Categories
মেডিকেল কলেজ

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।এর নাম পূর্বে ছিল মিটফোর্ট হাসপাতাল। ১৮৫৫ সালের আগে এর নাম ছিল ওলন্দাজ কুঠি, যা ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হত। সু চিকিৎসার জন্য অনেকে যারা বাহির থেকে আসে জানতে চায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়।দেশবরেণ্য অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিৎসক ও বিদেশি ডাক্তারের সাক্ষাত গ্রহণের গ্রহণের কথা ভাবছেন তাদের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের ঠিকানা জানা খুবই জরুরী। তারা খুব সহজে ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা মিটফোর্ড হাসপাতালের সঠিক অবস্থান জানতে পারবেন গুগল ম্যাপ থেকে । এছাড়া তাদের সুবিধার্থে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায় নিচে দেওয়া হল।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়

এটি পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে আপনি এখানে আসতে পারবেন গণ পরিবহনে করে। আপনি যদি ঢাকা কখনো না এসে থাকেন তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। ঢাকা শহরের কম বেশি সবাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়।চিনে। আপনি যদি বাস এ আসেন তাহলে বাস আপনাকে সায়দাবাদ বাস স্টেশন বা কমলাপুর স্টেশন এ থামাবে।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়

সেখান থেকে আপনি রিকশা বা সিএনজি তে করে বাবুবাজার ব্রিজ এর নিচে চলে আসবেন।রাস্তায় জ্যাম না থাকলে ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের এর মধ্যে আপনি মেডিকেল কলেজ এ পোঁছাতে পারবেন। তাছাড়া আপনি ফেইসবুক এ যেসব ট্রাভেল গ্রুপ আছে সেখানে ও পোস্ট করে জেনে নিতে পারবেন প্রয়োজনীয় তথ্য। গুগল ম্যাপ থেকে আপনার গন্তব্যস্থল থেকে কলেজ এর দূরত্ব কত এবং কেমন সময় লাগতে পারে তা জেনে নিতে পারবেন।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ইতিহাস

প্রথম ১৮২০ সালে মিটফোর্ড হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। সেসময়ে কালেক্টর রবার্ট মিটফোর্ড এই উদ্যোগ নেন। ১৮৩৬ সালে তার মৃত্যুর সময়ে তিনি তার সম্পত্তি এই হাসপাতালের জন্য দান করে যান তার মৃত্যুর সময়। পরে লর্ড ডালহৌসি এই সম্পত্তির উপর হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। তার দানকৃত সম্পত্তির মূল্য ছিল তখনকার ১,৬০০০০ টাকা। আরও পরে ১৮৫৮ সালের পহেলা মে মিটফোর্ড হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। আরো অনেকে তখন এই হাসপাতালের জন্য অর্থ সাহায্য প্রদান করেন। চার বছর ধরে এর নির্মাণ কাজ চলেছিল। একটি মহিলা এবং দুইটি পুরুষ ওয়ার্ড নিয়ে এর শুরু। হাসপাতালটিতে প্রথমে বেড ছিল ৯২ টি।

১৮৭৫ সালের পহেলা জুলাই ঢাকা মেডিকেল স্কুল-এর যাত্রা শুরু শুরু হয়। ১৮৮৭ সালের ২ এপ্রিল মেডিকেল স্কুলের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই বছর পর ১৮৮৯ সালের ২২ অক্টোবর এর উদ্বোধন করা হয়। ১৯০৩ সালে ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ এখানে প্রসূতি ও মহিলা বিভাগ স্থাপনের জন্য অনুদান দেন। ১৯৬২ সালে ঢাকা মেডিকেল স্কুল মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হয় এবং কলেজটির মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ নামে এর নামকরণ করা হয়। পরের বছর ১৯৬৩ সালে কলেজের নাম পরিবর্তন করে নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নামে নবাবদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ করা হয়। কলেজটি পরিপূর্ণ ভাবে মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হয় ১৯৭২ সালে এবং এমবিবিএস কোর্সের প্রথম ব্যাচ ভর্তি হয় শুরু হয় ১৯৭৩ সালে।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ করোনা টিকা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্দি, কাশি, জ্বরসহ যে কোন রোগের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য হটলাইন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ করোনা টিকা এর ব্যাপারে অনেকেই জানতে চেয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০টি হটলাইন নম্বর চালু হবে এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচটি নম্বর চালু থাকবে আগামী শনিবার থেকে। দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, করোনাভাইরাসের জরুরি এই সময়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫টি হটলাইন নম্বর চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কেনা হয়েছে মুঠোফোন। মুঠোফোনে এই সেবা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। যেকোনো ব্যক্তি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের এই হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা নিতে পারবেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে থাকা ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছে পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এসব রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আলাদা একটি কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে করোনা আইসোলেশন ইউনিট। এখন পর্যন্ত সেখানে পাঁচটি বেড রয়েছে।

আইইডিসিআর বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে সময় লাগে ১৪ দিন। এই সময়ে সবাইকে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বাড়িতে একা একা থাকতে হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন। নতুন হটলাইন নম্বর ১৬২৬৩। চিকিৎসকেরা বলছেন, সাধারণত জ্বর দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। পরে দেখা দিতে পারে শুকনো কাশি। এর সঙ্গে মাথাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা, জ্বর ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এসব লক্ষণ প্রকাশের পর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কাজে যোগ দিতে এবং কোয়ারান্টিনের খরচ বাঁচাতে প্রবাসীদের টিকাদানের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ৷ এজন্য জনশক্তি কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)-তে নিবন্ধন করে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকা নেওয়া সুযোগ রাখা হয়েছে৷

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এর প্রধান অধ্যক্ষ জানান জানান, ডিজি হেলথ-এর সাথে তাদের মিটিং হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ করোনা টিকা প্রয়োগ নিয়ে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সব রকম প্রস্তুতি সেরে ফেলতে বলেছেন। সে নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। সম্ভাব্য স্থান হচ্ছে হাসপাতালের ১১ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে ভ্যাকসিন প্রয়োগের স্থান নির্ধারিত হতে পারে। এছাড়া তিনি জানান, যারা টিকা দিবে তাদের ট্রেনিং দেওয়া হবে। এছাড়া সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ভারত সরকারের উপহারের ২০ লাখ টিকা আগে এলে আগেই বিতরণ শুরু হবে। প্রথমে সীমিত আকারে ঢাকায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে, পরবর্তীতে সারাদেশে জাতীয়ভাবে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। চারটি টিম কাজ করবে জেলা পর্যায়ে এবং দুটি টিম কাজ করবে উপজেলা পর্যায়ে। মেডিক্যাল কলেজের ছয়টি টিম কাজ করবে। আমাদের যে সব ইনস্টিটিউট আছে সেখানেও টিম পাঠানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশনগুলোতে প্রতিদিন দুই লাখ মানুষ টিকা পাবে। প্রাথমিকভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা প্রদান করা হবে না। টিকা সংরক্ষণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি । প্রথমে ২০ লাখ টিকা আসছে। পরবর্তীতে আরও ৫০ লাখ টিকা আসবে। টিকা সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যেমন চেইন, জনবল, ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করতে হয়েছে।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ফোন নাম্বার

আপনারা যারা দীর্ঘদিন যাবৎ রোগে ভুগতেছেন তাদের চিকিৎসার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল মিটফোর্ড হাসপাতালে স্বনামধন্য অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ফোন নাম্বার আপনাদের কাছে থাকা জরুরি। এখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ডাক্তারগণ নিয়মিত ভিজিট করেন। সেরা বিদেশি চিকিৎসকগণের মধ্যে ডক্টর সতীশ যেইন , পরিচালক যেইন ই এন টি হাসপাতাল (জয়পুর) ভারত। ডক্টর আদিত্য ইয়ালকার (পুনে) ও ডক্টর সুদীপ্ত চন্দ্র কলকাতা নিয়মিত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল হাসপাতাল আসেন।

এইসকল দেশি ও বিদেশি স্পেশালিস্ট ডাক্তারদের তালিকা, অ্যাপার্টমেন্ট নাম্বার, যোগাযোগ, ঠিকানা, চেম্বারের ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও অগ্রিম সিরিয়ালের তথ্যগুলো এই খানে জানানো হয়েছে। ডাক্তারের অগ্রিম সিরিয়াল গ্রহণ করার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট ফোন নাম্বার কল করবেন। কেননা আগে থেকে সিরিয়াল গ্রহণ করতে না পারলে বিভিন্ন প্রকার বিভ্রান্তি ও ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে। না হলে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ও কষ্ট পোহে তারপর ডাক্তারের সাক্ষাত মিলবে।

আপনি যখন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে চাইবেন। তখন এই হাসপাতালের জরুরী নাম্বার গুলো জানা খুবই জরুরী। জরুরী নাম্বার গুলো জানা থাকলে খুব সহজে কখন ডাক্তার বসেন, হাসপাতাল বন্ধ খোলা আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে পারবেন। তাই জরুরী ফোন নাম্বার গুলো আপনার নিজ দায়িত্বে জেনে রাখবেন।
ইমেইল: [email protected]
ফোন নম্বর: 01713091558, +880 2 7319002-5, 7312398, 7117404।
হটলাইন: 02-57319002
ওয়েবসাইট: ssmcbd.net
আরোও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ডাক্তারের তালিকা

অত্যন্ত মেধাবী, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, দীর্ঘদিন সকল বিভাগের স্পেশালিস্ট, অধ্যাপক, সহযোগী, অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ডাক্তাররা নিয়মিত মিটফোর্ড হাসপাতালে বসেন। তাদের মূল্যবান পরামর্শ নেওয়া নিয়ে অনেক রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হয়। তাই তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য জানা দরকার। সে সকল তথ্য গুলো এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারবেন। তাই সকল তথ্য জানতে চোখ রাখুন।
ডাঃ এম এ আউয়াল
• এমবিবিএস, এমএস (ইউরোলজি), এফআরএসএইচ (লন্ডন)
• ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
ডাঃ মোঃ মাহমুদুর রহমান মাসুদ
• এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (ইউরোলজি)
• ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন
ডাঃ মোঃ শফিকুর রহমান পাটোয়ারী
•এফসিপিএস (মেডিসিন), এমবিবিএস, এমডি (কার্ডিওলজি), এমসিপিএস (মেডিসিন)
• কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
ডা. মোঃ ফজল করিম
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (হেপাটোলজি)
• লিভার ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. নুরুন নাহার বেগম
• এমবিবিএস (ডিসিএইচ),), ফেলো নিওনাটোলজি (সিঙ্গাপুর) এফসিপিএস (পেডিয়াট্রিক্স), এমডি (নিওনাটোলজি),
• শিশু ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. এ জেড এম সাখাওয়াত হোসেন শাহীন
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারি)
• জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
অধ্যাপক ডা. বেগম শরিফুন নাহার
• এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমডি (শিশু)
• শিশু বিশেষজ্ঞ
ডাঃ মোঃ মাকসুদুর রহমান
• এমবিবিএস, ডিডিভি, এমসিপিএস (চর্মরোগ)
• চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. বেলায়েত হোসেন খান
• এমবিবিএস, এফআরএসএইচ, এমসিপিএস, এমপিএইচ, পিএইচডি
• গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং লিভার বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. রেহান হাবিব
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি)
• গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. এম. এ. কবির
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন)
• মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
ডাঃ শিরোপা ইসলাম
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (চর্মরোগ ও ভিডি)
• চর্মরোগ ও ভেনারোলজি বিশেষজ্ঞ
ডা. মোঃ শাহিনুর রহমান
• এমবিবিএস, ডিডিভি
• চর্ম, এলার্জি ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. মোঃ আকরাম হোসেন
• এমবিবিএস, এমডি (চর্মরোগ)
• চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ
ডা. আমিরুজ্জামান সুমন
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন)
• মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

কে এই নবাব সলিমুল্লাহ

খাজা সলিমুল্লাহ বা নবাব সলিমুল্লাহ (৭ জুন ১৮৭১-১৬ জানুয়ারি ১৯১৫) ঢাকার চতুর্থ নবাব ছিলেন খাজা সলিমুল্লাহ বা নবাব সলিমুল্লাহ (৭ জুন ১৮৭১-১৬ জানুয়ারি ১৯১৫)[। তার পিতা ছিলেন নবাব খাজা আহসানউল্লাহ ও পিতামহ ছিলেন নবাব খাজা আব্দুল গনি। তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। যদিও তিনি জীবদ্দশায় এই বিশ্ববিদ্যালয় দেখে যেতে পারেননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে স্থানে অবস্থিত তার একটি বড় অংশের জমি নবাবের প্রদান করা।

নবাব সলিমুল্লাহ ছবি
নবাব সলিমুল্লাহ ছবি

যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয় নিয়ে অনেকেই ভিন্ন মত দাবি করেছেন। তবে বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য থেকে এটা নিশ্চিত যে একটা বড় অংশ নবাব সলিমুল্লাহর কাছ থেকে এসেছে।এছাড়া এতে তার অনেক অবদান ও রয়েছে। মুসলিম হল, ইসলামিয়া এতিমখানা, মিটফোর্ড হাসপাতাল ও সার্ভে স্কুল প্রতিষ্ঠার সঙ্গেও সলিমু্ল্লাহ নামটিকে ঘিরে বেশ কিছু জনশ্রুতি রয়েছে। ইতিহাসের স্বার্থেই ইতিহাসের সত্যগুলো আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। পূর্ব বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নওয়াব সলিমু্ল্লাহর নানামুখী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম ছাত্রদের প্রথম ছাত্রাবাসের নাম রাখা হয় ‘সলিমুল্লাহ মুসলিম হল’।

সলিমুল্লাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামিয়া এতিমখানাটি তাঁর মৃত্যুর পর নামকরণ করা হয় ‘সলিমুল্লাহ এতিমখানা। রবার্ট মিটফোর্ড নামে ঢাকার এক সাবেক জেলা প্রশাসকের প্রদত্ত অর্থ দিয়ে ১৮৫৮ সালে মিটফোর্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। কালের পরিক্রমায় ১৮৭৫ সালে স্থাপিত হয় ঢাকা মেডিকেল স্কুল। মিডফোর্ড হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে এই মেডিকেলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অধ্যয়ন চলমান থাকে। ১৯৬২ সালে স্কুলটিকে কলেজে রূপান্তর করা হয়। নামকরণ করা হয় ‘মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ’। পরবর্তীতে নাম বদলে রাখা হয় ‘স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ।

বর্তমানে হাসপাতাল ও কলেজ মিলে পূর্ণ নাম ‘স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা বুয়েটের শুরু ১৮৭৬ সালে ঢাকা সার্ভে স্কুলের মাধ্যমে। ১৯০২ সালে তৎকালীন সরকার সার্ভে স্কুলকে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিলে অর্থাভাবে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছিল না। নওয়াব আহসানুল্লাহ সে সময় ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ইতিমধ্যে তিনি ইন্তেকাল করলে পরবর্তী সময়ে নওয়াব সলিমুল্লাহ সেই অর্থ পরিশোধ করেন। বিদ্যায়তনটির নামকরণ করা হয় ‘আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল।

১৯৪৭ সালে এটি কলেজে উন্নীত করা হয়। ১৯৬২ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নাম দেওয়া হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়’। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকার সমাজ জীবন পঞ্চায়েত পদ্ধতিকে সুসংগঠিত করার ক্ষেত্রে নওয়াব সলিমুল্লাহর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি খেলাধুলার পৃষ্ঠপোষকতা যেমন করতেন, তেমনি করতেন গান-বাজনা, বায়োস্কোপ প্রদর্শনী, নাট্যাভিনয় প্রভৃতির পৃষ্ঠপোষকতাও। ঈদ, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম প্রভৃতি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন।
আরোও পড়ুনঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় জার্মানির খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ফ্রিৎজ ক্যাপ ঢাকায় স্টুডিও স্থাপন করেন। স্বনামধন্য সেই আলোকচিত্রীর ছবি ঢাকার অনেক সামাজিক ইতিহাসের সাক্ষী। বঙ্গভঙ্গ রদের ঘটনায় নওয়াব সলিমুল্লাহ দারুণ মর্মাহত হন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে স্থবিরতা আসে। ১৯১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি তিনি ইন্তেকাল করেন। মাত্র ৪৪ বছরের জীবনে নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ সর্বভারতীয় পর্যায়ে যতটুকু প্রভাব ফেলতে পেরেছিলেন তা তাঁর উত্তর ও পূর্বপুরুষদের কেউই পারেননি।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

কেউ যদি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এর সাথে যুক্ত হতে চান তাহলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি যখন দেয় তখন চাকরির জন্য এপ্লিকেশন করতে হবে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সকল তথ্য দেয়া থাকে। চাকরি অনুযায়ী কি কি যোগ্যতা এবং কাগজ পত্র লাগবে তা সব উল্লেখ করে দেয়া হয়। তারপরে ও কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে কলেজ কতৃপক্ষ এর সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান।
আরোও পড়ুনঃ রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

দেশবরেণ্য অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকগণ সব সময় কর্তব্যরত থাকেন। বাংলাদেশের মিটফোর্ড হাসপাতাল যেখানে বিনামূল্যে অপারেশনের সুযোগ পাবেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ন ও ব্যয়বহুল অপারেশন, পলিপ,টিউমার, পিটুইটারি, টিউমার, কানেক্ট ইউর গলার ক্যান্সার সম্পূর্ণ স্বল্পমূল্যে অপারেশন করা হয়। যেসকল রোগীরা এসব সমস্যায় ভুগতেছেন। তারা খুব সহজেই অল্প টাকা খরচ করে এইসব চিকিৎসাগুলো নিতে পারেন। তাছাড়া মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অনেক ডাক্তার রয়েছে। তাদের পরামর্শ নিয়ে মেডিসিন বিষয়ক সকল সমস্যা দ্রুত সমাধান পাবেন।

এই প্রতিবেদনে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এর সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই পেইজটি ভালো লাগলে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন।

Categories
মেডিকেল কলেজ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

বাংলাদেশে যতো গুলো মেডিকেল কলেজ রয়েছে তার মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ। এটি কোথায় অবস্থিত সেটি নিয়ে আলোচনাক করবো। এই কলেজটি ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন এই প্রতিষ্ঠনটি বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই কলেজ থেকে স্নাতক পর্যায়ে পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি ঢাকার শাহাবাগ এ অবস্থিত। এটি শাহাবাগ থানার, শাহবাগমোড়ে জাতীয় জাদুঘরের উত্তরে এই হাসপাতালটির অবস্থান। এই মেডিকেল কলেজটিতে মোট পাঁচটি বহুতল ভবন রয়েছে; ব্লক এ, বি, সি, ডি এবং কেবিন ব্লক। এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষা,গবেষণা এবং চিকিৎসা সমান্তরাল ভাবে চলে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত

ব্লক- এ
এই ভবনটিতে কি কি আছে তা যানবো এ- ব্লকটি সাত তলা বিশিষ্ট,লাইব্রেরী, এখানে আছে অডিটোরিয়াম, লেকচার থিয়েটার, হাসপাতালের রেকর্ড শাখা, ছাত্র হোস্টেল, ডেন্টাল অনুষদ এবং ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগ।

ব্লক- বি
এই ব্লকটি ছয় তলা ভবন, এর পূর্ব অংশে উপাচার্যের অফিস, কন্ট্রোলার অফিস, প্রশাসনিক বিভিন্ন অফিস, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, কনফারেন্স হল, রেডিওলজি বিভাগ, ডিজিটাল লাইব্রেরী, রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র, হাসপাতালের রন্ধন কেন্দ্র, এন্ডোসকপি কক্ষ, এমআরআই কক্ষ ও সিটি স্ক্যান এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং সেবিকাদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

এই ব্লকের পশ্চিম অংশ নয় তলা বিশিষ্ট ভবন, এটিতে রয়েছে এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্র, ফার্মাকোলজি, প্যাথলজি, হেমাটোলজি, ভাইরোলজি এবং মাইক্রোবায়োলজিসহ প্রায় সবগুলো বিভাগের অবস্থান এই ভবনটিতে। এখানে ওয়ানস্টপ ল্যাববেরটরী সেবাও দেয়া হয় বি ব্লকের নিচ তলা থেকে।

ব্লক-সি
এর পরে ১০ তলা ভবন নিয়ে সি ব্লকটি হচ্ছে মূল হাসপাতাল ভবন। এই হাসপাতাল পরিচালকের অফিসসহ পরিচালকের অন্যান্য অফিস, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, পিজিক্যাল মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট, পিডিয়াট্রিকস, নবজাতক বিভাগ, পিডিয়াট্রিক নিউরোলজি, অফথালমোলজি, নাক, কান, গলা, অবস্টেট্রিকস এবং গাইনিকোলজি, সার্জারি, লিথোট্রিপসি কক্ষ, হেপাটোবিলিয়ারি সার্জারি, এনেসথিওলজি, পেইন ক্লিনিক, অপারেশন থিয়েটার, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের অবস্থান এই সি ব্লকে।

ব্লক-ডি
এই ব্লক টি আঠারো তলা ভবন নিয়ে এর অবস্থান; ভবনটি এখনো নির্মাণাধীন। ক্যাজুয়ালটি বিভাগ, জরুরি বিভাগ, অবস্টেট্রিক ও গাইনিকোলজি ইমার্জেন্সী, কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সী, অর্থোপেডিকস ইমার্জেন্সী, কার্ডিওলজি, হেপাটোলজি, পিডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারলজি, অর্থোপেডিকস, সাইকিয়াট্রি, গ্যাস্ট্রোএন্টারলজি, হেমাটোলজি, মেডিসিন এবং অনকোলজি বিভাগের অবস্থান এই ব্লকে।

এছাড়া এই মেডিকেলে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিনের অবস্থানও এই ব্লকে। এবং কম্পিউটারাইজড আলট্রাসনোগ্রাফি, গামা ক্যামেরাসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা আছে এখানে।

এই সবগুলো ক্যাজুয়ালটি ডিপার্টমেন্ট, নিউরোসার্জারি, মেডিসিন বহির্বিভাগ, সার্জারি, গ্যাস্ট্রোএন্টারলজি, হেমাটোলজি, হেমাটোলজি, সাইকিয়াট্রি, পিডিয়াট্রিক সার্জারিএবং হাসপাতালের ডিসপেনসারি আলাদা একটি কমপ্লেক্সে অবস্থিত।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফোন নাম্বার

ফোন: +৮৮-০২-৯৬৬১০৫১-৫৬, +৮৮-০২-৯৬৬১০৫৮-৬০,

+৮৮-০২-৮৬১৪৫৪৫-৪৯ +৮৮-০২-৮৬১২৫৫০-৫৪

ওয়েব সাইট: www.bsmmu.org

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কোন থানায় অবস্থিত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাহবাগ থানায় অবস্থিত। শাহবা মোড়ে জাতীয় যাদু ঘরে উত্তরে এটি অবস্থিত।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের তালিকা

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শুরু থেকে এখন পযন্ত যারা দায়িত্ব প্লন করেছেন, সেই সব অধ্যক্ষর দের তালিকা। তার মধ্যে প্রথম অধ্যক্ষ ডা. মেজর উইলিয়াম জন ভারজিন

ক্রম
নাম
মেয়াদকাল
০১ ডা. মেজর উইলিয়াম জন ভারজিন ০১.০৭.১৯৪৬ ১৪.০৮.১৯৪৭
০২ ডা. লে. কর্নেল এডওয়ার্ড জর্জ মন্টোগোমেরি ১৫.০৮.১৯৪৭ ১৯.০৭.১৯৪৮
০৩ অধ্যাপক টি আহমেদ ১৯.০৭.১৯৪৮ ০১.০১.১৯৫২
০৪ ডা. কর্নেল এম কে আফ্রিদি ০১.০১.১৯৫২ ২০.০৩.১৯৫৩
০৫ অধ্যাপক নওয়াব আলী ২১.০৩.১৯৫৩২১.০৩.১৯৫৩ ১০.০৪.১৯৫৪
০৬ অধ্যাপক এ কে এম এ ওয়াহেদ <১১.০৪.১৯৫৪/td> ২০.০১.১৯৫৫
০৭ অধ্যাপক নওয়াব আলী ২১.০১.১৯৫৫ ০১.০২.১৯৫৭
০৮ অধ্যাপক মো. রেফাত উল্লাহ ০১.০২.১৯৫৭ ০১.০৯.১৯৫৮
০৯ অধ্যাপক হাবিব উদ্দীন আহমেদ ০২.০৯.১৯৫৮ ০৪.০৬.১৯৫৯
১০ ডা. লে. ক. এম এম হক ০৪.০৬.১৯৫৯ ১১.০৯.১৯৬৩
১১ অধ্যাপক এ কে এস আহমেদ ৯.০৯.১৯৬৩ ২৮.১২.১৯৬৩
১২ ডা. গোলাম কিবরিয়া ২৮.১২.১৯৬৩ ০৮.০২.১৯৬৪
১৩ ডা. লে. ক. বোরহানুদ্দীন ০৯.০২.১৯৬৪ ২৭.০১.১৯৬৯
১৪ অধ্যাপক কে এ খালেদ ২৭.০১.১৯৬৯ ৩০.১২.১৯৭০
১৫ ডা. সাইফুল্লাহ ০১.০১.১৯৭১ ২০.০৫.১৯৭১
১৬ অধ্যাপক এম আর চৌধুরী ২৫.০৫.১৯৭১ ০২.০৭.১৯৭৪
১৭ অধ্যাপক এম এ জলিল ০৩.০৭.১৯৭৪ ০৬.০৫.১৯৭৬
১৮ অধ্যাপক এম এ কাশেম ০৭.০৫.১৯৭৬ ০১.১০.১৯৭৮
১৯ অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ ০২.১০.১৯৭৮ ২৫.১১.১৯৮০
২০ অধ্যাপক মাজহারুল ইমাম ২৫.১১.১৯৮০ ০১.১০.১৯৮১
২১ অধ্যাপক এম এ মাজেদ ০১.১০.১৯৮১ ০২.০৭.১৯৮২
২২ অধ্যাপক এম আই চৌধুরী ০২.০৭.১৯৮২ ৩১.০১.১৯৮৫
২৩ অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম ১.০১.১৯৮৫ ১৩.১২.১৯৮৬
২৪ অধ্যাপক ওয়ালিউল্লাহ ৩.১২.১৯৮৬ ৩০.০১.১৯৯০
২৫ অধ্যাপক এম. কবিরউদ্দীন আহমেদ ৩১.০১.১৯৯০ ৩০.০৩.১৯৯১
২৬ অধ্যাপক জওয়াহুরুল মাওলা চৌধুরী ৩০.০৩.১৯৯১ ১৪.০১.১৯৯৫
২৭ অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ ১৪.০১.১৯৯৫ ২২.০১.১৯৯৫
২৮ অধ্যাপক এম এ হাদী ২২.০১.১৯৯৫ ৮.০৭.১৯৯৬
২৯ অধ্যাপক এ বি এম আহসান উল্লাহ ১৮.০৭.১৯৯৬ ১৯.০৯.১৯৯৯
৩০ অধ্যাপক এ কে এম শহীদুল ইসলাম ১৯.০৯.১৯৯৯ ২৯.০৮.২০০১
৩১ অধ্যাপক মো. আবদুল কাদির খান ২৯.০৮.২০০১ ১৫.১১.২০০১
৩২ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ ১৫.১১.২০০১ ০৭.০৮.২০০৩
৩৩ অধ্যাপক মো. ফজলুল হক ০৭.০৮.২০০৩ ২৯.০৯.২০০৩
৩৪ ২৯.০৯.২০০৩ ২৬.০৬.২০০৬
৩৫ অধ্যাপক সৈয়দ মাহবুবুল আলম ২০.০৬.২০০৬ ০১.০৩.২০০৭
৩৬ অধ্যাপক এম আবুল ফয়েজ ০১.০৩.২০০৭ ০৭.০১.২০০৮
৩৭ অধ্যাপক কাজী দীন মোহাম্মদ ১৭.০১.২০০৮ ০৯.০১.২০১৪
৩৮ অধ্যাপক মো. ইসমাইল খান ০৯.০১.২০১৪ ১৩.০৫.২০১৭
৩৯ অধ্যাপক শফিকুল আলম চৌধুরী (ভারপ্রাপ্ত) ১৩.০৫.২০১৭ ১৩.০৬.২০১৭
৪০ অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ ১৩.০৬.২০১৭ ৩১.১২.২০২০
৪১ অধ্যাপক মোঃ টিটো মিঞা ০১.০১.২০২১

আড়ও পড়ুনঃ
ফরিদপুর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত
রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক

এই কলেজের উপাচার্য হাসপাতালটির সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী। এই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়।

Categories
মেডিকেল কলেজ

ফরিদপুর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত
আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ফরিদপুরের অন্যতম সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ সম্পর্কে। আলোচনা করব এটি কোথায় অবস্থিত। কিভাবে ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে যাবেন এ নিয়ে বিস্তারিত।

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড! সুধু মাত্র একটা ভালো ও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থায় পারে, একটা জাতিকে পরিবর্তন করতে। বিশ্ব বিখ্যাত সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট ( Samrat Napolian Bonaparte) বলেছেন “ তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও। (Give me an educated mother) আমি তোমাদেরকে একটি শিক্ষিত জাতি দেবো। (I will give you an educated nation. ”

বর্তমান দেশে প্রায় ৩৭ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ৯৬টি বেসরকারি কলেজ রয়েছে। এর মধ্য ঢাকা বিভাগে প্রায় ১০ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ অবস্থিত। এছাড়াও দেশের অন্যান বিভাগ যেমনঃ- রাজশাহী বিভাগে ৫ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩টি, খুলনা বিভাগে ৫ টি, রংপুর বিভাগে ৩ টি, সিলেট বিভাগে ৩ টি, এবং বরিশাল বিভাগে ২ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

ফরিদপুর শহরে অবস্থিত, কলেজ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সরকারি কলেজ হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ। যার প্রাক্তন নাম ছিল ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ। এটি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ নামে প্রসিদ্ধিলাভ করেছে। যেটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি সরকারি কলেজ। এখানে ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্সে বর্তমানে ১৮০টি আসন রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

আছেন অধ্যাপক ডাঃ মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
এটির বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯০০ জন। কলেজটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হলঃ www.bsmmc.edu.bd ২০১৭ সালের ১৫ এ জুন কলেজটির নতুন করে সকল কার্যক্রম চালু হয় এবং স্থায়ী ক্যাম্পাসে শুরু হয়।

আপনি চাইলে বাংলাদেশের যে কোন জেলা থেকে এই নান্দনিক কলেজটিতে ভর্তি হয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। কলেজটির একপাশে নতুন করে নির্মাণ হয়েছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। যেখানে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার রোগী তাদের নানা সমস্যা নিয়ে ভিড় করেন।

এছাড়া কলেজটি অবকাঠামো এতটাই সুন্দর যে, প্রত্যেক দিন বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে দেখা মিলে শতশত দর্শনার্থী। কলেজটি যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত তাই বুঝাই যাচ্ছে শিক্ষা মানে অনেক বেশি উন্নত। তাই আপনি যদি চান খুব সহজে এখানে স্বল্প খরচে ভর্তি হয়ে আপনার কলেজ জীবনকে গড়ে তুলতে পারেন।

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে ঢাকা বিভাগের (প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগ) একটি জেলা ও প্রশাসনিক অঞ্চল হল ফরিদপুর জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে ফরিদপুর জেলাটি বাংলাদেশের একটি “A” শ্রেণীভুক্ত জেলা।

যেভাবে ঢাকা থেকে কলেজটাতে যেতে পারবেন

ঢাকা থেকে ফরিদপুর ১১৮ কিলোমিটার যেটি মানিকগঞ্জের ওপর দিয়ে সোজা গিয়ে মিলিত হয়েছে ফরিদপুরে। ফরিদপুর পৌঁছাতে সর্বউচ্চ ২-৩ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। আপনেরা যারা ঢাকা থেকে ফরিদপুরে সকালের গাড়িতে যেতে ইচ্ছুক তারা চাইলে কমফোর্ট লাইন পরিবহন এর নন এসি টিকেট নিয়ে সরাসরি ফরিদপুর উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন
যেটি সকাল 7 টা 45 মিনিটে ঢাকা থেকে ফরিদপুর কাউন্টার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এবং ফরিদপুর কাউন্টারে এসে পৌঁছাতে সময় লাগে 9 টা 45 মিনিট। এছাড়াও ঢাকা টু ফরিদপুরে দুপুরে ও রাতে বিভিন্ন ধরনের বাস পাওয়া যায়। যেমনঃ গ্রীনলাইন বাস। গোল্ডেন লাইন বাস। শ্যামলী ট্রাভেলস। সাকুরা পরিবহন ইত্যাদি।
যেকোন বাসে ছড়ে খুব সহজে। ফরিদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল কলেজে আসতে পারেন। কলেজটি মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত।

আরও পড়ুনঃ রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

Categories
মেডিকেল কলেজ

রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

রংপুর মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গের রংপুর জেলায় অবস্থিত একটি সরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়। এটি ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজধানী ঢাকা হতে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি রংপুর শহরের ধাপ এলাকার জেল রোডে জেলা কারাগারের বিপরীতে অবস্থিত। রংপুর মেডিকেল কলেজ এর মূল ক্যাম্পাস এবং হাসপাতালের আয়তন প্রায় ৭৬০০ বর্গমিটার।

রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

বাংলাদেশের মধ্যে যতো গুলো মেডিকেল কলেজ রয়েছ তার মধ্যেঅন্যতম এটি একটি। এই মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস টি বাংলাদেশের রংপুরের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত। এই কলেজটি রাজশাহী থেকে ২১০ কিলোমিটার ও ঢাকা থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কুড়িগ্রাম সদর থেকে ৫৩ কিলোমিটার দূরত্ব। এই মেডিকেল কলেজটি আন্তঃদেশীয় রংপুর সদর (সৈয়দপুর-নীলফামারী) মহাসড়কের পাশে অবস্থিত।

রংপুর মেডিকেল কলেজ

রংপুর মেডিকেল কলেজ ১৯৭১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন প্রথম ব্যাচে শিক্ষার্থী ছিলো ৫০ জন যা বতর্মানে ১৭৫ জন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সমুহের জন্য প্রতি বছর ১০টি আসন সংরক্ষিত থাকে যেমন ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ।

রংপুর মেডিকেল কলেজের অফিস সম্পর্কিত

উত্তর বঙ্গের একটি ঐতিহ্যবাহী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এটি ৬৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয় ১৯৬৬ সালে। এর পর ১৯৭৬ সালের ১৯ শে র্মাচ তৎকালীন সরকারের স্থাস্হ্য বিষয়ক উপদেষ্টা জাতীয় অধ্যাপক মরহুম ডাঃ ইব্রাহিম এই হাসপাতাল ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তখন থেকেই এই হাসপাতালের সেবা কার্য্যক্রম শুরু হয়। এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১০০০ টি। এই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবাকার্য্যক্রমকে কয়েকভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ ইনডোর বিভাগ, আউটডোর বিভাগ , জরুরী বিভাগ ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। এছাড়াও ডায়রিয়া ট্রেনিং ইউনিট, ইপিআই প্রোগ্রাম, ইওসি কার্য্যক্রম, ডটস কর্ণার, এম,আর ক্লিনিক, মডেল ফ্যামিলি প্লানিং ক্লিনিক, ব্রেষ্ট ফিডিং সেন্টার , সমাজ সেবা কার্য্যক্রম ইত্যাদি। এই হাসপাতালটি অত্র এলাকার ৮ টি জেলার বিপুল পরিমান দুস্থ জনগনের সেবা কার্য্যক্রমের জন্য প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে।

ইতিহাস

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের গভর্নর জেনারেল মোনায়েম খান, পূর্ব পাকিস্তানে আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে ১৯৬৬ সালে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট রংপুর মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পর্বতীতে এটি ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট করা হয়।