Categories
নার্সিং

ডিপ্লোমা নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি নার্সিং কি

নার্সিং একটি অত্যন্ত সম্মানজনক পেশা। যারা নার্সিং পেশায় ক্যরিয়ার গড়তে চায় তারা বেশির ভাগ সময় জানতে চায় ডিপ্লোমা নার্সিং কি। ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কোর্সটি তিন বছর মেয়াদি একটি নার্সিং কোর্স। নার্সিং এ ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে খুব সহজেই আত্মনির্বরশীল এবং সাবলম্বী হওয়া সম্ভব। নার্সিং পেশা টির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। চলুন জেনে নেই ডিপ্লোমা নার্সিং কি

ডিপ্লোমা নার্সিং কি

ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কোর্সটি তিন বছর মেয়াদি একটি নার্সিং কোর্স। ঠিক যেমন বিভিন্ন ধরনের নার্স আছে, ঠিক তেমনি বিভিন্ন ধরনের নার্সিং ডিগ্রি আছে। আপনি যদি একজন নার্স হতে চান, তাহলে আপনাকে নার্সিং ডিগ্রির প্রকারের বিষয়ে আরও জানতে হবে এবং আপনার ভবিষ্যত নার্সিং ক্যারিয়ারের জন্য প্রয়োজনীয় ডিগ্রি কোথায় পাবেন তা আমরা নিচে আলচনা করেছি।

নার্স এর কাজ কি?

একজন ভালো নার্স হতে হলে আপনাকে অবশ্যই নার্স এর কাজ কি তা জানতে হবে। নিচে একজন নার্স কি ধরণের কাজ করে থাকেন তা দেয়া হলো একজন নার্স চিকিৎসা ক্ষেত্রে হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিটে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকে। অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে OT, ICU, CCU, HDU, NICU, Emergency ইউনিট এ কাজ করতে পারে। নার্সরা হাসপাতালে এবং হাসপাতালের বাইরে কাজ করে সেসব রোগীদের জন্য, যারা শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন। নার্সের প্রধান কাজ হচ্ছে অসুস্থ রোগীদের জন্য মেডিকেল ও নার্সিং কেয়ার সরবরাহ করা।

একজন নার্সের প্রধান কাজ গুলো হচ্ছেঃ রোগীর চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রোগীর শারীরিক অবস্থা কেমন আছে তা পরীক্ষা করা এবং আগে রোগীর অন্য কি সমস্যা ছিল তা জেনে নেওয়া; রোগীকে কাউন্সেলিং করা এবং Patient এডুকেশন সরবরাহ করা; ঔষধ সরবরাহ করা, তা সেবনে সাহায্য করা এবং এবং রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় নার্সিং ইন্টারভেনশন পরিচালনা করা এবং
হাসপাতালের অন্য ডাক্তার,হেলথ প্রফেশনাল,এবং অন্য নার্স দের সাথে মিলেমিশে কাজ করা।

নার্সিং কত প্রকার

নার্সিং এ উজ্জ্বল ক্যরিয়ার তৈরী করতে হলে নার্সিং কত প্রকার তা জানতে হবে।

  • নার্সিং এর মধ্যে তিন ধরনের কোর্স আছে। ANM, GNM এবং Bsc নার্সিং। এরমধ্যে শুধুমাত্র মহিলারা ANM কোর্স করতে পারবেন এবং , পুরুষ ও মহিলা উভয়ই GNM ও Bsc কোর্স,নিতে পারেন।
  • নার্সিং মধ্যে অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রী (ADN)এটি হচ্ছে দুই বছরের ডিগ্রি যা একটি কমিউনিটি কলেজ বা বৃত্তিমূলক স্কুল থেকে পাওয়া যায়। এই ডিগ্রী টি একজন নিবন্ধিত নার্স হতে হলে অবশ্যই প্রয়োজ। তাই নিয়োগকর্তারা আরএন নার্সিং ডিগ্রী নেয়ার কথা বলেন। স্নাতক ডিগ্রী এর পাশাপাশি এ ডিগ্রী টি কাজের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ত পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নার্সিং এর ব্যাচেলর অব সায়েন্স (বিএসএন) নার্সিংয়ের (বিএসএন) একটি স্নাতক ডিগ্রী।
  • নার্সিং ক্যারিয়ার ভালোমতো গড়ে তোলতে হলে এ ডিগ্রী টি খুব দরকারি। এটি ব্যাচেলর ডিগ্রি যা সাধারণত একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে চার বছরের জন্য করতে হয়। শিক্ষর্থীরা যাতে ক্লিনিকাল বিভাগে রোগীর সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে তাই বেশিরভাগ নার্সিং ডিগ্রির মতো, নার্সিংয়ের বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক শ্রেণীতে ক্লিনিক্যাল নামে একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যা ক্লিনিক্যালি নামে পরিচি।
  • নার্সিং (এমএসএন) ডিগ্রি কলেজের মাস্টার
  • নার্সিং এ আপনি একটি সম্মিলিত ব্যাচেলর/ মাস্টার প্রোগ্রামের জন্য মনোনীত হওয়ার জন্য নার্সিং বা এ সম্পর্কিত ক্ষেত্রের মধ্যে একটি স্নাতক ডিগ্রী থাকতে হবে। একজন ভালো নার্স (APN বা APRN) হতে নার্সিংয়ের একটি স্নাতক ডিগ্রি অনেক প্রয়োজন।
  • নার্সিং মধ্যে ডক্টরেট ডিগ্রী
  • নার্সিংয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন এই ডক্টরেট লেভেল ডিগ্রি অর্জন করে । আপনি অবশ্যই প্রথমে স্নাতক এবং তারপর মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করার আগে নার্সিংয়ের ডক্টরেট ডিগ্রি সম্পন্ন করবেন।
  • নার্সিং এ দুই ধরনের ডক্টরেট ডিগ্রী আছে: নার্সিং প্র্যাক্টিসের ডক্টর (DNP) যা নার্সিং ক্লিনিকালের দিক এবং নার্সিং সায়েন্সের একটি ডক্টর ডিগ্রী। যারা পরবর্তীতে নার্সিং প্রোগ্রাম বা গবেষকগণের অধ্যাপক হতে চান তাদের জন্য এটি পছন্দের ডিগ্রী।

নার্সিং পড়ার যোগ্যতা

যারা নার্স হতে চায় তারা নার্সিং পড়ার যোগ্যতা কি এ বেপারে জেনে রাখা ভালো। নার্সিং এ চাইলেই যে কেও পড়তে পারে না। নার্সিং পড়ার যোগ্যতা কেবল থাকলেই আপনি নার্সিং এ পড়তে পারবেন। নার্সিং এ ভর্তি হতে হলে এসএসসি তে আপনাকে ২.২৫ কমপক্ষে পেতে হবে এবং উচ্চমাধ্যমিক এ ৫ ২.২৫ কমপক্ষে পেতে হবে। নাহলে আবেদন করা যাবে না।আপনাকে একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী হুতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের সেবা পরিদপ্তর সরকারি নার্সিং সেন্টার গুলুর পরীক্ষা নিয়ে থাকে। বাংলাদেশে নার্সিং পেশার যাত্রা ব্রিটিশ- ইন্ডিয়া হতে শুরু হলেও এটি প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় ১৯৮৭ সালে।

নার্সিং এর জনক কে

আমাদের প্রত্যেকের এ জানা উচিত এ মহান পেশা নার্সিং এর জনক কে। নার্সিং এর জনক বলা হয় ফ্লোরেন্সে নাইটিঙ্গেলকে। ছোটবেলা থেকে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল (Florence Nightingale) এর স্বপ্ন ছিল তিনি একজন নার্স হবেন। কিন্তু তখনকার সময়ে নার্সিং পেশা টি কে সম্মানের চোখে দেখা হতো না। এছাড়া ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এর বাবা মা চাননি ফ্লোরেন্সএকজন নার্স হোক।তাই ফ্লোরেন্সকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। কেননা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল (Florence Nightingale) এর নিজ বাড়িতে তার স্বপ্নটি পূরণ করা সম্ভব ছিলনা।

ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এর জীবনী বাংলায় ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এর আত্মজীবনী নাম পরিচিত। ১৮৫৩ সালে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল প্রথম প্যারিসের এক মিশনারী হাসপাতালে নার্স হিসাবে কাজ শুরু করেন। প্রথমে পরিবার তাকে বাধা দিয়েছিলো, কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে তিনি নার্সের চাকরিতে যোগদান করেন। এই হাসপাতালে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল (Florence Nightingale) তার অসাধারণ নিষ্ঠা, শ্রম ও সেবার মাধ্যমে সবার মন জয় করে ফেলেন। এরপর নাইটিঙ্গেল লন্ডনের হারল স্ট্রটের এক হাসপাতালে যোগদান করেন সুপারিনটেনডেন্ট হিসাবে। ১৮৫৩ সালেই শুরু হয় ক্রিমিয়ার যুদ্ধ।

ব্রিটিশ সৈন্য অবতরণ করে ক্রিমিয়াতে। কিন্তু সেখানে যুদ্ধে আহত পঙ্গু সৈনিকদের কোনাে চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় আহত সৈনিকদের মাঝে নেমে আসে অবর্ণনীয় দুঃখ– দুর্দশা। কষ্ট – যন্ত্রণা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল সেবার ব্রত নিয়ে এগিয়ে এলেন। প্রথমে সরকার তাকে অনুমতি দিতে চায়নি। কেননা তখন নারীদের এমন স্বাধীনতা ছিল না। কিন্তু নাইটিঙ্গেলের অপরিসীম আগ্রহের কারণে শেষমেশ সরকার তাকে যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল হাসপাতালের সেবাকর্মের ও কর্মপদ্ধতির আমূল পরিবর্তন আনলেন।

নাইটিঙ্গেল আহত সৈনিকদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখার জন্য প্রতি রাতে আলো হাতে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন আহত সৈনিকদের শয্যার পাশে। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল (Florence Nightingale) পরম স্নেহে ও মমতায় তাদের সেবাশুশ্রুষা করতে লাগলেন। নিতে লাগলেন সবার কুশলাদি। তিনি তার সেবাশুশ্রুষা ও মমতা দ্বারা সকল সৈনিকের মন জয় করে নিলেন। আহত সৈনিকরা তাকে এতটাই শ্রদ্ধা করতো যে , ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল (Florence Nightingale) যখন আলো হাতে তাদের বিছানার পাশ দিয়ে হেঁটে যেতেন, তখন যে ছায়া পড়ত, সৈনিকগণ পরম শ্রদ্ধায় সেই ছায়ায় চুমু দিতেন। তারা তাকে ‘ লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প ’ উপাধিতে ভূষিত করে ।

মিডওয়াইফারি নার্সিং কি

অনেকেই ডিপ্লোমা ইন নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি নার্সিং এক মনে করে থাকে ।কিন্তু দুইটিএক নয়। চলুন জেনে নেই মিডওয়াইফারি নার্সিং কি একজন মিডওয়াইফ বা ধাত্রী গর্ভাবস্থায়, প্রসব বেদনা এবং প্রসবের প্রারম্ভিক অবস্থায় নারী এবং শিশুদের পরামর্শ, যত্ন এবং সহায়তা প্রদান করেন। তিনি নারীদেরকেগর্ভাবস্থার সময়ে তত্ত্বাবধানে রেখে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে উপদেশ দেন এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার বেপারে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য ও শিশুর পরিচর্যা বিষয়ক নানা তথ্য এবং উপদেশ প্রদান করেন।

একজন মিডওয়াইফ কোথায় কাজ করেন?

যারা নার্সিং নিয়ে পড়াশুনা করবে তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চাকরী করার সুযোগ পাবে। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
গুলোতেও চাকরী করার সুযোগ পাবে। এমনকি দেশের বাহিরেও চাকরী করার সুযোগ থাকবে তাদের।

একজন মিডওয়াইফের কাজ কী

  • গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা
  • গর্ভাবস্থায় মায়ের কোন শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া ও প্রয়োজনে গাইনি ডাক্তারের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা।
  • গর্ভবতী নারীকে সন্তান প্রসবের আগেমানসিকভাবে প্রস্তুত করা
    গাইনি ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী সন্তান প্রসবের সময় বা গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সাহায্য করা।
  • সদ্যোজাত শিশুর প্রাথমিক যত্ন নিশ্চিত করা
  • মা ও তার পরিবারকে সদ্যোজাত শিশুর যত্ন কীভাবে নিতে হবে এ বেপারে পরামর্শ দেয়।

একজন মিডওয়াইফের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ আপনি যেকোন সরকারি বা বেসরকারি নার্সিং কলেজ বা নার্সিং ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি বা বিএসসি ইন মিডওয়াইফারি কোর্স সম্পন্ন করে থাকলে এ পদে চাকরির আবেদন করতে পারেন।

  • প্রসবকালীন সমস্যার চিকিৎসা সম্পর্কিত জ্ঞান
  • সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত সচেতনতা
  • মানসিক চাপ সামলানোর দক্ষতা

কোথায় পড়বেন মিডওয়াইফারি?

  • সরকারী নার্সিং কলেজ
  • নার্সিং ইন্সটিটিউট
  • মিডওয়াইফারি ইন্সটিটিউট

একজন মিডওয়াইফের মাসিক আয় কেমন?

জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী এ পেশায় বেতন ৳১৬,০০০ – ৳৩৮,৬৪০ পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। বেসরকারি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাকেন্দ্রে মাসিক বেতন দশ হাজার থেকে ১৫ হাজার হয়।

একজন মিডওয়াইফের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

এ পেশায় নির্দিষ্ট কোন পদবিন্যাস নেই। তবে ৮ – ১০ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জনের পর চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিযুক্ত মিডওয়াইফদের সুপারভাইজার হিসাবে নিয়োগ পেতে পারেন। বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স সরকারি নার্সিং কলেজগুলো থেকে করতে চাইলে খরচ পড়বে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর চার বছরে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হবে বেসরকারি কলেজগুলোতে। তবে বেসরকারি পর্যায়ের কলেজগুলোতে খরচ প্রতিষ্ঠানভেদে কমবেশি হয়ে থাকে। আর সরকারি কলেজগুলোতে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং করতে কোর্স ফি লাগে না।

নার্সিং পড়ার খরচ

নার্সিং পড়তে চাইলে নার্সিং পড়ার খরচ সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে ।চলুন দেখে নেই নার্সিং পড়ার খরচ কেমন সরকারী নার্সিং কলেজ থেকে নার্সিং কোর্সে বিএসসি করতে চাইলে আপনাকে ব্যয় করতে হবে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর বেসরকারী কলেজগুলি আরো ব্যয়বহুল। এ ক্ষেত্রে খরচ হবে চার বছরে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা। এবং সরকারী কলেজগুলিতে নার্সিং ডিপ্লোমা করার জন্য কোন কোর্স ফি নেই। প্রতি মাসে তারা ভাতা হিসাবে কিছু টাকা পান। এই বছর, আপনি সরকারী পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে চান, আপনাকে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে।

অনেকেরই প্রশ্ন আছে, বেসরকারীভাবে নার্সিং পড়তে কত খরচ হয়? তা আসলে কোর্সের মান এবং প্রতিষ্ঠানের মানের উপর নির্ভর করে। প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাধারণত নার্সিং সায়েন্স ও মিডওয়াইফারিতে ডিপ্লোমা করার জন্য১২০,০০০ হাজার থেকে ১৬০,০০০ টাকা এবং১৮,০০০ থেকে ২৬০,০০০ টাকা দিতে হয় নার্সিংয়ে বিএসসি-র জন্য। এখানে আরও একটি বিষয় রয়েছে আপনাকে সব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা যাবে না, আপনাকে দেখতে হবে প্রতিষ্ঠানটি বিএনএমসি অনুমোদিত কিনা। তদুপরি, কম টাকার জন্য অনেককে ভর্তি করার প্রলোভনে বিভ্রান্ত হবেন না। পুরো গবেষণা শেষে আপনারা একটি বেসরকারী সংস্থায় ভর্তি হন। কারণ এখানে সচেতনতার সামান্য অভাব আপনার পুরো ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

একবার আপনি মূল শংসাপত্র এবং মার্কশিট জমা দিলে তারা কোর্স শেষ হওয়ার আগে আপনাকে তা কখনই ফিরিয়ে দেবে না। ফিরে আসার একমাত্র উপায় হল একবারে পুরো কোর্স ফি প্রদানের মাধ্যমে ভর্তি বাতিল করা। বিএনএমসি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন না। কারন অনেক লোক অজান্তে কারিগরি বোর্ডের সাথে যুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে ভর্তি হন। কিন্তু এখন থেকে পাস করলে আপনারা বিএনএমসি রেজিস্ট্রেশন পাবেন না, যার কারণে ভবিষ্যতে সরকারী চাকরীর জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

নার্সিং ট্রেনিং

বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের মতে, নার্সিং পেশায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, কেবল দেশেই নয় বিদেশেও।তাই নার্সিং ট্রেনিং খুব এ দরকারি, দক্ষ নার্সিং সিস্টেম তৈরি করতে। বিশেষত মালয়েশিয়া, কাতার, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে নার্সিং খুব এ জনপ্রিয় এবং চাহিদাবহুল। বর্তমানে এই পেশায় এখন যেমন শ্রদ্ধা রয়েছে তেমনি সম্ভাবনাও রয়েছে অনেক । এখানে অন্যান্য চাকরির মতো পদ উন্নয়নের পাশাপাশি একটি ভাল বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা রয়েছে। দক্ষতা এবং জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্সরা সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং সুপারিন্টেন্ডেন্ট, নার্সিং প্রশিক্ষণ কলেজের প্রশিক্ষক হতে পারেন। এছাড়াও নার্সরা পরিশ্রম এবং চেষ্টার দ্বারা সরকারের পরিষেবা অধিদফতরে উচ্চ পদস্থ পদে যেতে পারেন।
আরোও পড়ুনঃ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়
বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন জেলায় ৩১টি সরকারি নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ও ব্যাচেলর ইন মিডওয়াইফারি কোর্স চালু করেছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ বছর মেয়াদি নার্সিং ট্রেনিং করে আপনি এ পেশায় যোগ দিতে পারবেন। এছাড়া উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
নিচে আমাদের দেশের স্বনামধন্য কিছু নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার এর নাম দিয়েছি ।

    • ঢাকার অভ্যন্তরে স্কয়ার কলেজ অফ নার্সিং।
    • ইউনাইটেড কলেজ অফ নার্সিং।
    • স্টেট কলেজ অফ হেলথ সায়েন্সেস (ধানমন্ডি)।
    • ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজ।
    • যশোর ও খুলনায় অ্যাডিন নার্সিং ইনস্টিটিউট
    • কমিউনিটি নার্সিং কলেজ।
    • রংপুরের প্রাইম নার্সিং কলেজ।
    • টিএমএসএস নার্সিং কলেজ, বগুড়ার।

সিলেটের বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী নার্সিং কলেজ।একটি সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষৎ গড়ে তোলতে চাইলে নার্সিং পেশা টি আপনার জন্য হতে পারে একটি কার্যকরী মাধ্যম। কর্মঠ ও দক্ষ নার্সদের চাহিদা কখনোই কমবে না। নার্সিং এ ডিপ্লোমা করে আপনি একজন ভবিষৎ নার্স হতে পারবেন এবং দেশ ও সমাজের মানুষের উপকারে আসবেন। আশা করি আমাদের আজকের লেখা টি পরে আপানি ডিপ্লোমা নার্সিং ও নার্সিং এর সাথে সম্পর্কিত অন্য বিষয় গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।

9 replies on “ডিপ্লোমা নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি নার্সিং কি”

[…] সাধারণত গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া মে থেকে জুন মাসের মধ্যে শুরু হয় এবং আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয় জুলাই মাসে। আগষ্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরের হয়ে থাকে। পরীক্ষার পূর্ণ নম্বর থাকে ১০০ তে এবং পাশ মার্ক ৪০ নম্বর এর হয়ে থাকে। পরীক্ষার রেজাল্ট বিবেচনা করে প্রত্যেক ছাত্রীর পরীক্ষার নম্বর অনুযায়ী গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলোতে নাম দেওয়া হয়ে থাকে। আরোও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি না… […]

Great beat ! I would like to apprentice while you amend your web site, how could i subscribe for a blog site? The account helped me a acceptable deal. I had been a little bit acquainted of this your broadcast provided bright clear concept

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *