Categories
নার্সিং

নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ সমূহ ও কার্যাবলি

আমরা যারা নার্সিং নিয়ে পড়াশুনা করেছি তাদের সবার নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ সমূহ ও কার্যাবলি জানা থাকা দরকার। প্রতিটা সেক্টরকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য একটি করে অধিদপ্তরের প্রয়োজন হয়। প্রতিটা অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা নীতিমালা নির্ধারণ সেই অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত থাকে। নার্সিং ব্যবস্থাপনা ও উন্নযয়নের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সংযুক্ত অধিদপ্তর হলো নার্সিং অধিদপ্তর।

নার্সিং অধিদপ্তর নার্সিং সম্পর্কিত সকল বিষয় যেমন নার্সিং পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ফলাফল নার্সদের রেজিস্ট্রি ইত্যাদি নার্সিং বিষয়াদির দায়িত্ব পালন করে থাকে। বাংলাদেশে অন্যান্য অধিদপ্তরের মতো নার্সিং অধিদপ্তর রয়েছে।

যারা নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনা করছে তাদের এই অধিদপ্তরের নির্দেশ যথারীতি পালন করতে হয়। তাই আসুন নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ ও কার্যাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ সমূহ

নার্সিং অধিদপ্তরের বিভিন্ন আদেশ ও কার্যাবলি রয়েছে। সেগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দেয়া হলো।

১.নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্সে আবেদন, ভর্তি পরীক্ষা, প্রবেশপত্র তৈরী, ফলাফল তৈরী।
২.প্রতি শিক্ষাবর্ষে পোস্ট বেসিক বিএসসি পরীক্ষায় ১ম,২য়, ৩য় স্থান অধীকারি ৩জন কে পুরস্কায় প্রদান করা।
৩.বৈদেশিক প্রশিক্ষন সম্পন্ন করার নিমিত্ত বাছাই কমিটির কার্যবিবরণী।
৪.আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালনের তথ্য প্রেরণ।
৫.আন্তর্জাতিক নার্স দিবস উদযাপনে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ।
৬.নার্সিং কোর্সগুলোর ভর্তি ফি নির্ধারণ।
৭.নার্স দিবসের আলোচনা সভা।
৮.অধিদপ্তরের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা
৯.সিমুলেশন এডুকেশন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের তথ্য প্রেরণ।
১০.ল্যাবরেটরী শিক্ষাসামগ্রী প্রদান।
১১.আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস।
১২.পরিস্কার পরিচ্ছনতা বিষয়ক দলগঠন।
১৩.নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।
১৪.বিভিন্ন নোটিশ প্রদান।
১৫.পোস্ট বেসিক পাবলিক হেলথ নার্সিং
ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন পোস্ট বেসিক নার্সিং, পোস্ট বেসিক মিডওয়াইফারি কোর্সের কেন্দ্রগুলোর তালিকা প্রকাশ।
১৬.নার্স বদলি নীতিমালা
১৭.ভর্তি ফরম পূরনের নির্দেশনা।
১৮.অফিস আদেশ
১৯.নার্স ও মিডওয়াইফ শিক্ষক মৌখিক পরীক্ষা।
২০.গণটিকা নার্স সংযুক্তি
২১.অর্থ বরাদ্দ
২২.রিসোর্স প্যানেল গঠন
২৩.নার্সিং পেশাকে গ্রহনীয় করে তুলা।
২৪.চাকুরী নিয়মিতকরণ।
২৫.প্রজ্ঞাপন/ পরিপত্র
২৬.বদলী, পদন্নতি, অবসরপ্রাপ্ত
২৭.বহিঃ বাংলাদশে অর্জিত ছুটি
২৮.কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কমিটি গঠন
২৯.বৈদেশিক ও স্থানীয় প্রশিক্ষন
৩০.পিএমআইএস রির্পোট
৩১.মাসিক সমন্বয় সভা
৩২.উদ্ভাবনী কার্যক্রম
৩৩.জাতীয় শুদ্ধাচার
৩৪.অভিযোগ প্রতিকার ব্যাবস্থাপনা
৩৫.নীতিমালা ও নির্দেশনা
৩৬.সিটিজেন চার্টার
৩৭.ওয়েব ইমেইল, ই-নথি
৩৮.বার্ষিক কর্মসম্প্রদান চুক্তি

নার্সিং অধিদপ্তের স্থানীয় প্রশিক্ষন কার্যাবলি

নার্সিং অধিদপ্তর স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনবল তৈরীর লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এ সম্পর্কে প্রশিক্ষন সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা দেয়া হলোঃ

১.ওরিয়েন্টেশন টেনিং
২.চক্ষু চিকিৎসা সেবা বিষয়ক প্রশিক্ষণ
৩.মিডওয়াইফারি দক্ষতার উপর রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ
৪.ETAT এবং নার্সদের জন্য অসুস্থ নবজাতকের যত্নের উপর প্রশিক্ষণ
৫.নার্স ম্যানেজারদের জন্য প্রমাণ ভিত্তিক মিডওয়াইফারি অনুশীলনের প্রশিক্ষণ
৬.ভেলিডেশন শুরু ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রণয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ
৭.ফিডব্যাক কর্মশালা
৮.বেসিক LARC/PM ৭৯১ PDF ফাইলের উপর প্রশিক্ষণ
৯.নার্সদের জন্য নেতৃত্ব ব্যবস্থাপনা/উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ
১০.অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা এবং জিআরএস সফটওয়্যার বিষয়ক প্রশিক্ষণ
১১.নার্স শিক্ষক প্রশিক্ষণ
১২.সার্ভিস রুলস বিষয়ক প্রশিক্ষন
১৩.নার্স ও মিডওয়াইফদের জন্য পিপিপি সহ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষণ
১৪.নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) প্রশিক্ষণ
১৫.পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি এবং অনকোলজি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে নার্সিং ডেভেলপমেন্টের প্রশিক্ষণ
১৬.Midwifery Skills (OSCE) বিষয়ে প্রশিক্ষণ
১৭.পেডিয়াট্রিক নার্সিং প্রশিক্ষণ
১৮.Training on family planning method
১৯.স্কিল ল্যাব প্রশিক্ষণ
২০.মহামারী ব্যবস্থাপনার উপর কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ
২১.সপ্তাহ মেয়াদী নার্স শিক্ষক প্রশিক্ষণ
২২.কর্মদক্ষতা প্রশিক্ষণ
২৩.ইনোভেশন প্রশিক্ষণ
২৪.কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার উপর ৩ দিনের টিওটি প্রশিক্ষণ
২৪.প্রমাণ ভিত্তিক অনুশীলন
২৫.প্রসবপূর্ব যত্ন প্রশিক্ষণ
২৬.নার্সিং মিডওয়াইফারি ইনস্টিটিউটে কর্মরত শিক্ষকদের ট্রেনিং
২৭.নার্সিং ইনস্টিটিউট ম্যানেজমেন্ট ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ
২৮.DHIS 2-এ রিপোর্টিং সিস্টেমের উপর TOT প্রশিক্ষণ
২৯.নবজাতকের সেবা (CNC) প্রশিক্ষণ
৩০.অফিস ব্যবস্থাপনা ও ই-নথি প্রশিক্ষন
৩১.পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ ইন হেলথ, পপুলেশন এবং নিউট্রিশন প্রশিক্ষন

নার্সিং অধিদপ্তরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

সুস্থ জনগন ও দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করা, এবং দক্ষ নার্স ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারকে সহযোগিতা করাই হলো নার্সিং অধিদপ্তরের লক্ষ্য। সরকার যখন স্বাস্থ্যসেবার উপর গুরুতারোপ করে তখন সরকারি বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা নার্সিং অধিদপ্তরের উদ্দেশ্য।

মূলত নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিত, সঠিক সেবা সরবরাহ ও নার্সিং কে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলাই হলো নার্সিং অধিদপ্তরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

নার্সিং কি

নার্সিং স্বাস্থ্যখাতের অধীনস্থ একটি সেবামূলক পেশা। হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিক, স্ব্যাস্থকেন্দ্রে রোগীর স্বাস্থ্যের পূর্ণরুদ্ধার, রোগীর দেখভাল, নিয়মমাফিক ওষুধ প্রদান এবং অপারেশন থিয়েটারে জরুরি জিনিসপত্রের সরবরাহে সাধারণত নার্সরা নিযুক্ত থাকেন।

নার্সিং অধিদপ্তরের ইতিহাস

বাংলাদেশে একটি নার্সিং অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে দীর্ঘ পথ পাড়ি জমাতে হয়েছে। এর ইতিহাসের যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ ভারতের সময়কাল হতে। পরবর্তীতে পাকিস্তান ভারত বিভক্ত হওয়ার সময় বাংলাদেশে অবস্থিত বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিল এর নাম হয়ে যায় পূর্ব পাকিস্তান নার্সিং কাউন্সিল।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৭ সালে সেবা পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তর হিসেবে মর্যাদা পায় ১৯৮৭ সালে। বাংলাদেশে এই সময় রেজিস্ট্রাড নার্সের সংখ্যা ৭০০ এর মতো ছিলো। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ নার্সিং পরিষদ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পরিষদ নামে পরিচালিত হতে থাকে।

বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তর

বাংলাদেশের নার্সিং অধিদপ্তরের পুরনো নাম বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তর যা বর্তমানে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল নামে পরিচালিত। এটির সদরদপ্তর রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। এই অধিদপ্তরের দাপ্তরিক ভাষা হলো বাংলা। বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট হলো www.bnmc.gov.bd এই ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনি নার্সিং অধিদপ্তর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

বাংলাদেশের নার্সিং শিক্ষাকে আধুনিকীকরণ করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তরের সম্মলিত চেষ্টায় এবং থাইল্যান্ডের কারিগরি সহায়তার দ্বারা ২০০৮ সালে নতুনভাবে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়। নতুন নীতিমালা অনুসারে মাধ্যমিক নয় বরং উচ্চমাধ্যমিক পাসকৃত শিক্ষার্থীরা নার্সিং কোর্স করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডিওয়াইফারি তিন বছর মেয়াদি এই নার্সিং কোর্সটি সবাই করতে পারবেন। অর্থাৎ বিজ্ঞান,মানবিক, ব্যাবসা যেকোন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই কোর্স করার জন্য উন্মুক্ত৷। আবার চার বছর মেয়াদি বিএসসি নার্সিং কোর্সটি শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগে পাসকৃত শিক্ষর্থীরা করতে পারবেন।

প্রথমদিকে ঢাকা, রাজশাহী, চট্রগ্রাম, ময়মনসিংহ মেডিকেল হসপিটালের সংলগ্ন এলাকায় চারটি নার্সিং কলেজ এবং ডিপ্লোমা বিএসসি নার্সিং কোর্স চালু করা হয়েছিল। পরে ডিপ্লোমা মিডওয়াইফারি কোর্স চালু করা হয় এবং কয়েকটি বেসরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়।

নার্সিং অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ

একটি অধিদপ্তর পরিচালনার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রয়োজন হয়। যাদের উপর অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজ ন্যাস্ত থাকে এবং তাদের সম্মলিত প্রচেষ্টায় অধিদপ্তর সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। নার্সিং অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দের পদের এবং বর্তমান কর্মরত সংখ্যার তালিকা দেয়া হলোঃ

১.মহাপরিচালক ১ জন
২.পরিচালক ৩ জন
৩.উপ-পরিচালক ১জন
৪.সহকারী পরিচালক ৫ জন
৫.সহকারী প্রোগ্রামার ১জন
৬.নার্সিং ইইন্সট্রাক্টর ১জন
৭.কো-অর্ডিনেটর ১জন
৮.পরিসংখ্যানবিদ ও কল্যান কর্মকর্তা ১ জন
৯.নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ২জন
১০.প্রভাষক ৩ জন
১১.নার্সিং শিক্ষক ৫ জন
১২.সিনিয়র স্টাফ নার্স ২২ জন
১৩. প্রশাসনিক কর্মকর্তা ১ জন
১৪.ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ১ জন
১৫.হিসাব রক্ষক ১ জন
১৬.মিডওয়াইফ ২ জন

নার্সিং অধিদপ্তরের কর্মচারীবৃন্দ

একটি অধিদপ্তর সুন্দরভাবে পরিচালনায় কর্মচারীদের গুরুত্ব কম নয়। অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় সকল তথ্যের বিন্যাস এবং কাজ তাদের দ্বারা সম্পন্ন হয়ে থাকে। নার্সিং অধিদপ্তরের কর্মচারীবৃন্দের পদের এবং বর্তমান কর্মরত সংখ্যার তালিকা দেয়া হলো।

১.উচ্চমান সহকারী ৯
২.হিসাব রক্ষক ১
৩. কম্পিউটার অপারেটর ৪
৪.স্টোর কিপার ১
৫.ল্যাব সহকারী ১
৬. সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ১
৭.ক্যাশিয়ার ১
৮.অফিস সহকারী ১৩
৯.ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর ২
১০.গাড়ি চালক ৫
১১.নিরাপত্তা প্রহরী ১
১২.পরিচ্ছনতা কর্মী ২
১৩.মালী ১

আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি নার্সিং কি

নার্সিং পেশায় নিয়োজিতদের দক্ষ করে তুলে স্বাস্থ্যখাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ সমূহ সরকারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। বর্তমানে দেশে রেজিস্টার্ড নার্স মিডওয়াইফ হলো ৫৬ হাজার ৭৩৩। সরকারী স্বাস্থ্যখাতে ৩০ হাজার নার্স রয়েছে এছাড়া সরকারি মিডওয়াইফ এর সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ জন।

দেশে সরকারি নার্সিং কলেজ ৪৬ টি এবং বেসরকারি ১২০ টি। তারপরও নার্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে ভর্তি হতে হয়। বহু কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে নার্সিং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতে নার্সিং অধিদপ্তর সফলতা অর্জন করছে।