Categories
ভ্যাকসিন

শিশুদের জন্য টি টি টিকার উপকারিতা

পৃথীবিতে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হয়েছে। আর এই নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধের জন্য নানা সময় ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে। তাই আজকে আলোচনা করবো টি টি টিকার উপকারিতা নিয়ে।

টি টি টিকার উপকারিতা

টি টি টিকা প্রাপ্ত বয়স্ক এবং শিশুদের দেওয়া হয় টিটেনাস বা ধনুষটংকার রোগ প্রতিরোধ এর জন্য। প্রাপ্ত বয়স্ক এবং সাত বছরের উপরে শিশুদের এ টিকা দিতে বলা হয়। টি টি টিকার উপকারিতা অনেক। এ টিকা গ্রহণের ফলে আপনি টিটেনাস ভাইরাস এর বিপক্ষে ইমিউন হয়ে যাবেন। এ টিকা সময় মতো না গ্রহণ করলে পরবর্তীতে আমাদের টিটেনাস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়।

হাম-রুবেলা টিকা

হাম ভাইরাসজনিত মারাত্মক একটি সংক্রামক রোগ। যাকে রুবেলাও বলা হয়ে থাকে। এটি একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা শ্বাসযন্ত্রের মধ্যে শুরু হয়। এছাড়া এটি জার্মান মিজলস নামেও পরিচিত। শিশুরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। সময় মতো হামের টিকা অথবা চিকিৎসা না করালে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। হাম যে শুধু শিশুদের হয়ে থাকে এমনটা নয়। বড়দেরও হাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভ্যাকসিনের নেওয়ার পরেও বিশ্বের অনেক মানুষ এই রোগে মৃত্যুবরণ করে থাকে। হামের কারণে বছরে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা যায়। বিশেষ করে যাদের বয়স ৫ বছরের কম।

হাম ভাইরাস ব্যক্তির নাক এবং গলার শ্লেষ্মায় বাস করে। রোগটি বাতাসের মাধ্যমে এবং সংক্রমিত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাস ভূপৃষ্ঠে এবং বাতাসে ২ ঘন্টা সক্রিয় থাকে। ৯০ % সম্ভাবনা রয়েছে যে, যে ব্যক্তিকে হামের টিকা দেওয়া হয়নি সে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগটি দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ঘটে। প্রথম ১০-১৪ দিন ইনকিউবেশন পিরিয়ড, যেখানে কোন লক্ষণ দেখা যায় না। এখানে শুধু রোগের কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়।

রুবেলা igG পসিটিভ মানে কি?

রুবেলা igG পসিটিভ মানে আপনি রুবেলা ভাইরাস এর প্রতি ইমিউন এবং আপনার ইনফেকশন হওয়ার সম্ভবনা নেই। রুবেলা igG টেস্ট টি সবচেয়ে বেশি করা হয়।

জটিলতা

জটিলতাগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অপুষ্টি, এনকেফালাইটিস, অন্ধত্ব ও বধিরতা অন্যতম। হামের মতো রুবেলাও ভাইরাসজনিত অত্যন্ত সংক্রামক একটি রোগ। এটিও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে দ্রুত ছড়ায়। গর্ভবতী মায়েরা গর্ভের প্রথম তিন মাসে রুবেলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে মা থেকে গর্ভের শিশু আক্রান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে গর্ভপাত, এমনকি গর্ভের শিশুর মৃত্যু হতে পারে অথবা গর্ভজনিত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে শিশু জন্ম গ্রহণ করে, যা কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম নামে পরিচিত। এসব রোগ থেকে শিশুকে বাঁচানোর উপায় হচ্ছে সঠিক সময়ে তাকে টিকা দেওয়া।

কেন হাম রোগ হয় ?

ভিটামিন-এ এর ​​অভাব হাম রোগের সাথে সম্পর্কিত। এছাড়াও ভিটামিন-এ এর অভাবে গুরুতর লক্ষণ এবং জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ জেনেনিন শিশুদের নিউমোনিয়ার টিকা কখন দিতে হয়

হামের কারণ ও লক্ষণ

হাম একটি সংক্রামক রোগ। যা একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়। হাম প্রথমে সংক্রমিত ব্যক্তির গলা এবং নাকের মধ্যে পুনরুউৎপাদন করে। যখন এই হাম রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কাশি, হাঁচি বা এমনকি কথা বলে, তখন তাদের ফোঁটাগুলি বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে অন্য কোন ব্যক্তি শ্বাস নিলে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এই সংক্রমিত ফোঁটাগুলি পৃষ্ঠের উপরেও অবতরণ করতে পারে।

যেখানে এটি কমপক্ষে ২ ঘন্টা সক্রিয় থাকার ক্ষমতা রাখে। দূষিত পৃষ্ঠের সংস্পর্শে আসার পরেও যদি কোন ব্যক্তির চোখ এবং নাক স্পর্শ করেন তবে সেই ব্যক্তি এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হতে পারেন। প্রতিটি মানুষের জন্য হামের টিকা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোন ব্যক্তির ছোট বেলায় হামের টিকা না নিয়ে থাকে বড় হওয়ার পর সেই ব্যক্তির হাম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যে সব দেশ বা অঞ্চলে মানুষের হাম বেশি পরিমানে হয়। সেই সব অঞ্চলে ভ্রমণ করলে হাম রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আরও পড়ুনঃ যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ এবং চিকিৎসা

হাম রোগের লক্ষণ

এই রোগের লক্ষণগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ১০ থেকে ১৪ দিন পরে উপস্থিত হয়। এই রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • কাশি
  • জ্বর
  • সর্দি
  • লাল চোখ
  • গলা ব্যাথা
  • মুখের ভিতরে সাদা দাগ
  • ফুসকুড়ি হামের প্রধান লক্ষণ হলো ব্যাপকভাবে ত্বকের মধ্যে ফুসকুড়ি ছড়িয়ে পড়া। এই ফুসকুড়ি গুলো দেহের মধ্যে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই ফুসকুড়িগুলি সাধারণত মাথায় প্রদর্শিত হতে শুরু করে। তারপর শরীরের অন্যান্য অংশে এগুলো ছড়িয়ে পড়ে।

হাম রুবেলা টিকা কখন দিতে হয়

হাম-রুবেলা রোগ ও এর জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হলো সঠিক সময়ে শিশুকে হাম-রুবেলা (এমআর) টিকা প্রদান করা। নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে শিশুদের ৯ মাস ও ১৫ মাস বয়সে ২ ডোজ এমআর টিকা প্রদান করা হয়ে থাকে মোট
আরও পড়ুনঃ চিনেনিন ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ গুলো কি কি

হাম রুবেলা টিকা কোথায় দিতে হয়

হাম রুবেলা টিকা আপনার নিকটস্থ টিকা কেন্দ্রে দিয়ে থাকবে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় সময় টিকা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

হাম রুবেলা টিকার পার্শপ্রতিক্রিয়া

এ টিকার তেমন কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে অনেকের সামান্য মাথা ব্যথা,বমি বমি ভাব হতে পারে। যদি কারো একাধিক পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে অবসই ডাক্তার এর শরণাপন্ন হতে হবে। টি টি টিকা প্রাপ্ত বয়স্ক এবংশিশুদের দেওয়া হয় টিটেনাস বা ধনুষটংকার রোগ প্রতিরোধ এর জন্য। প্রাপ্ত বয়স্ক এবং সাত বছরের উপরে শিশুদের এ টিকা দিতে বলা হয়। টি টি টিকার উপকারিতা অনেক। এ টিকা গ্রহণের ফলে আপনি টিটেনাস ভাইরাস এর বিপক্ষে ইমিউন হয়ে যাবেন। এ টিকা সময় মতো না গ্রহণ করলে পরবর্তীতে আমাদের টিটেনাস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়।
আরও পড়ুনঃ যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ এবং চিকিৎসা

টিকা কর্মসূচি
এ রোগের প্রকোপ থেকে শিশুকে বাঁচানোর জন্য নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে নয় মাস বয়সী শিশুদের জন্য এক ডোজ এমআর টিকা যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি হাম দূরীকরণ ও রুবেলা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আগে হাম বা এমআর টিকা পেয়ে থাকলেও হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে নয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সব শিশুকে এক ডোজ এমআর (হাম-রুবেলা) টিকা দেওয়া হচ্ছে।

One reply on “শিশুদের জন্য টি টি টিকার উপকারিতা”

[…] এজন্য এ সম্পর্কে সকলকে জানতে হবে ও সঠিক জ্ঞান রাখতে হবে।তাই এর লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে জানা থাকলে এটি সহজেই নিরাময় করা সম্ভব। আরোও পড়ুনঃ শিশুদের জন্য টি টি টিকার উপকারিতা […]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *