Categories
খাদ্য তালিকা

আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা এবং দৈনিক আমিষের চাহিদা

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ডাল এগুলোর যেকোনো একটা খাবার মোটামুটি আমাদের সবার বাসাতেই থাকে তাই তো! কিন্তু আপনি জানেন কি?এসব খাবারকে কি জাতীয় খাবার বলা হয়? মাছ, মাংস, ডিম, ডাল এগুলোকে সাধারণত আমিষ জাতীয় খাবার বলা হয়।আমিষ হলো কোষের প্রোটোপ্লাজমের প্রধান উপাদান। তাই আমিষ-কে বলা হয় জীব কোষের প্রাণ। আমিষ ছাড়া কোষ, কলা, গ্রন্থির গঠন সম্ভব হতো না। আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আমিষ সম্পর্কে নানা তথ্য আপনাদের কাছে তুলে ধরবো,তার মধ্যে আছে-

  • আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা
  • আমিষের উপাদান কয়টি
  • কোন খাবারে আমিষ বেশি থাকে
  • আমিষ কত প্রকার ও কি কি
  • আমিষের উৎস কি
  • দৈনিক আমিষের চাহিদা

উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলের সাথেই থাকুন।

আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা

আমিষকে মূলত দেহ গঠনের প্রাথমিক উপাদান বলা হয়;কেননা আমাদের দেহের পেশি, চুল,হাড়, ত্বক, নখ ইত্যাদি অঙ্গে আমিষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। আর এই আমিষের গাঠনিক একক হল অ্যামাইনো এসিড। মূলত ২০ প্রকার অ্যামাইনো এসিড দিয়ে তৈরি হয় আমিষ। আমিষের গঠনে এই অ্যামাইনো এসিডগুলো একে অন্যের সাথে পেপটাইড বন্ধনী দ্বারা যুক্ত থাকে। বিভিন্ন আমিষ বিভিন্ন দ্রবণীয় দ্রবীভূত হয়।

যেমন: কাঁচা ডিম পানিতে দ্রবণীয় হলেও সিদ্ধ ডিম পানিতে দ্রবণীয় হয় না। আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে,চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং আমিষ জাতীয় খাবার খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়তে থাকে। তবে আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হলে নানা সমস্যা হতে পারে।আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা বিষয়গুলো নিয়েই জানাবো। আসুন আমরা প্রথমেই আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।

ওজন বাড়ানোর জন্য সহায়ক

যাদের ওজন তুলনামূলক অনেক কম তারা তাদের ওজন বাড়ানোর জন্য কতই না চিন্তা করেন; কিন্তু নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলেই ওজন বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব। যাদের কম ওজন তারা যদি আমিষ জাতীয় খাবার নিয়মিত গ্রহণ করে পাশাপাশি ব্যায়াম করে তবে তাদের কাছে ওজন বাড়ানো খুব বেশি কঠিন লাগবে না। এছাড়াও ওজন বাড়ানোর অন্যান্য টিপস মেনে চলতে হবে।

পেশি বৃদ্ধি করতে: যারা অ্যাথলেটিক ও নিয়মিত জিম করেন তাদের মাসেল বা পেশি বৃদ্ধি করতে আমিষ জাতীয় খাবার সাহায্য করে থাকে।পেশি বৃদ্ধির জন্য আমিষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও আমিষ ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শোষণ বাড়াতে করে।

শক্তি প্রদান করতে: যারা নিয়মিত ভারী ব্যায়াম করেন তারা দীর্ঘক্ষণ ব্যায়াম করে থাকেন আর দীর্ঘক্ষণ ব্যায়াম করলে ক্যালরি বার্ন হয়। পরবর্তী ব্যায়াম করতে বা খেলাধুলা করতে শক্তির দরকার হয় এবং এই শক্তি একজন খেলোয়াড় খাদ্যের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের মধ্যে আমিষ জাতীয় খাবার থেকে বেশি পেয়ে থাকেন। এছাড়াও পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট গ্রুহণ করতে হয়।

হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করতে: আমরা জানি যে, সকল এনজাইম-ই আমিষ বা ইংরেজিতে যদি বলি তাহলে প্রোটিন। আর এনজাইম হরমোনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে বা উৎপাদনে সহায়তা করে। আবার কিছু পেপটাইড হরমোন আছে যেগুলো আমিষ জাতীয়; যেমন- গ্রোথ হরমোন, ইনসুলিন, থাইরক্সিন, অ্যাড্রেনালিন ইত্যাদি। এই সকল হরমোনগুলো দেহের গুরুত্বপূর্ণ বিপাকীয় কাজ ও বর্ধন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। আমাদের দেহে এই সকল হরমোন ক্ষরণে ও বৃদ্ধিতে আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় খাবার সহায়তা করে। তাই আমাদেরকে আমিষ জাতীয় খাবার খেতে হবে।

রক্তের গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে: যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের শরীরে ইনসুলিন লেভেল স্বাভাবিক ব্যক্তির মতো থাকে না এবং তাদের রক্তে গ্লুকোজ লেভেল বেশি থাকে।কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম গ্রহণ করে আমিষ জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করলে রক্তের গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে কারণ আমিষ জাতীয় খাবারে সুগার লেভেল কম থাকে।

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে: আমিষ জাতীয় খাবার যেমন রক্তের গ্লুকোজ লেভেল কমাতে সাহায্য করে তেমনি এটি রক্তের খারাপ কোলেস্টরল এলডিএল এর পরিমাণও কমাতে পারে। আমরা জানি যে, আমাদের রক্তে খারাপ কোলেস্টরল বেড়ে গেলে হার্টের অর্থাৎ হৃদপিন্ডের রক্ত চলাচল কমে যায়। কারণ অতিরিক্ত খারাপ কোলেস্টরল ধমনীর রাস্তা সরু করে দেয়। আমিষ জাতীয় খাবার এই খারাপ কোলেস্টরল শরীর থেকে বের করে দিয়ে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: আমাদের দেহে যখন বাইরে থেকে কোনো জীবাণু প্রবেশ করে তখন এই জীবাণু ধ্বংস করার জন্য বা প্রতিরোধ করার জন্য শরীরের একটি কোষ ‘বিটা লিম্ফোসাইট’ থেকে এক ধরনের আমিষ উৎপন্ন হয়, এদেরকে বলা হয় অ্যান্টিবডি। অতএব, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে আমিষ জাতীয় খাবার খেতে হবে।

রক্ত জমাটকরণে: দেহের বিভিন্ন অংশ কেটে গেলে রক্ত বের হয় এটাই স্বাভাবিক। তবে বেশিক্ষণ ধরে রক্ত পড়তে থাকলে তা শরীরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই প্রাকৃতিকভাবেই রক্ত পড়া বন্ধ হয়। রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে ১৩ টি উপাদান, এর মধ্যে ১২ টি-ই হলো আমিষ বা প্রোটিন। তবে এ কাজে সহায়তা করে ভিটামিন ‘কে’ও সহায়তা করে। খাদ্য তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার কম থাকলে এই রক্ত জমাট বাঁধার উপাদানগুলো সঠিকভাবে কাজ করে না। তাই খাদ্য তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার রাখা জরুরি।

চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে: চুলের বৃদ্ধি ও গোড়া মজবুতের জন্য পুষ্টি উপাদান দরকার। চুলের রঞ্জক পদার্থ হচ্ছে মেলানিন ও চুলের গঠন সাহায্য করে কেরাটিন; আর মেলানিন ও কেরাটিন দুটোই মূলত এক ধরনের আমিষ।শরীরে আমিষের অভাব হলে চুলের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যায়, চুল পড়া বৃদ্ধি পায়। তাই চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আমিষ জাতীয় খাবার আমাদেরকে প্রতিদিন খেতে হবে।

আমিষের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। এছাড়াও আমিষ আমাদের নখের বৃদ্ধি ,ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় ভৃমিকা রাখে। আবার দেহের অক্সিজেন পরিবহনে হিমোগ্লোবিন সহায়তা করে কিন্তু এই হিমোগ্লোবিন মূলত এক ধরনের আমিষ।

আমিষের উপাদান

প্রত্যেক অনুকে ভাঙলে আরো কয়েকটি রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যায় তেমনি আমিষকে ভাঙলেও পাওয়া যায়। আমিষকে আমরা অনু বলতে পারি আর এই অনুকে ভাঙলে যা পাওয়া যায় সেটাকে সেটার উপাদান বলে।

আমিষের মূল উপাদান হলো চারটি। আমিষকে ভাঙলে পাওয়া যায় হলো-কার্বন (৫১-৫৫%) হাইড্রোজেন (৬-৭%) অক্সিজেন (২০-২৪%) নাইট্রোজেন (১৬%) এছাড়াও সামান্য পরিমাণে সালফার ,কখনো ফসফরাস ও লৌহ পাওয়া যায়। আমিষে এই সকল অনু সাধারণত অ্যামাইনো এসিডরূপে থাকে।

কোন খাবারে আমিষ বেশি থাকে?

সকল খাবারেই মোটামুটি আমিষ পাওয়া যায় তবে সব খাবারেই কোনো একটা পুষ্টি উপাদান বেশি থাকলে আমরা তাকে সেই উপাদানের খাদ্য বলে আখ্যায়িত করি। যেমন: মাংসে আমিষ বেশি আছে বলে আমরা মাংসকে আমিষ জাতীয় খাবার বলে থাকি। এখন আপনাদেরকে কোন খাবারে আমিষ বেশি থাকে সেই সম্পর্কে জানাবো।

কিছু আমিষ জাতীয় খাবারের নাম হলো

  • সকল দুগ্ধজাতীয় খাবার: দুগ্ধজাতীয় খাবারের মধ্যে আছে দুধ, পনির, ছানা, দধি ও দুধের তৈরি নানা খাবার।
  • ডাল জাতীয় খাবার: সকল ধরনের ডাল যেমন-মুগ ডাল, মসুর ডাল।
  • বীজ জাতীয় খাবার: শিমের বিচি, বাদাম ,মটরশুঁটি ,তৈলবীজ ইত্যাদি
  • মাংস ও মাছ জাতীয় খাবার: সকল ধরনের মাংস যেমনঃ গরুর মাংস, মুরগির মাংস, হাসের মাংস, ছাগলের মাংস, মহিষের মাংসে প্রচুর পরিমাণে আমিষ পাওয়া যায়। তবে মুরগির বুকের মাংসে ও কলিজায় আমিষ বেশি থাকে। এছাড়াও সকল ধরনের সামুদ্রিক ও লোনা পানির মাছে আমিষ বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।আবার শুঁটকি মাছেও ভালো পরিমাণ আমিষ পাওয়া যায়।

আমিষ কত প্রকার ও কি কি?

বিভিন্ন ধরনের আমিষ জাতীয় খাবার প্রকৃতিতে পাওয়া যায় সেই অনুযায়ী আমিষের শ্রেনিকরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরণের আমিষের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ভিন্ন; কিছু আমিষ তাপে জমাট বাঁধে, কিছু আমিষের ঘনত্ব বেশি। এসব নানা বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে আমিষের শ্রেনিকরণ করা হয়েছে।

ক) গঠন অনুযায়ী আমিষকে তিনটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে, যেমন-

  1. সরল আমিষ
  2. যৌগিক আমিষ
  3. উদ্ভূত আমিষ

খ) নানাবিধ কাজের ভিত্তিতে আমিষকে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে, যেমন-

  • দেহরক্ষাকারী আমিষ: এন্টিবডি,এন্টিজেন।
  • রক্তজমাটকারী আমিষ: ফিব্রিনোজেন।
  • হরমোন ও এনজাইম আমিষ: ইনসুলিন, পেপসিন।
  • সংকোচন আমিষ: পেশির সংকোচনের সহায়তা করে।
  • গঠনগত আমিষ: নখ ও চুলের কেরাটিন।

গ) পুষ্টিগত ভূমিকার উপর ভিত্তি করে আমিষের ২ ধরনের, যেমন-

  1. সম্পূর্ণ আমিষ: যেসব খাদ্য সকল অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড সঠিক পরিমাণে আছে তারাই হলো সম্পূর্ণ আমিষ। যেমন- দুধ, ডিম।
  2. অসম্পূর্ণ আমিষ: যেসব খাদ্যে সকল অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড সঠিক পরিমাণে নেই বা এক বা দুটি অ্যামাইনো এসিড আজে তারাই হলো অসম্পূর্ণ আমিষ। যেমন- ডাল।

আমিষ কত প্রকার ও কি কি, এটা জানার পর এবার আমরা আমিষের উৎস সম্পর্কে জানবো।আমিষের উৎস জানতে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

আমিষের উৎস

আমিষ আমাদের শরীরের জন্য আবশ্যিক একটি উপাদান যা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা খুব জরুরী। কিছু খাবারে আমিষ বেশি থাকে আবার কিছু খাবারে আমিষ কম থাকে। কিন্তু তাই বলে কম আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা যাবে না।

আমিষের উৎস প্রধানত দুইটি

১) প্রাণিজ আমিষ: প্রানিজ আমিষ উদ্ভিজ্জ আমিষের তুলনায় ভালো কারণ প্রাণিজ আমিষে সব ধরনের অ্যামাইনো এসিড বিদ্যমান আছে।তাইতো দুধ আর ডকে সবাই আদর্শ খাবার বলে চিনে।

২) উদ্ভিজ্জ আমিষ: উদ্ভিজ্জ আমিষে সব অ্যামাইনো এসিড নেই এবং এটি দামেও সস্তা। উদ্ভিজ্জ আমিষ জাতীয় খাবারের আমিষের পরিমাণ চাইলেই বাড়িয়ে তোলা যায়। বিভিন্ন ধরণের ডাল ও বীজ একসাথে রান্না করলে আমিষের পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়। আবার খিচুড়ি মাধ্যমেও আমিষের পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়।

দৈনিক আমিষের চাহিদা

আমাদের সবার শরীর সমান পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না ,আর সবার সমান পরিমাণ খাদ্য গ্রহণের প্রয়োজনও হয় না। একজন বৃদ্ধ বয়সে এসে খাদ্যের চাহিদা কমে যায় তেমনি শিশুকালে খাদ্য চাহিদা বেশি থাকে। এমনিতেও বাড়ন্ত শিশুদের বেশি বেশি পুষ্টি দরকার হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন আপনার আর আমার দৈনিক আমিষ চাহিদা এক রকম নয়।চলুন জেনে নিই দৈনিক কি পরিমাণ আমিষ জাতীয় খাবার আমাদেরকে গ্রহণ করা জরুরি।

বয়স
দৈনিক আমিষের চাহিদা
০-৬ মাস
৬-১২ মাস
৮ গ্রাম
১০গ্রাম
১-৩ বছর
৩-৬ বছর
৭-৯ বছর
১২ গ্রাম
১৬ গ্রাম
২৩ গ্রাম
১০-১২ বছর (ছেলে)
১০-১২ বছর (মেয়ে)
৩২ গ্রাম
৩৩ গ্রাম
১৩-১৫ বছর (ছেলে)
১৩-১৫ বছর (মেয়ে)
৪৫ গ্রাম
৪৩ গ্রাম
১৬-১৮ বছর (ছেলে)
১৬-১৮বছর (মেয়ে)
৫৫ গ্রাম
৪৬ গ্রাম
১৮ + প্রাপ্তবয়স্ক ৫০ গ্রাম
গর্ভবতী মা ২য় ট্রাইমেস্টার +৭ গ্রাম
৩য় ট্রাইমেস্টার +১৭ গ্রাম
অ্যাথলেট, খেলোয়াড়,অধিক পরিশ্রমী প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১.৫-২ গ্রাম করে।

যারা কম পরিশ্রম করেন ও যারা অধিক পরিশ্রম করেন তাদের আমিষ চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন হয়। আপনার শরীরের জন্য কতটুকু আমিষ দরকার তা নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই একজন প্রফেশনাল নিউট্রিশনিষ্ট এর শরণাপন্ন হয়ে জেনে নিবেন।
আরোও পড়ুনঃপটাসিয়ামের উপকারিতাপরিশেষেঃ প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণ আমিষ জাতীয় খাবার খেলে দেহের সঠিক বৃদ্ধি ব্যাহত হবে আবার অতিরিক্ত পরিমাণে আমিষ জাতীয় খাবার খেলে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে দেখা যায় শরীরের মেদ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে যা হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই যতটুকু আফনার শরীরের জন্য প্রযোজ্য ততটুকুই আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন।আজকের আর্টিকেলে আপনাদেরকে আমরা আমদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ‘আমিষ’ নিয়ে অনেক স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য দিয়েছি। আশা করি আমাদের এই তথ্য আপনার জন্য উপকার হবে। পরবর্তী টপিক নিয়ে বা নতুন তথ্য জানতে আমাদের আর্টিকেল সাথেই থাকুন।