স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।এর নাম পূর্বে ছিল মিটফোর্ট হাসপাতাল। ১৮৫৫ সালের আগে এর নাম ছিল ওলন্দাজ কুঠি, যা ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হত। সু চিকিৎসার জন্য অনেকে যারা বাহির থেকে আসে জানতে চায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়।দেশবরেণ্য অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিৎসক ও বিদেশি ডাক্তারের সাক্ষাত গ্রহণের গ্রহণের কথা ভাবছেন তাদের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের ঠিকানা জানা খুবই জরুরী। তারা খুব সহজে ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা মিটফোর্ড হাসপাতালের সঠিক অবস্থান জানতে পারবেন গুগল ম্যাপ থেকে । এছাড়া তাদের সুবিধার্থে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায় নিচে দেওয়া হল।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়
এটি পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে আপনি এখানে আসতে পারবেন গণ পরিবহনে করে। আপনি যদি ঢাকা কখনো না এসে থাকেন তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। ঢাকা শহরের কম বেশি সবাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ কোথায়।চিনে। আপনি যদি বাস এ আসেন তাহলে বাস আপনাকে সায়দাবাদ বাস স্টেশন বা কমলাপুর স্টেশন এ থামাবে।
সেখান থেকে আপনি রিকশা বা সিএনজি তে করে বাবুবাজার ব্রিজ এর নিচে চলে আসবেন।রাস্তায় জ্যাম না থাকলে ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের এর মধ্যে আপনি মেডিকেল কলেজ এ পোঁছাতে পারবেন। তাছাড়া আপনি ফেইসবুক এ যেসব ট্রাভেল গ্রুপ আছে সেখানে ও পোস্ট করে জেনে নিতে পারবেন প্রয়োজনীয় তথ্য। গুগল ম্যাপ থেকে আপনার গন্তব্যস্থল থেকে কলেজ এর দূরত্ব কত এবং কেমন সময় লাগতে পারে তা জেনে নিতে পারবেন।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ইতিহাস
প্রথম ১৮২০ সালে মিটফোর্ড হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। সেসময়ে কালেক্টর রবার্ট মিটফোর্ড এই উদ্যোগ নেন। ১৮৩৬ সালে তার মৃত্যুর সময়ে তিনি তার সম্পত্তি এই হাসপাতালের জন্য দান করে যান তার মৃত্যুর সময়। পরে লর্ড ডালহৌসি এই সম্পত্তির উপর হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। তার দানকৃত সম্পত্তির মূল্য ছিল তখনকার ১,৬০০০০ টাকা। আরও পরে ১৮৫৮ সালের পহেলা মে মিটফোর্ড হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। আরো অনেকে তখন এই হাসপাতালের জন্য অর্থ সাহায্য প্রদান করেন। চার বছর ধরে এর নির্মাণ কাজ চলেছিল। একটি মহিলা এবং দুইটি পুরুষ ওয়ার্ড নিয়ে এর শুরু। হাসপাতালটিতে প্রথমে বেড ছিল ৯২ টি।
১৮৭৫ সালের পহেলা জুলাই ঢাকা মেডিকেল স্কুল-এর যাত্রা শুরু শুরু হয়। ১৮৮৭ সালের ২ এপ্রিল মেডিকেল স্কুলের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই বছর পর ১৮৮৯ সালের ২২ অক্টোবর এর উদ্বোধন করা হয়। ১৯০৩ সালে ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ এখানে প্রসূতি ও মহিলা বিভাগ স্থাপনের জন্য অনুদান দেন। ১৯৬২ সালে ঢাকা মেডিকেল স্কুল মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হয় এবং কলেজটির মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ নামে এর নামকরণ করা হয়। পরের বছর ১৯৬৩ সালে কলেজের নাম পরিবর্তন করে নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নামে নবাবদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ করা হয়। কলেজটি পরিপূর্ণ ভাবে মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হয় ১৯৭২ সালে এবং এমবিবিএস কোর্সের প্রথম ব্যাচ ভর্তি হয় শুরু হয় ১৯৭৩ সালে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ করোনা টিকা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্দি, কাশি, জ্বরসহ যে কোন রোগের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য হটলাইন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ করোনা টিকা এর ব্যাপারে অনেকেই জানতে চেয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০টি হটলাইন নম্বর চালু হবে এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচটি নম্বর চালু থাকবে আগামী শনিবার থেকে। দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, করোনাভাইরাসের জরুরি এই সময়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫টি হটলাইন নম্বর চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেনা হয়েছে মুঠোফোন। মুঠোফোনে এই সেবা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। যেকোনো ব্যক্তি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের এই হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা নিতে পারবেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে থাকা ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছে পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এসব রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আলাদা একটি কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে করোনা আইসোলেশন ইউনিট। এখন পর্যন্ত সেখানে পাঁচটি বেড রয়েছে।
আইইডিসিআর বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে সময় লাগে ১৪ দিন। এই সময়ে সবাইকে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বাড়িতে একা একা থাকতে হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন। নতুন হটলাইন নম্বর ১৬২৬৩। চিকিৎসকেরা বলছেন, সাধারণত জ্বর দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। পরে দেখা দিতে পারে শুকনো কাশি। এর সঙ্গে মাথাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা, জ্বর ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এসব লক্ষণ প্রকাশের পর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কাজে যোগ দিতে এবং কোয়ারান্টিনের খরচ বাঁচাতে প্রবাসীদের টিকাদানের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ৷ এজন্য জনশক্তি কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)-তে নিবন্ধন করে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকা নেওয়া সুযোগ রাখা হয়েছে৷
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এর প্রধান অধ্যক্ষ জানান জানান, ডিজি হেলথ-এর সাথে তাদের মিটিং হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ করোনা টিকা প্রয়োগ নিয়ে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সব রকম প্রস্তুতি সেরে ফেলতে বলেছেন। সে নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। সম্ভাব্য স্থান হচ্ছে হাসপাতালের ১১ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে ভ্যাকসিন প্রয়োগের স্থান নির্ধারিত হতে পারে। এছাড়া তিনি জানান, যারা টিকা দিবে তাদের ট্রেনিং দেওয়া হবে। এছাড়া সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ভারত সরকারের উপহারের ২০ লাখ টিকা আগে এলে আগেই বিতরণ শুরু হবে। প্রথমে সীমিত আকারে ঢাকায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে, পরবর্তীতে সারাদেশে জাতীয়ভাবে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। চারটি টিম কাজ করবে জেলা পর্যায়ে এবং দুটি টিম কাজ করবে উপজেলা পর্যায়ে। মেডিক্যাল কলেজের ছয়টি টিম কাজ করবে। আমাদের যে সব ইনস্টিটিউট আছে সেখানেও টিম পাঠানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশনগুলোতে প্রতিদিন দুই লাখ মানুষ টিকা পাবে। প্রাথমিকভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা প্রদান করা হবে না। টিকা সংরক্ষণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি । প্রথমে ২০ লাখ টিকা আসছে। পরবর্তীতে আরও ৫০ লাখ টিকা আসবে। টিকা সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যেমন চেইন, জনবল, ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করতে হয়েছে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ফোন নাম্বার
আপনারা যারা দীর্ঘদিন যাবৎ রোগে ভুগতেছেন তাদের চিকিৎসার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল মিটফোর্ড হাসপাতালে স্বনামধন্য অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ফোন নাম্বার আপনাদের কাছে থাকা জরুরি। এখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ডাক্তারগণ নিয়মিত ভিজিট করেন। সেরা বিদেশি চিকিৎসকগণের মধ্যে ডক্টর সতীশ যেইন , পরিচালক যেইন ই এন টি হাসপাতাল (জয়পুর) ভারত। ডক্টর আদিত্য ইয়ালকার (পুনে) ও ডক্টর সুদীপ্ত চন্দ্র কলকাতা নিয়মিত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল হাসপাতাল আসেন।
এইসকল দেশি ও বিদেশি স্পেশালিস্ট ডাক্তারদের তালিকা, অ্যাপার্টমেন্ট নাম্বার, যোগাযোগ, ঠিকানা, চেম্বারের ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও অগ্রিম সিরিয়ালের তথ্যগুলো এই খানে জানানো হয়েছে। ডাক্তারের অগ্রিম সিরিয়াল গ্রহণ করার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট ফোন নাম্বার কল করবেন। কেননা আগে থেকে সিরিয়াল গ্রহণ করতে না পারলে বিভিন্ন প্রকার বিভ্রান্তি ও ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে। না হলে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ও কষ্ট পোহে তারপর ডাক্তারের সাক্ষাত মিলবে।
আপনি যখন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে চাইবেন। তখন এই হাসপাতালের জরুরী নাম্বার গুলো জানা খুবই জরুরী। জরুরী নাম্বার গুলো জানা থাকলে খুব সহজে কখন ডাক্তার বসেন, হাসপাতাল বন্ধ খোলা আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে পারবেন। তাই জরুরী ফোন নাম্বার গুলো আপনার নিজ দায়িত্বে জেনে রাখবেন।
ইমেইল: [email protected]
ফোন নম্বর: 01713091558, +880 2 7319002-5, 7312398, 7117404।
হটলাইন: 02-57319002
ওয়েবসাইট: ssmcbd.net
আরোও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ডাক্তারের তালিকা
অত্যন্ত মেধাবী, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, দীর্ঘদিন সকল বিভাগের স্পেশালিস্ট, অধ্যাপক, সহযোগী, অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ডাক্তাররা নিয়মিত মিটফোর্ড হাসপাতালে বসেন। তাদের মূল্যবান পরামর্শ নেওয়া নিয়ে অনেক রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হয়। তাই তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য জানা দরকার। সে সকল তথ্য গুলো এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারবেন। তাই সকল তথ্য জানতে চোখ রাখুন।
ডাঃ এম এ আউয়াল
• এমবিবিএস, এমএস (ইউরোলজি), এফআরএসএইচ (লন্ডন)
• ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
ডাঃ মোঃ মাহমুদুর রহমান মাসুদ
• এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (ইউরোলজি)
• ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন
ডাঃ মোঃ শফিকুর রহমান পাটোয়ারী
•এফসিপিএস (মেডিসিন), এমবিবিএস, এমডি (কার্ডিওলজি), এমসিপিএস (মেডিসিন)
• কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
ডা. মোঃ ফজল করিম
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (হেপাটোলজি)
• লিভার ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. নুরুন নাহার বেগম
• এমবিবিএস (ডিসিএইচ),), ফেলো নিওনাটোলজি (সিঙ্গাপুর) এফসিপিএস (পেডিয়াট্রিক্স), এমডি (নিওনাটোলজি),
• শিশু ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. এ জেড এম সাখাওয়াত হোসেন শাহীন
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারি)
• জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
অধ্যাপক ডা. বেগম শরিফুন নাহার
• এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমডি (শিশু)
• শিশু বিশেষজ্ঞ
ডাঃ মোঃ মাকসুদুর রহমান
• এমবিবিএস, ডিডিভি, এমসিপিএস (চর্মরোগ)
• চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. বেলায়েত হোসেন খান
• এমবিবিএস, এফআরএসএইচ, এমসিপিএস, এমপিএইচ, পিএইচডি
• গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং লিভার বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. রেহান হাবিব
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি)
• গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. এম. এ. কবির
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন)
• মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
ডাঃ শিরোপা ইসলাম
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (চর্মরোগ ও ভিডি)
• চর্মরোগ ও ভেনারোলজি বিশেষজ্ঞ
ডা. মোঃ শাহিনুর রহমান
• এমবিবিএস, ডিডিভি
• চর্ম, এলার্জি ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
প্রফেসর ড. মোঃ আকরাম হোসেন
• এমবিবিএস, এমডি (চর্মরোগ)
• চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ
ডা. আমিরুজ্জামান সুমন
• এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন)
• মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
কে এই নবাব সলিমুল্লাহ
খাজা সলিমুল্লাহ বা নবাব সলিমুল্লাহ (৭ জুন ১৮৭১-১৬ জানুয়ারি ১৯১৫) ঢাকার চতুর্থ নবাব ছিলেন খাজা সলিমুল্লাহ বা নবাব সলিমুল্লাহ (৭ জুন ১৮৭১-১৬ জানুয়ারি ১৯১৫)[। তার পিতা ছিলেন নবাব খাজা আহসানউল্লাহ ও পিতামহ ছিলেন নবাব খাজা আব্দুল গনি। তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। যদিও তিনি জীবদ্দশায় এই বিশ্ববিদ্যালয় দেখে যেতে পারেননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে স্থানে অবস্থিত তার একটি বড় অংশের জমি নবাবের প্রদান করা।
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয় নিয়ে অনেকেই ভিন্ন মত দাবি করেছেন। তবে বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য থেকে এটা নিশ্চিত যে একটা বড় অংশ নবাব সলিমুল্লাহর কাছ থেকে এসেছে।এছাড়া এতে তার অনেক অবদান ও রয়েছে। মুসলিম হল, ইসলামিয়া এতিমখানা, মিটফোর্ড হাসপাতাল ও সার্ভে স্কুল প্রতিষ্ঠার সঙ্গেও সলিমু্ল্লাহ নামটিকে ঘিরে বেশ কিছু জনশ্রুতি রয়েছে। ইতিহাসের স্বার্থেই ইতিহাসের সত্যগুলো আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। পূর্ব বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নওয়াব সলিমু্ল্লাহর নানামুখী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম ছাত্রদের প্রথম ছাত্রাবাসের নাম রাখা হয় ‘সলিমুল্লাহ মুসলিম হল’।
সলিমুল্লাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামিয়া এতিমখানাটি তাঁর মৃত্যুর পর নামকরণ করা হয় ‘সলিমুল্লাহ এতিমখানা। রবার্ট মিটফোর্ড নামে ঢাকার এক সাবেক জেলা প্রশাসকের প্রদত্ত অর্থ দিয়ে ১৮৫৮ সালে মিটফোর্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। কালের পরিক্রমায় ১৮৭৫ সালে স্থাপিত হয় ঢাকা মেডিকেল স্কুল। মিডফোর্ড হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে এই মেডিকেলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অধ্যয়ন চলমান থাকে। ১৯৬২ সালে স্কুলটিকে কলেজে রূপান্তর করা হয়। নামকরণ করা হয় ‘মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ’। পরবর্তীতে নাম বদলে রাখা হয় ‘স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ।
বর্তমানে হাসপাতাল ও কলেজ মিলে পূর্ণ নাম ‘স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা বুয়েটের শুরু ১৮৭৬ সালে ঢাকা সার্ভে স্কুলের মাধ্যমে। ১৯০২ সালে তৎকালীন সরকার সার্ভে স্কুলকে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিলে অর্থাভাবে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছিল না। নওয়াব আহসানুল্লাহ সে সময় ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ইতিমধ্যে তিনি ইন্তেকাল করলে পরবর্তী সময়ে নওয়াব সলিমুল্লাহ সেই অর্থ পরিশোধ করেন। বিদ্যায়তনটির নামকরণ করা হয় ‘আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল।
১৯৪৭ সালে এটি কলেজে উন্নীত করা হয়। ১৯৬২ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নাম দেওয়া হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়’। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকার সমাজ জীবন পঞ্চায়েত পদ্ধতিকে সুসংগঠিত করার ক্ষেত্রে নওয়াব সলিমুল্লাহর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি খেলাধুলার পৃষ্ঠপোষকতা যেমন করতেন, তেমনি করতেন গান-বাজনা, বায়োস্কোপ প্রদর্শনী, নাট্যাভিনয় প্রভৃতির পৃষ্ঠপোষকতাও। ঈদ, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম প্রভৃতি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন।
আরোও পড়ুনঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত
তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় জার্মানির খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ফ্রিৎজ ক্যাপ ঢাকায় স্টুডিও স্থাপন করেন। স্বনামধন্য সেই আলোকচিত্রীর ছবি ঢাকার অনেক সামাজিক ইতিহাসের সাক্ষী। বঙ্গভঙ্গ রদের ঘটনায় নওয়াব সলিমুল্লাহ দারুণ মর্মাহত হন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে স্থবিরতা আসে। ১৯১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি তিনি ইন্তেকাল করেন। মাত্র ৪৪ বছরের জীবনে নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ সর্বভারতীয় পর্যায়ে যতটুকু প্রভাব ফেলতে পেরেছিলেন তা তাঁর উত্তর ও পূর্বপুরুষদের কেউই পারেননি।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
কেউ যদি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এর সাথে যুক্ত হতে চান তাহলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি যখন দেয় তখন চাকরির জন্য এপ্লিকেশন করতে হবে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সকল তথ্য দেয়া থাকে। চাকরি অনুযায়ী কি কি যোগ্যতা এবং কাগজ পত্র লাগবে তা সব উল্লেখ করে দেয়া হয়। তারপরে ও কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে কলেজ কতৃপক্ষ এর সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান।
আরোও পড়ুনঃ রংপুর মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত
দেশবরেণ্য অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকগণ সব সময় কর্তব্যরত থাকেন। বাংলাদেশের মিটফোর্ড হাসপাতাল যেখানে বিনামূল্যে অপারেশনের সুযোগ পাবেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ন ও ব্যয়বহুল অপারেশন, পলিপ,টিউমার, পিটুইটারি, টিউমার, কানেক্ট ইউর গলার ক্যান্সার সম্পূর্ণ স্বল্পমূল্যে অপারেশন করা হয়। যেসকল রোগীরা এসব সমস্যায় ভুগতেছেন। তারা খুব সহজেই অল্প টাকা খরচ করে এইসব চিকিৎসাগুলো নিতে পারেন। তাছাড়া মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অনেক ডাক্তার রয়েছে। তাদের পরামর্শ নিয়ে মেডিসিন বিষয়ক সকল সমস্যা দ্রুত সমাধান পাবেন।
এই প্রতিবেদনে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এর সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই পেইজটি ভালো লাগলে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন।