Categories
নার্সিং

নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ সমূহ ও কার্যাবলি

আমরা যারা নার্সিং নিয়ে পড়াশুনা করেছি তাদের সবার নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ সমূহ ও কার্যাবলি জানা থাকা দরকার। প্রতিটা সেক্টরকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য একটি করে অধিদপ্তরের প্রয়োজন হয়। প্রতিটা অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা নীতিমালা নির্ধারণ সেই অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত থাকে। নার্সিং ব্যবস্থাপনা ও উন্নযয়নের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সংযুক্ত অধিদপ্তর হলো নার্সিং অধিদপ্তর।

নার্সিং অধিদপ্তর নার্সিং সম্পর্কিত সকল বিষয় যেমন নার্সিং পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ফলাফল নার্সদের রেজিস্ট্রি ইত্যাদি নার্সিং বিষয়াদির দায়িত্ব পালন করে থাকে। বাংলাদেশে অন্যান্য অধিদপ্তরের মতো নার্সিং অধিদপ্তর রয়েছে।

যারা নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনা করছে তাদের এই অধিদপ্তরের নির্দেশ যথারীতি পালন করতে হয়। তাই আসুন নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ ও কার্যাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ সমূহ

নার্সিং অধিদপ্তরের বিভিন্ন আদেশ ও কার্যাবলি রয়েছে। সেগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দেয়া হলো।

১.নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্সে আবেদন, ভর্তি পরীক্ষা, প্রবেশপত্র তৈরী, ফলাফল তৈরী।
২.প্রতি শিক্ষাবর্ষে পোস্ট বেসিক বিএসসি পরীক্ষায় ১ম,২য়, ৩য় স্থান অধীকারি ৩জন কে পুরস্কায় প্রদান করা।
৩.বৈদেশিক প্রশিক্ষন সম্পন্ন করার নিমিত্ত বাছাই কমিটির কার্যবিবরণী।
৪.আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালনের তথ্য প্রেরণ।
৫.আন্তর্জাতিক নার্স দিবস উদযাপনে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ।
৬.নার্সিং কোর্সগুলোর ভর্তি ফি নির্ধারণ।
৭.নার্স দিবসের আলোচনা সভা।
৮.অধিদপ্তরের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা
৯.সিমুলেশন এডুকেশন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের তথ্য প্রেরণ।
১০.ল্যাবরেটরী শিক্ষাসামগ্রী প্রদান।
১১.আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস।
১২.পরিস্কার পরিচ্ছনতা বিষয়ক দলগঠন।
১৩.নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।
১৪.বিভিন্ন নোটিশ প্রদান।
১৫.পোস্ট বেসিক পাবলিক হেলথ নার্সিং
ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন পোস্ট বেসিক নার্সিং, পোস্ট বেসিক মিডওয়াইফারি কোর্সের কেন্দ্রগুলোর তালিকা প্রকাশ।
১৬.নার্স বদলি নীতিমালা
১৭.ভর্তি ফরম পূরনের নির্দেশনা।
১৮.অফিস আদেশ
১৯.নার্স ও মিডওয়াইফ শিক্ষক মৌখিক পরীক্ষা।
২০.গণটিকা নার্স সংযুক্তি
২১.অর্থ বরাদ্দ
২২.রিসোর্স প্যানেল গঠন
২৩.নার্সিং পেশাকে গ্রহনীয় করে তুলা।
২৪.চাকুরী নিয়মিতকরণ।
২৫.প্রজ্ঞাপন/ পরিপত্র
২৬.বদলী, পদন্নতি, অবসরপ্রাপ্ত
২৭.বহিঃ বাংলাদশে অর্জিত ছুটি
২৮.কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কমিটি গঠন
২৯.বৈদেশিক ও স্থানীয় প্রশিক্ষন
৩০.পিএমআইএস রির্পোট
৩১.মাসিক সমন্বয় সভা
৩২.উদ্ভাবনী কার্যক্রম
৩৩.জাতীয় শুদ্ধাচার
৩৪.অভিযোগ প্রতিকার ব্যাবস্থাপনা
৩৫.নীতিমালা ও নির্দেশনা
৩৬.সিটিজেন চার্টার
৩৭.ওয়েব ইমেইল, ই-নথি
৩৮.বার্ষিক কর্মসম্প্রদান চুক্তি

নার্সিং অধিদপ্তের স্থানীয় প্রশিক্ষন কার্যাবলি

নার্সিং অধিদপ্তর স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনবল তৈরীর লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এ সম্পর্কে প্রশিক্ষন সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা দেয়া হলোঃ

১.ওরিয়েন্টেশন টেনিং
২.চক্ষু চিকিৎসা সেবা বিষয়ক প্রশিক্ষণ
৩.মিডওয়াইফারি দক্ষতার উপর রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ
৪.ETAT এবং নার্সদের জন্য অসুস্থ নবজাতকের যত্নের উপর প্রশিক্ষণ
৫.নার্স ম্যানেজারদের জন্য প্রমাণ ভিত্তিক মিডওয়াইফারি অনুশীলনের প্রশিক্ষণ
৬.ভেলিডেশন শুরু ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রণয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ
৭.ফিডব্যাক কর্মশালা
৮.বেসিক LARC/PM ৭৯১ PDF ফাইলের উপর প্রশিক্ষণ
৯.নার্সদের জন্য নেতৃত্ব ব্যবস্থাপনা/উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ
১০.অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা এবং জিআরএস সফটওয়্যার বিষয়ক প্রশিক্ষণ
১১.নার্স শিক্ষক প্রশিক্ষণ
১২.সার্ভিস রুলস বিষয়ক প্রশিক্ষন
১৩.নার্স ও মিডওয়াইফদের জন্য পিপিপি সহ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষণ
১৪.নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) প্রশিক্ষণ
১৫.পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি এবং অনকোলজি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে নার্সিং ডেভেলপমেন্টের প্রশিক্ষণ
১৬.Midwifery Skills (OSCE) বিষয়ে প্রশিক্ষণ
১৭.পেডিয়াট্রিক নার্সিং প্রশিক্ষণ
১৮.Training on family planning method
১৯.স্কিল ল্যাব প্রশিক্ষণ
২০.মহামারী ব্যবস্থাপনার উপর কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ
২১.সপ্তাহ মেয়াদী নার্স শিক্ষক প্রশিক্ষণ
২২.কর্মদক্ষতা প্রশিক্ষণ
২৩.ইনোভেশন প্রশিক্ষণ
২৪.কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার উপর ৩ দিনের টিওটি প্রশিক্ষণ
২৪.প্রমাণ ভিত্তিক অনুশীলন
২৫.প্রসবপূর্ব যত্ন প্রশিক্ষণ
২৬.নার্সিং মিডওয়াইফারি ইনস্টিটিউটে কর্মরত শিক্ষকদের ট্রেনিং
২৭.নার্সিং ইনস্টিটিউট ম্যানেজমেন্ট ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ
২৮.DHIS 2-এ রিপোর্টিং সিস্টেমের উপর TOT প্রশিক্ষণ
২৯.নবজাতকের সেবা (CNC) প্রশিক্ষণ
৩০.অফিস ব্যবস্থাপনা ও ই-নথি প্রশিক্ষন
৩১.পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ ইন হেলথ, পপুলেশন এবং নিউট্রিশন প্রশিক্ষন

নার্সিং অধিদপ্তরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

সুস্থ জনগন ও দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করা, এবং দক্ষ নার্স ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারকে সহযোগিতা করাই হলো নার্সিং অধিদপ্তরের লক্ষ্য। সরকার যখন স্বাস্থ্যসেবার উপর গুরুতারোপ করে তখন সরকারি বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা নার্সিং অধিদপ্তরের উদ্দেশ্য।

মূলত নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিত, সঠিক সেবা সরবরাহ ও নার্সিং কে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলাই হলো নার্সিং অধিদপ্তরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

নার্সিং কি

নার্সিং স্বাস্থ্যখাতের অধীনস্থ একটি সেবামূলক পেশা। হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিক, স্ব্যাস্থকেন্দ্রে রোগীর স্বাস্থ্যের পূর্ণরুদ্ধার, রোগীর দেখভাল, নিয়মমাফিক ওষুধ প্রদান এবং অপারেশন থিয়েটারে জরুরি জিনিসপত্রের সরবরাহে সাধারণত নার্সরা নিযুক্ত থাকেন।

নার্সিং অধিদপ্তরের ইতিহাস

বাংলাদেশে একটি নার্সিং অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে দীর্ঘ পথ পাড়ি জমাতে হয়েছে। এর ইতিহাসের যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ ভারতের সময়কাল হতে। পরবর্তীতে পাকিস্তান ভারত বিভক্ত হওয়ার সময় বাংলাদেশে অবস্থিত বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিল এর নাম হয়ে যায় পূর্ব পাকিস্তান নার্সিং কাউন্সিল।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৭ সালে সেবা পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তর হিসেবে মর্যাদা পায় ১৯৮৭ সালে। বাংলাদেশে এই সময় রেজিস্ট্রাড নার্সের সংখ্যা ৭০০ এর মতো ছিলো। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ নার্সিং পরিষদ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পরিষদ নামে পরিচালিত হতে থাকে।

বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তর

বাংলাদেশের নার্সিং অধিদপ্তরের পুরনো নাম বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তর যা বর্তমানে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল নামে পরিচালিত। এটির সদরদপ্তর রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। এই অধিদপ্তরের দাপ্তরিক ভাষা হলো বাংলা। বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট হলো www.bnmc.gov.bd এই ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনি নার্সিং অধিদপ্তর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

বাংলাদেশের নার্সিং শিক্ষাকে আধুনিকীকরণ করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তরের সম্মলিত চেষ্টায় এবং থাইল্যান্ডের কারিগরি সহায়তার দ্বারা ২০০৮ সালে নতুনভাবে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়। নতুন নীতিমালা অনুসারে মাধ্যমিক নয় বরং উচ্চমাধ্যমিক পাসকৃত শিক্ষার্থীরা নার্সিং কোর্স করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডিওয়াইফারি তিন বছর মেয়াদি এই নার্সিং কোর্সটি সবাই করতে পারবেন। অর্থাৎ বিজ্ঞান,মানবিক, ব্যাবসা যেকোন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই কোর্স করার জন্য উন্মুক্ত৷। আবার চার বছর মেয়াদি বিএসসি নার্সিং কোর্সটি শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগে পাসকৃত শিক্ষর্থীরা করতে পারবেন।

প্রথমদিকে ঢাকা, রাজশাহী, চট্রগ্রাম, ময়মনসিংহ মেডিকেল হসপিটালের সংলগ্ন এলাকায় চারটি নার্সিং কলেজ এবং ডিপ্লোমা বিএসসি নার্সিং কোর্স চালু করা হয়েছিল। পরে ডিপ্লোমা মিডওয়াইফারি কোর্স চালু করা হয় এবং কয়েকটি বেসরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়।

নার্সিং অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ

একটি অধিদপ্তর পরিচালনার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রয়োজন হয়। যাদের উপর অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজ ন্যাস্ত থাকে এবং তাদের সম্মলিত প্রচেষ্টায় অধিদপ্তর সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। নার্সিং অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দের পদের এবং বর্তমান কর্মরত সংখ্যার তালিকা দেয়া হলোঃ

১.মহাপরিচালক ১ জন
২.পরিচালক ৩ জন
৩.উপ-পরিচালক ১জন
৪.সহকারী পরিচালক ৫ জন
৫.সহকারী প্রোগ্রামার ১জন
৬.নার্সিং ইইন্সট্রাক্টর ১জন
৭.কো-অর্ডিনেটর ১জন
৮.পরিসংখ্যানবিদ ও কল্যান কর্মকর্তা ১ জন
৯.নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ২জন
১০.প্রভাষক ৩ জন
১১.নার্সিং শিক্ষক ৫ জন
১২.সিনিয়র স্টাফ নার্স ২২ জন
১৩. প্রশাসনিক কর্মকর্তা ১ জন
১৪.ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ১ জন
১৫.হিসাব রক্ষক ১ জন
১৬.মিডওয়াইফ ২ জন

নার্সিং অধিদপ্তরের কর্মচারীবৃন্দ

একটি অধিদপ্তর সুন্দরভাবে পরিচালনায় কর্মচারীদের গুরুত্ব কম নয়। অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় সকল তথ্যের বিন্যাস এবং কাজ তাদের দ্বারা সম্পন্ন হয়ে থাকে। নার্সিং অধিদপ্তরের কর্মচারীবৃন্দের পদের এবং বর্তমান কর্মরত সংখ্যার তালিকা দেয়া হলো।

১.উচ্চমান সহকারী ৯
২.হিসাব রক্ষক ১
৩. কম্পিউটার অপারেটর ৪
৪.স্টোর কিপার ১
৫.ল্যাব সহকারী ১
৬. সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ১
৭.ক্যাশিয়ার ১
৮.অফিস সহকারী ১৩
৯.ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর ২
১০.গাড়ি চালক ৫
১১.নিরাপত্তা প্রহরী ১
১২.পরিচ্ছনতা কর্মী ২
১৩.মালী ১

আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি নার্সিং কি

নার্সিং পেশায় নিয়োজিতদের দক্ষ করে তুলে স্বাস্থ্যখাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ সমূহ সরকারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। বর্তমানে দেশে রেজিস্টার্ড নার্স মিডওয়াইফ হলো ৫৬ হাজার ৭৩৩। সরকারী স্বাস্থ্যখাতে ৩০ হাজার নার্স রয়েছে এছাড়া সরকারি মিডওয়াইফ এর সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ জন।

দেশে সরকারি নার্সিং কলেজ ৪৬ টি এবং বেসরকারি ১২০ টি। তারপরও নার্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে ভর্তি হতে হয়। বহু কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে নার্সিং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতে নার্সিং অধিদপ্তর সফলতা অর্জন করছে।

Categories
শিক্ষা

বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ কোথায় এবং সমস্ত তথ্য

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ যেটি বাংলাদেশের মেয়েদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা সবাই কিন্তু কম বেশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজ সম্পর্কে জানি। সেই সাথে আমরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট সম্পর্কে জানি, কিন্তু গার্হস্থ্য অর্থনীতি যে কলেজগুলো রয়েছে যেগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত এ তথ্যগুলো হয়ত আমাদের তেমন কারোর জানা নেই। এমনকি এই গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ কোথায় অবস্থিত তা হয়তো অনেকেই জানিনা। এটিও আলোচনা করা হবে আজকের এই প্রতিবেদনে।

গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের এই কলেজগুলো কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ করা হয়।আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি হল গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলোরও সার্টিফিকেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হয়, ঠিক যেমনটি সাত কলেজগুলোতে প্রদান করা হয়। আপনারা কি জানেন, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ আসলে কোথায় অবস্থিত? আপনারা হয়ত জানেন যে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, আজিমপুরে ঢাকায় অবস্থিত। কিন্তু এই গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজটিরও আরও শাখা কলেজ রয়েছে। যেগুলো আলাদা আলাদা জায়গায় অবস্থিত রয়েছে। প্রিয় পাঠক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ এবং আরও বিস্তারিত তথ্য গুলো জানার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কাকে বলে

সহজ কথায় যদি আপনাদের বলি, গার্হস্থ্য অর্থনীতি বলতে আসলে পারিবারিক অর্থনীতি বোঝানো হয়। অর্থাৎ পরিবারের অর্থনৈতিক যে ব্যবস্থাপনাটি রয়েছে যেমন বাজেটের সাথে জড়িত বিভিন্ন ব্যয়, সঞ্চয়, বিনিয়োগ ইত্যাদি।

গার্হস্থ্য অর্থনীতি পরিবারের বাজেট এর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। যেহেতু পরিবারের একজনের আয়ের উপর নির্ভর করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের চাহিদা, ব্যয়, খাদ্য, বাসস্থান ইত্যাদি। সেহেতু এগুলোর কারণে একটি বাজেট পরিকল্পনা করা হয়। আর এই বাজেট পরিকল্পনা কিন্তু গার্হস্থ্য অর্থনীতির মাধ্যমে এসেছে।গার্হস্থ্য অর্থনীতি একজন ব্যক্তি এবং পরিবারের সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।

গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের কলেজ কয়টি এবং কোথায়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট যেটি মেয়েদের জন্য অন্যতম পছন্দের একটি সাবজেক্ট। মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্র প্রসারের জন্য গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের কলেজ স্থাপিত করা হয়। এই ইউনিটটি যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত তাই গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সার্টিফিকেট দেওয়া হয়ে থাকে।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হলেও গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের আলাদা আলাদা কলেজ রয়েছে। এই কলেজগুলো বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত। আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকে আমি আলোচনা করব গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের কলেজ কয়টি এবং কোথায় অবস্থিত রয়েছে।

আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন না যে, বাংলাদেশে গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের সর্বমোট ৫ টি কলেজ রয়েছে এবং এই কলেজগুলো বিভিন্ন জায়গায় স্থাপিত করা হয়েছে। কলেজগুলোর নাম নিম্নে দেওয়া হলো-

  1. প্রথম যে কলেজটি রয়েছে সেটি হলো Home Economics College, Azimpur(Dhaka)
  2. এরপর রয়েছে Bangladesh Home Economics College, Greenroad(Dhaka)
  3. Akiz College of Home Economics, Dhanmondi (Dhaka)
  4. এরপর যে কলেজটি রয়েছে সেটি হলো National College of Home Economics, Lalmatia(Dhaka)
  5. Mymensingh Home Economics College, Mymensingh.

বাংলাদেশের এই জায়গাগুলোতে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলো স্থাপন করা হয়েছে।

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলোতে কোন সাবজেক্টগুলো পড়ানো হয়

এতক্ষন আপনারা জানলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের কলেজগুলো কোথায় অবস্থিত এই সম্পর্কে। এখন আপনাদের জানাব এই কলেজগুলোতে কোন সাবজেক্টগুলো পড়ানো হয়। গার্হস্থ্য অর্থনীতির সব কলেজগুলোতে সাবজেক্ট কিন্তু একই। এখানে পড়ানো হয় ৫টি বিষয় নিয়ে।এই বিষয়গুলো হল-(খাদ্য এবং পুষ্টি বিজ্ঞান, বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়ন শিল্প, শিল্পকলা ও সৃজনশীল শিক্ষা, শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্টারপ্রেণরশীপ)। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ গুলোতে বাংলা এবং ইংরেজি এই দুইটি ভার্সন রয়েছে।

এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনারা যারা পড়তে চান, তারা কিন্তু ইংলিশ ভারসনেও পড়তে পারেন। গার্হস্থ্য অর্থনীতির এই সাবজেক্ট গুলো কিন্তু খুবই ইন্টারেস্টিং, এই সাবজেক্টগুলো নিয়ে পড়াশুনা করে বর্তমানে মেয়েরা ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারছে। অনেকেরই হয়ত ধারণা এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে ভালো ক্যারিয়ার শুরু করা যায় না বা সাবজেক্ট গুলো শুধু হোম রিলেটেড হওয়ায় ভালো জব পাওয়া পসিবিলিটি নেই। কিন্তু আসলে তা নয়, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে পুষ্টিবিদ, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার আরও অনেক কিছু নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা সম্ভব।

আজিমপুর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ

এখন আমি আপনাদের সাথে এই কলেজ সম্পর্কে আলোচনা করব, যেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত প্রথম মহিলা কলেজ। ৫ টি কলেজের মধ্যে এটিই সর্বপ্রথম স্থাপিত হয়।

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ কোথায় অবস্থিত

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ঢাকার আজিমপুরে অবস্থিত এবং মেয়েদের জন্য সবচেয়ে অন্যতম এবং পছন্দের তালিকায় এই কলেজটি।গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ যেটি ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং এটি একটি সরকারি কলেজ। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফাউন্ডেশন (ফোর্ড) এর সহায়তায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সেইসাথে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইউনিভার্সিটি যার নাম ( Oklahama State University), এই প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ স্থাপিত হয়।

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে পাঠদান শুরু হয় ১৯৬১ সালে এবং সেইসাথে ইন্টারমিডিয়েট, স্নাতক পর্যায়ের মেয়েরা এই কলেজে অ্যাডমিশন নিয়ে পাঠদান শুরু করে। এরপর স্নাতকোত্তর লেভেলের পাঠদান ও সকল কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৬৩ সাল থেকে। যদিও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পাঠদান শুরু হলেও গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়টির স্নাতক কোর্স চালু হয় ১৯৭৩ সালে।

বদলে গেল গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের নাম

আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন না যে, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের নতুন একটি নামকরণ করা হয়েছে সেটি হলো Government College of Applied Human Science. এই কলেজের গ্রাজুয়েশন কোর্সের সিলেবাস তৈরী করা হত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সের নিয়ম অনুকরণে। সেইসাথে করাচি হোম ইকোনোমিক্স, লাহোর হোম ইকোনোমিক্স কলেজে কোর্সের যে নির্দেশিকা অনুসরণ করা হতো, সেই নির্দেশিকা গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের কোর্সসমূহে অনুসরণ করা হতো।

১৯৮৫-১৯৮৬ সালে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কোর্সের ৫ টি বিভাগ চালু করা হয় এবং এই ৫ ট বিভাগের সাথে ৫টি সম্মান কোর্স বা বিষয় চালু করা হয়। বিষয়গুলো হলো- শিল্পকলা ও সৃজনশীল শিক্ষা, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান, বস্ত্র ও বয়ন শিল্প, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্টারপ্রেণরশীপ, শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক। এরপর ১ বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর কোর্স ২০০২-২০০৩ সালে চালু হয়।

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের আসনসংখ্যা

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ক্যাম্পাসটি দেখতে কেমন।গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ অর্থাৎ (গভর্মেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সাইন্স) এর ক্যাম্পাসটি প্রায় ১০.৩ একরজুড়ে স্থাপন করা হয়েছিল। অত্যন্ত মনোরম ও চোখ জুড়ানো সবুজে ঘেরা এই ক্যাম্পাস। এখানে রয়েছে সেমিনার রুম ৫টি, লাইব্রেরি ১টি, পরীক্ষাগার ৪টি, হোস্টেল ১টি, মাঠ ২টি, পুকুর ১টি, প্রার্থনা রুম ২টি। এছাড়া আছে ক্যান্টিন, অনেকগুলো শ্রেণীকক্ষ, ফুলের বাগান ইত্যাদি। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের আসনসংখ্যা ৫৭০ টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্ট এবং যোগ্যতা অনুসারে এই কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে।

বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ

মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার উন্নতি ডেভেলপমেন্ট এর জন্য গার্হস্থ্য অর্থনীতি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। ঠিক এই ব্যাপারটি বিবেচনায় রেখেই বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ স্থাপিত করা হয়। এই কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত এবং বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি দ্বারা এই কলেজটি পরিচালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন নয় অর্থাৎ এটি কোন ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত করা হয় না, এই কলেজটি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। ঢাকার গ্রীনরোডে, (পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরদিকে) এই কলেজটি অবস্থিত। বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ছাত্রীদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে দরিদ্র মেধাবী যারা ছাত্রী রয়েছে তাদেরকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। এই কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম এবং সিলেবাসসহ অন্যান্য যাবতীয় কাজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদ কর্তৃক পরিচালিত করা হয়।

কলেজটিতে ৪ বছর মেয়াদি বি.এস.সি (সম্মান) ১বছর মেয়াদি এম.এস.সি, এম.এস ফাইনাল (১ বছর) মেয়াদি, এই কোর্সগুলো রয়েছে গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগে। এই কোর্স গুলোতেও গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ (আজিমপুর) এর মত ৫টি বিভাগ রয়েছে। এখানের পড়ালেখার মান উন্নত পর্যায়ের এবং প্রত্যেক বছর ছাত্রীরা ভালো রেজাল্ট এর মাধ্যমে গ্রাজুয়েশন শেষ করে। এবার আসি আসনসংখ্যায়, এই কলেজটিতে ৫৫০ টি আসনসংখ্যা রয়েছে। উন্নতমানের কক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাব রুম, ক্যাফেটেরিয়া সহ আরও রয়েছে প্রার্থনা রুম এবং গার্ডিয়ানদের বসার স্পেস।

আকিজ কলেজ অব হোম ইকোনমিকস

এবার আপনাদের বলব গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের অন্য আরেকটি কলেজ সম্পর্কে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের আরেকটি কলেজ হলো আকিজ কলেজ অব হোম ইকোনমিকস। এই কলেজটি অবস্থিত রয়েছে ধানমণ্ডি, ঢাকাতে। বাকি দুইটি কলেজের মত এই কলেজটিতেও ৫ টি বিভাগে কোর্স চালু করা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদ থেকে এই কলেজের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই কলেজটি সম্পূর্ণ বেসরকারি নয়, অর্থাৎ হাফ সরকারি হাফ বেসরকারি বলা যায়।

অন্যান্য সকল কলেজের মত এই কলেজেও একই সিলেবাস পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এই কলেজের আসনসংখ্যা প্রায় ৫০০ এর মত এখানেও রয়েছে উন্নত মানের পড়াশোনার পদ্ধতি, ক্লাসরুম, লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া সহ আরও অনেক কিছু। এখানে রয়েছে ল্যাব, ডিবেটিং রুম ইত্যাদি। এছাড়া কোন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জন্য রয়েছে আলাদা রেস্ট করার রুম এবং চিকিৎসার সুব্যবস্থা, আছেন চিকিৎসকও। এই কলেজটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় গ্রাজুয়েশন শেষে। পরিশেষে বলব, এই কলেজের ছাত্রীদের সাথে সকল শিক্ষকদের সুসম্পর্ক রয়েছে, যার ফলে ছাত্রীরা পড়াশোনার দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে।

ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনমিকস

গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের আরেকটি সুসজ্জিত এবং উন্নত মানসম্পন্ন কলেজ হলো ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনমিকস। যেটি অবস্থিত রয়েছে ঢাকার লালমাটিয়ায়। এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। কলেজটির সকল কার্যক্রম, শিক্ষা কার্যক্রম, ইত্যাদি সকল কিছু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়। কলেজের কোর্সগুলোর সিলেবাস প্রনয়ণ পদ্ধতিও জীব বিজ্ঞান অনুষদ থেকে পরিচালনা করা হয়।

এই কলেজটি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কলেজটিতে বি.এসসি (অনার্স) এম.এসসি কোর্স রয়েছে।সেইসাথে কোর্সগুলো ছাত্রীরা বাংলা বা ইংরেজি ভার্সনে সম্পন্ন করতে পারবেন। কোর্সগুলোতে ৫টি বিষয় রয়েছে অন্যান্য কলেজগুলোর মত। সেগুলো হচ্ছে- শিল্পকলা ও সৃজনশীল শিক্ষা, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান, বস্ত্র ও বয়ন শিল্প, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্টারপ্রেণরশীপ এবং শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক। ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনমিকস কলেজটিতে আসনসংখ্যা রয়েছে ৫৫০ টি।কলেজে রয়েছে উন্নত মানের ক্লাসরুম, শিক্ষকদের জন্য রয়েছে আলাদা মিটিং রুম, লাইব্রেরি, ল্যাব রুম, আর্ট রুম সহ আরও অনেক কিছু। কলেজের সামনে সুন্দর ব্যবস্থাপনা রয়েছে এবং রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যান্টিন। এই কলেজেও গ্রাজুয়েশন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

ময়মনসিংহ হোম ইকোনমিকস কলেজ

সর্বশেষ যে আরেকটি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ রয়েছে সেটি হলো ময়মনসিংহ হোম ইকোনমিকস কলেজ, যেটি ময়মনসিংহে অবস্থিত। এই কলেজটিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদ থেকে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কলেজের সকল কোর্সের সিলেবাস প্রনয়ণ করা হয় এই অফিস থেকে। কলেজটিতে আসনসংখ্যা রয়েছে ৪০০ এর মত এবং এই কলেজটি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। কলেজটিতে কোর্স রয়েছে বি.এস.সি সম্মান কোর্স এবং এম.এসসি কোর্স। এই কোর্সগুলোতে ৫টি বিভাগ চালু করা হয়েছে।প্রত্যেকটি কোর্সগুলোতে আলাদা আলাদা সিট বরাদ্দ রয়েছে ছাত্রীদের জন্য।

এই কোর্সের অন্তর্ভুক্ত যে বিভাগগুলো রয়েছে সেগুলো হল- খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান, শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্টারপ্রেণরশীপ, শিল্পকলা ও সৃজনশীল শিক্ষা এবং বস্ত্র ও বয়ন শিল্প। এই সাবজেক্ট গুলো ছাত্রীরা বাংলা এবং ইংরেজি ভার্সনেও পড়তে পারবে।বিএসসি সম্মান কোর্স এ প্রত্যেক ছাত্রীর চার বছর পর কোর্স শেষ হয়। এমএসসি কোর্সে ১বছর পর প্রত্যেক ছাত্রীদের গ্রাজুয়েশন শেষ হয়ে থাকে। গ্রাজুয়েশন শেষে প্রত্যেক ছাত্রীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়ে থাকে।

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলোর আবেদনযোগ্যতা

এতক্ষন আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলো সম্পর্কে। এখন আপনাদের বলব এই কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য কি কি আবেদন যোগ্যতার দরকার হয় এবং বিস্তারিত আরো অনেক তথ্য।

আপনারা জানেন, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলোতে রয়েছে ৫টি কোর্স এবং এই কোর্স গুলোতে রয়েছে ৫টি বিভাগ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রথমে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। এখানে শুধুমাত্র মেয়েরাই এই ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন। এই ইউনিটটিই মেয়েদের জন্য আলাদাভাবে চালু করা হয়েছিল। এরপর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ন্যুনতম ২.৫ এর উপরে হতে হবে। এর নিচে হলে আবেদন করা যাবে না।

এছাড়া সাবজেক্ট পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে যারা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী তারা খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান এই সাবজেক্টটি পাবেন।সেইসাথে বস্ত্র ও বয়ন শিল্প এই বিষয়টিও পাবেন বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীরা। আর বাকি সাবজেক্ট গুলো ব্যবসায় ও মানবিক বিভাগের ছাত্রীরা পাবেন। ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীদের বাংলা, ইংরেজি, সাধারণজ্ঞান, বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলোর উপর পরীক্ষা হবে। এরপর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ছাত্রীদের বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সাব্জেক্টগুলোর উপর পরীক্ষা হবে। মানবিক বিভাগের ছাত্রীদের পৌরনীতি, সামাজিক বিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং সাধারণ জ্ঞান এর উপর ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। আর যারা গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগে ছিলেন তারা গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন, শিশু বিকাশ, খাদ্য ও পুষ্টি, সাধারণ জ্ঞান এই বিষয়গুলো উপর পরীক্ষা দিবেন।

সাধারণত গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া মে থেকে জুন মাসের মধ্যে শুরু হয় এবং আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয় জুলাই মাসে। আগষ্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরের হয়ে থাকে। পরীক্ষার পূর্ণ নম্বর থাকে ১০০ তে এবং পাশ মার্ক ৪০ নম্বর এর হয়ে থাকে। পরীক্ষার রেজাল্ট বিবেচনা করে প্রত্যেক ছাত্রীর পরীক্ষার নম্বর অনুযায়ী গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলোতে নাম দেওয়া হয়ে থাকে।
আরোও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি নার্সিং কি

পরিশেষে: মেয়েদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলো। ৫ টি বিষয়ে শিক্ষার্থীকে ব্যবহারিক ও গবেষণাধর্মী বিষয়ে শিক্ষাদান করা হয় এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন এর জন্য, পরিবার ও সমাজের জন্য উপযোগী করে তোলা হয়ে থাকে। গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ে গ্রাজুয়েশন শেষে একজন ছাত্রী খাদ্য রসায়ন, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে পেশা গ্রহণ করতে পারেন।

এছাড়াও ইন্টেরিয়র ডিজাইন প্রতিষ্ঠান, ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে, নকশা ও কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠানে, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকে।তাই বাংলাদেশের মেয়েদের সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলোতে পাঠদান শুরু করার মাধ্যমে নিজের আত্নকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে তুলতে পারেন।

Categories
নার্সিং

ডিপ্লোমা নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি নার্সিং কি

নার্সিং একটি অত্যন্ত সম্মানজনক পেশা। যারা নার্সিং পেশায় ক্যরিয়ার গড়তে চায় তারা বেশির ভাগ সময় জানতে চায় ডিপ্লোমা নার্সিং কি। ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কোর্সটি তিন বছর মেয়াদি একটি নার্সিং কোর্স। নার্সিং এ ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে খুব সহজেই আত্মনির্বরশীল এবং সাবলম্বী হওয়া সম্ভব। নার্সিং পেশা টির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। চলুন জেনে নেই ডিপ্লোমা নার্সিং কি

ডিপ্লোমা নার্সিং কি

ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কোর্সটি তিন বছর মেয়াদি একটি নার্সিং কোর্স। ঠিক যেমন বিভিন্ন ধরনের নার্স আছে, ঠিক তেমনি বিভিন্ন ধরনের নার্সিং ডিগ্রি আছে। আপনি যদি একজন নার্স হতে চান, তাহলে আপনাকে নার্সিং ডিগ্রির প্রকারের বিষয়ে আরও জানতে হবে এবং আপনার ভবিষ্যত নার্সিং ক্যারিয়ারের জন্য প্রয়োজনীয় ডিগ্রি কোথায় পাবেন তা আমরা নিচে আলচনা করেছি।

নার্স এর কাজ কি?

একজন ভালো নার্স হতে হলে আপনাকে অবশ্যই নার্স এর কাজ কি তা জানতে হবে। নিচে একজন নার্স কি ধরণের কাজ করে থাকেন তা দেয়া হলো একজন নার্স চিকিৎসা ক্ষেত্রে হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিটে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকে। অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে OT, ICU, CCU, HDU, NICU, Emergency ইউনিট এ কাজ করতে পারে। নার্সরা হাসপাতালে এবং হাসপাতালের বাইরে কাজ করে সেসব রোগীদের জন্য, যারা শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন। নার্সের প্রধান কাজ হচ্ছে অসুস্থ রোগীদের জন্য মেডিকেল ও নার্সিং কেয়ার সরবরাহ করা।

একজন নার্সের প্রধান কাজ গুলো হচ্ছেঃ রোগীর চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রোগীর শারীরিক অবস্থা কেমন আছে তা পরীক্ষা করা এবং আগে রোগীর অন্য কি সমস্যা ছিল তা জেনে নেওয়া; রোগীকে কাউন্সেলিং করা এবং Patient এডুকেশন সরবরাহ করা; ঔষধ সরবরাহ করা, তা সেবনে সাহায্য করা এবং এবং রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় নার্সিং ইন্টারভেনশন পরিচালনা করা এবং
হাসপাতালের অন্য ডাক্তার,হেলথ প্রফেশনাল,এবং অন্য নার্স দের সাথে মিলেমিশে কাজ করা।

নার্সিং কত প্রকার

নার্সিং এ উজ্জ্বল ক্যরিয়ার তৈরী করতে হলে নার্সিং কত প্রকার তা জানতে হবে।

  • নার্সিং এর মধ্যে তিন ধরনের কোর্স আছে। ANM, GNM এবং Bsc নার্সিং। এরমধ্যে শুধুমাত্র মহিলারা ANM কোর্স করতে পারবেন এবং , পুরুষ ও মহিলা উভয়ই GNM ও Bsc কোর্স,নিতে পারেন।
  • নার্সিং মধ্যে অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রী (ADN)এটি হচ্ছে দুই বছরের ডিগ্রি যা একটি কমিউনিটি কলেজ বা বৃত্তিমূলক স্কুল থেকে পাওয়া যায়। এই ডিগ্রী টি একজন নিবন্ধিত নার্স হতে হলে অবশ্যই প্রয়োজ। তাই নিয়োগকর্তারা আরএন নার্সিং ডিগ্রী নেয়ার কথা বলেন। স্নাতক ডিগ্রী এর পাশাপাশি এ ডিগ্রী টি কাজের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ত পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নার্সিং এর ব্যাচেলর অব সায়েন্স (বিএসএন) নার্সিংয়ের (বিএসএন) একটি স্নাতক ডিগ্রী।
  • নার্সিং ক্যারিয়ার ভালোমতো গড়ে তোলতে হলে এ ডিগ্রী টি খুব দরকারি। এটি ব্যাচেলর ডিগ্রি যা সাধারণত একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে চার বছরের জন্য করতে হয়। শিক্ষর্থীরা যাতে ক্লিনিকাল বিভাগে রোগীর সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে তাই বেশিরভাগ নার্সিং ডিগ্রির মতো, নার্সিংয়ের বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক শ্রেণীতে ক্লিনিক্যাল নামে একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যা ক্লিনিক্যালি নামে পরিচি।
  • নার্সিং (এমএসএন) ডিগ্রি কলেজের মাস্টার
  • নার্সিং এ আপনি একটি সম্মিলিত ব্যাচেলর/ মাস্টার প্রোগ্রামের জন্য মনোনীত হওয়ার জন্য নার্সিং বা এ সম্পর্কিত ক্ষেত্রের মধ্যে একটি স্নাতক ডিগ্রী থাকতে হবে। একজন ভালো নার্স (APN বা APRN) হতে নার্সিংয়ের একটি স্নাতক ডিগ্রি অনেক প্রয়োজন।
  • নার্সিং মধ্যে ডক্টরেট ডিগ্রী
  • নার্সিংয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন এই ডক্টরেট লেভেল ডিগ্রি অর্জন করে । আপনি অবশ্যই প্রথমে স্নাতক এবং তারপর মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করার আগে নার্সিংয়ের ডক্টরেট ডিগ্রি সম্পন্ন করবেন।
  • নার্সিং এ দুই ধরনের ডক্টরেট ডিগ্রী আছে: নার্সিং প্র্যাক্টিসের ডক্টর (DNP) যা নার্সিং ক্লিনিকালের দিক এবং নার্সিং সায়েন্সের একটি ডক্টর ডিগ্রী। যারা পরবর্তীতে নার্সিং প্রোগ্রাম বা গবেষকগণের অধ্যাপক হতে চান তাদের জন্য এটি পছন্দের ডিগ্রী।

নার্সিং পড়ার যোগ্যতা

যারা নার্স হতে চায় তারা নার্সিং পড়ার যোগ্যতা কি এ বেপারে জেনে রাখা ভালো। নার্সিং এ চাইলেই যে কেও পড়তে পারে না। নার্সিং পড়ার যোগ্যতা কেবল থাকলেই আপনি নার্সিং এ পড়তে পারবেন। নার্সিং এ ভর্তি হতে হলে এসএসসি তে আপনাকে ২.২৫ কমপক্ষে পেতে হবে এবং উচ্চমাধ্যমিক এ ৫ ২.২৫ কমপক্ষে পেতে হবে। নাহলে আবেদন করা যাবে না।আপনাকে একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী হুতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের সেবা পরিদপ্তর সরকারি নার্সিং সেন্টার গুলুর পরীক্ষা নিয়ে থাকে। বাংলাদেশে নার্সিং পেশার যাত্রা ব্রিটিশ- ইন্ডিয়া হতে শুরু হলেও এটি প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় ১৯৮৭ সালে।

নার্সিং এর জনক কে

আমাদের প্রত্যেকের এ জানা উচিত এ মহান পেশা নার্সিং এর জনক কে। নার্সিং এর জনক বলা হয় ফ্লোরেন্সে নাইটিঙ্গেলকে। ছোটবেলা থেকে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল (Florence Nightingale) এর স্বপ্ন ছিল তিনি একজন নার্স হবেন। কিন্তু তখনকার সময়ে নার্সিং পেশা টি কে সম্মানের চোখে দেখা হতো না। এছাড়া ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এর বাবা মা চাননি ফ্লোরেন্সএকজন নার্স হোক।তাই ফ্লোরেন্সকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। কেননা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল (Florence Nightingale) এর নিজ বাড়িতে তার স্বপ্নটি পূরণ করা সম্ভব ছিলনা।

ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এর জীবনী বাংলায় ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এর আত্মজীবনী নাম পরিচিত। ১৮৫৩ সালে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল প্রথম প্যারিসের এক মিশনারী হাসপাতালে নার্স হিসাবে কাজ শুরু করেন। প্রথমে পরিবার তাকে বাধা দিয়েছিলো, কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে তিনি নার্সের চাকরিতে যোগদান করেন। এই হাসপাতালে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল (Florence Nightingale) তার অসাধারণ নিষ্ঠা, শ্রম ও সেবার মাধ্যমে সবার মন জয় করে ফেলেন। এরপর নাইটিঙ্গেল লন্ডনের হারল স্ট্রটের এক হাসপাতালে যোগদান করেন সুপারিনটেনডেন্ট হিসাবে। ১৮৫৩ সালেই শুরু হয় ক্রিমিয়ার যুদ্ধ।

ব্রিটিশ সৈন্য অবতরণ করে ক্রিমিয়াতে। কিন্তু সেখানে যুদ্ধে আহত পঙ্গু সৈনিকদের কোনাে চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় আহত সৈনিকদের মাঝে নেমে আসে অবর্ণনীয় দুঃখ– দুর্দশা। কষ্ট – যন্ত্রণা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল সেবার ব্রত নিয়ে এগিয়ে এলেন। প্রথমে সরকার তাকে অনুমতি দিতে চায়নি। কেননা তখন নারীদের এমন স্বাধীনতা ছিল না। কিন্তু নাইটিঙ্গেলের অপরিসীম আগ্রহের কারণে শেষমেশ সরকার তাকে যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল হাসপাতালের সেবাকর্মের ও কর্মপদ্ধতির আমূল পরিবর্তন আনলেন।

নাইটিঙ্গেল আহত সৈনিকদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখার জন্য প্রতি রাতে আলো হাতে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন আহত সৈনিকদের শয্যার পাশে। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল (Florence Nightingale) পরম স্নেহে ও মমতায় তাদের সেবাশুশ্রুষা করতে লাগলেন। নিতে লাগলেন সবার কুশলাদি। তিনি তার সেবাশুশ্রুষা ও মমতা দ্বারা সকল সৈনিকের মন জয় করে নিলেন। আহত সৈনিকরা তাকে এতটাই শ্রদ্ধা করতো যে , ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল (Florence Nightingale) যখন আলো হাতে তাদের বিছানার পাশ দিয়ে হেঁটে যেতেন, তখন যে ছায়া পড়ত, সৈনিকগণ পরম শ্রদ্ধায় সেই ছায়ায় চুমু দিতেন। তারা তাকে ‘ লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প ’ উপাধিতে ভূষিত করে ।

মিডওয়াইফারি নার্সিং কি

অনেকেই ডিপ্লোমা ইন নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি নার্সিং এক মনে করে থাকে ।কিন্তু দুইটিএক নয়। চলুন জেনে নেই মিডওয়াইফারি নার্সিং কি একজন মিডওয়াইফ বা ধাত্রী গর্ভাবস্থায়, প্রসব বেদনা এবং প্রসবের প্রারম্ভিক অবস্থায় নারী এবং শিশুদের পরামর্শ, যত্ন এবং সহায়তা প্রদান করেন। তিনি নারীদেরকেগর্ভাবস্থার সময়ে তত্ত্বাবধানে রেখে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে উপদেশ দেন এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার বেপারে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য ও শিশুর পরিচর্যা বিষয়ক নানা তথ্য এবং উপদেশ প্রদান করেন।

একজন মিডওয়াইফ কোথায় কাজ করেন?

যারা নার্সিং নিয়ে পড়াশুনা করবে তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চাকরী করার সুযোগ পাবে। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
গুলোতেও চাকরী করার সুযোগ পাবে। এমনকি দেশের বাহিরেও চাকরী করার সুযোগ থাকবে তাদের।

একজন মিডওয়াইফের কাজ কী

  • গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা
  • গর্ভাবস্থায় মায়ের কোন শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া ও প্রয়োজনে গাইনি ডাক্তারের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা।
  • গর্ভবতী নারীকে সন্তান প্রসবের আগেমানসিকভাবে প্রস্তুত করা
    গাইনি ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী সন্তান প্রসবের সময় বা গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সাহায্য করা।
  • সদ্যোজাত শিশুর প্রাথমিক যত্ন নিশ্চিত করা
  • মা ও তার পরিবারকে সদ্যোজাত শিশুর যত্ন কীভাবে নিতে হবে এ বেপারে পরামর্শ দেয়।

একজন মিডওয়াইফের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ আপনি যেকোন সরকারি বা বেসরকারি নার্সিং কলেজ বা নার্সিং ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি বা বিএসসি ইন মিডওয়াইফারি কোর্স সম্পন্ন করে থাকলে এ পদে চাকরির আবেদন করতে পারেন।

  • প্রসবকালীন সমস্যার চিকিৎসা সম্পর্কিত জ্ঞান
  • সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত সচেতনতা
  • মানসিক চাপ সামলানোর দক্ষতা

কোথায় পড়বেন মিডওয়াইফারি?

  • সরকারী নার্সিং কলেজ
  • নার্সিং ইন্সটিটিউট
  • মিডওয়াইফারি ইন্সটিটিউট

একজন মিডওয়াইফের মাসিক আয় কেমন?

জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী এ পেশায় বেতন ৳১৬,০০০ – ৳৩৮,৬৪০ পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। বেসরকারি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাকেন্দ্রে মাসিক বেতন দশ হাজার থেকে ১৫ হাজার হয়।

একজন মিডওয়াইফের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

এ পেশায় নির্দিষ্ট কোন পদবিন্যাস নেই। তবে ৮ – ১০ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জনের পর চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিযুক্ত মিডওয়াইফদের সুপারভাইজার হিসাবে নিয়োগ পেতে পারেন। বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স সরকারি নার্সিং কলেজগুলো থেকে করতে চাইলে খরচ পড়বে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর চার বছরে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হবে বেসরকারি কলেজগুলোতে। তবে বেসরকারি পর্যায়ের কলেজগুলোতে খরচ প্রতিষ্ঠানভেদে কমবেশি হয়ে থাকে। আর সরকারি কলেজগুলোতে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং করতে কোর্স ফি লাগে না।

নার্সিং পড়ার খরচ

নার্সিং পড়তে চাইলে নার্সিং পড়ার খরচ সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে ।চলুন দেখে নেই নার্সিং পড়ার খরচ কেমন সরকারী নার্সিং কলেজ থেকে নার্সিং কোর্সে বিএসসি করতে চাইলে আপনাকে ব্যয় করতে হবে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর বেসরকারী কলেজগুলি আরো ব্যয়বহুল। এ ক্ষেত্রে খরচ হবে চার বছরে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা। এবং সরকারী কলেজগুলিতে নার্সিং ডিপ্লোমা করার জন্য কোন কোর্স ফি নেই। প্রতি মাসে তারা ভাতা হিসাবে কিছু টাকা পান। এই বছর, আপনি সরকারী পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে চান, আপনাকে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে।

অনেকেরই প্রশ্ন আছে, বেসরকারীভাবে নার্সিং পড়তে কত খরচ হয়? তা আসলে কোর্সের মান এবং প্রতিষ্ঠানের মানের উপর নির্ভর করে। প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাধারণত নার্সিং সায়েন্স ও মিডওয়াইফারিতে ডিপ্লোমা করার জন্য১২০,০০০ হাজার থেকে ১৬০,০০০ টাকা এবং১৮,০০০ থেকে ২৬০,০০০ টাকা দিতে হয় নার্সিংয়ে বিএসসি-র জন্য। এখানে আরও একটি বিষয় রয়েছে আপনাকে সব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা যাবে না, আপনাকে দেখতে হবে প্রতিষ্ঠানটি বিএনএমসি অনুমোদিত কিনা। তদুপরি, কম টাকার জন্য অনেককে ভর্তি করার প্রলোভনে বিভ্রান্ত হবেন না। পুরো গবেষণা শেষে আপনারা একটি বেসরকারী সংস্থায় ভর্তি হন। কারণ এখানে সচেতনতার সামান্য অভাব আপনার পুরো ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

একবার আপনি মূল শংসাপত্র এবং মার্কশিট জমা দিলে তারা কোর্স শেষ হওয়ার আগে আপনাকে তা কখনই ফিরিয়ে দেবে না। ফিরে আসার একমাত্র উপায় হল একবারে পুরো কোর্স ফি প্রদানের মাধ্যমে ভর্তি বাতিল করা। বিএনএমসি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন না। কারন অনেক লোক অজান্তে কারিগরি বোর্ডের সাথে যুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে ভর্তি হন। কিন্তু এখন থেকে পাস করলে আপনারা বিএনএমসি রেজিস্ট্রেশন পাবেন না, যার কারণে ভবিষ্যতে সরকারী চাকরীর জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

নার্সিং ট্রেনিং

বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের মতে, নার্সিং পেশায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, কেবল দেশেই নয় বিদেশেও।তাই নার্সিং ট্রেনিং খুব এ দরকারি, দক্ষ নার্সিং সিস্টেম তৈরি করতে। বিশেষত মালয়েশিয়া, কাতার, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে নার্সিং খুব এ জনপ্রিয় এবং চাহিদাবহুল। বর্তমানে এই পেশায় এখন যেমন শ্রদ্ধা রয়েছে তেমনি সম্ভাবনাও রয়েছে অনেক । এখানে অন্যান্য চাকরির মতো পদ উন্নয়নের পাশাপাশি একটি ভাল বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা রয়েছে। দক্ষতা এবং জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্সরা সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং সুপারিন্টেন্ডেন্ট, নার্সিং প্রশিক্ষণ কলেজের প্রশিক্ষক হতে পারেন। এছাড়াও নার্সরা পরিশ্রম এবং চেষ্টার দ্বারা সরকারের পরিষেবা অধিদফতরে উচ্চ পদস্থ পদে যেতে পারেন।
আরোও পড়ুনঃ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়
বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন জেলায় ৩১টি সরকারি নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ও ব্যাচেলর ইন মিডওয়াইফারি কোর্স চালু করেছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ বছর মেয়াদি নার্সিং ট্রেনিং করে আপনি এ পেশায় যোগ দিতে পারবেন। এছাড়া উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
নিচে আমাদের দেশের স্বনামধন্য কিছু নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার এর নাম দিয়েছি ।

    • ঢাকার অভ্যন্তরে স্কয়ার কলেজ অফ নার্সিং।
    • ইউনাইটেড কলেজ অফ নার্সিং।
    • স্টেট কলেজ অফ হেলথ সায়েন্সেস (ধানমন্ডি)।
    • ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজ।
    • যশোর ও খুলনায় অ্যাডিন নার্সিং ইনস্টিটিউট
    • কমিউনিটি নার্সিং কলেজ।
    • রংপুরের প্রাইম নার্সিং কলেজ।
    • টিএমএসএস নার্সিং কলেজ, বগুড়ার।

সিলেটের বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী নার্সিং কলেজ।একটি সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষৎ গড়ে তোলতে চাইলে নার্সিং পেশা টি আপনার জন্য হতে পারে একটি কার্যকরী মাধ্যম। কর্মঠ ও দক্ষ নার্সদের চাহিদা কখনোই কমবে না। নার্সিং এ ডিপ্লোমা করে আপনি একজন ভবিষৎ নার্স হতে পারবেন এবং দেশ ও সমাজের মানুষের উপকারে আসবেন। আশা করি আমাদের আজকের লেখা টি পরে আপানি ডিপ্লোমা নার্সিং ও নার্সিং এর সাথে সম্পর্কিত অন্য বিষয় গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।

Categories
মেডিকেল কলেজ

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।এর নাম পূর্বে ছিল মিটফোর্ট হাসপাতাল। ১৮৫৫ সালের আগে এর নাম ছিল ওলন্দাজ কুঠি, যা ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হত। সু চিকিৎসার জন্য অনেকে যারা বাহির থেকে আসে জানতে চায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়।দেশবরেণ্য অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিৎসক ও বিদেশি ডাক্তারের সাক্ষাত গ্রহণের গ্রহণের কথা ভাবছেন তাদের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের ঠিকানা জানা খুবই জরুরী। তারা খুব সহজে ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা মিটফোর্ড হাসপাতালের সঠিক অবস্থান জানতে পারবেন গুগল ম্যাপ থেকে । এছাড়া তাদের সুবিধার্থে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায় নিচে দেওয়া হল।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়

এটি পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে আপনি এখানে আসতে পারবেন গণ পরিবহনে করে। আপনি যদি ঢাকা কখনো না এসে থাকেন তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। ঢাকা শহরের কম বেশি সবাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়।চিনে। আপনি যদি বাস এ আসেন তাহলে বাস আপনাকে সায়দাবাদ বাস স্টেশন বা কমলাপুর স্টেশন এ থামাবে।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়

সেখান থেকে আপনি রিকশা বা সিএনজি তে করে বাবুবাজার ব্রিজ এর নিচে চলে আসবেন।রাস্তায় জ্যাম না থাকলে ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের এর মধ্যে আপনি মেডিকেল কলেজ এ পোঁছাতে পারবেন। তাছাড়া আপনি ফেইসবুক এ যেসব ট্রাভেল গ্রুপ আছে সেখানে ও পোস্ট করে জেনে নিতে পারবেন প্রয়োজনীয় তথ্য। গুগল ম্যাপ থেকে আপনার গন্তব্যস্থল থেকে কলেজ এর দূরত্ব কত এবং কেমন সময় লাগতে পারে তা জেনে নিতে পারবেন।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ইতিহাস

প্রথম ১৮২০ সালে মিটফোর্ড হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। সেসময়ে কালেক্টর রবার্ট মিটফোর্ড এই উদ্যোগ নেন। ১৮৩৬ সালে তার মৃত্যুর সময়ে তিনি তার সম্পত্তি এই হাসপাতালের জন্য দান করে যান তার মৃত্যুর সময়। পরে লর্ড ডালহৌসি এই সম্পত্তির উপর হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। তার দানকৃত সম্পত্তির মূল্য ছিল তখনকার ১,৬০০০০ টাকা। আরও পরে ১৮৫৮ সালের পহেলা মে মিটফোর্ড হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। আরো অনেকে তখন এই হাসপাতালের জন্য অর্থ সাহায্য প্রদান করেন। চার বছর ধরে এর নির্মাণ কাজ চলেছিল। একটি মহিলা এবং দুইটি পুরুষ ওয়ার্ড নিয়ে এর শুরু। হাসপাতালটিতে প্রথমে বেড ছিল ৯২ টি।

১৮৭৫ সালের পহেলা জুলাই ঢাকা মেডিকেল স্কুল-এর যাত্রা শুরু শুরু হয়। ১৮৮৭ সালের ২ এপ্রিল মেডিকেল স্কুলের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই বছর পর ১৮৮৯ সালের ২২ অক্টোবর এর উদ্বোধন করা হয়। ১৯০৩ সালে ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ এখানে প্রসূতি ও মহিলা বিভাগ স্থাপনের জন্য অনুদান দেন। ১৯৬২ সালে ঢাকা মেডিকেল স্কুল মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হয় এবং কলেজটির মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ নামে এর নামকরণ করা হয়। পরের বছর ১৯৬৩ সালে কলেজের নাম পরিবর্তন করে নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নামে নবাবদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ করা হয়। কলেজটি পরিপূর্ণ ভাবে মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হয় ১৯৭২ সালে এবং এমবিবিএস কোর্সের প্রথম ব্যাচ ভর্তি হয় শুরু হয় ১৯৭৩ সালে।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ করোনা টিকা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্দি, কাশি, জ্বরসহ যে কোন রোগের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য হটলাইন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ করোনা টিকা এর ব্যাপারে অনেকেই জানতে চেয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০টি হটলাইন নম্বর চালু হবে এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচটি নম্বর চালু থাকবে আগামী শনিবার থেকে। দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, করোনাভাইরাসের জরুরি এই সময়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫টি হটলাইন নম্বর চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কেনা হয়েছে মুঠোফোন। মুঠোফোনে এই সেবা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। যেকোনো ব্যক্তি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের এই হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা নিতে পারবেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে থাকা ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছে পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এসব রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আলাদা একটি কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে করোনা আইসোলেশন ইউনিট। এখন পর্যন্ত সেখানে পাঁচটি বেড রয়েছে।

আইইডিসিআর বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে সময় লাগে ১৪ দিন। এই সময়ে সবাইকে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বাড়িতে একা একা থাকতে হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন। নতুন হটলাইন নম্বর ১৬২৬৩। চিকিৎসকেরা বলছেন, সাধারণত জ্বর দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। পরে দেখা দিতে পারে শুকনো কাশি। এর সঙ্গে মাথাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা, জ্বর ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এসব লক্ষণ প্রকাশের পর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কাজে যোগ দিতে এবং কোয়ারান্টিনের খরচ বাঁচাতে প্রবাসীদের টিকাদানের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ৷ এজন্য জনশক্তি কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)-তে নিবন্ধন করে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকা নেওয়া সুযোগ রাখা হয়েছে৷

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এর প্রধান অধ্যক্ষ জানান জানান, ডিজি হেলথ-এর সাথে তাদের মিটিং হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ করোনা টিকা প্রয়োগ নিয়ে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সব রকম প্রস্তুতি সেরে ফেলতে বলেছেন। সে নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। সম্ভাব্য স্থান হচ্ছে হাসপাতালের ১১ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে ভ্যাকসিন প্রয়োগের স্থান নির্ধারিত হতে পারে। এছাড়া তিনি জানান, যারা টিকা দিবে তাদের ট্রেনিং দেওয়া হবে। এছাড়া সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ভারত সরকারের উপহারের ২০ লাখ টিকা আগে এলে আগেই বিতরণ শুরু হবে। প্রথমে সীমিত আকারে ঢাকায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে, পরবর্তীতে সারাদেশে জাতীয়ভাবে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। চারটি টিম কাজ করবে জেলা পর্যায়ে এবং দুটি টিম কাজ করবে উপজেলা পর্যায়ে। মেডিক্যাল কলেজের ছয়টি টিম কাজ করবে। আমাদের যে সব ইনস্টিটিউট আছে সেখানেও টিম পাঠানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশনগুলোতে প্রতিদিন দুই লাখ মানুষ টিকা পাবে। প্রাথমিকভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা প্রদান করা হবে না। টিকা সংরক্ষণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি । প্রথমে ২০ লাখ টিকা আসছে। পরবর্তীতে আরও ৫০ লাখ টিকা আসবে। টিকা সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যেমন চেইন, জনবল, ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করতে হয়েছে।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ফোন নাম্বার

আপনারা যারা দীর্ঘদিন যাবৎ রোগে ভুগতেছেন তাদের চিকিৎসার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল মিটফোর্ড হাসপাতালে স্বনামধন্য অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ফোন নাম্বার আপনাদের কাছে থাকা জরুরি। এখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ডাক্তারগণ নিয়মিত ভিজিট করেন। সেরা বিদেশি চিকিৎসকগণের মধ্যে ডক্টর সতীশ যেইন , পরিচালক যেইন ই এন টি হাসপাতাল (জয়পুর) ভারত। ডক্টর আদিত্য ইয়ালকার (পুনে) ও ডক্টর সুদীপ্ত চন্দ্র কলকাতা নিয়মিত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল হাসপাতাল আসেন।

এইসকল দেশি ও বিদেশি স্পেশালিস্ট ডাক্তারদের তালিকা, অ্যাপার্টমেন্ট নাম্বার, যোগাযোগ, ঠিকানা, চেম্বারের ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও অগ্রিম সিরিয়ালের তথ্যগুলো এই খানে জানানো হয়েছে। ডাক্তারের অগ্রিম সিরিয়াল গ্রহণ করার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট ফোন নাম্বার কল করবেন। কেননা আগে থেকে সিরিয়াল গ্রহণ করতে না পারলে বিভিন্ন প্রকার বিভ্রান্তি ও ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে। না হলে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ও কষ্ট পোহে তারপর ডাক্তারের সাক্ষাত মিলবে।

আপনি যখন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে চাইবেন। তখন এই হাসপাতালের জরুরী নাম্বার গুলো জানা খুবই জরুরী। জরুরী নাম্বার গুলো জানা থাকলে খুব সহজে কখন ডাক্তার বসেন, হাসপাতাল বন্ধ খোলা আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে পারবেন। তাই জরুরী ফোন নাম্বার গুলো আপনার নিজ দায়িত্বে জেনে রাখবেন।
ইমেইল: [email protected]
ফোন নম্বর: 01713091558, +880 2 7319002-5, 7312398, 7117404।
হটলাইন: 02-57319002
ওয়েবসাইট: ssmcbd.net
আরোও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ডাক্তারের তালিকা

অত্যন্ত মেধাবী, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, দীর্ঘদিন সকল বিভাগের স্পেশালিস্ট, অধ্যাপক, সহযোগী, অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ডাক্তাররা নিয়মিত মিটফোর্ড হাসপাতালে বসেন। তাদের মূল্যবান পরামর্শ নেওয়া নিয়ে অনেক রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হয়। তাই তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য জানা দরকার। সে সকল তথ্য গুলো এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারবেন। তাই সকল তথ্য জানতে চোখ রাখুন।
ডাঃ এম এ আউয়াল
• এমবিবিএস, এমএস (ইউরোলজি), এফআরএসএইচ (লন্ডন)
• ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
ডাঃ মোঃ মাহমুদুর রহমান মাসুদ
• এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (ইউরোলজি)
• ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন
ডাঃ মোঃ শফিকুর রহমান পাটোয়ারী
•এফসিপিএস (মেডিসিন), এমবিবিএস, এমডি (কার্ডিওলজি), এমসিপিএস (মেডিসিন)
• কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
ডা. মোঃ ফজল করিম
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (হেপাটোলজি)
• লিভার ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. নুরুন নাহার বেগম
• এমবিবিএস (ডিসিএইচ),), ফেলো নিওনাটোলজি (সিঙ্গাপুর) এফসিপিএস (পেডিয়াট্রিক্স), এমডি (নিওনাটোলজি),
• শিশু ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. এ জেড এম সাখাওয়াত হোসেন শাহীন
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারি)
• জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
অধ্যাপক ডা. বেগম শরিফুন নাহার
• এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমডি (শিশু)
• শিশু বিশেষজ্ঞ
ডাঃ মোঃ মাকসুদুর রহমান
• এমবিবিএস, ডিডিভি, এমসিপিএস (চর্মরোগ)
• চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. বেলায়েত হোসেন খান
• এমবিবিএস, এফআরএসএইচ, এমসিপিএস, এমপিএইচ, পিএইচডি
• গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং লিভার বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. রেহান হাবিব
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি)
• গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. এম. এ. কবির
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন)
• মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
ডাঃ শিরোপা ইসলাম
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (চর্মরোগ ও ভিডি)
• চর্মরোগ ও ভেনারোলজি বিশেষজ্ঞ
ডা. মোঃ শাহিনুর রহমান
• এমবিবিএস, ডিডিভি
• চর্ম, এলার্জি ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. মোঃ আকরাম হোসেন
• এমবিবিএস, এমডি (চর্মরোগ)
• চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ
ডা. আমিরুজ্জামান সুমন
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন)
• মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

কে এই নবাব সলিমুল্লাহ

খাজা সলিমুল্লাহ বা নবাব সলিমুল্লাহ (৭ জুন ১৮৭১-১৬ জানুয়ারি ১৯১৫) ঢাকার চতুর্থ নবাব ছিলেন খাজা সলিমুল্লাহ বা নবাব সলিমুল্লাহ (৭ জুন ১৮৭১-১৬ জানুয়ারি ১৯১৫)[। তার পিতা ছিলেন নবাব খাজা আহসানউল্লাহ ও পিতামহ ছিলেন নবাব খাজা আব্দুল গনি। তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। যদিও তিনি জীবদ্দশায় এই বিশ্ববিদ্যালয় দেখে যেতে পারেননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে স্থানে অবস্থিত তার একটি বড় অংশের জমি নবাবের প্রদান করা।

নবাব সলিমুল্লাহ ছবি
নবাব সলিমুল্লাহ ছবি

যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয় নিয়ে অনেকেই ভিন্ন মত দাবি করেছেন। তবে বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য থেকে এটা নিশ্চিত যে একটা বড় অংশ নবাব সলিমুল্লাহর কাছ থেকে এসেছে।এছাড়া এতে তার অনেক অবদান ও রয়েছে। মুসলিম হল, ইসলামিয়া এতিমখানা, মিটফোর্ড হাসপাতাল ও সার্ভে স্কুল প্রতিষ্ঠার সঙ্গেও সলিমু্ল্লাহ নামটিকে ঘিরে বেশ কিছু জনশ্রুতি রয়েছে। ইতিহাসের স্বার্থেই ইতিহাসের সত্যগুলো আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। পূর্ব বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নওয়াব সলিমু্ল্লাহর নানামুখী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম ছাত্রদের প্রথম ছাত্রাবাসের নাম রাখা হয় ‘সলিমুল্লাহ মুসলিম হল’।

সলিমুল্লাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামিয়া এতিমখানাটি তাঁর মৃত্যুর পর নামকরণ করা হয় ‘সলিমুল্লাহ এতিমখানা। রবার্ট মিটফোর্ড নামে ঢাকার এক সাবেক জেলা প্রশাসকের প্রদত্ত অর্থ দিয়ে ১৮৫৮ সালে মিটফোর্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। কালের পরিক্রমায় ১৮৭৫ সালে স্থাপিত হয় ঢাকা মেডিকেল স্কুল। মিডফোর্ড হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে এই মেডিকেলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অধ্যয়ন চলমান থাকে। ১৯৬২ সালে স্কুলটিকে কলেজে রূপান্তর করা হয়। নামকরণ করা হয় ‘মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ’। পরবর্তীতে নাম বদলে রাখা হয় ‘স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ।

বর্তমানে হাসপাতাল ও কলেজ মিলে পূর্ণ নাম ‘স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা বুয়েটের শুরু ১৮৭৬ সালে ঢাকা সার্ভে স্কুলের মাধ্যমে। ১৯০২ সালে তৎকালীন সরকার সার্ভে স্কুলকে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিলে অর্থাভাবে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছিল না। নওয়াব আহসানুল্লাহ সে সময় ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ইতিমধ্যে তিনি ইন্তেকাল করলে পরবর্তী সময়ে নওয়াব সলিমুল্লাহ সেই অর্থ পরিশোধ করেন। বিদ্যায়তনটির নামকরণ করা হয় ‘আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল।

১৯৪৭ সালে এটি কলেজে উন্নীত করা হয়। ১৯৬২ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নাম দেওয়া হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়’। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকার সমাজ জীবন পঞ্চায়েত পদ্ধতিকে সুসংগঠিত করার ক্ষেত্রে নওয়াব সলিমুল্লাহর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি খেলাধুলার পৃষ্ঠপোষকতা যেমন করতেন, তেমনি করতেন গান-বাজনা, বায়োস্কোপ প্রদর্শনী, নাট্যাভিনয় প্রভৃতির পৃষ্ঠপোষকতাও। ঈদ, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম প্রভৃতি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন।
আরোও পড়ুনঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় জার্মানির খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ফ্রিৎজ ক্যাপ ঢাকায় স্টুডিও স্থাপন করেন। স্বনামধন্য সেই আলোকচিত্রীর ছবি ঢাকার অনেক সামাজিক ইতিহাসের সাক্ষী। বঙ্গভঙ্গ রদের ঘটনায় নওয়াব সলিমুল্লাহ দারুণ মর্মাহত হন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে স্থবিরতা আসে। ১৯১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি তিনি ইন্তেকাল করেন। মাত্র ৪৪ বছরের জীবনে নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ সর্বভারতীয় পর্যায়ে যতটুকু প্রভাব ফেলতে পেরেছিলেন তা তাঁর উত্তর ও পূর্বপুরুষদের কেউই পারেননি।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

কেউ যদি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এর সাথে যুক্ত হতে চান তাহলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি যখন দেয় তখন চাকরির জন্য এপ্লিকেশন করতে হবে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সকল তথ্য দেয়া থাকে। চাকরি অনুযায়ী কি কি যোগ্যতা এবং কাগজ পত্র লাগবে তা সব উল্লেখ করে দেয়া হয়। তারপরে ও কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে কলেজ কতৃপক্ষ এর সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান।
আরোও পড়ুনঃ রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

দেশবরেণ্য অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকগণ সব সময় কর্তব্যরত থাকেন। বাংলাদেশের মিটফোর্ড হাসপাতাল যেখানে বিনামূল্যে অপারেশনের সুযোগ পাবেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ন ও ব্যয়বহুল অপারেশন, পলিপ,টিউমার, পিটুইটারি, টিউমার, কানেক্ট ইউর গলার ক্যান্সার সম্পূর্ণ স্বল্পমূল্যে অপারেশন করা হয়। যেসকল রোগীরা এসব সমস্যায় ভুগতেছেন। তারা খুব সহজেই অল্প টাকা খরচ করে এইসব চিকিৎসাগুলো নিতে পারেন। তাছাড়া মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অনেক ডাক্তার রয়েছে। তাদের পরামর্শ নিয়ে মেডিসিন বিষয়ক সকল সমস্যা দ্রুত সমাধান পাবেন।

এই প্রতিবেদনে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এর সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই পেইজটি ভালো লাগলে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন।

Categories
মেডিকেল কলেজ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

বাংলাদেশে যতো গুলো মেডিকেল কলেজ রয়েছে তার মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ। এটি কোথায় অবস্থিত সেটি নিয়ে আলোচনাক করবো। এই কলেজটি ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন এই প্রতিষ্ঠনটি বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই কলেজ থেকে স্নাতক পর্যায়ে পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি ঢাকার শাহাবাগ এ অবস্থিত। এটি শাহাবাগ থানার, শাহবাগমোড়ে জাতীয় জাদুঘরের উত্তরে এই হাসপাতালটির অবস্থান। এই মেডিকেল কলেজটিতে মোট পাঁচটি বহুতল ভবন রয়েছে; ব্লক এ, বি, সি, ডি এবং কেবিন ব্লক। এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষা,গবেষণা এবং চিকিৎসা সমান্তরাল ভাবে চলে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত

ব্লক- এ
এই ভবনটিতে কি কি আছে তা যানবো এ- ব্লকটি সাত তলা বিশিষ্ট,লাইব্রেরী, এখানে আছে অডিটোরিয়াম, লেকচার থিয়েটার, হাসপাতালের রেকর্ড শাখা, ছাত্র হোস্টেল, ডেন্টাল অনুষদ এবং ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগ।

ব্লক- বি
এই ব্লকটি ছয় তলা ভবন, এর পূর্ব অংশে উপাচার্যের অফিস, কন্ট্রোলার অফিস, প্রশাসনিক বিভিন্ন অফিস, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, কনফারেন্স হল, রেডিওলজি বিভাগ, ডিজিটাল লাইব্রেরী, রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র, হাসপাতালের রন্ধন কেন্দ্র, এন্ডোসকপি কক্ষ, এমআরআই কক্ষ ও সিটি স্ক্যান এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং সেবিকাদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

এই ব্লকের পশ্চিম অংশ নয় তলা বিশিষ্ট ভবন, এটিতে রয়েছে এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্র, ফার্মাকোলজি, প্যাথলজি, হেমাটোলজি, ভাইরোলজি এবং মাইক্রোবায়োলজিসহ প্রায় সবগুলো বিভাগের অবস্থান এই ভবনটিতে। এখানে ওয়ানস্টপ ল্যাববেরটরী সেবাও দেয়া হয় বি ব্লকের নিচ তলা থেকে।

ব্লক-সি
এর পরে ১০ তলা ভবন নিয়ে সি ব্লকটি হচ্ছে মূল হাসপাতাল ভবন। এই হাসপাতাল পরিচালকের অফিসসহ পরিচালকের অন্যান্য অফিস, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, পিজিক্যাল মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট, পিডিয়াট্রিকস, নবজাতক বিভাগ, পিডিয়াট্রিক নিউরোলজি, অফথালমোলজি, নাক, কান, গলা, অবস্টেট্রিকস এবং গাইনিকোলজি, সার্জারি, লিথোট্রিপসি কক্ষ, হেপাটোবিলিয়ারি সার্জারি, এনেসথিওলজি, পেইন ক্লিনিক, অপারেশন থিয়েটার, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের অবস্থান এই সি ব্লকে।

ব্লক-ডি
এই ব্লক টি আঠারো তলা ভবন নিয়ে এর অবস্থান; ভবনটি এখনো নির্মাণাধীন। ক্যাজুয়ালটি বিভাগ, জরুরি বিভাগ, অবস্টেট্রিক ও গাইনিকোলজি ইমার্জেন্সী, কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সী, অর্থোপেডিকস ইমার্জেন্সী, কার্ডিওলজি, হেপাটোলজি, পিডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারলজি, অর্থোপেডিকস, সাইকিয়াট্রি, গ্যাস্ট্রোএন্টারলজি, হেমাটোলজি, মেডিসিন এবং অনকোলজি বিভাগের অবস্থান এই ব্লকে।

এছাড়া এই মেডিকেলে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিনের অবস্থানও এই ব্লকে। এবং কম্পিউটারাইজড আলট্রাসনোগ্রাফি, গামা ক্যামেরাসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা আছে এখানে।

এই সবগুলো ক্যাজুয়ালটি ডিপার্টমেন্ট, নিউরোসার্জারি, মেডিসিন বহির্বিভাগ, সার্জারি, গ্যাস্ট্রোএন্টারলজি, হেমাটোলজি, হেমাটোলজি, সাইকিয়াট্রি, পিডিয়াট্রিক সার্জারিএবং হাসপাতালের ডিসপেনসারি আলাদা একটি কমপ্লেক্সে অবস্থিত।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফোন নাম্বার

ফোন: +৮৮-০২-৯৬৬১০৫১-৫৬, +৮৮-০২-৯৬৬১০৫৮-৬০,

+৮৮-০২-৮৬১৪৫৪৫-৪৯ +৮৮-০২-৮৬১২৫৫০-৫৪

ওয়েব সাইট: www.bsmmu.org

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কোন থানায় অবস্থিত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাহবাগ থানায় অবস্থিত। শাহবা মোড়ে জাতীয় যাদু ঘরে উত্তরে এটি অবস্থিত।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের তালিকা

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শুরু থেকে এখন পযন্ত যারা দায়িত্ব প্লন করেছেন, সেই সব অধ্যক্ষর দের তালিকা। তার মধ্যে প্রথম অধ্যক্ষ ডা. মেজর উইলিয়াম জন ভারজিন

ক্রম
নাম
মেয়াদকাল
০১ ডা. মেজর উইলিয়াম জন ভারজিন ০১.০৭.১৯৪৬ ১৪.০৮.১৯৪৭
০২ ডা. লে. কর্নেল এডওয়ার্ড জর্জ মন্টোগোমেরি ১৫.০৮.১৯৪৭ ১৯.০৭.১৯৪৮
০৩ অধ্যাপক টি আহমেদ ১৯.০৭.১৯৪৮ ০১.০১.১৯৫২
০৪ ডা. কর্নেল এম কে আফ্রিদি ০১.০১.১৯৫২ ২০.০৩.১৯৫৩
০৫ অধ্যাপক নওয়াব আলী ২১.০৩.১৯৫৩২১.০৩.১৯৫৩ ১০.০৪.১৯৫৪
০৬ অধ্যাপক এ কে এম এ ওয়াহেদ <১১.০৪.১৯৫৪/td> ২০.০১.১৯৫৫
০৭ অধ্যাপক নওয়াব আলী ২১.০১.১৯৫৫ ০১.০২.১৯৫৭
০৮ অধ্যাপক মো. রেফাত উল্লাহ ০১.০২.১৯৫৭ ০১.০৯.১৯৫৮
০৯ অধ্যাপক হাবিব উদ্দীন আহমেদ ০২.০৯.১৯৫৮ ০৪.০৬.১৯৫৯
১০ ডা. লে. ক. এম এম হক ০৪.০৬.১৯৫৯ ১১.০৯.১৯৬৩
১১ অধ্যাপক এ কে এস আহমেদ ৯.০৯.১৯৬৩ ২৮.১২.১৯৬৩
১২ ডা. গোলাম কিবরিয়া ২৮.১২.১৯৬৩ ০৮.০২.১৯৬৪
১৩ ডা. লে. ক. বোরহানুদ্দীন ০৯.০২.১৯৬৪ ২৭.০১.১৯৬৯
১৪ অধ্যাপক কে এ খালেদ ২৭.০১.১৯৬৯ ৩০.১২.১৯৭০
১৫ ডা. সাইফুল্লাহ ০১.০১.১৯৭১ ২০.০৫.১৯৭১
১৬ অধ্যাপক এম আর চৌধুরী ২৫.০৫.১৯৭১ ০২.০৭.১৯৭৪
১৭ অধ্যাপক এম এ জলিল ০৩.০৭.১৯৭৪ ০৬.০৫.১৯৭৬
১৮ অধ্যাপক এম এ কাশেম ০৭.০৫.১৯৭৬ ০১.১০.১৯৭৮
১৯ অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ ০২.১০.১৯৭৮ ২৫.১১.১৯৮০
২০ অধ্যাপক মাজহারুল ইমাম ২৫.১১.১৯৮০ ০১.১০.১৯৮১
২১ অধ্যাপক এম এ মাজেদ ০১.১০.১৯৮১ ০২.০৭.১৯৮২
২২ অধ্যাপক এম আই চৌধুরী ০২.০৭.১৯৮২ ৩১.০১.১৯৮৫
২৩ অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম ১.০১.১৯৮৫ ১৩.১২.১৯৮৬
২৪ অধ্যাপক ওয়ালিউল্লাহ ৩.১২.১৯৮৬ ৩০.০১.১৯৯০
২৫ অধ্যাপক এম. কবিরউদ্দীন আহমেদ ৩১.০১.১৯৯০ ৩০.০৩.১৯৯১
২৬ অধ্যাপক জওয়াহুরুল মাওলা চৌধুরী ৩০.০৩.১৯৯১ ১৪.০১.১৯৯৫
২৭ অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ ১৪.০১.১৯৯৫ ২২.০১.১৯৯৫
২৮ অধ্যাপক এম এ হাদী ২২.০১.১৯৯৫ ৮.০৭.১৯৯৬
২৯ অধ্যাপক এ বি এম আহসান উল্লাহ ১৮.০৭.১৯৯৬ ১৯.০৯.১৯৯৯
৩০ অধ্যাপক এ কে এম শহীদুল ইসলাম ১৯.০৯.১৯৯৯ ২৯.০৮.২০০১
৩১ অধ্যাপক মো. আবদুল কাদির খান ২৯.০৮.২০০১ ১৫.১১.২০০১
৩২ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ ১৫.১১.২০০১ ০৭.০৮.২০০৩
৩৩ অধ্যাপক মো. ফজলুল হক ০৭.০৮.২০০৩ ২৯.০৯.২০০৩
৩৪ ২৯.০৯.২০০৩ ২৬.০৬.২০০৬
৩৫ অধ্যাপক সৈয়দ মাহবুবুল আলম ২০.০৬.২০০৬ ০১.০৩.২০০৭
৩৬ অধ্যাপক এম আবুল ফয়েজ ০১.০৩.২০০৭ ০৭.০১.২০০৮
৩৭ অধ্যাপক কাজী দীন মোহাম্মদ ১৭.০১.২০০৮ ০৯.০১.২০১৪
৩৮ অধ্যাপক মো. ইসমাইল খান ০৯.০১.২০১৪ ১৩.০৫.২০১৭
৩৯ অধ্যাপক শফিকুল আলম চৌধুরী (ভারপ্রাপ্ত) ১৩.০৫.২০১৭ ১৩.০৬.২০১৭
৪০ অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ ১৩.০৬.২০১৭ ৩১.১২.২০২০
৪১ অধ্যাপক মোঃ টিটো মিঞা ০১.০১.২০২১

আড়ও পড়ুনঃ
ফরিদপুর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত
রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক

এই কলেজের উপাচার্য হাসপাতালটির সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী। এই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়।

Categories
মেডিকেল কলেজ

ফরিদপুর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত
আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ফরিদপুরের অন্যতম সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ সম্পর্কে। আলোচনা করব এটি কোথায় অবস্থিত। কিভাবে ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে যাবেন এ নিয়ে বিস্তারিত।

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড! সুধু মাত্র একটা ভালো ও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থায় পারে, একটা জাতিকে পরিবর্তন করতে। বিশ্ব বিখ্যাত সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট ( Samrat Napolian Bonaparte) বলেছেন “ তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও। (Give me an educated mother) আমি তোমাদেরকে একটি শিক্ষিত জাতি দেবো। (I will give you an educated nation. ”

বর্তমান দেশে প্রায় ৩৭ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ৯৬টি বেসরকারি কলেজ রয়েছে। এর মধ্য ঢাকা বিভাগে প্রায় ১০ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ অবস্থিত। এছাড়াও দেশের অন্যান বিভাগ যেমনঃ- রাজশাহী বিভাগে ৫ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩টি, খুলনা বিভাগে ৫ টি, রংপুর বিভাগে ৩ টি, সিলেট বিভাগে ৩ টি, এবং বরিশাল বিভাগে ২ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

ফরিদপুর শহরে অবস্থিত, কলেজ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সরকারি কলেজ হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ। যার প্রাক্তন নাম ছিল ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ। এটি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ নামে প্রসিদ্ধিলাভ করেছে। যেটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি সরকারি কলেজ। এখানে ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্সে বর্তমানে ১৮০টি আসন রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

আছেন অধ্যাপক ডাঃ মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
এটির বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯০০ জন। কলেজটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হলঃ www.bsmmc.edu.bd ২০১৭ সালের ১৫ এ জুন কলেজটির নতুন করে সকল কার্যক্রম চালু হয় এবং স্থায়ী ক্যাম্পাসে শুরু হয়।

আপনি চাইলে বাংলাদেশের যে কোন জেলা থেকে এই নান্দনিক কলেজটিতে ভর্তি হয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। কলেজটির একপাশে নতুন করে নির্মাণ হয়েছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। যেখানে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার রোগী তাদের নানা সমস্যা নিয়ে ভিড় করেন।

এছাড়া কলেজটি অবকাঠামো এতটাই সুন্দর যে, প্রত্যেক দিন বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে দেখা মিলে শতশত দর্শনার্থী। কলেজটি যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত তাই বুঝাই যাচ্ছে শিক্ষা মানে অনেক বেশি উন্নত। তাই আপনি যদি চান খুব সহজে এখানে স্বল্প খরচে ভর্তি হয়ে আপনার কলেজ জীবনকে গড়ে তুলতে পারেন।

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে ঢাকা বিভাগের (প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগ) একটি জেলা ও প্রশাসনিক অঞ্চল হল ফরিদপুর জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে ফরিদপুর জেলাটি বাংলাদেশের একটি “A” শ্রেণীভুক্ত জেলা।

যেভাবে ঢাকা থেকে কলেজটাতে যেতে পারবেন

ঢাকা থেকে ফরিদপুর ১১৮ কিলোমিটার যেটি মানিকগঞ্জের ওপর দিয়ে সোজা গিয়ে মিলিত হয়েছে ফরিদপুরে। ফরিদপুর পৌঁছাতে সর্বউচ্চ ২-৩ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। আপনেরা যারা ঢাকা থেকে ফরিদপুরে সকালের গাড়িতে যেতে ইচ্ছুক তারা চাইলে কমফোর্ট লাইন পরিবহন এর নন এসি টিকেট নিয়ে সরাসরি ফরিদপুর উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন
যেটি সকাল 7 টা 45 মিনিটে ঢাকা থেকে ফরিদপুর কাউন্টার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এবং ফরিদপুর কাউন্টারে এসে পৌঁছাতে সময় লাগে 9 টা 45 মিনিট। এছাড়াও ঢাকা টু ফরিদপুরে দুপুরে ও রাতে বিভিন্ন ধরনের বাস পাওয়া যায়। যেমনঃ গ্রীনলাইন বাস। গোল্ডেন লাইন বাস। শ্যামলী ট্রাভেলস। সাকুরা পরিবহন ইত্যাদি।
যেকোন বাসে ছড়ে খুব সহজে। ফরিদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল কলেজে আসতে পারেন। কলেজটি মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত।

আরও পড়ুনঃ রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

Categories
মেডিকেল কলেজ

রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

রংপুর মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গের রংপুর জেলায় অবস্থিত একটি সরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়। এটি ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজধানী ঢাকা হতে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি রংপুর শহরের ধাপ এলাকার জেল রোডে জেলা কারাগারের বিপরীতে অবস্থিত। রংপুর মেডিকেল কলেজ এর মূল ক্যাম্পাস এবং হাসপাতালের আয়তন প্রায় ৭৬০০ বর্গমিটার।

রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত

বাংলাদেশের মধ্যে যতো গুলো মেডিকেল কলেজ রয়েছ তার মধ্যেঅন্যতম এটি একটি। এই মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস টি বাংলাদেশের রংপুরের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত। এই কলেজটি রাজশাহী থেকে ২১০ কিলোমিটার ও ঢাকা থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কুড়িগ্রাম সদর থেকে ৫৩ কিলোমিটার দূরত্ব। এই মেডিকেল কলেজটি আন্তঃদেশীয় রংপুর সদর (সৈয়দপুর-নীলফামারী) মহাসড়কের পাশে অবস্থিত।

রংপুর মেডিকেল কলেজ

রংপুর মেডিকেল কলেজ ১৯৭১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন প্রথম ব্যাচে শিক্ষার্থী ছিলো ৫০ জন যা বতর্মানে ১৭৫ জন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সমুহের জন্য প্রতি বছর ১০টি আসন সংরক্ষিত থাকে যেমন ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ।

রংপুর মেডিকেল কলেজের অফিস সম্পর্কিত

উত্তর বঙ্গের একটি ঐতিহ্যবাহী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এটি ৬৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয় ১৯৬৬ সালে। এর পর ১৯৭৬ সালের ১৯ শে র্মাচ তৎকালীন সরকারের স্থাস্হ্য বিষয়ক উপদেষ্টা জাতীয় অধ্যাপক মরহুম ডাঃ ইব্রাহিম এই হাসপাতাল ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তখন থেকেই এই হাসপাতালের সেবা কার্য্যক্রম শুরু হয়। এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১০০০ টি। এই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবাকার্য্যক্রমকে কয়েকভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ ইনডোর বিভাগ, আউটডোর বিভাগ , জরুরী বিভাগ ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। এছাড়াও ডায়রিয়া ট্রেনিং ইউনিট, ইপিআই প্রোগ্রাম, ইওসি কার্য্যক্রম, ডটস কর্ণার, এম,আর ক্লিনিক, মডেল ফ্যামিলি প্লানিং ক্লিনিক, ব্রেষ্ট ফিডিং সেন্টার , সমাজ সেবা কার্য্যক্রম ইত্যাদি। এই হাসপাতালটি অত্র এলাকার ৮ টি জেলার বিপুল পরিমান দুস্থ জনগনের সেবা কার্য্যক্রমের জন্য প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে।

ইতিহাস

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের গভর্নর জেনারেল মোনায়েম খান, পূর্ব পাকিস্তানে আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে ১৯৬৬ সালে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট রংপুর মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পর্বতীতে এটি ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট করা হয়।

Categories
শিক্ষা

Hello world!

Welcome to WordPress. This is your first post. Edit or delete it, then start writing!