Categories
ভ্যাকসিন

জেনেনিন শিশুদের নিউমোনিয়ার টিকা কখন দিতে হয়

নিউমোনিয়া (ইংরেজি: Pneumonia) ফুসফুস একটি রোগের নাম। নিউমোনিয়ার টিকা এর বৈশিষ্ট নিউমোনিয়া হল ফুসফুসের প্যারেনকাইমার প্রদাহসাধারণত ভাইরাস, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, যদি আমাদের শ্বাসনালিতে আক্রমণ করে তখন নিউমোনিয়া হতে পারে। নিউমোনিয়া মৃদু বা হালকা থেকে কারো মৃত্যর কারণ ও হতে পারে। তাই আজকে আমরা জানবো নিউমোনিয়ার টিকা কখন দিতে হয়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

শিশুদের নিউমোনিয়ার টিকা কখন দিতে হয়

নিউমোনিয়ার টিকা (পিসিভি ইনজেকশন) দিতে হয় ছয়, দশ ও আঠারো সপ্তাহে। নিউমোনিয়ার জীবাণু মানুষের ফুসফুস এবং শ্বাসতন্ত্রকে আক্রান্ত করে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস এবং টিবি’র জীবাণুর মাধ্যমে নিউমোনিয়া ছড়ায়।

কারা ঝুঁকিতে আছে

শীতকালে শিশু রা নিউমোনিয়া তে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেশি থাকে।আর এসব কারণেই বর্তমান করোনাভাইরাস এর পাশাপাশি নিউমোনিয়া আর এক ভয়াবহ আতঙ্কের নাম। আসুন আমরা জেনে নেই নিউমোনিয়া কি, এ রোগ কেন হয়, এ রোগ হলে শরীরে কি কি লক্ষণ দেখা যায়। কারো যদি নিউমোনিয়া হয় তাহলে কি করতে হবে

নিউমোনিয়ার উপসর্গগুলো

নিউমোনিয়ার উপসর্গগুলো নির্ভর করে শারীরিক অবস্থা এবং কী ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ হয়েছে, তার ওপর। নিউমোনিয়ার প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর। তবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা যাঁদের দুর্বল, তাঁদের জ্বর না-ও আসতে পারে। অনেক সময় কাশি, শ্বাসকষ্ট, কাঁপুনি, বুকে ব্যথা হতে পারে, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে বাড়ে ও কমে। উচ্চমাত্রার জ্বরের সঙ্গে কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বুকে ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

নিউমোনিয়া লক্ষণ

কারো নিউমোনিয়া হলে প্রচন্ড জ্বর আসবে। জ্বর হয়তো খানিকের জন্য কমলেও কিছু ক্ষণ পর পর তা তীব্র ভাবে ফিরে আসবে। সঙ্গে নিঃশেষ নিতে কষ্ট হবে। কারো কারো বুকে বেথা থাকতে পারে। যেহেতু নিউমোনিয়া একটি ঠান্ডা জনিত রোগ।, ঠান্ডা থেকে হয় বলে অনেকের প্রচন্ড মাথা য়ন্ত্রণা, খুসখুসে কাশি হয়ে থাকে।
নিউমোনিয়া হলে শরীরে দুর্বলতা অনভূব হয় টা স্বাভাবিক। কারো কারো বমি বমি ভাব হতে পারে। খাওয়ার অরুচি ও সৃষ্টি হয়।

নিউমোনিয়ার কি ছোঁয়াচ

চিকিৎসকের মতে, নিউমোনিয়ায় ছোঁয়াচে নয়। তবে রোগী কাশি বা হাঁচি থেকে এই রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে। একে ‘ড্রপলেট ইনফেকশন’ বলা হয়।

নিউমোনিয়ার টিকা

চিকিৎসকের পরামর্শ, শিশুদের বেলায় আগাম রোগ প্রতিরোধের উদ্দেশে নিউমোনিয়ার টিকা দেয়া হয়। নিউমোনিয়ার টিকা সাধারণত দুপ্রকারের হয়। বছরে একবার নেয়া যেতে পারে। তবে সব টিকা নেয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বড়দেড় নিউমোনিয়া

অনেকেই হয়তো ভেবে থাকে যে নিউমোনিয়া শুধু শিশুদের হয়। কিন্তু তা সত্যি নয়। বড়দেড় ও নিউমোনিয়া হয়ে থাকে জ্বর হলে প্রচুর বিশ্রাম নিতে হবে। প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বুকের এক্স-রে ও রক্তের কমপ্লিট কাউন্ট করে চিকিৎসকের কথামতো অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। কখনো কফ পরীক্ষাও লাগতে পারে। মনে রাখবেন, সাধারণ ফ্লু বা সর্দি-কাশি আর নিউমোনিয়া এক নয়। ফ্লু হলে সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক লাগে না। বুকের এক্স-রেতেও তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না।

নিউমোনিয়া থেকে রেহাই পেতে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খান। ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। ধূমপান পরিহার করুন। অন্যের সামনে হাঁচি-কাশি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় মুখ হাত দিয়ে ঢাকতে হবে বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে। ডায়াবেটিস ও অন্যান্য ক্রনিক রোগ নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। বয়স্ক ব্যক্তিরা শীতে প্রয়োজন অনুযায়ী উষ্ণ থাকার চেষ্টা করবেন।

যাঁদের অ্যাজমা ও ফুসফুসের রোগ আছে, তাঁরা শীত এলে সতর্ক থাকবেন। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের শীতের শুরুতেই ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিতে হবে। নিউমোনিয়ার প্রতিরোধী টিকাও আছে। অতিরিক্ত জ্বর-কাশি, বুকে সংক্রমণ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এসব লক্ষণ স্থায়ী হতে থাকলে বুঝতে হবে ব্যাকটেরিয়ায় ফুসফুসে প্রদাহ তৈরির সঙ্গে শরীরে পানি জমিয়ে ফেলতে পারে। এর ফলে মৃত্যুও হতে পারে।

রোগ নির্ণয় কীভাবে?

এই রোগ নির্ণয়ের জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। নিউমোনিয়া নিশ্চিত হতে প্রয়োজনীয় কয়েকটা পরীক্ষা করাতে হবে। অনেক সময় এক্স-রে, সিটি স্ক্যানও করা হয়।

রোগ প্রতিরোধে কী করবেন?

  1. ধুমপান থেকে অবশ্যই দূরে রাখতে হবে রোগীকে। এমনকি কোনোভাবে প্যাসিভ স্মোকিংও করা চলবে না।
  2. আপনার যদি ডায়াবেটিকস বা শ্বাসনালীর অন্য কোনো রোগ থাকে তাহলে অব্যশই ঠিক মতো তার চিকিৎসা করতে হবে।
  3. আপনার যদি পূর্বে কোন শারীরিক অসুখ বা diabeics থাকে তাহলে তার সমন্ধে ডাক্তার কে অবশ্যৈ জানাবেন।
  4. পোকা মাকড়ের স্প্রে, মশার কোয়েল, মশার স্প্রে এসব নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী থেকে অবসই দূরে রাখতে হবে।
  5. কোনো ভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না।
  6. অ্যাজমা থাকলে ইনহেলার রাখতে হবে কাছে।

নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিউমোনিয়া প্রতিরোধের জন্য সরকার শিশুদের নিয়মিত ইপিআই প্রোগ্রামের মাধ্যমে টিকা দিয়ে থাকে। এছাড়া শিশুদের নিউমোনিয়া প্রতিরোধে নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) নামের আরেকটি টিকা ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া মার্কেট এ আরো একটি ভ্যাকসিন রয়েছে। ভ্যাকসিন টির নাম
নিউমোভ্যাক্স-২৩।

নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন দাম

ওষুধ কোম্পানি সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেড দেশে এ ভ্যাকসিনের একমাত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। অনেকদিন ধরেই ভ্যাকসিনটির সরবরাহ বন্ধ রেখেছে সানোফি। ফলে বাজারে এখন ভ্যাকসিনটির সংকট দেখা দিয়েছে। এ ভ্যাকসিন টির বর্তমান প্রাইস হলো ২৪০০ টাকা যার আগে দাম ছিল ১২০০ টাকা। ক্রেতাদের এখন বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে যা একধরণের ভোগান্তি।

বড়দের নিউমোনিয়া

আমরা অনেকেই ভাবি শুধু শিশুদের এ রোগ হয়ে থাকে। এ ধারণা একদম ভুল। কেন বড়দেড় নিউমোনিয়া হয় নিউমোনিয়া হল ফুসফুসের প্যারেনকাইমার প্রদাহ
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণের ফলে এই অসুখ হয়ে থাকে। নিউমোনিয়ার তীব্রতা মৃদু হতে পারে, আবার প্রাণসংহারীও হতে পারে। আমাদের ধারণা, কেবল শিশুদেরই নিউমোনিয়া হয়, আসলে তা নয়। বয়স্ক ব্যক্তি, দীর্গদিন ধরে যারা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় বা রোগে আক্রান্ত তাদের নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভবনা বেশি। যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম তাদের নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভবনা বেশি।

বড়দের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ

দেখতে হবে কী ধরনের রোগজীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমণ হয়েছে এবং রোগীর শারীরিক অবস্থা কেমন, সবকিছুর ওপর নির্ভর করে নিউমোনিয়ার তীব্রতা। এমনিতে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, কাঁপুনি ইত্যাদি নিউমোনিয়ার লক্ষণ। যদি খুব বেশি জ্বর, প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অব্যশই অথবা চিকিৎসকের স্বরাপর্ণ হতে হবে। কারা ঝুঁকিতে আছেবয়স্ক ব্যক্তি, যারা নিয়মিত ধুমপান করে। যাদের ফুসফুস জনিত রোগ আছে, বা যারা পূর্বে চিকিৎসার জন্য কেমো থেরাপি নিয়েছেন ,বা যারা নিয়মিত পাওয়ার ফুল এন্টিবায়োটিক খায় তাদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

বড়োদের নিউমোনিয়া হলে যা করতে হবে

ফুসফুসের সংক্রমণে বিশ্রাম নিন প্রচুর পানি পান করতে হবে।
চিকিৎসকের কথা মতো নিয়ম কানন ও ওষুধ খেতে হবে এবং বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস বা হাঁপানির রোগীদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে। নিউমোনিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে তাঁদের সতর্ক থাকতে হবে।

  • বাইরে থেকে এসে ভালো করে পরিষ্কার করে হাত ধোবেন।
  • পুষ্টিকর খাবার খান।
  • ধূমপান বর্জন করুন।
  • হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করবেন।
  • আপনার যদি ডায়াবেটিকস বা শ্বাসনালীর অন্য কোনো রোগ থাকে তাহলে অব্যশই ঠিক মতো তার চিকিৎসা করতে হবে।
  • সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করবেন।
    যাদের ঘন ঘন ঠান্ডা লাগে তারা দেরি না করে নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা নিয়ে নিন।

আরও পড়তে পারেনঃ
হাম রোগের লক্ষণ ও করনীয় এবং
পোলিও রোগের জীবাণুর নাম কী

ইপিভি টিকা

সল্ক ভ্যাক্সিন, বা inactivated poliovirus vaccine (IPV), তিনটি বুনো ও ভাইরুলেন্ট প্রজাতির ভাইরাস—ম্যাহনি (টাইপ ওয়ান পোলিও ভাইরাস), এমইএফ-১ (টাইপ টু পোলিও ভাইরাস), এবং সাউকেট (টাইপ থ্রি পোলিও ভাইরাস)—নিয়ে গঠিত যারা এক বিশেষ প্রজাতির বানরের টিস্যু কালচারকৃত বৃক্কে জন্ম নেয়। আশা করি আপনারা মনোযোগ দিয়ে লেখা টি পড়বেন। উপরের নিয়ম কানন গুলা মেনে চললে নিউমোনিয়া থেকে আমরা নিজেরদের রক্ষা করতে পারবো। আমরা সকলে নিয়ম করে অবশ্যৈ নিউমোনিয়ার টিকা দিবো।

3 replies on “জেনেনিন শিশুদের নিউমোনিয়ার টিকা কখন দিতে হয়”

[…] ফলে যক্ষা রোগের জীবাণু কিংবা জিনোম ধরা নাও পড়তে পারে। শরীরে যক্ষা রোগের জীবাণু অতিরিক্ত পরিমাণ বা বেশি হয়ে গেলে ত্বকের পরীক্ষায় রোগের জীবাণু ধরা নাও পড়তে পারে যা এই পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা। অনেক সময় সঠিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা না করলেও যক্ষা রোগের জীবাণু ধরা পড়ে না। আরও পরুনঃ জেনেনিন শিশুদের নিউমোনিয়ার টিকা কখন… […]

[…] ভিটামিন-এ এর ​​অভাব হাম রোগের সাথে সম্পর্কিত। এছাড়াও ভিটামিন-এ এর অভাবে গুরুতর লক্ষণ এবং জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। আরও পড়ুনঃ জেনেনিন শিশুদের নিউমোনিয়ার টিকা কখন… […]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *