনিন আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে

আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি? আমরা কি আদৌ এই সিরাপের ব্যবহারের কারণ এবং ব্যবহারবিধি সম্পর্কে সচেতন? সচতেন হলেও কতটুকু সচেতন। সকল প্রশ্নের উত্তর আজ আমরা একসাথে পেয়ে যাবো। তবে তার আগে বলে নিই কি কি থাকছে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে! আজ আমরা আলোচনা করবো আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতা, আমলকি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম, আমলকি সিরাপ এর দাম, আমলকী প্লাস সিরাপ, আমলকি সিরাপ খেলে কি কোন ক্ষতি হয় কিনা এবং আমলকী রসায়ন সিরাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। দেরি না করে চলুন এক্ষুণি শুরু করা যাক।

আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতা

আমরা সকলেরই মোটামুটি জানি আমলা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ একটি উৎস। সেদিক দিয়ে আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতা একেবারেই অগ্রাহ্য করার মতো নয়। স্ট্রেসের সময় মানবদেহ দ্বারা উৎপাদিত ফ্রি রেডিকেলগুলিকে ধ্বংস করে এই আমলা প্লাস সিরাপ। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি আমলায় রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পটাসিয়াম।

সুতরাং পটাসিয়ামের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতার কারণে যারা রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের খাবারে এই আমলকি প্লাস সিরাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। বলে রাখা ভালো পটাসিয়াম দ্বারা উচ্চ রক্তচাপ পরিচালনার প্রধান প্রক্রিয়া হিসেবে রক্তনালীর সঠিক কাজকে আরো বেগবান করে তোলার কাজটি সহজ হয়। যা রক্তচাপের সম্ভাবনাকে আরও কমিয়ে দেয়।

এছাড়াও আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতা হিসেবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হলো ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই আমলকি প্লাস সিরাপ। মূলত ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ হল মানসিক চাপ এবং আমলাতে থাকা ভিটামিন সি এই চাপ কমাতে সাহায্য করে৷ যেহেতু আমলা জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা রোধ করা যায় সেহেতু নিয়মিত খাবারের সাথে আমলকি প্লাস সিরাপ খেতে পারলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে।

আমলাতে থাকা ফাইবার শরীরের অতিরিক্ত চিনিকে নিয়মিত রক্তে শর্করার সঠিক মাত্রায় শোষণ করতে সাহায্য করে৷ তাই, আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতা দ্রুত ভোগ করতে আপনার ডায়াবেটিস ডায়েট প্ল্যানে আমলকি প্লাস সিরাপ রাখুন। আমলায় সাধারণত একটি প্রাকৃতিক রক্ত ​​বিশুদ্ধকারী উপাদান থাকায় এই সিরাপ গ্রহণ আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

আমলকি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে তো জানা গেলো! এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আমলকি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আমলা সিরাপ খাওয়ার আলাদা কোনো নিয়ম নেই। আপনি চাইলে নিজের ইচ্ছেমতো যেকোনো খাবার বা পানীয়ের সাথে মিশে এটি খেতে পারেন।
এই সিরাপ দ্বারা তৈরি করা জুস আপনি চাইলে কয়েকদিন পর্যন্ত ফ্রিজে রেখেও খেতে পারেন।

আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতা এবং সর্বাধিক সুবিধা পেতে, সকালে খালি পেটে প্রথমে এটি খেয়ে নিন। ২ টেবিল চামুচ চিনি, ৩০০ মিলিলিটার পানি সাথে আপনার পছন্দের যেকোনো ফ্রুটের ঘন ক্রিমি জুসের সাথে এই সিরাপটি মিস্ক করে খেতে পারেন। আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন। মূলত 10-20 মিলি আমলার সিরাপ একজন সাধারণ মানুষের দেহের জন্য পারফেক্ট। এর বেশি না নেওয়াটাই উত্তম বলে মনে করি। খুব বেশি ঠান্ডা জুস হিসেবে না খেয়ে নরমাল তাপমাত্রার জুস হিসেবে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

আমলকি সিরাপ এর দাম

দাম যা-ই হোক না কেনো! আমি বলবো আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতার সাথে আমলকি সিরাপ এর দাম কম্পেয়ার না করাই ভালো। যদিও আহামরি কোনো দাম রাখা হয়নি। এমনভাবে দামটি সিলেক্ট করা হয়েছে যাতে করে সাধারণ মানুষেরা কোনো আর্থিক দোটানা ছাড়াই সিরাপটি কিনতে পারে।

বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী আমলকি সিরাপ প্রতি ৪৫০ মিলি এর দাম মাত্র ৩৫০ টাকা! কি? অবাক হয়েছেন? জ্বি! এতোটাই সাশ্রয়ী মূল্যে সেল করা হয় এই অমূল্য সিরাপটি। আপনারা যারা এই আমলকি সিরাপটি কিনতে চান তারা আশেপাশে থাকা যেকোনো হোমিওপ্যাথি ঔষুধের দোকানে খোঁজ করতে পারেন!

এছাড়াও অনলাইনের বিভিন্ন গ্রোসারি শপে পেতে পারেন। পাশাপাশি ঔষধে দোকান তো থাকছেই! আশা করি এই গুরুত্বপূর্ণ আমলকি সিরাপটি আপনার সংগ্রহে থাকবে এবং আপনি তা নিয়মিত খাবেন।

আমলকী প্লাস সিরাপ

যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য উপকারী উপাদান বা সিরাপ হলো এই আমলকী প্লাস সিরাপ। আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতার কথা আমরা ইতিমধ্যেই জেনে গেছি। তবে এই সিরাপটি আরো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হয়৷ যেমন হজমকে সহজ করতে, পুষ্টির শোষণে সহায়তা করতে এটি ব্যবহৃত হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন এই সিরাপটি প্রাকৃতিক রেচক হিসাবে কাজ করে থাকে। ব্রণ, পিগমেন্টেশন এবং অন্যান্য ত্বকের অসুস্থতা যাদের রয়েছে তারা খুবই দ্রুত সময়ের মাঝে আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতা পেতে সিরাপটি ব্যবহার করতে পারেন। মূলত এই সুপারফুডের সিরাপের উচ্চ কোলাজেন উপাদান ত্বককে দৃঢ়, মসৃণ এবং সিল্কি দেখায়। পাশাপাশি এই সিরাপটি অকাল বার্ধক্য রোধ করে এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

আপনি কি চান আপনার ত্বকের বিবর্ণতা হালকা করতে এবং আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যকর লুক দিতে? এক্ষেত্রে আপনাকে নিয়মিত বিভিন্ন ফুড কিংবা জুসের সাথে খেতে হবে আমলকী প্লাস সিরাপ। এছাড়াও এই সিরাপটি আপনার পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। যাদের হাইপার অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে তারাও এই সিরাপটি ব্যবহার করতে পারেন।

আমলকি সিরাপ খেলে কি কোন ক্ষতি হয়?

যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এই আমলা সিরাপ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। নতুবা আপনাকে আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতার পরিবর্তে দূর্ভোগ পোহাতে হবে। যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তারাও চেষ্টা করবেন অতিরিক্ত সিরাপ যেনো ভুলক্রমেও না খাওয়া হয়।
এছাড়াও যাদের প্রচুর কাশির সমস্যা রয়েছে তারা যদি এই আমলা সিরাপ নিয়মিতভাবে অতিরিক্ত পরিমাণে খান সেক্ষেত্রে কাশির পরিমাণ আরো বেড়ে যেতে পারে! সুতরাং সাবধান! কোনো ধরণের ভুল করা যাবে না। যারা রিসেন্টলি নিজের দেহের অস্ত্রোপচার করেছেন তারাও এই আমলকি সিরাপ মোটেও খাবেন না।
আরোও পড়ুনঃ জেনেনিন ই ক্যাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে

পরিশেষে
আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতা ভোগ করতে হলে আপনাকে সঠিক নিয়মে এটি গ্রহণ করতে হবে। নিজের মাঝে কোন কোন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এবং কি কি কারণে এই আমলকি সিরাপ গ্রহণ করতে পারবেন না তা খুঁজে বের করে তবেই সিদ্ধান্ত নিন। নতুবা আমলকি প্লাস সিরাপ এর উপকারিতার পরিবর্তে আপনাকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে। আজকের মতো এতোটুকুই! ভালো থাকুন! সুস্থ থাকুন।

Categories
মেডিসিন

জেনেনিন ই ক্যাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে

স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হতে পারে ই-ক্যাপ। এক্ষেত্রে ই ক্যাপের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা বেশ যুক্তিযুক্ত টিপস হতে পারে। আজ আমরা আলোচনা করবো ই ক্যাপ এর উপকারিতার পাশাপাশি ই ক্যাপ কেন খায়, ই ক্যাপ 400 এর দাম, ই ক্যাপ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম, ই ক্যাপ 600 এর উপকারিতা, ই ক্যাপ কখন খেতে হয় ইত্যাদি তথ্য সম্পর্কে চলুন তবে দেরি না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

জেনেনিন ই ক্যাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে

ই ক্যাপ একটি ভিটামিন ই পুষ্টি উপাদান যা আপনার শরীরের আপনার ইমিউন সিস্টেমকে সমর্থন করতে এবং আপনার কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। এটিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য যা আপনার দৈনন্দিন স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট প্রয়োজনীয়। তাই এই ভিটামিন ই ত্বকের স্বাস্থ্য এবং চেহারার উজ্জলতার উপকারিতার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। এটি প্রদাহ কমাতে এবং আপনার ত্বককে তরুণ দেখানোর জন্য এটি আপনার মুখে সাময়িকভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এটি খেলে যে সব উপকারিতা পাওয়া যাবে সেই সব নিচে আলোচনা করা হলোঃ

  1. অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ করে
  2. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
  3. চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে
  4. ক্ষত সাড়ায়
  5. বয়সের ছাপ দূর করে

ই ক্যাপ কেন খায়?

সবার আগে চলুন জেনে নিই ই ক্যাপ কেন খায় সে-সম্পর্কে। একটি মানুষের দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ঘাটতি পূরণে দরকার ই ক্যাপ সঠিক নিয়মে খেয়ে নেওয়া। এক্ষেত্রে যারা বাড়তি সতর্কতার অবলম্বন করে বিভিন্ন ক্যাপসুল খান তারা ই ক্যাপ এর উপকারিতা আগে জেনে পরবর্তীতে তা খাওয়ার কথা চিন্তা করবেন। এ সম্পর্কে জানতে আমাদের আর্টিকেলের সাথেই থাকুন।

একেবারে সহজ ভাষায় ভিটামিন ই এর অভাবের কারণে সৃষ্ট সমস্ত অবস্থার চিকিৎসা হলো ই ক্যাপ নিয়মমাফিক খেয়ে নেওয়া। এছাড়াও ভিটামিন ই এর অভাবে দেহে তৈরি হওয়া বিভিন্ন জটিলতা প্রতিরোধ করতে ব্যবহৃত হয় এই ই ক্যাপ।

যদিও এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা প্রাকৃতিকভাবে বাদাম, বীজ এবং সবুজ শাক-সবজির মতো খাবারেও সবসময় পাওয়া যায়। তবে অনেকেই হয়তো সঠিকভাবে নিয়ম মেনে এসব খাবার খান না কিংবা খাওয়ার সুযোগ হয় না। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর এই ই ক্যাপ এর উপকারিতা পেতে ক্যাপসূলটি খেতে হয়।

ই ক্যাপ 400 এর দাম

সাধারণ বাঙালির কাছে সবসময় সবকিছুর দাম সম্পর্কে খুঁতখুঁতে একটি ভাব থাকে। শুধুমাত্র ই ক্যাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনেই কেউ কিন্তু এটি গ্রহণ করতে যাবে না! বরং দামটা হাতের নাগালে থাকলে তবেই প্রয়োজনীয় ভিটামিন গ্রহণে তারা ইচ্ছুক হবে।

ই ক্যাপ 400 এর দাম
ই ক্যাপ 400 এর দাম

ই ক্যাপ সাধারণত অনেক ধরণের হয়ে থাকে। যার ফলে এসব ই ক্যাপের দামের মাঝেও থাকে ভিন্নতা। এই পর্যায়ে আমরা জানবো ই ক্যাপ ৪০০ এর দাম কত সে-সম্পর্কে। মূলত ৪০০ মিলিগ্রামের ই ক্যাপের দাম মাত্র ৬০ টাকা। এতে আপনি সর্বমোট ১০ টি ক্যাপসুল পাবেন। তবে মাথায় রাখবেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কিংবা সঠিক নিয়ম জেনে নেওয়া ছাড়া এই ক্যাপসুল কখনোই খাওয়া যাবে।

তবে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে ৪০০ মিলির এই ই ক্যাপ সকালে একবার এবং রাতে একবার খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মটি সাধারণত সর্বসাকুল্যে আপাতত গৃহীত। আপনিও চাইলে ই ক্যাপের উপকারিতা পেতে এই নিয়মে ক্যাপসুলটি খেতে পারেন।

ই ক্যাপ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

নিয়ম মেনে উপকার পেতে ই ক্যাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে জেনে নিতে ই ক্যাপ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এই পর্যায়ে আমরা জানবো ই ক্যাপ ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।

আপনার কাছের কোনো সার্টিফাইড ডাক্তার বা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পরামর্শের ভিত্তিতে আপনাকে এই ই ক্যাপ খেতে হবে। এতে করে আপনি খুব সহজেই ই ক্যাপ এর সম্ভাব্য ব্যবহার, সতর্কতা, মিথস্ক্রিয়া বা প্রতিকূল প্রভাব সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

তবে অনেকসময় ডাক্তারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে ক্যাপসুলটি গ্রহণ করার সুযোগ থাকে না। এক্ষেত্রে আপনি আমাদের একটি সম্ভাব্য টিপস বা রুটিন ফলো করতে পারেন। বলে রাখা ভালে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং আপনার ব্যবহারের দিক দিয়ে যথেষ্ট শিথিলযোগ্য।

নিয়মিত স্বাস্থ্যের উন্নতি পেতে ৪০০-৮০০ মিলির যেকোনো ই ক্যাপ সকালে একবার এবং রাতে একবার খেতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্কদের মাঝে ভিটামিন ই এর অভাব থাকলে তাদের ক্ষেত্রে সকলে একবার এবং ২০০-৪০০ মিলির যেকোনো এক ধরণের ই ক্যাপ খাওয়ানো যেতে পারে।

শিশুদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ২০০ মিলির ই ক্যাপ একই নিয়মে খাওয়ানো প্রযোজ্য! যারা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তারা নিয়মিত সকালে এবং বিকেলে ৮০০ মিলির ই ক্যাপ গ্রহণ করলে দ্রুত ই ক্যাপ এর উপকারিতা ভোগ করার সুযোগ পাবে।

বলে রাখা ভালো গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে ই ক্যাপ ব্যবহারের কোন বিধি নিষেধ নেই। সেই সাথে ভিটামিন ই ক্যাপ সবসময় বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ।

ই ক্যাপ 600 এর উপকারিতা

এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ই ক্যাপ 600 এর উপকারিতা। আগেই বলেছিলাম ই ক্যাপ বিভিন্ন ক্যাটাগরির হতে পারে। ই ক্যাপ ৬০০ মিলিও তেমন একটি ক্যাটাগরি। এটিও নিরাপদ এবং বেশ কার্যকর।

ই ক্যাপ 600 এর উপকারিতা
ই ক্যাপ 600 এর উপকারিতা

ই ক্যাপ এর উপকারিতা হিসেবে ই ক্যাপ ৬০০ একটি প্রমাণিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই এর কার্যকর উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যা আপনার কোষগুলিকে সুস্বাস্থ্যের মাঝে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে। এছাড়াও কোষে থাকা গ্যাপ দূর করতে, নতুন কোষ সৃষ্টি হতেও ভুমিকা রাখবে এই ই ক্যাপ ৬০০ মিলির ভিটামিনটি।

কার্যকরভাবে পায়ের খিঁচুনি থেকে মুক্তি পেতে এবং নিয়মিত ব্যায়ামের কারণে পেশীকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে ই ক্যাপ ৬০০। এছাড়াও এটি রোদে পোড়ার কারণে আপনার ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করাসহ মাথার ত্বকের মাইক্রোসার্কুলেশন এবং অক্সিজেনেশন এর পরিচর্যা করবে।

সুতরাং বুঝতে পেরেছেন এই ই ক্যাপ এর উপকারিতা আপনার আমার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ! দেরি না করেই আজই এটি সংগ্রহ করে নিজের স্বাস্থ্যের যত্নে মনোযোগী হয়ে উঠুন।

ই ক্যাপ 200 এর উপকারিতা

এই পর্যায়ে আমরা জানবো ই ক্যাপ 200 এর উপকারিতা সম্পর্কে। যা ই ক্যাপ এর উপকারিতা ভোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে৷

ই ক্যাপ ২০০ আপনার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি নিশ্চিত করবে আপনার সুন্দর ত্বক এবং ঝকঝকে চুল। অনেকেই আবার এটিকে মুখের ময়েশ্চারাইজার বৃদ্ধিতে খেয়ে থাকে।

ই ক্যাপ কখন খেতে হয়?

ই ক্যাপ এর উপকারিতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে দরকার ই ক্যাপ কেনো খেতে হয় সে-সম্পর্কে জেনে নেওয়া। শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব পূরণসহ নানান কারণে এই ক্যাপসুল খাওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ই ক্যাপ কখন খেতে হয় সে-সম্পর্কে।

  • ত্বকের অবস্থা খুবই করুণ হয়ে গেলে
  • চুলে বাড়তি খুশকি এবং নানান সমস্যা চোখে পড়লে
  • ত্বকের ময়েশ্চারাইজার কমে গেলে
  • শিশুদের মাঝে ভিটামিন ই এ অভাব চোখে পড়লে
  • থেলাসেমিয়া রোগীদের দেহে বাড়তি ভিটামিন যোগাতে
  • ব্যায়ামের কারণে ক্ষয়ে যাওয়ার ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে
  • দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডার রোগ দূর করতে

ই ক্যাপ এর অপকারিতা

ই ক্যাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে তো জানা গেলো। উপকারিতার পাশাপাশি প্রতিটি জিনিসের অপকারিতাও রয়েছে। এই পর্যায়ে আমরা জানবো ই ক্যাপ এর অপকারিতা সম্পর্কে।

ভিটামিন ই বেশি পরিমাণ গ্রহণ করলে তা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এছাড়াও এই ক্যাপ নিয়মিত দীর্ঘ সময়ের জন্য গ্রহণ করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে এই পরিস্থিতিতে, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেট খাঁড়া, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, অস্পষ্ট দৃষ্টি এবং মাথাব্যথা কদাচিৎ ঘটতে পারে। এমন অবস্থায় আপনাকে আপনার ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের সাথে সরাসরি কথা বলে তার সমাধান বের করে নিতে হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য
কেবলমাত্র ই ক্যাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে কখনোই এটির ব্যবহার শুরু করে দেওয়া যাবে না। নিয়ম মেনে শরীরের যাতে ক্ষতি না হয় ঠিক সেভাবেই ক্যাপসুলটি গ্রহণ করতে হবে। তবে হ্যাঁ..যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে ভিটামিন ই তারা কখনোই গ্রহণ করবেন না! এতে করে এলার্জির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।