Categories
ভেষজ খাদ্য

প্রাকৃতিক ফল আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

সুস্থ থাকতে হলে আমরা কত ধরনের চেষ্টাই তো করি। পুষ্টিকর খাবার খাই,ব্যয়াম করি ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করার চেষ্টা করি। তবে সুস্থ থাকতে হলে যে ভেষজ উপাদান কিন্তু খুবই কাজে দেয়। তা কি আমরা জানি ? অনেকেই এ সম্পর্কে বেশি জানি না। ভেষজ উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো আমলকি। এর গুণাগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। তো চলুন জেনে নেয়া যাক এর গুণাগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে।

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

আমলকি হলো ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অন্যান্য উপাদান রয়েছে।এর এতো গুণাগুণ থাকার জন্য এটিকে বিভিন্ন ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এটি শীতকালে বেশি পাওয়া যায়। শীতকালে এটির বিশেষ সুবিধা রয়েছে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ পেয়ারার চেয়ে ৩ গুণ ও কাগজী লেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি রয়েছে। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে এটি আমাদের শরীর ও ত্বকের জন্য কতটা উপকারী। নিচে এটির বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক…

  • আমলকি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এজন্য কয়েক টুকরো আমলকি মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
  • আমলকি বমির সমস্যা সমাধান করে।
  • আমলকির রস পান করলে শরীরের জ্বর কমে যায়।
  • দাঁতের ব্যথা ও দাঁতের ক্ষয়রোধ করতে আমলকি ও কর্পূর মিশিয়ে দাঁতে লাগান। এতে ভালো ফল পাওয়া যায়।
  • নিয়মিত আমলকির রস পানে শরীরের কোলেস্টেরল কমে যায় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • এতে থাকা ভিটামিন সি সর্দি কাশি উপশম করতে সাহায্য করে।
  • ডায়াবেটিক রোগীর জন্য আমলকি দারুন উপকারী।
  • আমলকি শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দেয় ফলে আমাদের যকৃত বা লিভার সুস্থ থাকে।
  • আমলকিতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • আমলকিতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুণ যা ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমলকি খুবই কার্যকর। এজন্য প্রতিদিন আমলকির গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • আমলকি খেলে মুখের দুর্গন্ধ‌‌‌ দূর হয়।

আমলকির ইংরেজি নাম

আমলকির ইংরেজি নাম হলো “Amla” বা “Indian Gooseberry” ।এর আরো কয়েকটি ইংরেজি নাম রয়েছে – Malacca Tree, Emblic Myrobalan বা Emblic Myrobalan ইত্যাদি। এটিকে সংস্কৃত ভাষায় বলা হয় “আমলক”। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো “Phyllanthus Emblica“। এটি ফাইলান্থাসি গোত্রের ফাইলান্থুস গণের অন্তর্ভুক্ত এক ধরনের ভেষজ ফল।

খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

আমরা অনেকেই খালি পেটে লেবুর রস পান করে থাকি। কিন্তু যেহেতু আমলকিতে লেবুর তুলনায় অনেক বেশি ভিটামিন সি ও খনিজ পদার্থ বিদ্যমান সেহেতু খালি পেটে আমলকি ও দারুন উপকারী। খালি পেটে আমলকি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ

  1. কুসুম গরম পানিতে কয়েক টুকরো আমলকি দিয়ে সেই পানি পান করলে খুব ভালো। মধুর সাথে আমলকি মিশিয়ে খেলে আরো ভালো।
  2. খালি পেটে আমলকি খেলে শরীর থেকে দ্রুত টক্সিক উপাদান বের হয়ে আসতে পারে।
  3. এটি শরীরে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
  4. দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি করে আমলকিতে বিদ্যমান ভিটামিন সি।
  5. সকালে খালি পেটে আমলকি খেলে এটি পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করে ও সকল দূষিত পদার্থ বের করে দেয়।
  6. যাদের অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তারা খালি পেটে আমলকি খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

শুকনো আমলকির উপকারিতা
যেহেতু আমলকি সারা বছর পাওয়া যায় না তাই একে শুকনো করে সংরক্ষণ করতে হয়। শুকনো আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও আছে অনেক। নিচে তা দেওয়া হলোঃ।

  1. অনিদ্রাজনিত রোগ নিরাময় করে শুকনো আমলকি।
  2. প্রতিদিন দুই বেলা শুকনো আমলকি খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়।
  3. এছাড়াও অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধানে শুকনো আমলকি খুবই কার্যকর।
  4. খাওয়ায় অরুচি থাকলে শুকনো আমলকি খেলে উপকার পাওয়া যায়।

ত্বকের যত্নে আমলকির ব্যবহার

ত্বকের যত্নে আমলকির ব্যবহার
ত্বকের যত্নে আমলকির ব্যবহার

এবার চলুন জেনে নেই ত্বকের যত্নে আমলকি কিভাবে ব্যবহার করতে হয়।

ত্বকের দাগ দূর করতে আমলকি দারুন উপকারী। ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এটি প্রচুর পরিমাণে থাকে আমলকিতে। এক্ষেত্রে আমলকির রস ও অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের যাবতীয় দাগ দূর হয়।

রোজ সকালে আমলকির রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

এছাড়াও আমলকির রস সরাসরি মুখে লাগালেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এজন্য ত্বকে আমলকির রস মুখে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

নিয়মিত আমলকির রস পান করলে ত্বকের মধ্যে বয়সের ছাপ পড়ে না ও ত্বক টানটান থাকে‌।

আমলকির রস ও বাদামের তেল মিশিয়ে মুখে লাগালে তা ত্বকের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে ও ব্রণের দাগ দূর করে।

ত্বকের কালো কালো ছোপ দূর করে আমলকির রস। এজন্য লেবুর রসের সাথে আমলকির রস মিশিয়ে মুখে লাগালে উপকার পাবেন।

আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ত্বকের মরা কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য আমলকির রস , চালের গুঁড়া ও গোলাপ জল মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে মুখে ম্যাসাজ করলে ত্বকের মরা কোষ দূর হয়।

প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ফর্সা করতে আমলকির রস , বাদাম গুঁড়া ও চন্দন গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে মুখে মাখলে এটি ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে উজ্জ্বল করে তোলে।

ত্বকের অ্যালার্জি ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে আমলকির রস। এজন্য আমলকি বাটার সাথে কয়েক চামচ দুধ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ৪০ মিনিট।

আমলকি ও পেঁপে ত্বকের পিগমেন্টেশন দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য আমলকির রস ও পেঁপে বাটা দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। এটি সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

এটি সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপযোগী। এটি ত্বকে কোনো ধরনের ইরিটেশন করে না।

কাঁচা হলুদ বাটা ও আমলকির রস একত্রে মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের মরা কোষ দূর করে ও ত্বককে উজ্জ্বল করে।

উপরোক্ত নিয়মে আমলকির রস ব্যবহার করলে আপনার ত্বক ভালো থাকবে।

চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার

চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার
চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার

চুলের যত্নে আমলকি যে কতটা উপকারী তা অবশ্যই কারো অজানা নয়।
এটি চুলের যত্নে যেভাবে ব্যবহার করতে হয় এটিও সবার জেনে রাখা জরুরি।

চুল পড়া সবার একটা কমন সমস্যা। এই সমস্যা দূরীকরণে আমলকি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এজন্য বিভিন্ন ভাবে আমলকি ব্যবহার করা যায়।

✓ এক চামচ আমলকির রস, এক চামচ মধু ও দু চামচ টক দই একত্রে মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করুন। এটি চুলে মেখে নিন ও ৩০ মিনিট রেখে দিন।এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করুন।

✓সরাসরি আমলকির রস চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে রেখে দিন ১০-২০ মিনিট। এরপর চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে ‌।

✓আমলকির তেল চুলের গোড়ায় মালিশ করলে চুলের ফলিকল মজবুত হয় ও চুল পড়া বন্ধ হয়।

যাদের অকালে চুল পেকে যাচ্ছে তারা আমলকি হেয়ার ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য কয়েকটি আমলকি কেটে পানিতে দিয়ে আধাঘণ্টা ফুটিয়ে নিন। ফুটে গেলে এটিকে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন, আপনার পাকা চুলে কালোভাব এসে পড়বে।

আমলকিতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট চুলের খুশকি দূর করে ও বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন থাকলে তা নিরাময় করে।

আমলকিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চুলকে সিল্কি ও মজবুত করে। সেই সাথে চুলের আগা ফাটা রোধ করে।

আমলকি চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এটি চুলকে শাইনি করে তোলে।

আমলকির রস পান করলে চুলের গোড়া শক্ত হয় ও চুল ঘন হয়।

আমলকি ব্যবহারে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে ও সহজে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যায় না।

নারকেল তেল হালকা গরম করে এতে কয়েক ফোঁটা আমলকির রস মিশিয়ে চুলে মালিশ করলে চুলের বৃদ্ধি ঘটে ও আগা ফাটা রোধ হয়।

খুশকি দূরীকরণে আমলকির রসের সাথে কয়েকটি তুলসী পাতা বেটে মিশিয়ে নিন ও চুলে ব্যবহার করুন। এতে ভালো ফল পাবেন।

আমলকির ব্যবহার চুলের যত্নে বহুকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে চুলের বিভিন্ন ঔষধ তৈরিতে এর ব্যবহার অনেক ব্যাপক। তাই এটি চুলের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে কার্যকর।
আরও পড়ুনঃ বহেড়ার খাওয়ার উপকারিতা এবং চুলের যত্নে বহেড়ার ব্যবহার

আমলকির তেল

আমলকির তেল
আমলকির তেল

চুলের যত্নে আমলকির তেলের ব্যবহার ব্যাপক। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির আমলকির তেল পাওয়া যায়। এছাড়াও অনেকে ঘরোয়াভাবে আমলকির তেল তৈরি করে নেন। ঘরোয়া ভাবে তৈরি করা আমলকির তেল সম্পূর্ণ অরগানিক হয় বলে এর উপকারিতা অনেক। চলুন জেনে নেয়া যাক ঘরে কিভাবে তৈরি করবেন আমলকির তেল।

যা যা লাগবে:

আমলকি -১০/১৫ টি
নারকেল তেল-¼ কাপ
কারি পাতা – ¼ কাপ
ভিটামিন ই ক্যাপসুল – ৫ টি
তিলের তেল – ৩ কাপ

যেভাবে তৈরি করবেন

আমলকি ভালো মতো ধুয়ে নিন। ছুরি দিয়ে কেটে শাস আলাদা করে বিচি ফেলে দিন। কারি পাতা ও ¼ কাপ নারকেল তেলের সাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন মিহি করে।

একটি কড়াই চুলাতে দিয়ে এতে ৩ কাপ তিলের তেল দিয়ে আমলকির মিহি মিশ্রণ দিয়ে কম আঁচে নাড়তে থাকুন। প্রায় ৪৫ মিনিট পর রং পাল্টিয়ে গেলে নামিয়ে ৮ ঘন্টা ঢেকে রাখুন।এরপর একটা পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিন। তৈরি হয়ে গেল আমলার তেল। এই তেল আপনি চাইলে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন। চুলের যত্নে এই তেল খুবই ভালো। ভারতীয়রা এই তেল বেশি ব্যবহার করে থাকেন। কেননা এই তেল চুলের জন্য সবচেয়ে বেশি উপাকারি।

আমলকির সিরাপ

আমলকির সিরাপ

আমলকি আমাদের শরীরের জন্য কতটা ভালো তা আমরা ইতোমধ্যে জেনে গেছি। অনেকে সরাসরি আমলকির রস বা গুঁড়ো খেতে পারে না। তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে আমলকির সিরাপে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ কোম্পানী আমলকির সিরাপ বাজারে নিয়ে এসেছে। তবে অবশ্যই এটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। চলুন তাহলে এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক…

উপকারিতা:

✓ যাদের খাবারে রুচি নেই তাদেরকে ডাক্তার আমলকির সিরাপ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে মুখের রুচি বৃদ্ধি পায়।

✓দেহে ভিটামিন সি এর ঘাটতি দেখা দিলে আমলকির সিরাপ খাওয়া যেতে পারে।

✓আবার অনেকে মোটা হওয়ার জন্য এই সিরাপ সেবন করে থাকেন।

✓আমলকির সিরাপ হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

অপকারিতা:

উপকারিতার পাশাপাশি আমলকির সিরাপ সেবনে বেশ কিছু সমস্যা ও দেখা দিতে পারে। যেমন:

✓এই সিরাপ সেবনের ফলে গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

✓এটি দীর্ঘদিন ধরে সেবন করার পর হঠাৎ খাওয়া বন্ধ করে দিলে ঠোঁট ও জিহ্বা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

✓এটি অতিমাত্রায় সেবনের কারণে স্বাস্থ্যহানি ও ঘটতে পারে।

আমলকি রসায়ন

আমলকির বিভিন্ন ধরনের সিরাপের মধ্যে “আমলকি রসায়ন” একটি। এটি কাঁচা আমলকির নির্যাস দ্বারা তৈরি একটি ভিটামিন সিরাপ। এটি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি সিরাপ। এটি শতভাগ ক্যামিক্যাল মুক্ত ও প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এটি সেবনের ফলে যা যা উপকার পাবেন তা নিচে দেওয়া হলো:

  • এটি সেবন করলে বুকের জ্বালাপোড়া দূর হয়।
  • খাওয়ায় অরুচি , ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি দূর করে।
  • হজমে দূর্বলতা দূর করে।
  • খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে ।
  • গ্যাসজনিত পেট ব্যথা দূর করে।তবে অবশ্যই এই সিরাপ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। তা না হলে সমস্যা হতে পারে।

আমলকির অপকারিতা

আমলকির এতো গুণাগুণ থাকার পর ও এর কিন্তু কিছু অপকারিতা ও আছে। অতিরিক্ত আমলকি খেলে শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নেই এ সম্পর্কে বিস্তারিত…

এতে অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি অতিরিক্ত সেবনে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন: পেট ব্যথা, পেট খারাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি।

এটি ঠান্ডা ধাঁচের হওয়ায় এটি অতিরিক্ত খেলে সর্দি কাশির সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

এতে অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে কিডনি রোগীদের জন্য এটি কম খাওয়াই ভালো।

অন্তঃস্বত্ত্বা নারীদের আমলকি না খাওয়াই ভালো।

আমলকির প্রভাবে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।

পাকস্থলীতে এসিডের মাত্রা বেড়ে গিয়ে বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া হতে পারে।

তাই পরিমিত পরিমাণে আমলকি খাওয়া উচিত এবং দিনে ২ টার বেশি আমলকি না খাওয়াই ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *