১৫ থেকে ৩০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী এই ভয়ংকর পোলিও ভাইরাস। ২ থেকে ৫ শতাংশ শিশুর মৃত্যুর জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী পোলিও ভাইরাস সর্বদা মানব মনে আতঙ্ক বিরাজ করে গেছে।
ভয়ংকর সংক্রামক রোগ মানব দেহের স্পাইনাল কর্ড এ আক্রমনের মাধ্যমে প্যারাইসিস এর কারণ হয়ে থাকে। পোলিওর আদ্যোপান্তঃ সুস্থ থাকতে, জানতে হবে, পোলিওর ভয়ংকর আগ্রাসন এর থেকে নিজেকে দূরে রেখে সুস্থ জীবন যাপন অতিবাহিত করা তবেই সম্ভব।
পোলিও রোগের জীবাণুর নাম কী
বিশেষ এক প্রজাতির ভাইরাস পোলিও রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটি সবার কাছে পোলিও-ভাইরাস নামে পরিচিত। এটি আরএনএ ভাইরাস। ক্যাপ্সিড নামক প্রোটিন দ্বারা এটি আবৃত। পোলিও ভাইরাস তিন ধরণের। যথাঃ টাইপ-১ (পিভি- ১), টাইপ-২ (পিভি-২) এবং টাইপ-৩ (পিভি-৩)।
Family: Picornaviridae
Order: Picornavirales
Class: Pisoniviricetes
Kingdom: Orthornavirae
Phylum: Pisuviricota
Realm: Riboviria
পোলিও রোগের লক্ষণ গুলো কী কী
প্রতি ১০০ জন পোলিও আক্রান্ত রোগীর মধ্যে এর মধ্যে ৭২ জন এর কোনো রকম দৃশ্যমান লক্ষন ছাড়াই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। যদিও, অভ্যন্তরীণভাবে কিছুটা দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়। বাকি ২৫ জনের মধ্যে মাঝারি ধরনের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। মাঝারি ধরণের লক্ষণ গুলো হলোঃ
- গলায় ব্যাথা
- জ্বর
- অবসাদ
- মাথা ব্যাথা
- নাসিক্য জনিত সমস্যা
- পেটে ব্যাথা
- এই ধরণের লক্ষণ গুলো খুবই ক্ষণস্থায়ী। তবে কিছু গুরুতর লক্ষণ প্রকাশ পেলেই তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
- প্যারেসথেশিয়াঃ পা অবশ হয়ে যায়।
- মেনিংজাইটিসঃ স্পাইনার কর্ড বা মস্তিষ্কের বিশেষ অংশে ইনফেকশন।
- প্যারালিসিসঃ হাত, পাও শরীরের বিভিন্ন অংশ দুর্বল হয়ে যায়।
গুরুতর পর্যায়ে এসে প্যারালাইসিস এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে। প্যারালাইসিস পর্যায়ে রোগী ধিরে ধিরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। কারণ এই পর্যায়ে এসে ভাইরাস দেহের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে সক্ষম।
পোলিও পরবর্তী সংক্রমণ
যদিও সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে কোনো রোগী একবার সুস্থ হয়ে গেলেও ১৫ থেকে ৪০ বছর পরও পুনরায় লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে পারে। হাড় ক্ষয়ে যাওয়া, কর্মক্ষমতা ব্যাপকহারে হ্রাস পাওয়া এইগুলো সাধারণ লক্ষন।
পোলিও রোগ প্রতিরোধের উপায়
Inactivated poliovirus vaccine (IPV) নামক এক ধরণের ইনজেকশন ব্যবহারের মাধ্যমে পোলিও রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় টিকা নেওয়া যাবে।
Oral poliovirus vaccine (OPV) ও খুবই কার্যকরী। স্বল্পমূল্যের এই ভ্যাক্সিনটি খুবই কার্যকরী।
শিশুদের কিংবা অপ্রাপ্তবয়বস্কদের জন্য inactivated polio vaccine এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা শরীরের কোনো কোষের পরিবর্তন ছাড়াই পোলিও র বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
বাচ্চাদের টিকার তালিকা
যে সমস্ত শিশুরা এমন একটি দেশে ভ্রমণ করবে যেখানে পোলিও হওয়ার ঝুঁকি বেশি বাহ্যিক আইকন তাদের ভ্রমণে যাওয়ার আগে টিকা নেওয়া উচিত। যদি কোনও শিশু যাওয়ার আগে রুটিন সম্পূর্ণ করতে না পারে, তাহলে নিম্নরূপ একটি সময়সূচী সুপারিশ করা হয়:
৬সপ্তাহ বা তার বেশি বয়সে ১ ডোজ।
প্রথম ডোজের ৪ বা তার বেশি সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ
দ্বিতীয় ডোজের ৪ বা তার বেশি সপ্তাহ পরে তৃতীয় ডোজ
তৃতীয় ডোজের ৬ বা তার বেশি মাস পরে একটি চতুর্থ ডোজ
যদি সময়সূচী তে যাওয়ার আগে সম্পূর্ণ করা না যায়, তবে অবশিষ্ট ডোজগুলি সুপারিশকৃত বিরতিতে দেওয়া উচিত। এছাড়াও, সময়সূচী সম্পন্ন করা শিশুদের এখনও ৪ বছর বা তার বেশি বয়সে IPV-এর ডোজ গ্রহণ করা উচিত, যতক্ষণ না শেষ ডোজ নেওয়ার অন্তত ৬ মাস হয়েছে।
আরোও পড়ুনঃ ভ্যাকসিন নিয়ে সব তথ্য এবং ভ্যাকসিন নিবন্ধন
পোলিও টিকা খাওয়ানোর বয়স
দুই ধরণের পোলিও টিকার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
Inactivated poliovirus vaccine (IPV) ভ্যাক্সিন এর জন্য
২ মাস বয়স
৪ মাস বয়স
৬ থেকে ১৮ মাস বয়স এবং
৪ থেকে ৬ বছর বয়স ডব্লিউএইচও দ্বারা নির্ধারিত।
Oral poliovirus vaccine (OPV) ভ্যাক্সিনটি শুধুমাত্র শিশুদের জন্য প্রতি ১ মাস অন্তর অন্তর প্রদান করতে হবে।
পোলিও ভ্যাক্সিন কে আবিষ্কার করেন?
PV-এর বিভিন্ন অ্যান্টিজেনিক স্ট্রেনকে তিনটি স্বতন্ত্র ভাইরাল প্রকারে বিভক্ত করা যেতে পারে এবং ভিট্রোতে PV-এর প্রচারের ফলে পোলিওমাইলাইটিসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের বিকাশ ঘটে: জোনাস সালক (১৯৫৩) দ্বারা ফরমালিন-ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন (IPV) এবং অ্যালবার্ট সাবিন (১৯৫৬) দ্বারা লাইভ-এটেনুয়াটেড ভ্যাকসিন (OPV)
3 replies on “জানতে হবে পোলিও রোগের জীবাণুর নাম কী”
[…] তবে, পাকস্থলী কোনোভাবে আক্রান্ত হলে এই ধরণের খাবার বিপদের কারণ হতে পারে। তাই, ডাক্তার কিংবা বিশেষজ্ঞ সর্বদাই তরল জাতীয় খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন। আরোও পড়ুনঃ জানতে হবে পোলিও রোগের জীবাণুর নাম কী […]
[…] আরও পড়তে পারেনঃ হাম রোগের লক্ষণ ও করনীয় এবং পোলিও রোগের জীবাণুর নাম কী […]
[…] হেপাটাইটিস বি টিকা হল একটি টিকা যা হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধ করে। প্রথম ডোজটি জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেওয়া হয় এবং তার পরে আরও দুটি বা তিনটি ডোজ দেওয়া হয়। এইচআইভি / এইডস আক্রান্ত ব্যাক্তি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম ,যেসব শিশুরা সময়ের আগে জন্ম নেয় তারা হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভনা অনেক বেশি থাকে। আরও পড়ুনঃ জানতে হবে পোলিও রোগের জীবাণুর নাম কী […]