Categories
ভ্যাকসিন

১১ টি ভ্যাকসিন এর নামের তালিকা এবং কার্যকারীতা

আমাদের নানা সময়ে নানা ধরনের রোগ হয়ে থাকে এর মধ্যে অনেক সময় ভাইরাস জনিত রোগ হয়ে থাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পযন্ত এই সব ভাইরাস এর বিরুদ্ধে যে সব ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে ১১টি ভ্যাকসিন বা টিকার নাম এবং কার্যকারিতা আলোচনা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

তার আগে ভ্যাকসিন কি বা টিকা কি সেই সব জেনে নেই… ভ্যাকসিন হচ্ছে জৈব রাসায়নিক যৌগ যা অ্যান্টিবডি তৈরী হওয়ার প্রক্রিয়াকে উত্তেজিত করে দেহে কোন একটি রোগের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা জন্মাতে সাহায্য করে তাকে টিকা বা vaccine বলে। আর এই ভ্যাকসিন কোনো প্রাণীর দেহে রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া (Bacteria), ভাইরাস (Virus) ইত্যাদির জীবিত (যার রোগসূচনাকারী ক্ষমতা শূন্য) এবং মৃতদেহ বা কোনো অংশবিশেষ হতে প্রস্তুত ঔষুধ যা ঐ প্রাণীর শরীরে ঐ ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে আন্টিবডি তৈরি করে।

টিকা হল কোন রোগের কেবলমাত্র সেই নির্দিষ্ট রোগটিরই বিরুদ্ধে শুধু কাজ বা প্রতিরোধক্ষমতা বর্ধনকারী ক্রিয়া সম্পন্ন জৈব উপাচার যা টিকাকরণ (ইনঅক্যুলেশন) অর্থাৎ ত্বকে সূচ ফুটিয়ে দেওয়া হতে পারে বা অন্য উপায়ে যেমন:- খাবার ড্রপ (যেমন মুখে সেব্য পোলিও টিকা) বা ওরাল পোলিও শরীরে ভ্যাক্সিন হিসেবে দেওয়া হতে পারে।

এতে করে সাধারণত মৃতপ্রায় বা মৃত জীবাণু অথবা তার বিষ থেকে তৈরী হওয়া রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু-সদৃশ উপাদান থাকে। এই ধরনের টিকা উক্ত উপাদানটিকে বহিরাগত হিসেবে শনাক্ত করতে, সেটিকে ধবংস করতে এবং পর্বতীতে স্মৃতিতে রাখতে অনাক্রম্যতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, যাতে পরবর্তীতে অনাক্রম্যতন্ত্র ঐ সমস্ত জীবাণুকে খুব সহজে পরবর্তী অনুপ্রবেশে শনাক্ত ও ধবংস করতে পারে। এই জন্য জীবাণু দারাআক্রান্ত রোগের জন্য টিকা ব্যবহার করে থাকে।

১১ টি ভ্যাকসিন এর নামের তালিকা

1. হেপাটাইটিস বি টিকা (Hepatitis B vaccine)
১১টি ভ্যাকসিন বা টিকার মধ্যে এই হেটাটাইটিস এটি একটি অন্যতম ঠিকা। এই টিকা আবিষ্কার হওয়ার ফলে মানব জাতির অনেক উপকার হয়েছে। চলুন তাহলে কি কি উপকার হয়েছে জেনে নেওয়া যাক?

হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন
হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন

আমাদের শরীরে হেপাটাইটিস বি নামক ভাইরাসের আক্রমণ হলে, লিভার প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লিভার ক্যান্সার হতে পারে, লিভার কাজ করা বন্ধ করে দেয়, এমনকী মৃত্যুও হতে পারে। রোগীর অজান্তেই এই রোগ অন্যদের মধ্যেও সংক্রামিত হতে পারে। এই সব রোগের বিরুদ্ধে শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তিনটি ডোজে হেপাটাইটিস বি টিকা দেওয়া হয়। জন্মের এক-দু’দিনের মধ্যে প্রথম ডোজ, শিশুর বয়স এক মাস হলে ২য় ডোজ দিতে হয় এবং ৬ মাস হলে ৩য় বা শেষ ডোজটি দেওয়া হয়।

2. বিসিজি (Bacillus Calmette-Guerin Vaccine (BCG)
আমরা আলোচনা করবো ১১টি ভ্যাকসিন বা টিকার মধ্যে বিসিজি(BCG) নিয়ে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক…
বিসিজি টিকা না পাকলে কি হয়

এই বিসিজি টিকা বাচ্চার জন্মের পর থেকে ১৫ দিন সময়ের মধ্যে যে কোনও সময় দেওয়া যায়। এই টিকা টি টিউবারকুলোসিস মেনিনজাইটিস (Tuberculous Meningitis) বা বাচ্চাদের একরকম যক্ষ্মা রোগ থেকে রক্ষা করে। এটি প্রয়োগ করে থাকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এই বিসিজি টিকা দেওয়া হয়ে থাকে বাচ্চাকে। আদর্শ বিসিজির ডোজে ১ মিলিলিটার টিকার তরলে ০.১ মিলিগ্রাম ওষুধ থাকে। বাচ্চাকে একটাই বিসিজি ডোজ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ বিসিজি টিকা নিয়ে নতুন তথ্য এবং বিসিজি টিকা না পাকলে কি হয়

3. পোলিও টিকা (Oral Polio Vaccine (OPV)
এখন যে ভ্যাকসিন বা টিকা নিয়ে আলোচনা করবো এই টিকার নাম আমরা সবাই জানি প্রায়। এই টিকার অনেক উপকারিতা রয়েছে এবং এটি আবিষ্কার হওয়ার ফলের শিশুদের এই মারাক্ত রোগের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে। এই টিকার কারনে কি কি রোগ থেকে রেহাই পাচ্ছে শিশুরা। চলুন তাহলে সেই সব বিষয় আগে জেনে নেই।
পোলিও রোগের জীবাণুর নাম কী

এই টিকাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পোলিও রোগের হাত থেকে শিশুকে রক্ষা করে। পোলিও রোগের প্রকোপে শিশুর পা বিকৃত হয়ে যায় এবং সারাজীবনের জন্য শিশু প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে। এই পোলিও টিকা চারটি ডোজে শিশুকে দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ জন্মের পর থেকে ২ মাসের মধ্যে, দ্বিতীয় ডোজ ৪ মাস বয়সে, তৃতীয় ডোজ ৬-১৮ মাসের মধ্যে এবং শেষ ডোজটি বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হয় ৪-৬ বছর বয়সের মধ্যে। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এই ডোজগুলি দেওয়া যায় আবার ওষুধের মতো খাইয়েও দেওয়া যায়।

4. রোটাভাইরাস টিকা (Rotavirus Vaccine)
আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে পায় ছোট শিশু থাকে। আর এই ছোট শিশুদের নানা সময়ে নানা ধরেনের রোগ হয়ে থাকে। আমরা যদি সচেতন না থাকি তাহলে আমাদের শিশুদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের সকলের এই রোটাভাইরাস সম্পর্কে জানা থাকা দরকার। চলুন তাহলে এই ভাইরাস সম্পর্কে জেনে নেই।

এই রোটা ভাইরাস ছোট শিশুদের আক্রমণে মারাত্মক ডিহাইড্রেশন ও ডায়রিয়া হতে পারে। এই রোটাভাইরা টিকা শিশুকে টিকা ওষুধের মতো খাওয়ানো হয়ে থাকে। আমাদের দেশে শিশুর জন্মের ৬-১৫ সপ্তাহের মধ্যে এই টিকার প্রথম ডোজ খাওয়ানো হয়। এই টিকা মোট তিনটি ডোজে শিশুকে দেওয়া হয়। প্রথমে শিশুর ২ মাস বয়সে একটি, এরপর ৪ মাস বয়সে একটি সর্বশেষ ৬ মাস বয়সে একটি, মোট তিনটি ডোজ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ সব পিতা-মাতার জানা দরকার রোটা ভাইরাস কি

5. ডিটিএপি/ডিটিপি (DTAP/DTP)
এটিও একটি শিশুদের মারাক্ত রোগের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। তাই আমাদের সকলের এই সব টিকার বিষয়ে জানা থাকা দরকার। তাহলে আর দেরি না করে এখনি শুরু করা যাক।

এই ডিটিএপি/ডিটিপি ভ্যাকসিন বা টিকাটি টিটেনাস (Tetanus), এটি ডিপথেরিয়া(Diphtheria) ও হুপিং কাশি(whooping cough) এবং যক্ষার –এর মতো রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা শরীরে দ্রুত গড়ে তোলে। পর্বতীতে এই রোগের আক্রমন থেকে রক্ষা করে এবং স্মৃতিতে রাখে পর্বতীতে জীবাণুর অনুপ্রবেশ করতে ধবংস করে। এটি বাচ্চার ১.৫ মাস, ২.৫ মাস ও ৩.৫ মাস বয়সে এই টিকাটি দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথম ডোজ সম্পন্ন হলে, ১.৫ বছর বয়সে DPT-র দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয় এবং ৫ বছর বয়সে Double DT-র আর একটি ডোজ দেওয়া হয়। এই DTaP টিকা বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবহার করা হয়। কারণ এই টিকাটি প্রয়োগে শিশু ব্যথা পায় না এবং আগের থেকে অনেক নিরাপদ। এর আগে DTP টিকা শিশুকে দেওয়া হত। এই DTP টিকা শিশুর জন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক ছিল। তাই এখন আর এই টিকা দেওয়া হয় না।

শিশুর টিকা, প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ

6. এইচ আই বি টিকা (Haemophilus influenzae B (HiB) Vaccine)
এই ভাইরাসটি শিশুদের বড় ধরনের ক্ষতি করে থাকে তাই এইচ আই বি ভাইরাস সম্পর্কে জানা থাকা দরকার এবং এই ভাইরাস এর উপাকারিতা কি সেটিও জানা উচিত। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক

আমরা জানি সব টিকাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মানব শরীলে বাড়িয়ে তুলে। তেমনি এই টিকাকরন করলে শিশুর শরীর হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা (Haemophilus Influenzae) নামক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। এই ভাইরাস যে সব শিশুদের আক্রমন করেছে তাদের মধ্যে দেখা গিয়েছে যে শিশুর গলা, ত্বক এবং মস্তিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এই টিকা নিলে শিশদের এপিগ্লটিস, মেনিনজাইটিস এবং নিউমোনিয়ার মতো রোগ থেকে শিশুকে রক্ষা করে থাকে। তবে এই টিকাটিও বাচ্চাকে তিনটি ডোজে দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথমে বাচ্চার ২ মাস বয়সে এবং ২য় ডোজ ৪ মাস বয়সে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। এরপর বাচ্চার বয়স ১৫ মাস হয়ে গেলে শেষ ডোজটি বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে।

7. হেপাটাইটিস এ টিকা (Hepatitis A Vaccine)

আমাদের শিশুদের প্রায় দেখা যায় লিভার জনিত সমস্যা। এই লিভারজনিত সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে এই হেপাটাইটিস এ টিকা দেওয়া হয়। আর এই হেপাটাইটিস এ নামক ভাইরাসের আক্রমণের বিরুদ্ধে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হেপাটাইটিস এ টিকা দুটি ডোজে এই টিকা শিশু পেয়ে থাকে। শিশুর বয়স ১২থেকে২৩ মাস তখন প্রথম ডোজ এরপর ৬থেকে১০ মাস পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়।

8. এম এম আর (Measles Mumps Rubella (MMR) Vaccine)
অন্যন্য টিকার মতোই এই টিকা টিও শিশুকে তিনটি ধাপে দেওয়া হয়। এই টিকা যে সব রোগের জন্য কার্যকারিতা বা রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, হাম বা মিসলস, মাম্পস এবং রুবেলার। তবে এই টিকাটি তিনটি ডোজে শিশুকে দেওয়া হয়ে থাকে। ৯ মাস বয়সে প্রথম ডোজটি দেওয়া হয়।

9. পি সি ভি (Pneumococcal Conjugate Vaccine (PCV)
ছোট শিশুদের প্রায় নিউমোনিয়া হয়ে থাকে। আর এই নিউমোনিয়া হয়ে অনেক শিশু মৃত্যু হয়। আর এই নিউমোনিইয়ার কবল থেকে বাচাতে পি সি ভি দেওয়া হয়। এটি দেওয়ার ফলে বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। এই টিকা টি শিশুর ২ মাস বয়সে প্রথম এবং ৪ মাস বয়সে দ্বিতীয়। এরপর ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়। সর্বশেষ ৪থেকে৬ বছরের মধ্যে একটি বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। আর বুস্টার ডোজ সম্পন্ন হলে পর্বতীতে শিশুর নিউমোনিয়া হয় না।

10. টি সি ভি টিকা (Typhoid Conjugate Vaccine (TCV)
টি সি ভি টিকা টাইফয়েড রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে এই টিকা। শিশুদের এই টিকা দুটি ডোজে দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ শিশুর ৯-১২ মাসের মধ্যে দিয়ে দেওয়া উচিত।

11. ভ্যারিসেলা টিকা (Varicella Vaccine)
চিকেনপক্স এই এটিও একটি মারাক্ত রোগ। ভ্যারিসেলা টিকা চিকেনপক্স ভাইরাসের বিরুদ্ধে শিশুর শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এই টিকা। এই টিকা অন্য টিকার চাইতে একটু আলাদা, এটি প্রথম ডোজ দেওয়া হয় শিশুকে ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে এবং পরের ডোজটি দেওয়া হয় প্রথম ডোজের তিন মাস পরে

কিছু বিষয় মাথায় রাখুন
আমরা জানি বাচ্চা নিজের মায়ের কোলে সবথেকে নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত বোধ করে। আপনার শিশুকে টিকার জন্য ইঞ্জেকশন নেওয়ার সময় যদি আপনি আপনার শিশুকে কোলে নিয়ে থাকেন, তা হলে ও আপনার মুখ দেখতে পাবে না। বাচ্চাকে টিকা দেওয়ার সময় বাবা বা পরিবারের অন্য কাউকে সঙ্গে নিয়ে যান, বাচ্চাকে ওনার কোলে দিন। আর আপনি এমনভাবে বাচ্চাটির পাশে তার গায়ে হাত দিয়ে থাকুন, যেন বাচ্চা বুঝতে পারে আপনি তার পাশেই আছেন এবং ওর কোনও ক্ষতি হবে না। এতে করে বাচ্চা ভয় কম পাবে।
টিকা নেওয়ার পরেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান বা ও যদি ফর্মুলা খেতে শুরু করেছে তা হলে তাই দিন। যদি বাচ্চা খুব কাঁদলে একটু শান্ত করে নিয়ে তবেই খাওয়ান। তা না হলে গলায় আটকে যেতে পারে। এই টিকা নেওয়ার পর বাচ্চার জ্বর আসতে পারে, এতে কেউ ঘাবড়ে যাবেন না। প্রয়োজনে অনুসারে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এমনকি ডাক্তারের সাথে কথা বলে বাচ্চার টিকা দেওয়ার সময় এবং ঠিক কোন সময় কী টিকা বা কোন টিকা দিতে হবে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। এতে করে পর্বতীতে আর সমস্যা হবে।

টিকা দেওয়ার পরে ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে তবেই ওই জায়গায় ব্যথা কমানোর মলম লাগান। আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে ব্যথা কমানোর কোনও ওষুধ বাচ্চাকে দেবেন না। এতে করে আপনার বাচ্চার ক্ষতি হতেপারে। আপ্নারা কোনও রকম কুসংস্কার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাচ্চার স্বাস্থ্যের সাথে ঝুঁকি নেবেন না। এই সমস্ত টিকা আপনার সন্তানকে সারা জীবন নানা জটিল রোগের হাত থেকে রক্ষা করবে। যদি নিজের মনে কোনও সন্দেহ বা দ্বন্দ্ব দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে বিশেষ আলোচনা করুন।
আরও পড়ুনঃ জেনেনিন শিশুদের নিউমোনিয়ার টিকা কখন দিতে হয়

পরিশেষে বলতে পারি আমাদের আজকের এই ১১টি ভ্যাকসিন বা টিকা নাম ব্যবহার বা তথ্য গুলো আপনাদের অনেক কাজে লাগবে ইনশাল্লাহ