Categories
ভেষজ গাছ

ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের আজকের প্রতিবেদন এর ভিতরে ঘৃতকুমারী নিয়ে আলোচনা করব। ঘৃতকুমারী নিয়ে আপনাদের মনের ভিতরে সকল প্রশ্ন আছে সেগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের আজকের আলোচনায় যা থাকবে সেগুলোকে নিচে দিয়ে দেওয়া হল দেখে নিন।

  • ঘৃতকুমারী
  • ঘৃতকুমারী গাছ
  • ঘৃতকুমারী খাওয়ার উপকারিতা
  • ঘৃতকুমারী গাছের গুনাগুন
  • ঘৃতকুমারী খাওয়ার নিয়ম
  • ঘৃতকুমারী বৈজ্ঞানিক নাম
  • ঘৃতকুমারী কোথায় পাওয়া যায়
  • ঘৃতকুমারী উপকারিতা
  • ঘৃতকুমারী গাছের উপকারিতা

ঘৃতকুমারী

ঘৃতকুমারী বহুজীবী ভেষজ উদ্ভিদ আর এইটা কেমন দেখতে অনেকেই আছেন যারা জানেন আবার অনেকেই রয়েছেন জানেন না, আর না জানলে ও কোন সমস্যা নেই। আমি আপনাদেরকে বলতেছি এটা দেখতে আসলে কিসের মত, আমাদের ভিতরে অনেকি আছি যারা আনারস গাছ দেখেছি। ঘৃতকুমারী হচ্ছে আনারস গাছের মতো অনেকটা।

আপনারা এই গাছের পাতাগুলো পুরু, দুধারে করাতের মত কাঁটা এবং ভিতরে লালার মত পিচ্ছিল শাঁস দেখতে পারবেন। কোন ধরনের মাটি বা কোনো ধরনের জমিতে আপনারা ঘৃতকুমারী চাষ করতে পারেন কোন সমস্যা হবে না।

আপনারা যদি দোআঁশ কিংবা অল্প বালি মিশ্রিত মাটির ভিতরে গাছ লাগাতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে আপনাদের কাছে অনেক ভালো হবে। নিয়মিতভাবে আপনাদেরকে গাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে তবে একটা বিষয় আপনারা সবসময় মনে রাখবেন , গাছের গোড়ায় সবসময় পানি দেওয়া দরকার হলে ও গাছের গোড়ায় যাতে ভুলে ও , যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। সাধারণভাবে দেখা যায় শিকড় থেকে গজানো ডাল অথবা ‘শাখা’ এর সাহায্যে এই গাছটার বংশবৃদ্ধি হয়ে থাকে।

আর এই ঘৃতকুমারীর ভিতরে আছে ২০ ধরনের খনিজ পদার্থ। যেটা আমাদের মানব দেহের জন্য ২২টি অ্যামিনো অ্যাসিড দরকার সেগুলো এটার ভিতর বিদ্যমান আছে বলতে পারেন। আর তাছাড়াও এর ভিতরে ভিটামিন A, B1, B2, B6, B12, C এবং E রয়েছে।

ঘৃতকুমারী, হচ্ছে ১ টা রসালো উদ্ভিদ প্রজাতি। অনেকে হয়তো জানেন আবার অনেকেই জানেন না এটা হচ্ছে ১ টা পরিবারের উদ্ভিদ। ঘৃতকুমারী গাছটি আপনারা দেখতে পারবেন অনেকটা কাঁটাওয়ালা ফণীমনসা অথবা ক্যাকটাসের মতো। অ্যালোভেরা ক্যাকটাসের মত দেখা যায় তবুও এটা ক্যাক্টাস না এটা অবশ্যই মনে রাখবেন। লিলি প্রজাতির উদ্ভিদ। আর এই ঘৃতকুমারী আদি নিবাস হল আফ্রিকার মরুভূমি অঞ্চল এবং তার সাথে মাদাগাস্কার। অ্যালোভেরা আজকে থেকে প্রায় ৬০০০ বছর আগে মিশরে এই ঘৃতকুমারী এর উৎপত্তি লাভ করেছিল।

ঘৃতকুমারী গাছ

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী পরিচিত ১টি দরকারি ভেষজ ঔষধি গাছ। অ্যালোভেরা গাছের গোড়া হতেই মূলত সবুজ রঙের পাতা হয়ে থাকে আর পাতাগুলো পুরু ধরনের হয়ে থাকে। যেটার দুই পাশেই করাতের মতো ছোট ছোট কাঁটার মতো থাকে। পাতার একদম ভিতরে থাকে স্বচ্ছ পিচ্ছিল ধরনের শাঁস থাকে আর সেটাকে অ্যালোভেরা জেল বলা হয়ে থাকে ।

১টা গাছ হতে আপনারা ৬০ থেকে ৭০ টার মত পাতা বিক্রি করতে পারবেন অনায়াসেই। তাছাড়াও আপনারা জানলে অবাক হয়ে যাবেন , ১টা গাছের পাতা হতে অনেকগুলো গাছ জন্মাতে পারে। তারপর আপনারা উপযুক্ত সময় এই গাছের পাতাগুলো কেটে সেগুলোকে বিক্রি করে দিতে পারবেন বেশ ভালো দামে। এই গাছ লাগানোর পরে সেরকম ভাবে কোনও যত্ন নেওয়ার দরকার হয়ে থাকে না। তবে এই গাছের উপরে যদি বেশি পরিমাণে তাপমাত্রা পড়ে তাহলে সেক্ষেত্রে দেখা যাবে গাছটি মরে যাবে, তাই কম তাপমাত্রার ভিতর রাখার চেষ্টা করবেন।

ঘৃতকুমারী খাওয়ার উপকারিতা

ঘৃতকুমারী খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি খাদ্য। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য এবং তার সাথে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রতিরোধ করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনারা যদি নিয়মিত ভাবে ঘৃতকুমারীর পাতার রস খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীর সবসময় ঠান্ডা থাকবে। ঘৃতকুমারী খেলে আমাদের শরীরে কার্যক্ষমতা অনেকগুণ বেড়ে যেতে থাকে।

আর যার ফলে বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে আমাদের শরীর অনেক ভালো থাকে কিংবা সুস্থ থাকে। এছাড়াও আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে ঘৃতকুমারী খাওয়ার সেগুলো এখন জেনে নেওয়া যাক।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে: ঘৃতকুমারীর রস যদি আমরা খাই তাহলে আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য অনেক সাহায্য করবে। হজমক্রিয়া যদি ভালো না থাকে তাহলে পেটের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে থাকে। ঘৃতকুমারী পরিপাক যন্ত্রকে পরিষ্কার করে দেয়। আর যার ফলে হজম শক্তি বাড়াতে অনেক কার্যকরী একটি খাবার বলা যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য এরপরে ডায়ারিয়া এই দুইটি ক্ষেত্রেই ঘৃতকুমারীর রস কার্যকরি ভূমিকা পালন করে থাকে। ঘৃতকুমারীর রস যদি আমরা খাই তাহলে আমাদের পেটের ভিতরে কোন কৃমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। আর তার সাথে সাথে আমাদের পরিপাক ও রেচন যন্ত্রকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত রাখার জন্য কাজ করে থাকে। আর তাই আপনারা যদি প্রত্যেক দিন অ্যালোভেরার রস পান করতে পারেন। তাহলে দেখতে পারবেন , আপনারা সুস্থ দেহের অধিকারি হতে পারবেন খুব সহজেই।

ভিটামিন আর খনিজ: অনেক রকমের ভিটামিন আর খনিজের এক সমৃদ্ধ উৎস হল অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী। ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন-এ,সি,ই,কোলিন, বি-১, বি-২, বি-৩ (নিয়াসিন) ও ভিটামিন বি-৬ এইগুলোর দারুন ১টি উৎস বলতে পারেন। ভিটামিন-বি-১২ রয়েছে এই উদ্ভিদে আর যেটা অনেক কম সংখ্যক উদ্ভিদের ভিতরে থাকে। ঘৃতকুমারী এর ভিতরে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম,ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক,সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, সোডিয়াম,আয়রন,পটাশিয়াম, কপার আর ম্যাংগানিজ। আর এর ভিতরে খনিজ উপাদানে একদম ভরপুর।

ত্বক ও চুলের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে: আর সব থেকে বড় কথা হল , এই অ্যালোভেরা কিংবা ঘৃতকুমারী আধুনিক প্রসাধনী সামগ্রীর অন্যতম ১টি কাঁচামাল। এটা আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য অনেক উপকারী একটি ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। তারপর এটা আমাদের ত্বকের অনেক ক্ষতি সারিয়ে তোলার জন্য সাহায্য করে। আমাদের শরীরে যদি কোন খানে থাকে, তাহলে সেটা সারিয়ে তোলার জন্য অনেক কার্যকরী ভাবে কাজ করে থাকে। রোদে পোড়া, ত্বকে ফুসকুড়ি পড়ে যাওয়া এরপরে পোকার কামড়ের সকল ধরনের সমস্যা আমাদের শরীরে হয়ে থাকে সেগুলো সারিয়ে তুলতে পারে এই ঘৃতকুমারী।

বেদনানাশক হিসেবেই ঘৃতকুমারী কাজ করে। চুল পরিষ্কার করার জন্য,এরপরে চুলে পুষ্টি জোগাতে জন্য ঝলমলে উজ্জ্বল করতে ও ঘৃতকুমারীর রসের তুলনা অন্য কিছুর সাথে দিলে সেটা হবে না এটা অন্যান্য সকল কিছু থেকে,এছাড়া ও আর ও অনেক উপকারিতা রয়েছে সেগুলো আপনারা নিচে আরো জানতে পারবেন।

ওজন কমিয়ে দেওয়ার জন্য সাহায্য করে: আপনারা কি অনেকদিন ধরে ওজন কমানোর জন্য ডাক্তার দেখাচ্ছেন বা ব্যায়াম করে যাচ্ছেন। কোনো রকমের সুফল পাচ্ছেন না? তাহলে আর কোন চিন্তার কারন নেই। আপনারা এই ঘৃতকুমারী যদি নিয়মিত ভাবে খান তাহলে আপনাদের শরীরের ওজন কমে যাবে। আপনারা যদি এটাকে নিয়মিতভাবে খেতে থাকেন তাহলে আপনাদের শরীরের অতিরিক্ত সকল কোলেস্টেরল রয়েছে সেটা কমানোর জন্য অনেক সাহায্য করবে। আর যার কারণে আপনাদের শরীরের ওজন অনেক তাড়াতাড়ি কমে যাবে।

চাপ আর রোগ প্রতিরোধ করার জন্য কাজ করে: ঘৃতকুমারী এর ভিতরে দারুণ অ্যাডাপ্টোজেন আছে। আর যেটা আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে থাকে এবং বাহ্যিক নানা চাপ আর রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী উপাদানকে অ্যাডাপ্টোজেন বলা হয়ে থাকে। ঘৃতকুমারী আমাদের শরীরের ভেতর অভ্যন্তরীণ পদ্ধতির সাথে মিশে গিয়ে একেবারে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আগের থেকে আরও বেশি পরিমাণে সক্রিয় করে তোলার জন্য সাহায্য করে থাকে।

অনিয়মিতভাবে / অস্বাভাবিক রকমভাবে (মাসিক) হলে প্রতিরোধ করে থাকে: ঘৃতকুমারী পাতার শাষকে আপনারা যদি একটু ভালোভাবে করে চটকে চালুনিতে/ঝাকিতে পাতলা আবরণ করে নিবেন। তারপর সেটাকে শুকিয়ে নেওয়ার পরে যদি আরেকবার তার উপরে পাতলা আবরণ লাগিয়ে নেন।

আর এইভাবে যদি আপনারা কয়েকবার লাগানোর পরেই আম সত্বের মত তৈরী করে নিতে পারেন। তাহলে আপনারা সেই ক্ষেত্রে আপনাদের যখন মাসিক হবে সেই সময়ে ২/৩ গ্রাম পরিমাণ পানিতে ভিজিয়ে নেবেন এবং প্রত্যেক দিন সকালে খালি পেটে খাবেন তাহলে আপনারা অনেক উপকার পাবেন ।

পেটের ইস্তিজ্ঞা (মল) পরিষ্কার করার জন্য সাহায্য করে:
যখন সময় হবে তখন আপনারা সকাল বেলা খালি পেটে আপনারা টাটকা ঘৃতকুমারী পাতার শাঁস রয়েছে। সেটাকে ১০/১৫ গ্রামের মতো ঠাণ্ডা পানির সাথে মিলিয়ে হালকা চিনি মিশিয়ে শরবত বানিয়ে যদি খান। তাহলে দেখা যাবে ,আপনাদের সম্পন্ন ইস্তিজ্ঞা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

অর্শ রোগের থেকে মুক্তি দেয়: অর্শ রোগের বা পাইলস এর স্বভাবধর্ম কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে যাওয়া। আর সেটা থাকুক বা নাই থাকুক সেটা কোন বিষয় না, এই ক্ষেত্রে ঘৃতকুমারীর শাঁস ৫/৭ গ্রাম মাত্রায় একটু অল্প পরিমাণে যদি ঘি দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে সকালে এবং বিকেলে আপনাদেরকে দুই বার খাওয়া লাগবে। তাহলে দাস্ত পরিষ্কার হবে আর আপনাদের অর্শের ও অনেক উপকার হবে।

শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে: আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এমন কিছু খাবার থাকে যেগুলো আমাদের শরীরের শক্তি কমিয়ে দেয়।আপনারা যদি নিয়মিত ভাবে ঘৃতকুমারীর রস খেতে পারেন। তাহলে আপনাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার শরীরের ওজন ঠিক রাখার জন্য অনেক কাজ করবে এই ঘৃতকুমারী।

ঘৃতকুমারী গাছের গুনাগুন

ঘৃতকুমারী গাছের উপকারিতা কথা বললে এর কোনো বিকল্প নেই। গাছের মতো ঔষধ বর্তমান সময়ে এখন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে অনেক বেশি পরিমাণে। আদিম যুগে মানুষ এটা শুধুমাত্র গাছ গাছড়ার ধারায় তাদের শরীরের সমস্ত রোগ গুলো হয়ে থাকত সেগুলো ভালো করতো এটা আমরা অনেকেই জানি সে সময় কোন ডাক্তার কবিরাজ বা বৌদ্ধ ছিল না।

বর্তমানে এখন হোমিওপ্যাথি অ্যালোপ্যাথি এর সাথে আয়ুর্বেদিক হিসাবে গাছের কোন বিকল্প নেই বলা চলে। আমাদের পৃথিবীতে বর্তমানে এখন অনেক রকমের গাছ রয়েছে আর যেগুলো আমাদের শরীরে ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে। আর তাছাড়া আমরা সকল সবজি খেয়ে থাকি সেগুলো বলতে গেলে এক রকমের ঔষধ। সেগুলো থেকে আমরা বিভিন্ন রকমের ভিটামিন পেয়ে থাকি।

যেমন মনে করুন, শর্করা,প্রোটিন এছাড়াও আরও অনেক ভিটামিন আমরা সবজি থেকে পেয়ে থাকি। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। আর বর্তমানে এখন এই চিকিৎসা নেই বললেই চলে। কেউ এই চিকিৎসা করাতে চায় না, আজ আমি আপনাদের সাথে এমন একটা গাছের সম্পর্কে আলোচনা করবো। যেগুলো আপনাদের জীবনে অনেক সহযোগিতা করবে বা আপনাদের জীবনে অনেক দরকার। আর তার সাথে সেই গাছের উপকারিতা এবং গুনাগুন সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।

গুণবতী ভেষজ ঘৃতকুমারী (ঘৃতকুমারী) মিসরীয় অনেক মানুষদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে সৌন্দর্যবর্ধনকারী প্রকৃতিকন্যার লাতিন নাম হল এই অ্যালোভেরা অথবা ঘৃতকুমারী। বাংলা নাম হচ্ছে‘তরুণী ঔষধি গাছ’। ভেষজ হিসাবে এই গাছের কদর আছে এই গাছের তবে আমাদের দেশে বর্তমানে এখন এটি মূলত ঘৃতকুমারী নামেই সবার মাঝে বেশি পরিচিত। অনেকে আবার রয়েছে যারা এটাকে শুধুমাত্র ‘কুমারী’ নামে ও ডেকে থাকেন।

‘অ্যালো’ পরিবারের ১টি উদ্ভিদ ঘৃতকুমারী। মানবদেহের জন্য ২২টি অ্যামিনো অ্যাসিড দরকার হয়ে থাকে সেটার ৮টিই আছে এই ঘৃতকুমারী এর ভিতরে। আর তাছাড়াও এর ভিতরে আছে ২০ রকমের খনিজ পদার্থ। তাছাড়াও ঘৃতকুমারীর ভিতরে একই সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন A, B1, B2, B6, B12, C এবং E আছে। আর সারা বিশ্বজুড়ে এই গাছের জুস ক্যাপসুল কিংবা জেলের আকারে বিক্রি করা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে এটা আমরা অনেকেই জানি।

ব্যবহার: ঘৃতকুমারী গাছের পাতা আর তার সাথে শাঁস দুইই ভেষজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

গুনাগুন: ঘৃতকুমারী পাতার রস যদি আমাদের ত্বকের উপর লাগাই তাহলে সেক্ষেত্রে দেখা যাবে আমাদের ত্বকের উজ্জলতা অনেক বেড়ে যাবে। আর আগের থেকে এবং রোদে পোড়া ত্বক রয়েছে সেটার ও অনেক উপকার হবে। সেটা আগে যেরকম ছিল তার থেকে অনেক ভালো হয়ে যাবে। আপনারা যদি নিয়মিত ভাবে ঘৃতকুমারীর রস খেতে পারেন তাহলে পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যাবে। আর যার কারণে আপনাদের শরীরের পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে অনেক সহজে। তাছাড়া ডায়েরিয়া সারাতে ও ঘৃতকুমারীর দারুন ভাবে কাজ করে থাকে। নিয়মিত ভাবে ঘৃতকুমারীর রস সেবন করলে আপনাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনাদের ওজন বৃদ্ধি পাবে।

ঘৃতকুমারী খাওয়ার নিয়ম

অ্যালোভেরার জেল সাধারণ ভাবে আপনারা শরবত বানিয়ে তার পরে খেতে পারবেন খুব সহজেই। আপনারা আপনাদের বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ লাগাতে পারেন। আর আপনারা যদি গাছ লাগাতে না পারেন আপনাদের বাড়িতে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনারা বাজার থেকে এলোভেরা জুস কিনে আনতে পারেন, জুস কিনে এনে খেলে ও হবে। প্রত্যেক দিন আপনারা ২ টেবিল চামচ জেল খেলেই সেটা আপনাদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে হবে।

অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার উপকারিতা

  1. ভিটামিনের অভাব দূর করে দেয়।
  2. হজম শক্তির উন্নতি করে।
  3. এন্টিঅক্সিডেন্ট এর যদি অভাব থাকে তাহলে সেটা দূর করে দিতে পারে।
  4. বদহজমের যদি সমস্যা থাকে তাহলে সেটা ভালো হয়ে যাবে।
  5. রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে আগের থেকে।
  6. রক্তশূন্যতা থাকলে সেই সমস্যা ভালো করবে।

ঘৃতকুমারী বৈজ্ঞানিক নাম

অনেকেই আছে যারা জানতে চান, ঘৃতকুমারী এর বৈজ্ঞানিক নাম কি? ঘৃতকুমারী এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Aloe vera (ঘৃতকুমারী) এর বৈজ্ঞানিক নাম Aloe vera এটি আসলে Asphodelaceae (Aloe family) পরিবারের ১ উদ্ভিদ বলা যায়।

ঘৃতকুমারী কোথায় পাওয়া যায়?

আপনারা ইচ্ছে করলে আপনাদের বাড়ীর ছাদে কিংবা আপনাদের বাড়ির আশেপাশে জমি থাকলে সেখানে লাগাতে পারেন। সেখান থেকে আপনারা ঘৃতকুমারী পাবেন কিংবা আপনারা যদি গাছ লাগাতে না পারেন। তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনারা বাজার থেকে কিনে আনতে পারেন খুব সহজে।

ঘৃতকুমারী উপকারিতা

ঘৃতকুমারী খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে আর এই বিষয়টা আমি এর আগেও বলেছি। আশা করি সেই বিষয়গুলো আপনারা দেখলে বুঝতে পারবেন , ঘৃতকুমারী খাওয়ার উপকারিতা কি কি রয়েছে এবংআপনারা কেন ঘৃতকুমারী খাবেন।

ঘৃতকুমারী গাছের উপকারিতা

ঘৃতকুমারী গাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে আর এই বিষয়টা সম্পর্কে উপরে বিস্তারিতভাবে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। উপরে আমি সেগুলো বিস্তারিতভাবে লিখে দিয়েছি। আর তাছাড়া ও যদি কোন কিছু জানার থাকে।তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনাদের মনে সকল প্রশ্ন রয়েছে সেগুলো সব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এরপরে ও যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনারা আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা সেটার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুনঃ একটি চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের শেষ কথা
তাহলে আজকে আমাদের প্রতিবেদনের ভিতরে ঘৃতকুমারী সম্পর্কে যত তথ্য রয়েছে সেগুলো দেওয়ার চেষ্টা করলাম। আমাদের প্রতিবেদন ভালো লেগেছে আশা করি, আর এইরকম বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের তিস্তা মিডিয়ার সাথেই থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *