Categories
ভ্যাকসিন

হেপাটাইটিস এ এর লক্ষণ এবং কোন হেপাটাইটিস ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর

ভাইরাস বাহিত একটি রোগ হিসেবে পরিচিত হেপাটাইটিস এ। হেপাটাইটিস এ এর লক্ষণ জানতে হলে সাথে থাকুন।

বহুকাল পূর্বে মানুষের মধ্যে, যোগাযোগের মাধ্যম ছিল বেশ সীমিত। এই সীমিত যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে কোন রকমে দিন পার করতেন। অনুন্নত সমাজ ব্যবস্থার ফলে তখন চিকিৎসা সেবা ছিল না উন্নত। ফলে উন্নত চিকিসৎসা সেবার অভাবে, কোন ঘাতকবাহী রোগের প্রভাবে অনেক মানুষ ঢলে পড়তেন মৃত্যুর কোলে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবনে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়লেও সেই রোগকে প্রতিহত করার মতো উন্নত চিকিসৎসা সেবার আবির্ভাব হয়েছে আমাদের জীবনে। ভাইরাস জনিত একটি রোগ হিসেবে হেপাটাইটিস এ। তাই হেপাটাইটিস এ এর লক্ষন বিস্তারিত বিবরণ থাকবে আজকের আলোচনায়।

হেপাটাইটিস এ এর লক্ষণ

হেপাটাইটিস ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সংগঠিত হয়ে থাকে। তাই বিভিন্ন কারণে হতে পারে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস। মূলত ৫ ধরণের ভিন্ন ভিন্ন ভাইরাসের প্রভাবে হয়ে থাকে হেপাটাইসিস ভাইরাস। চলুন জেনে নেওয়া যাক হেপাটাইটিস এ ভাইরাসের এর লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে-

  • আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন পেশী এবং গিটে গিটে ব্যথা হয়ে থাকে এই রোগের প্রভাবে।
  • শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অনেক সময় শরীরে জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব দেখায়।
  • অনেক সময় ক্ষুদামন্দার মতো সমস্যা দেখা দেয় এই রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে।
  • রক্তে বিরুলিনের পরিমান কমে গিয়ে যকৃটার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।
  • শরীরের বিভিন্ন অংশে পানি জমে গিয়ে অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে শরীরে।

হেপাটাইটিস এ এর টিকা দেওয়ার নিয়ম

হেপাটাইটিস এ একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। আর আমরা প্রায় কম বেশি সকলে জানি, যে কোন ধরণের ভাইরাসবাহিত রোগ যদি কোন একজন ব্যক্তির উপর ভর করে, সেই রোগ ধীরে ধীরে সকলের মাঝে সমানভাবে ছড়িয়ে ফেলতে পারে। যা মাঝে মাঝে অনেক সময় মহামারীর মতো সমস্যার জন্ম দিতে পারে। তাই কোন রোগ এর প্রাদুর্ভাব ঘটার পূর্বে থেকে রোগটি যাতে ছড়িয়ে না পড়তে পারে তার জন্য অবশ্যই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

কথা আছে সমাধান থেকে প্রতিকার শ্রেয়। তাই ভাইরাসবাহিত যেকোনো ধরণের রোগ প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই তার জন্য প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। হেপাটাইটিস এ প্রতিরোধ করতে চাইলে এর লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে জেনে তার জন্য উপযুক্ত ভ্যাকসিন এর ব্যবস্থা করতে হবে । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক হেপাটাইটিস এ এর টিকা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে-

হেপাটাইটিস এ এর বিরুদ্ধে একটি পদক্ষেপ হল হেপাটাইটিস এ ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন এই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে বেশ সাহায্য করে। এই ভাইরাসের টিকা রোগ প্রতিরোধক হিসেবে প্রায় ৯৫ ভাগ সফল। তবে এই টিকা গ্রহণের জন্য আপনার বয়সসীমা সর্বোচ্চ ১৫ হতে হবে। হেপাটাইটিস এ থেকে পরিপূর্ণরূপে সুরক্ষার জন্য দুই ডোজের টিকার প্রয়োজন। প্রতি ৬ মাস পর পর এই হেপাটাইটিস এ সুরক্ষার জন্য টিকা নিতে হয়।

হেপাটাইটিস এ হলে করনীয়

একটি ঘাতকবাহী রোগ হিসেবে আমাদের সকলের কাছে পরিচিত হল হেপাটাইটিস এ। হেপাটাইটিস ভাইরাসের আক্রমণে হয় এই রোগ। তবে হেপাটাইটিস এ একটি স্বল্পমেয়াদি লিভার রোগ। পরিমিত চিকিসৎসা এবং পর্যাপ্ত পরিমান সেবা যত্ন পেলে হেপাটাইটিস এ আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। হেপাটাইটিস এ এর লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝবেন যে আপনার এই রোগটি হয়েছে কিনা। তাই কোন ব্যক্তি যদি হেপাটাইটিস এ এ আক্রান্ত হয় তাহলে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে-

  • কোন ব্যক্তি যদি হেপাটাইটিস এ তে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে সেই ব্যক্তিকে সঠিক এবং পুষ্টিকর খাবার প্রদান করতে হবে।
  • কোন ব্যক্তি যদি হেপাটাইটিস এ তে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেই ব্যক্তির বিশুদ্ধ পানির পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে পানি জাতীয় তরল খাবার প্রদান করে পানিশূন্যতা দূর করতে হবে।
  • কোন ব্যক্তি যদি হেপাটাইটিস এ তে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে সে ব্যক্তিকে পর্যাপ্ত পরিমান বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • গরমে যাতে কোন ধরণের পচা বেশি খাবার রোগীর না খেতে পারে সে দিকে পরিপূর্ন খেয়াল রাখতে হবে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম এবং সঠিক খাবার-দাবার পারে খুব সহজে হেপাটাইটিস এ থেকে রোগীর সুস্থতা প্রদান করতে।

তবে যদি কোন রোগীর হেপাটাইটিস এ এতে আক্রান্ত হবার পর শরীর থেকে রক্তের মধ্যে বিরুলিনের মাত্রা ১০ মিলিগ্রাম কমে যায় তাহলে তাকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

হেপাটাইটিস এ হলে কি খাওয়া উচিত

সঠিক এবং পরিমিত খাবার গ্রহণে যেকোনো রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। সাধারণত রাস্তার ধারে পঁচা বাসি খাবার, ময়লা পানি খাওয়ার ফলে ধীরে ধীরে আপনার শরীরে হেপাটাইটিস এ এর লক্ষণ দেখা দিলেই আপনার শরীরে বাসা বাধতে পারে হেপাটাইটিস এ। এই রোগের প্রাদুর্ভাব এর ফলে আপনার কর্মচঞ্চলতা হতে পারে রুদ্ধ এবং ব্যাঘাত গ্রস্থ। তাই এই রোগের যদি প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে আপনাকে বিশেষ করে নজর দিতে হবে পরিমিত এবং সঠিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার-দাবারের দিকে।

যেহেতু হেপাটাইটিস এ একটি লিভারজনিত রোগ তাই এই রোগে আক্রান্ত শরীরে অবশ্যই দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতার। তবে হেপাটাইটিস এ এর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলেই এই রোগ হয়েছে বিধায় ধরে নেওয়া ঠিক নয়।বরং লক্ষণ প্রকাশ পেলে আপনাকে পরীক্ষার মাধ্যমে শুনিশ্চিত হতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক হেপাটাইটিস এ হলে কি ধরণের খাবার গ্রহণ করা উচিত।

          • শরীরে পানিশূন্যতা দূর করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি এবং সেই সাথে মিনারেল জাতীয় খাবার খেতে হবে।
          • বিভিন্ন ফলমূল যেমন তরমুজ, মাল্টা, আনারস, আপেল ইত্যাদি পানিজাতীয় ফলমূল বেশি বেশি করে খাওয়াতে হবে।
          • বেশি বেশি করে সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে।
          • পরিমিত পুষ্টি পেতে স্যুপ খেতে দিতে হবে রোগীকে।
          • খাবারে স্বাদের পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে মাছ মাংশের পর্যাপ্ত
          • পরিমাণ সমন্বয় করতে হবে খাবার দাবারে।
          • সঠিক পরিমানে পুষ্টিকর এবং সুষম খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হবে।
          • রোগীকে দুধ ডিম খাওয়াতে হবে।

সবচেয়ে ক্ষতিকর হেপাটাইটিস ভাইরাস কোনটি?
হেপাটাইটিস একটি লিভারজনিত রোগ। এইরোগটির প্রভাবে ধীরে ধীরে আমাদের লিভারের কার্যক্ষমতা বিকল হয়ে বিভিন্ন রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। মূলত হেপাটাইটিস ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে আমাদের শরীরে বাসা বাধে ঘাতকবাহি এই রোগটির। বিভিন্ন লক্ষণ এবং প্রভাবরের উপর ভিত্তি করে হেপাটাইটিসকে ৫ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তা হল –

  1. হেপাটাইটিস এ ভাইরাস
  2. হেপাটাইটিস বি ভাইরাস।
  3. হেপাটাইটিস সি ভাইরাস।
  4. হেপাটাইটিস ডি ভাইরাস।
  5. হেপাটাইটিস ই ভাইরাস।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন হেপাটাইটিস ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।

হেপাটাইটিস এ
মূলত দূষিত পানি এবং রাস্তার ধরে অবিশুদ্ধ পানি গ্রহণের ফলে মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকে এই রোগটিতে। তবে বড়দের তুলনায় শিশুরাই এই রোগটিতে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

হেপাটাইটিস বি
হেপাটাইটিস বি বেশ ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে শরীরের উপর। হেপাটাইসিস এর যতগুলো ভাগ রয়েছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর হল এটি। কারণ এটি মানবদেশে আক্রমণ করে ধীরে ধীরে আমাদের যকৃতের কার্যক্ষমতা কমিয়ে আনে।
হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন
আরও পড়ুনঃ হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন নিয়ে সমস্ত তথ্য

হেপাটাইটিস সি
এর উপসর্গ তেমন একটা চোখে প্রভাব না ফেললেও দীর্ঘদিন আমাদের শরীরে বসবাস করার ফলে এটি লিভার সিরোসিস এর প্রভাব দেখা দিতে সাহায্য করে আমাদের শরীরে। এই রোগে ক্যান্সার কিংবা মৃত্যুর মুখে ঢেলে দেয়।

হেপাটাইটিস ডি
হেপাটাইটিস ডি হেপাটাইটিস বি এর মতো আমাদের শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর।

হেপাটাইটিস ই
এটি তুলনামূলক কম ক্ষতিকর। তবে গর্ভকালীন সময়ে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়ে থাকে।

হেপাটাইটিস ডি
হেপাটাইটিস এর যতগুলো ধরণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল হেপাটাইটিস ডি ভাইরাস। হেপাটাইটিস বি এর প্রতিচ্ছবি হল হেপাটাইটিস ডি ভাইরাস। হেপাটাইটিস ডি এর টিকাদানের মাধ্যমে এই রোগ দমন করা সম্ভব হয়ে থাকে। তবে এর বিশেষ কিছু লক্ষণ বিদ্যমান রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, সাধারণত কি ধরণের লক্ষণ দেখলে আপনারা বুঝবেন যে রোগীর হেপাটাইসিস ডি এ আক্রান্ত হয়েছে –

শরীরের বিশেষ অংশ যেমন চোখ ,ত্বক হলুদাভ বর্ণ ধারণ করে।
অনেক সময় শরীরে রক্তের বিদ্যমান বিরুলিনের মাত্রা কমে গিয়ে জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব ঘটাতে সক্ষম হয়।

উপরের লক্ষণসমূহ হেপাটাইটিস ডি হওয়ার জন্য প্রকৃত দায়ী।

আরও পড়ুনঃ শিশুদের জন্য টি টি টিকার উপকারিতা

শেষ কথা
হেপাটাইটিস “এ” একটি মরণব্যাধি রোগ। এই রোগ হলে সঠিক চিকিৎসা এবং সঠিক খাদ্যভাস পারে রোগীদের সুস্থ করে তুলতে।

Categories
ভ্যাকসিন

১১ টি ভ্যাকসিন এর নামের তালিকা এবং কার্যকারীতা

আমাদের নানা সময়ে নানা ধরনের রোগ হয়ে থাকে এর মধ্যে অনেক সময় ভাইরাস জনিত রোগ হয়ে থাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পযন্ত এই সব ভাইরাস এর বিরুদ্ধে যে সব ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে ১১টি ভ্যাকসিন বা টিকার নাম এবং কার্যকারিতা আলোচনা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

তার আগে ভ্যাকসিন কি বা টিকা কি সেই সব জেনে নেই… ভ্যাকসিন হচ্ছে জৈব রাসায়নিক যৌগ যা অ্যান্টিবডি তৈরী হওয়ার প্রক্রিয়াকে উত্তেজিত করে দেহে কোন একটি রোগের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা জন্মাতে সাহায্য করে তাকে টিকা বা vaccine বলে। আর এই ভ্যাকসিন কোনো প্রাণীর দেহে রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া (Bacteria), ভাইরাস (Virus) ইত্যাদির জীবিত (যার রোগসূচনাকারী ক্ষমতা শূন্য) এবং মৃতদেহ বা কোনো অংশবিশেষ হতে প্রস্তুত ঔষুধ যা ঐ প্রাণীর শরীরে ঐ ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে আন্টিবডি তৈরি করে।

টিকা হল কোন রোগের কেবলমাত্র সেই নির্দিষ্ট রোগটিরই বিরুদ্ধে শুধু কাজ বা প্রতিরোধক্ষমতা বর্ধনকারী ক্রিয়া সম্পন্ন জৈব উপাচার যা টিকাকরণ (ইনঅক্যুলেশন) অর্থাৎ ত্বকে সূচ ফুটিয়ে দেওয়া হতে পারে বা অন্য উপায়ে যেমন:- খাবার ড্রপ (যেমন মুখে সেব্য পোলিও টিকা) বা ওরাল পোলিও শরীরে ভ্যাক্সিন হিসেবে দেওয়া হতে পারে।

এতে করে সাধারণত মৃতপ্রায় বা মৃত জীবাণু অথবা তার বিষ থেকে তৈরী হওয়া রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু-সদৃশ উপাদান থাকে। এই ধরনের টিকা উক্ত উপাদানটিকে বহিরাগত হিসেবে শনাক্ত করতে, সেটিকে ধবংস করতে এবং পর্বতীতে স্মৃতিতে রাখতে অনাক্রম্যতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, যাতে পরবর্তীতে অনাক্রম্যতন্ত্র ঐ সমস্ত জীবাণুকে খুব সহজে পরবর্তী অনুপ্রবেশে শনাক্ত ও ধবংস করতে পারে। এই জন্য জীবাণু দারাআক্রান্ত রোগের জন্য টিকা ব্যবহার করে থাকে।

১১ টি ভ্যাকসিন এর নামের তালিকা

1. হেপাটাইটিস বি টিকা (Hepatitis B vaccine)
১১টি ভ্যাকসিন বা টিকার মধ্যে এই হেটাটাইটিস এটি একটি অন্যতম ঠিকা। এই টিকা আবিষ্কার হওয়ার ফলে মানব জাতির অনেক উপকার হয়েছে। চলুন তাহলে কি কি উপকার হয়েছে জেনে নেওয়া যাক?

হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন
হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন

আমাদের শরীরে হেপাটাইটিস বি নামক ভাইরাসের আক্রমণ হলে, লিভার প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লিভার ক্যান্সার হতে পারে, লিভার কাজ করা বন্ধ করে দেয়, এমনকী মৃত্যুও হতে পারে। রোগীর অজান্তেই এই রোগ অন্যদের মধ্যেও সংক্রামিত হতে পারে। এই সব রোগের বিরুদ্ধে শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তিনটি ডোজে হেপাটাইটিস বি টিকা দেওয়া হয়। জন্মের এক-দু’দিনের মধ্যে প্রথম ডোজ, শিশুর বয়স এক মাস হলে ২য় ডোজ দিতে হয় এবং ৬ মাস হলে ৩য় বা শেষ ডোজটি দেওয়া হয়।

2. বিসিজি (Bacillus Calmette-Guerin Vaccine (BCG)
আমরা আলোচনা করবো ১১টি ভ্যাকসিন বা টিকার মধ্যে বিসিজি(BCG) নিয়ে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক…
বিসিজি টিকা না পাকলে কি হয়

এই বিসিজি টিকা বাচ্চার জন্মের পর থেকে ১৫ দিন সময়ের মধ্যে যে কোনও সময় দেওয়া যায়। এই টিকা টি টিউবারকুলোসিস মেনিনজাইটিস (Tuberculous Meningitis) বা বাচ্চাদের একরকম যক্ষ্মা রোগ থেকে রক্ষা করে। এটি প্রয়োগ করে থাকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এই বিসিজি টিকা দেওয়া হয়ে থাকে বাচ্চাকে। আদর্শ বিসিজির ডোজে ১ মিলিলিটার টিকার তরলে ০.১ মিলিগ্রাম ওষুধ থাকে। বাচ্চাকে একটাই বিসিজি ডোজ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ বিসিজি টিকা নিয়ে নতুন তথ্য এবং বিসিজি টিকা না পাকলে কি হয়

3. পোলিও টিকা (Oral Polio Vaccine (OPV)
এখন যে ভ্যাকসিন বা টিকা নিয়ে আলোচনা করবো এই টিকার নাম আমরা সবাই জানি প্রায়। এই টিকার অনেক উপকারিতা রয়েছে এবং এটি আবিষ্কার হওয়ার ফলের শিশুদের এই মারাক্ত রোগের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে। এই টিকার কারনে কি কি রোগ থেকে রেহাই পাচ্ছে শিশুরা। চলুন তাহলে সেই সব বিষয় আগে জেনে নেই।
পোলিও রোগের জীবাণুর নাম কী

এই টিকাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পোলিও রোগের হাত থেকে শিশুকে রক্ষা করে। পোলিও রোগের প্রকোপে শিশুর পা বিকৃত হয়ে যায় এবং সারাজীবনের জন্য শিশু প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে। এই পোলিও টিকা চারটি ডোজে শিশুকে দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ জন্মের পর থেকে ২ মাসের মধ্যে, দ্বিতীয় ডোজ ৪ মাস বয়সে, তৃতীয় ডোজ ৬-১৮ মাসের মধ্যে এবং শেষ ডোজটি বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হয় ৪-৬ বছর বয়সের মধ্যে। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এই ডোজগুলি দেওয়া যায় আবার ওষুধের মতো খাইয়েও দেওয়া যায়।

4. রোটাভাইরাস টিকা (Rotavirus Vaccine)
আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে পায় ছোট শিশু থাকে। আর এই ছোট শিশুদের নানা সময়ে নানা ধরেনের রোগ হয়ে থাকে। আমরা যদি সচেতন না থাকি তাহলে আমাদের শিশুদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের সকলের এই রোটাভাইরাস সম্পর্কে জানা থাকা দরকার। চলুন তাহলে এই ভাইরাস সম্পর্কে জেনে নেই।

এই রোটা ভাইরাস ছোট শিশুদের আক্রমণে মারাত্মক ডিহাইড্রেশন ও ডায়রিয়া হতে পারে। এই রোটাভাইরা টিকা শিশুকে টিকা ওষুধের মতো খাওয়ানো হয়ে থাকে। আমাদের দেশে শিশুর জন্মের ৬-১৫ সপ্তাহের মধ্যে এই টিকার প্রথম ডোজ খাওয়ানো হয়। এই টিকা মোট তিনটি ডোজে শিশুকে দেওয়া হয়। প্রথমে শিশুর ২ মাস বয়সে একটি, এরপর ৪ মাস বয়সে একটি সর্বশেষ ৬ মাস বয়সে একটি, মোট তিনটি ডোজ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ সব পিতা-মাতার জানা দরকার রোটা ভাইরাস কি

5. ডিটিএপি/ডিটিপি (DTAP/DTP)
এটিও একটি শিশুদের মারাক্ত রোগের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। তাই আমাদের সকলের এই সব টিকার বিষয়ে জানা থাকা দরকার। তাহলে আর দেরি না করে এখনি শুরু করা যাক।

এই ডিটিএপি/ডিটিপি ভ্যাকসিন বা টিকাটি টিটেনাস (Tetanus), এটি ডিপথেরিয়া(Diphtheria) ও হুপিং কাশি(whooping cough) এবং যক্ষার –এর মতো রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা শরীরে দ্রুত গড়ে তোলে। পর্বতীতে এই রোগের আক্রমন থেকে রক্ষা করে এবং স্মৃতিতে রাখে পর্বতীতে জীবাণুর অনুপ্রবেশ করতে ধবংস করে। এটি বাচ্চার ১.৫ মাস, ২.৫ মাস ও ৩.৫ মাস বয়সে এই টিকাটি দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথম ডোজ সম্পন্ন হলে, ১.৫ বছর বয়সে DPT-র দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয় এবং ৫ বছর বয়সে Double DT-র আর একটি ডোজ দেওয়া হয়। এই DTaP টিকা বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবহার করা হয়। কারণ এই টিকাটি প্রয়োগে শিশু ব্যথা পায় না এবং আগের থেকে অনেক নিরাপদ। এর আগে DTP টিকা শিশুকে দেওয়া হত। এই DTP টিকা শিশুর জন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক ছিল। তাই এখন আর এই টিকা দেওয়া হয় না।

শিশুর টিকা, প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ

6. এইচ আই বি টিকা (Haemophilus influenzae B (HiB) Vaccine)
এই ভাইরাসটি শিশুদের বড় ধরনের ক্ষতি করে থাকে তাই এইচ আই বি ভাইরাস সম্পর্কে জানা থাকা দরকার এবং এই ভাইরাস এর উপাকারিতা কি সেটিও জানা উচিত। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক

আমরা জানি সব টিকাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মানব শরীলে বাড়িয়ে তুলে। তেমনি এই টিকাকরন করলে শিশুর শরীর হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা (Haemophilus Influenzae) নামক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। এই ভাইরাস যে সব শিশুদের আক্রমন করেছে তাদের মধ্যে দেখা গিয়েছে যে শিশুর গলা, ত্বক এবং মস্তিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এই টিকা নিলে শিশদের এপিগ্লটিস, মেনিনজাইটিস এবং নিউমোনিয়ার মতো রোগ থেকে শিশুকে রক্ষা করে থাকে। তবে এই টিকাটিও বাচ্চাকে তিনটি ডোজে দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথমে বাচ্চার ২ মাস বয়সে এবং ২য় ডোজ ৪ মাস বয়সে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। এরপর বাচ্চার বয়স ১৫ মাস হয়ে গেলে শেষ ডোজটি বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে।

7. হেপাটাইটিস এ টিকা (Hepatitis A Vaccine)

আমাদের শিশুদের প্রায় দেখা যায় লিভার জনিত সমস্যা। এই লিভারজনিত সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে এই হেপাটাইটিস এ টিকা দেওয়া হয়। আর এই হেপাটাইটিস এ নামক ভাইরাসের আক্রমণের বিরুদ্ধে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হেপাটাইটিস এ টিকা দুটি ডোজে এই টিকা শিশু পেয়ে থাকে। শিশুর বয়স ১২থেকে২৩ মাস তখন প্রথম ডোজ এরপর ৬থেকে১০ মাস পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়।

8. এম এম আর (Measles Mumps Rubella (MMR) Vaccine)
অন্যন্য টিকার মতোই এই টিকা টিও শিশুকে তিনটি ধাপে দেওয়া হয়। এই টিকা যে সব রোগের জন্য কার্যকারিতা বা রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, হাম বা মিসলস, মাম্পস এবং রুবেলার। তবে এই টিকাটি তিনটি ডোজে শিশুকে দেওয়া হয়ে থাকে। ৯ মাস বয়সে প্রথম ডোজটি দেওয়া হয়।

9. পি সি ভি (Pneumococcal Conjugate Vaccine (PCV)
ছোট শিশুদের প্রায় নিউমোনিয়া হয়ে থাকে। আর এই নিউমোনিয়া হয়ে অনেক শিশু মৃত্যু হয়। আর এই নিউমোনিইয়ার কবল থেকে বাচাতে পি সি ভি দেওয়া হয়। এটি দেওয়ার ফলে বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। এই টিকা টি শিশুর ২ মাস বয়সে প্রথম এবং ৪ মাস বয়সে দ্বিতীয়। এরপর ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়। সর্বশেষ ৪থেকে৬ বছরের মধ্যে একটি বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। আর বুস্টার ডোজ সম্পন্ন হলে পর্বতীতে শিশুর নিউমোনিয়া হয় না।

10. টি সি ভি টিকা (Typhoid Conjugate Vaccine (TCV)
টি সি ভি টিকা টাইফয়েড রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে এই টিকা। শিশুদের এই টিকা দুটি ডোজে দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ শিশুর ৯-১২ মাসের মধ্যে দিয়ে দেওয়া উচিত।

11. ভ্যারিসেলা টিকা (Varicella Vaccine)
চিকেনপক্স এই এটিও একটি মারাক্ত রোগ। ভ্যারিসেলা টিকা চিকেনপক্স ভাইরাসের বিরুদ্ধে শিশুর শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এই টিকা। এই টিকা অন্য টিকার চাইতে একটু আলাদা, এটি প্রথম ডোজ দেওয়া হয় শিশুকে ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে এবং পরের ডোজটি দেওয়া হয় প্রথম ডোজের তিন মাস পরে

কিছু বিষয় মাথায় রাখুন
আমরা জানি বাচ্চা নিজের মায়ের কোলে সবথেকে নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত বোধ করে। আপনার শিশুকে টিকার জন্য ইঞ্জেকশন নেওয়ার সময় যদি আপনি আপনার শিশুকে কোলে নিয়ে থাকেন, তা হলে ও আপনার মুখ দেখতে পাবে না। বাচ্চাকে টিকা দেওয়ার সময় বাবা বা পরিবারের অন্য কাউকে সঙ্গে নিয়ে যান, বাচ্চাকে ওনার কোলে দিন। আর আপনি এমনভাবে বাচ্চাটির পাশে তার গায়ে হাত দিয়ে থাকুন, যেন বাচ্চা বুঝতে পারে আপনি তার পাশেই আছেন এবং ওর কোনও ক্ষতি হবে না। এতে করে বাচ্চা ভয় কম পাবে।
টিকা নেওয়ার পরেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান বা ও যদি ফর্মুলা খেতে শুরু করেছে তা হলে তাই দিন। যদি বাচ্চা খুব কাঁদলে একটু শান্ত করে নিয়ে তবেই খাওয়ান। তা না হলে গলায় আটকে যেতে পারে। এই টিকা নেওয়ার পর বাচ্চার জ্বর আসতে পারে, এতে কেউ ঘাবড়ে যাবেন না। প্রয়োজনে অনুসারে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এমনকি ডাক্তারের সাথে কথা বলে বাচ্চার টিকা দেওয়ার সময় এবং ঠিক কোন সময় কী টিকা বা কোন টিকা দিতে হবে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। এতে করে পর্বতীতে আর সমস্যা হবে।

টিকা দেওয়ার পরে ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে তবেই ওই জায়গায় ব্যথা কমানোর মলম লাগান। আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে ব্যথা কমানোর কোনও ওষুধ বাচ্চাকে দেবেন না। এতে করে আপনার বাচ্চার ক্ষতি হতেপারে। আপ্নারা কোনও রকম কুসংস্কার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাচ্চার স্বাস্থ্যের সাথে ঝুঁকি নেবেন না। এই সমস্ত টিকা আপনার সন্তানকে সারা জীবন নানা জটিল রোগের হাত থেকে রক্ষা করবে। যদি নিজের মনে কোনও সন্দেহ বা দ্বন্দ্ব দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে বিশেষ আলোচনা করুন।
আরও পড়ুনঃ জেনেনিন শিশুদের নিউমোনিয়ার টিকা কখন দিতে হয়

পরিশেষে বলতে পারি আমাদের আজকের এই ১১টি ভ্যাকসিন বা টিকা নাম ব্যবহার বা তথ্য গুলো আপনাদের অনেক কাজে লাগবে ইনশাল্লাহ

Categories
খাদ্য তালিকা

আয়রন জাতীয় খাদ্যের তালিকা

মানুষের দেহে আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আয়রন দেহে রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করে। আয়রন জাতীয় খাদ্যের তালিকায় কি ধরনের খাদ্যে আয়রন এর পরিমান বেশি রয়েছে তা জেনে নেই।

আপনারা কি জানেন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ মানুষের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৮ মিলিগ্রাম আয়রনের দরকার হয়। সেই সাথে নারীদের জন্যও কিন্তু আয়রন আবশ্যকীয়। দৈনিক প্রায় ১৮ মিলিগ্রাম আয়রন নারীদের জন্য প্রয়োজন এবং প্রতিদিন প্রায় ২৭ মিলিগ্রাম আয়রন প্রয়োজন হয় গর্ভবতী মহিলাদের জন্য।

আমরা যখন শরীরে ক্লান্তি এবং দূর্বল অনুভব করি তখন আমাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এর কারণ হলো শরীরে আয়রনের ঘাটতির ফলে। আয়রনের ঘাটতির ফলে গর্ভবতী মহিলাদের এবং শিশুদের অ্যানেমিয়া জনিত রোগ হয়ে থাকে। আপনি যদি এই আয়রনের ঘাটতি পূরণের করতে চান, তাহলে আপনাকে দুই ধরনের আয়রন গ্রহণ করতে হবে। যেমন; প্রাণীজ আয়রন এবং উদ্ভিজ্জ আয়রন। এই দুই ধরনের আয়রন মানুষের দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আয়রন জাতীয় খাদ্যের তালিকা

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবারের মধ্যে আয়রন আছে এবং সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য –

কলিজা:
কলিজা হচ্ছে এমন একটি খাবার, যেটির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। আয়রন ছাড়াও কলিজার মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ লবণ। মুরগীর কলিজা থেকে গরুর কলিজাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তবে আমরা অনেকেই কলিজা খেতে পছন্দ করি না। কিন্তু কলিজার পরিবর্তে আপনি চাইলে লাল মাংস অথবা ডিম খেতে পারেন।কারন ৩ আউন্স লাল মাংসে রয়েছে (২-৩) মিলিগ্রাম আয়রন এবং আধা কাপ ডিমের কুসুমে রয়েছে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন, যা আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে।

ডার্ক চকলেট:
আমাদের দেহের জন্য ডার্ক চকলেট কিন্তু অত্যন্ত উপকারী। এর কারণ ডার্ক চকলেটে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। পাশাপাশি ডার্ক চকলেটে বেশি পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টও থাকে।

ছোলা:
আমরা সাধারণত যে ছোলা খেয়ে থাকি সেটিতে রয়েছে আয়রন।এক কাপ ছোলাতে প্রায় ৫ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে এবং সেইসাথে এতে পরিমাণমতো প্রোটিনও থাকে। আমরা যারা নিরামিষ পছন্দ করি, তাদের জন্য কিন্তু ছোলা আদর্শ একটি খাবার। ছোলা আমরা চাইলে বিভিন্ন ভাবে রান্না করেও খেতে পারি।

কুমড়ার বিচি:
কুমড়ার বিচিতেও কিন্তু আয়রন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। কুমড়ার বিচি আমরা বিভিন্ন উপায়ে রান্না করে খেতে পারি। যেমন; সালাদের সাথে কুমড়ার বিচি মিক্স করলে অনেক সুস্বাদু হয়ে উঠে। তাই আমরা চাইলে প্রতিদিনের সালাদে কুমড়ার বিচি মিক্স করে খেতে পারি। এছাড়াও অনেকেই আবার কুমড়ার বিচি তেলে ভেজে খেয়ে থাকে।অনেকেই আবার এটি তরকারির সাথে রান্না করে খেতে পছন্দ করে। কেউবা আবার সিদ্ধ করেও খায়।তাই বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের দেহে আয়রনের ঘাটতির অভাব মেটাতে পারি। এই কুমড়ার বিচিতে আছে ২ মিলিগ্রাম আয়রন।

ব্রোকলি:

ব্রকলী
ব্রকলী

আয়রন জাতীয় খাবারের মধ্যে ব্রোকলি একটি জনপ্রিয় সবজি সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। ব্রোকলিতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, আয়রন ফলিত, জিংক এবং ম্যাগনেশিয়াম। ব্রোকলি সেদ্ধ বা সাতলিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

ডালজাতীয় খাবার:
আরো একটি খাবার যেটি আয়রনের ভালো একটি উৎস হিসেবে আমাদের শরীরে কাজ করে, আর সেটি হলো ডালজাতীয় খাবার। ডালজাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। আপনারা হয়ত জানেন প্রতি কাপ ডালের মধ্যে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রনের একটি ভালো উৎস হল ডাল। এক কাপ ডালে ৬ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে এবং প্রচুর ফাইবার থাকে।এতে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কম থাকে এবং রক্তের সুগার লেভেল ঠিক রাখে।

বেদানা:
বেদনা এমন একটি ফল, এটি খাওয়ার পর শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বেদনায় রয়েছে ভিটামিন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের ভালো উৎস। এতে আরো রয়েছে এসকর্বিক এসিড যা শরীরে রক্ত চলাচলে সহায়তা করে।

বিটরুট:

বিটরুট
বিটরুট

যাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে তারা বিটরুট সবজি খেতে পারেন। কারন এটি আয়রনের ঘাটতি পূরণের ভালো উৎস। বিটরুট এটি একটি শীতকালীন সবজি। এতে আয়রন ছাড়াও রয়েছে প্রোটিন, কপার, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, সালফারসহ আরও অনেক উপাদান।

বাঁধাকপি:

বাঁধাকপি
বাঁধাকপি

আমরা জানি বাঁধাকপি একটি শীতকালীন সবজি। জনপ্রিয় এই সবজিতে রয়েছে আয়রন, আরোও অনেক প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান রয়েছে। এটি আয়রনের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি ওজন কমাতে সহেতা করে,বাঁধাকপি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক পেতে, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে এবং মানব দেহের বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সহায়তা করে।

আপেল:

আপেল
আপেল

আপেল আমাদের সবার পরিচিত এবং প্রিয় একটি ফল, এই ফল আয়রনের ভালো উৎস এবং পুরো স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে।

পালং শাক:

পালংশাক
পালংশাক

শীতকালীন নানা ধরনের সবজির মধ্যে অন্যতম একটি সবজি। এতে এক কাপ রান্না করা পালংশাকে ৬ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, এছাড়াও এতে ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন ই থাকে। এটি পরীক্ষিত ভাবে জানা গিয়েছে, রান্না করা পালং শাক এর পুষ্টি উপাদান খুব সহজেই মানবদেহ শোষণ করে নিতে পারে।

কমলা:

কমলা
কমলা

আপেল এর মতোই কমলা একটি জনপ্রিয় ফল, এতে ভিটামিন সি এর ভালো উৎস এবং শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে। কমলা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক পেতে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি দেহের পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে থাকে।

আরও পড়ুনঃ
কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করার খাবার
শর্করা জাতীয় খাবারের তালিকা কি কি

সিদ্ধ আলু:
আপনি কি জানেন সিদ্ধ আলুতে বি ভিটামিন, ভিটামিন সি প্রচুর পটাশিয়াম থাকার পাশাপাশি উচ্চমাত্রার আয়রনও থাকে। খোসা সহ একটি সিদ্ধ আলুতে থাকে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন।

আমরা জানি উপরের আয়রন জাতীয় সমৃদ্ধ বাদ দিয়ে আরও অনেক খাবার রয়েছে। যেমন: কিশমিশ, কাজুবাদাম, টমাটো, শিমের বীচি মটরশুঁটি ইত্যাদি।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরে চা বা কফি খাওয়া ঠিক নয়। এতে করে ক্ষতি হতে পারে।

Categories
নার্সিং

নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ সমূহ ও কার্যাবলি

আমরা যারা নার্সিং নিয়ে পড়াশুনা করেছি তাদের সবার নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ সমূহ ও কার্যাবলি জানা থাকা দরকার। প্রতিটা সেক্টরকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য একটি করে অধিদপ্তরের প্রয়োজন হয়। প্রতিটা অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা নীতিমালা নির্ধারণ সেই অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত থাকে। নার্সিং ব্যবস্থাপনা ও উন্নযয়নের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সংযুক্ত অধিদপ্তর হলো নার্সিং অধিদপ্তর।

নার্সিং অধিদপ্তর নার্সিং সম্পর্কিত সকল বিষয় যেমন নার্সিং পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ফলাফল নার্সদের রেজিস্ট্রি ইত্যাদি নার্সিং বিষয়াদির দায়িত্ব পালন করে থাকে। বাংলাদেশে অন্যান্য অধিদপ্তরের মতো নার্সিং অধিদপ্তর রয়েছে।

যারা নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনা করছে তাদের এই অধিদপ্তরের নির্দেশ যথারীতি পালন করতে হয়। তাই আসুন নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ ও কার্যাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ সমূহ

নার্সিং অধিদপ্তরের বিভিন্ন আদেশ ও কার্যাবলি রয়েছে। সেগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দেয়া হলো।

১.নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্সে আবেদন, ভর্তি পরীক্ষা, প্রবেশপত্র তৈরী, ফলাফল তৈরী।
২.প্রতি শিক্ষাবর্ষে পোস্ট বেসিক বিএসসি পরীক্ষায় ১ম,২য়, ৩য় স্থান অধীকারি ৩জন কে পুরস্কায় প্রদান করা।
৩.বৈদেশিক প্রশিক্ষন সম্পন্ন করার নিমিত্ত বাছাই কমিটির কার্যবিবরণী।
৪.আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালনের তথ্য প্রেরণ।
৫.আন্তর্জাতিক নার্স দিবস উদযাপনে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ।
৬.নার্সিং কোর্সগুলোর ভর্তি ফি নির্ধারণ।
৭.নার্স দিবসের আলোচনা সভা।
৮.অধিদপ্তরের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা
৯.সিমুলেশন এডুকেশন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের তথ্য প্রেরণ।
১০.ল্যাবরেটরী শিক্ষাসামগ্রী প্রদান।
১১.আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস।
১২.পরিস্কার পরিচ্ছনতা বিষয়ক দলগঠন।
১৩.নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।
১৪.বিভিন্ন নোটিশ প্রদান।
১৫.পোস্ট বেসিক পাবলিক হেলথ নার্সিং
ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন পোস্ট বেসিক নার্সিং, পোস্ট বেসিক মিডওয়াইফারি কোর্সের কেন্দ্রগুলোর তালিকা প্রকাশ।
১৬.নার্স বদলি নীতিমালা
১৭.ভর্তি ফরম পূরনের নির্দেশনা।
১৮.অফিস আদেশ
১৯.নার্স ও মিডওয়াইফ শিক্ষক মৌখিক পরীক্ষা।
২০.গণটিকা নার্স সংযুক্তি
২১.অর্থ বরাদ্দ
২২.রিসোর্স প্যানেল গঠন
২৩.নার্সিং পেশাকে গ্রহনীয় করে তুলা।
২৪.চাকুরী নিয়মিতকরণ।
২৫.প্রজ্ঞাপন/ পরিপত্র
২৬.বদলী, পদন্নতি, অবসরপ্রাপ্ত
২৭.বহিঃ বাংলাদশে অর্জিত ছুটি
২৮.কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কমিটি গঠন
২৯.বৈদেশিক ও স্থানীয় প্রশিক্ষন
৩০.পিএমআইএস রির্পোট
৩১.মাসিক সমন্বয় সভা
৩২.উদ্ভাবনী কার্যক্রম
৩৩.জাতীয় শুদ্ধাচার
৩৪.অভিযোগ প্রতিকার ব্যাবস্থাপনা
৩৫.নীতিমালা ও নির্দেশনা
৩৬.সিটিজেন চার্টার
৩৭.ওয়েব ইমেইল, ই-নথি
৩৮.বার্ষিক কর্মসম্প্রদান চুক্তি

নার্সিং অধিদপ্তের স্থানীয় প্রশিক্ষন কার্যাবলি

নার্সিং অধিদপ্তর স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনবল তৈরীর লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এ সম্পর্কে প্রশিক্ষন সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা দেয়া হলোঃ

১.ওরিয়েন্টেশন টেনিং
২.চক্ষু চিকিৎসা সেবা বিষয়ক প্রশিক্ষণ
৩.মিডওয়াইফারি দক্ষতার উপর রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ
৪.ETAT এবং নার্সদের জন্য অসুস্থ নবজাতকের যত্নের উপর প্রশিক্ষণ
৫.নার্স ম্যানেজারদের জন্য প্রমাণ ভিত্তিক মিডওয়াইফারি অনুশীলনের প্রশিক্ষণ
৬.ভেলিডেশন শুরু ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রণয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ
৭.ফিডব্যাক কর্মশালা
৮.বেসিক LARC/PM ৭৯১ PDF ফাইলের উপর প্রশিক্ষণ
৯.নার্সদের জন্য নেতৃত্ব ব্যবস্থাপনা/উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ
১০.অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা এবং জিআরএস সফটওয়্যার বিষয়ক প্রশিক্ষণ
১১.নার্স শিক্ষক প্রশিক্ষণ
১২.সার্ভিস রুলস বিষয়ক প্রশিক্ষন
১৩.নার্স ও মিডওয়াইফদের জন্য পিপিপি সহ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষণ
১৪.নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) প্রশিক্ষণ
১৫.পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি এবং অনকোলজি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে নার্সিং ডেভেলপমেন্টের প্রশিক্ষণ
১৬.Midwifery Skills (OSCE) বিষয়ে প্রশিক্ষণ
১৭.পেডিয়াট্রিক নার্সিং প্রশিক্ষণ
১৮.Training on family planning method
১৯.স্কিল ল্যাব প্রশিক্ষণ
২০.মহামারী ব্যবস্থাপনার উপর কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ
২১.সপ্তাহ মেয়াদী নার্স শিক্ষক প্রশিক্ষণ
২২.কর্মদক্ষতা প্রশিক্ষণ
২৩.ইনোভেশন প্রশিক্ষণ
২৪.কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার উপর ৩ দিনের টিওটি প্রশিক্ষণ
২৪.প্রমাণ ভিত্তিক অনুশীলন
২৫.প্রসবপূর্ব যত্ন প্রশিক্ষণ
২৬.নার্সিং মিডওয়াইফারি ইনস্টিটিউটে কর্মরত শিক্ষকদের ট্রেনিং
২৭.নার্সিং ইনস্টিটিউট ম্যানেজমেন্ট ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ
২৮.DHIS 2-এ রিপোর্টিং সিস্টেমের উপর TOT প্রশিক্ষণ
২৯.নবজাতকের সেবা (CNC) প্রশিক্ষণ
৩০.অফিস ব্যবস্থাপনা ও ই-নথি প্রশিক্ষন
৩১.পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ ইন হেলথ, পপুলেশন এবং নিউট্রিশন প্রশিক্ষন

নার্সিং অধিদপ্তরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

সুস্থ জনগন ও দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করা, এবং দক্ষ নার্স ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারকে সহযোগিতা করাই হলো নার্সিং অধিদপ্তরের লক্ষ্য। সরকার যখন স্বাস্থ্যসেবার উপর গুরুতারোপ করে তখন সরকারি বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা নার্সিং অধিদপ্তরের উদ্দেশ্য।

মূলত নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিত, সঠিক সেবা সরবরাহ ও নার্সিং কে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলাই হলো নার্সিং অধিদপ্তরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

নার্সিং কি

নার্সিং স্বাস্থ্যখাতের অধীনস্থ একটি সেবামূলক পেশা। হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিক, স্ব্যাস্থকেন্দ্রে রোগীর স্বাস্থ্যের পূর্ণরুদ্ধার, রোগীর দেখভাল, নিয়মমাফিক ওষুধ প্রদান এবং অপারেশন থিয়েটারে জরুরি জিনিসপত্রের সরবরাহে সাধারণত নার্সরা নিযুক্ত থাকেন।

নার্সিং অধিদপ্তরের ইতিহাস

বাংলাদেশে একটি নার্সিং অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে দীর্ঘ পথ পাড়ি জমাতে হয়েছে। এর ইতিহাসের যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ ভারতের সময়কাল হতে। পরবর্তীতে পাকিস্তান ভারত বিভক্ত হওয়ার সময় বাংলাদেশে অবস্থিত বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিল এর নাম হয়ে যায় পূর্ব পাকিস্তান নার্সিং কাউন্সিল।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৭ সালে সেবা পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তর হিসেবে মর্যাদা পায় ১৯৮৭ সালে। বাংলাদেশে এই সময় রেজিস্ট্রাড নার্সের সংখ্যা ৭০০ এর মতো ছিলো। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ নার্সিং পরিষদ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পরিষদ নামে পরিচালিত হতে থাকে।

বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তর

বাংলাদেশের নার্সিং অধিদপ্তরের পুরনো নাম বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তর যা বর্তমানে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল নামে পরিচালিত। এটির সদরদপ্তর রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। এই অধিদপ্তরের দাপ্তরিক ভাষা হলো বাংলা। বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট হলো www.bnmc.gov.bd এই ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনি নার্সিং অধিদপ্তর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

বাংলাদেশের নার্সিং শিক্ষাকে আধুনিকীকরণ করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ নার্সিং অধিদপ্তরের সম্মলিত চেষ্টায় এবং থাইল্যান্ডের কারিগরি সহায়তার দ্বারা ২০০৮ সালে নতুনভাবে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়। নতুন নীতিমালা অনুসারে মাধ্যমিক নয় বরং উচ্চমাধ্যমিক পাসকৃত শিক্ষার্থীরা নার্সিং কোর্স করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডিওয়াইফারি তিন বছর মেয়াদি এই নার্সিং কোর্সটি সবাই করতে পারবেন। অর্থাৎ বিজ্ঞান,মানবিক, ব্যাবসা যেকোন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই কোর্স করার জন্য উন্মুক্ত৷। আবার চার বছর মেয়াদি বিএসসি নার্সিং কোর্সটি শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগে পাসকৃত শিক্ষর্থীরা করতে পারবেন।

প্রথমদিকে ঢাকা, রাজশাহী, চট্রগ্রাম, ময়মনসিংহ মেডিকেল হসপিটালের সংলগ্ন এলাকায় চারটি নার্সিং কলেজ এবং ডিপ্লোমা বিএসসি নার্সিং কোর্স চালু করা হয়েছিল। পরে ডিপ্লোমা মিডওয়াইফারি কোর্স চালু করা হয় এবং কয়েকটি বেসরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়।

নার্সিং অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ

একটি অধিদপ্তর পরিচালনার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রয়োজন হয়। যাদের উপর অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজ ন্যাস্ত থাকে এবং তাদের সম্মলিত প্রচেষ্টায় অধিদপ্তর সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। নার্সিং অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দের পদের এবং বর্তমান কর্মরত সংখ্যার তালিকা দেয়া হলোঃ

১.মহাপরিচালক ১ জন
২.পরিচালক ৩ জন
৩.উপ-পরিচালক ১জন
৪.সহকারী পরিচালক ৫ জন
৫.সহকারী প্রোগ্রামার ১জন
৬.নার্সিং ইইন্সট্রাক্টর ১জন
৭.কো-অর্ডিনেটর ১জন
৮.পরিসংখ্যানবিদ ও কল্যান কর্মকর্তা ১ জন
৯.নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ২জন
১০.প্রভাষক ৩ জন
১১.নার্সিং শিক্ষক ৫ জন
১২.সিনিয়র স্টাফ নার্স ২২ জন
১৩. প্রশাসনিক কর্মকর্তা ১ জন
১৪.ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ১ জন
১৫.হিসাব রক্ষক ১ জন
১৬.মিডওয়াইফ ২ জন

নার্সিং অধিদপ্তরের কর্মচারীবৃন্দ

একটি অধিদপ্তর সুন্দরভাবে পরিচালনায় কর্মচারীদের গুরুত্ব কম নয়। অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় সকল তথ্যের বিন্যাস এবং কাজ তাদের দ্বারা সম্পন্ন হয়ে থাকে। নার্সিং অধিদপ্তরের কর্মচারীবৃন্দের পদের এবং বর্তমান কর্মরত সংখ্যার তালিকা দেয়া হলো।

১.উচ্চমান সহকারী ৯
২.হিসাব রক্ষক ১
৩. কম্পিউটার অপারেটর ৪
৪.স্টোর কিপার ১
৫.ল্যাব সহকারী ১
৬. সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ১
৭.ক্যাশিয়ার ১
৮.অফিস সহকারী ১৩
৯.ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর ২
১০.গাড়ি চালক ৫
১১.নিরাপত্তা প্রহরী ১
১২.পরিচ্ছনতা কর্মী ২
১৩.মালী ১

আরও পড়ুনঃ ডিপ্লোমা নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি নার্সিং কি

নার্সিং পেশায় নিয়োজিতদের দক্ষ করে তুলে স্বাস্থ্যখাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নার্সিং অধিদপ্তরের আদেশ সমূহ সরকারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। বর্তমানে দেশে রেজিস্টার্ড নার্স মিডওয়াইফ হলো ৫৬ হাজার ৭৩৩। সরকারী স্বাস্থ্যখাতে ৩০ হাজার নার্স রয়েছে এছাড়া সরকারি মিডওয়াইফ এর সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ জন।

দেশে সরকারি নার্সিং কলেজ ৪৬ টি এবং বেসরকারি ১২০ টি। তারপরও নার্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে ভর্তি হতে হয়। বহু কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে নার্সিং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতে নার্সিং অধিদপ্তর সফলতা অর্জন করছে।

Categories
ভেষজ খাদ্য

প্রাকৃতিক ফল আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

সুস্থ থাকতে হলে আমরা কত ধরনের চেষ্টাই তো করি। পুষ্টিকর খাবার খাই,ব্যয়াম করি ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করার চেষ্টা করি। তবে সুস্থ থাকতে হলে যে ভেষজ উপাদান কিন্তু খুবই কাজে দেয়। তা কি আমরা জানি ? অনেকেই এ সম্পর্কে বেশি জানি না। ভেষজ উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো আমলকি। এর গুণাগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। তো চলুন জেনে নেয়া যাক এর গুণাগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে।

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

আমলকি হলো ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অন্যান্য উপাদান রয়েছে।এর এতো গুণাগুণ থাকার জন্য এটিকে বিভিন্ন ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এটি শীতকালে বেশি পাওয়া যায়। শীতকালে এটির বিশেষ সুবিধা রয়েছে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ পেয়ারার চেয়ে ৩ গুণ ও কাগজী লেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি রয়েছে। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে এটি আমাদের শরীর ও ত্বকের জন্য কতটা উপকারী। নিচে এটির বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক…

  • আমলকি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এজন্য কয়েক টুকরো আমলকি মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
  • আমলকি বমির সমস্যা সমাধান করে।
  • আমলকির রস পান করলে শরীরের জ্বর কমে যায়।
  • দাঁতের ব্যথা ও দাঁতের ক্ষয়রোধ করতে আমলকি ও কর্পূর মিশিয়ে দাঁতে লাগান। এতে ভালো ফল পাওয়া যায়।
  • নিয়মিত আমলকির রস পানে শরীরের কোলেস্টেরল কমে যায় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • এতে থাকা ভিটামিন সি সর্দি কাশি উপশম করতে সাহায্য করে।
  • ডায়াবেটিক রোগীর জন্য আমলকি দারুন উপকারী।
  • আমলকি শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দেয় ফলে আমাদের যকৃত বা লিভার সুস্থ থাকে।
  • আমলকিতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • আমলকিতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুণ যা ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমলকি খুবই কার্যকর। এজন্য প্রতিদিন আমলকির গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • আমলকি খেলে মুখের দুর্গন্ধ‌‌‌ দূর হয়।

আমলকির ইংরেজি নাম

আমলকির ইংরেজি নাম হলো “Amla” বা “Indian Gooseberry” ।এর আরো কয়েকটি ইংরেজি নাম রয়েছে – Malacca Tree, Emblic Myrobalan বা Emblic Myrobalan ইত্যাদি। এটিকে সংস্কৃত ভাষায় বলা হয় “আমলক”। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো “Phyllanthus Emblica“। এটি ফাইলান্থাসি গোত্রের ফাইলান্থুস গণের অন্তর্ভুক্ত এক ধরনের ভেষজ ফল।

খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

আমরা অনেকেই খালি পেটে লেবুর রস পান করে থাকি। কিন্তু যেহেতু আমলকিতে লেবুর তুলনায় অনেক বেশি ভিটামিন সি ও খনিজ পদার্থ বিদ্যমান সেহেতু খালি পেটে আমলকি ও দারুন উপকারী। খালি পেটে আমলকি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ

  1. কুসুম গরম পানিতে কয়েক টুকরো আমলকি দিয়ে সেই পানি পান করলে খুব ভালো। মধুর সাথে আমলকি মিশিয়ে খেলে আরো ভালো।
  2. খালি পেটে আমলকি খেলে শরীর থেকে দ্রুত টক্সিক উপাদান বের হয়ে আসতে পারে।
  3. এটি শরীরে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
  4. দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি করে আমলকিতে বিদ্যমান ভিটামিন সি।
  5. সকালে খালি পেটে আমলকি খেলে এটি পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করে ও সকল দূষিত পদার্থ বের করে দেয়।
  6. যাদের অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তারা খালি পেটে আমলকি খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

শুকনো আমলকির উপকারিতা
যেহেতু আমলকি সারা বছর পাওয়া যায় না তাই একে শুকনো করে সংরক্ষণ করতে হয়। শুকনো আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও আছে অনেক। নিচে তা দেওয়া হলোঃ।

  1. অনিদ্রাজনিত রোগ নিরাময় করে শুকনো আমলকি।
  2. প্রতিদিন দুই বেলা শুকনো আমলকি খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়।
  3. এছাড়াও অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধানে শুকনো আমলকি খুবই কার্যকর।
  4. খাওয়ায় অরুচি থাকলে শুকনো আমলকি খেলে উপকার পাওয়া যায়।

ত্বকের যত্নে আমলকির ব্যবহার

ত্বকের যত্নে আমলকির ব্যবহার
ত্বকের যত্নে আমলকির ব্যবহার

এবার চলুন জেনে নেই ত্বকের যত্নে আমলকি কিভাবে ব্যবহার করতে হয়।

ত্বকের দাগ দূর করতে আমলকি দারুন উপকারী। ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এটি প্রচুর পরিমাণে থাকে আমলকিতে। এক্ষেত্রে আমলকির রস ও অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের যাবতীয় দাগ দূর হয়।

রোজ সকালে আমলকির রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

এছাড়াও আমলকির রস সরাসরি মুখে লাগালেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এজন্য ত্বকে আমলকির রস মুখে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

নিয়মিত আমলকির রস পান করলে ত্বকের মধ্যে বয়সের ছাপ পড়ে না ও ত্বক টানটান থাকে‌।

আমলকির রস ও বাদামের তেল মিশিয়ে মুখে লাগালে তা ত্বকের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে ও ব্রণের দাগ দূর করে।

ত্বকের কালো কালো ছোপ দূর করে আমলকির রস। এজন্য লেবুর রসের সাথে আমলকির রস মিশিয়ে মুখে লাগালে উপকার পাবেন।

আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ত্বকের মরা কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য আমলকির রস , চালের গুঁড়া ও গোলাপ জল মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে মুখে ম্যাসাজ করলে ত্বকের মরা কোষ দূর হয়।

প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ফর্সা করতে আমলকির রস , বাদাম গুঁড়া ও চন্দন গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে মুখে মাখলে এটি ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে উজ্জ্বল করে তোলে।

ত্বকের অ্যালার্জি ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে আমলকির রস। এজন্য আমলকি বাটার সাথে কয়েক চামচ দুধ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ৪০ মিনিট।

আমলকি ও পেঁপে ত্বকের পিগমেন্টেশন দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য আমলকির রস ও পেঁপে বাটা দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। এটি সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

এটি সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপযোগী। এটি ত্বকে কোনো ধরনের ইরিটেশন করে না।

কাঁচা হলুদ বাটা ও আমলকির রস একত্রে মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের মরা কোষ দূর করে ও ত্বককে উজ্জ্বল করে।

উপরোক্ত নিয়মে আমলকির রস ব্যবহার করলে আপনার ত্বক ভালো থাকবে।

চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার

চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার
চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার

চুলের যত্নে আমলকি যে কতটা উপকারী তা অবশ্যই কারো অজানা নয়।
এটি চুলের যত্নে যেভাবে ব্যবহার করতে হয় এটিও সবার জেনে রাখা জরুরি।

চুল পড়া সবার একটা কমন সমস্যা। এই সমস্যা দূরীকরণে আমলকি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এজন্য বিভিন্ন ভাবে আমলকি ব্যবহার করা যায়।

✓ এক চামচ আমলকির রস, এক চামচ মধু ও দু চামচ টক দই একত্রে মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করুন। এটি চুলে মেখে নিন ও ৩০ মিনিট রেখে দিন।এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করুন।

✓সরাসরি আমলকির রস চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে রেখে দিন ১০-২০ মিনিট। এরপর চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে ‌।

✓আমলকির তেল চুলের গোড়ায় মালিশ করলে চুলের ফলিকল মজবুত হয় ও চুল পড়া বন্ধ হয়।

যাদের অকালে চুল পেকে যাচ্ছে তারা আমলকি হেয়ার ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য কয়েকটি আমলকি কেটে পানিতে দিয়ে আধাঘণ্টা ফুটিয়ে নিন। ফুটে গেলে এটিকে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন, আপনার পাকা চুলে কালোভাব এসে পড়বে।

আমলকিতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট চুলের খুশকি দূর করে ও বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন থাকলে তা নিরাময় করে।

আমলকিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চুলকে সিল্কি ও মজবুত করে। সেই সাথে চুলের আগা ফাটা রোধ করে।

আমলকি চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এটি চুলকে শাইনি করে তোলে।

আমলকির রস পান করলে চুলের গোড়া শক্ত হয় ও চুল ঘন হয়।

আমলকি ব্যবহারে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে ও সহজে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যায় না।

নারকেল তেল হালকা গরম করে এতে কয়েক ফোঁটা আমলকির রস মিশিয়ে চুলে মালিশ করলে চুলের বৃদ্ধি ঘটে ও আগা ফাটা রোধ হয়।

খুশকি দূরীকরণে আমলকির রসের সাথে কয়েকটি তুলসী পাতা বেটে মিশিয়ে নিন ও চুলে ব্যবহার করুন। এতে ভালো ফল পাবেন।

আমলকির ব্যবহার চুলের যত্নে বহুকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে চুলের বিভিন্ন ঔষধ তৈরিতে এর ব্যবহার অনেক ব্যাপক। তাই এটি চুলের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে কার্যকর।
আরও পড়ুনঃ বহেড়ার খাওয়ার উপকারিতা এবং চুলের যত্নে বহেড়ার ব্যবহার

আমলকির তেল

আমলকির তেল
আমলকির তেল

চুলের যত্নে আমলকির তেলের ব্যবহার ব্যাপক। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির আমলকির তেল পাওয়া যায়। এছাড়াও অনেকে ঘরোয়াভাবে আমলকির তেল তৈরি করে নেন। ঘরোয়া ভাবে তৈরি করা আমলকির তেল সম্পূর্ণ অরগানিক হয় বলে এর উপকারিতা অনেক। চলুন জেনে নেয়া যাক ঘরে কিভাবে তৈরি করবেন আমলকির তেল।

যা যা লাগবে:

আমলকি -১০/১৫ টি
নারকেল তেল-¼ কাপ
কারি পাতা – ¼ কাপ
ভিটামিন ই ক্যাপসুল – ৫ টি
তিলের তেল – ৩ কাপ

যেভাবে তৈরি করবেন

আমলকি ভালো মতো ধুয়ে নিন। ছুরি দিয়ে কেটে শাস আলাদা করে বিচি ফেলে দিন। কারি পাতা ও ¼ কাপ নারকেল তেলের সাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন মিহি করে।

একটি কড়াই চুলাতে দিয়ে এতে ৩ কাপ তিলের তেল দিয়ে আমলকির মিহি মিশ্রণ দিয়ে কম আঁচে নাড়তে থাকুন। প্রায় ৪৫ মিনিট পর রং পাল্টিয়ে গেলে নামিয়ে ৮ ঘন্টা ঢেকে রাখুন।এরপর একটা পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিন। তৈরি হয়ে গেল আমলার তেল। এই তেল আপনি চাইলে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন। চুলের যত্নে এই তেল খুবই ভালো। ভারতীয়রা এই তেল বেশি ব্যবহার করে থাকেন। কেননা এই তেল চুলের জন্য সবচেয়ে বেশি উপাকারি।

আমলকির সিরাপ

আমলকির সিরাপ

আমলকি আমাদের শরীরের জন্য কতটা ভালো তা আমরা ইতোমধ্যে জেনে গেছি। অনেকে সরাসরি আমলকির রস বা গুঁড়ো খেতে পারে না। তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে আমলকির সিরাপে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ কোম্পানী আমলকির সিরাপ বাজারে নিয়ে এসেছে। তবে অবশ্যই এটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। চলুন তাহলে এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক…

উপকারিতা:

✓ যাদের খাবারে রুচি নেই তাদেরকে ডাক্তার আমলকির সিরাপ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে মুখের রুচি বৃদ্ধি পায়।

✓দেহে ভিটামিন সি এর ঘাটতি দেখা দিলে আমলকির সিরাপ খাওয়া যেতে পারে।

✓আবার অনেকে মোটা হওয়ার জন্য এই সিরাপ সেবন করে থাকেন।

✓আমলকির সিরাপ হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

অপকারিতা:

উপকারিতার পাশাপাশি আমলকির সিরাপ সেবনে বেশ কিছু সমস্যা ও দেখা দিতে পারে। যেমন:

✓এই সিরাপ সেবনের ফলে গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

✓এটি দীর্ঘদিন ধরে সেবন করার পর হঠাৎ খাওয়া বন্ধ করে দিলে ঠোঁট ও জিহ্বা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

✓এটি অতিমাত্রায় সেবনের কারণে স্বাস্থ্যহানি ও ঘটতে পারে।

আমলকি রসায়ন

আমলকির বিভিন্ন ধরনের সিরাপের মধ্যে “আমলকি রসায়ন” একটি। এটি কাঁচা আমলকির নির্যাস দ্বারা তৈরি একটি ভিটামিন সিরাপ। এটি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি সিরাপ। এটি শতভাগ ক্যামিক্যাল মুক্ত ও প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এটি সেবনের ফলে যা যা উপকার পাবেন তা নিচে দেওয়া হলো:

  • এটি সেবন করলে বুকের জ্বালাপোড়া দূর হয়।
  • খাওয়ায় অরুচি , ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি দূর করে।
  • হজমে দূর্বলতা দূর করে।
  • খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে ।
  • গ্যাসজনিত পেট ব্যথা দূর করে।তবে অবশ্যই এই সিরাপ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। তা না হলে সমস্যা হতে পারে।

আমলকির অপকারিতা

আমলকির এতো গুণাগুণ থাকার পর ও এর কিন্তু কিছু অপকারিতা ও আছে। অতিরিক্ত আমলকি খেলে শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নেই এ সম্পর্কে বিস্তারিত…

এতে অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি অতিরিক্ত সেবনে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন: পেট ব্যথা, পেট খারাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি।

এটি ঠান্ডা ধাঁচের হওয়ায় এটি অতিরিক্ত খেলে সর্দি কাশির সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

এতে অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে কিডনি রোগীদের জন্য এটি কম খাওয়াই ভালো।

অন্তঃস্বত্ত্বা নারীদের আমলকি না খাওয়াই ভালো।

আমলকির প্রভাবে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।

পাকস্থলীতে এসিডের মাত্রা বেড়ে গিয়ে বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া হতে পারে।

তাই পরিমিত পরিমাণে আমলকি খাওয়া উচিত এবং দিনে ২ টার বেশি আমলকি না খাওয়াই ভালো।

Categories
মেডিসিন

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট এর উপকারিতা

আজকে জানবো ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট এর উপকারিতা। ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট হলো ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি এর সমন্বয়ে তৈরি একটি ট্যাবলেট যা সাধারণত সব বয়সী মানুষ খেতে পারে যদি ক্যালসিয়াম এর অভাব থাকে। ক্যালসিয়াম হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাক্রো মিনারেল, যা আমাদের শরীরে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। মূলত সব খনিজ উপাদানের মধ্যে দেহে ক্যালসিয়ামের পরিমাণই সবচেয়ে বেশি; যার মধ্যে শতকরা ৯৯ ভাগ হাড় ও দাঁতের ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়ামের সাথে যুক্ত থাকে। আজ আপনাদেরকে আমরা ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট সম্পর্কে জানাবো। আপনারা আজ জানবেন –

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট এর উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের অপকারিতা
ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খেলে কি হয়
ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের নাম ও দাম
শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয়

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার সময় তো এত সব আলোচনা জানতে আমাদের আর্টিকেলের সাথেই থাকুন। চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট এর উপকারিতা

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট সব বয়সী মানুষ খেতে পারলেও অযথা কারণে এটি গ্রহণ করার কোনো দরকার হয় না। আপনার শরীরে যখন ক্যালসিয়াম আর ডি এর অভাব হবে তখনই আপনি এটি গ্রহণ করবেন। একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভবতী হওয়ার পূর্বে তার শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি আর ক্যালসিয়াম আছে কি না তা চেক করে নিতে হয়,নয়তো নবাগত বাচ্চা ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগবে এবং মায়ের শরীর ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। আসুন দেরি না করে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট এর উপকারিতা সম্পর্কে অবগত হই-

১৷ হাড়ের সমস্যার সমাধান করে: অপ্রাপ্তবয়স্কে যাদের হাড় ভেঙে গেছে, হাড়ের ক্ষয় হয়ে গেছে,হাড়ের ঘনত্ব কমে গেছে বা হাড় বেঁকে গেছে তাদের জন্য ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়া খুব জরুরী। ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট হাড়ের গঠন বৃদ্ধি করে ও হাড় শক্ত, মজবুত করতে সাহায্য করে।

২৷ মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে: হাড় ক্ষয় হলে মাংসপেশীর ব্যথা হবে এটাই স্বাভাবিক মাংসপেশী ব্যথা চিরতরে দূর করতে ও শরীরে পর্যাপ্ত ডি তৈরির জন্য ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট গ্রহণ করা জরুরি।

৩৷ দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: হাড় ছাড়াও দাঁতেও কিছু পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। দাঁত মজবুত ও শক্তিশালী করতে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের জুরি নেই।

৪৷ হরমোনের কার্যকারিতা বজায় রাখতে: ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের হরমোন উৎপাদন ,হরমোনের ব্যালেন্স রক্ষা করতে সহায়তা করে। এছাড়াও মহিলাদের যখন মেনোপোজ হরমোনের ক্ষরণে কমে যায় তখন হাড় ক্ষয় হতে পারে। তাই বয়ঃসন্ধিকাল থেকে সব সময় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বা ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খেতে হবে।

৫৷ বাচ্চাদের শারীরিক বৃদ্ধি বাড়াতে: বাচ্চাদের শারীরিক বৃদ্ধি সাধারণত ছোটবেলাতেই বেশি হয়। হাড় ,পেশির যখন বৃদ্ধি হবে তখনই তো শারীরিক বৃদ্ধি নিশ্চিত হবে। এই শারীরিক বৃদ্ধির জন্য যথাযথ পুষ্টি দরকার। ক্যালসিয়াম ও ডি একসাথে বাচ্চাদের গ্রোথ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে যেসব বাচ্চা খাবার থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান পায় না তাদের জন্য সাপ্লিমেন্ট খাওয়া খুবই ভালো।

৬৷ বাচ্চাদের জন্য: ক্যালসিয়াম অভাবজনিত রোগ রিকেটস এবং বৃদ্ধদের অভাবজনিত রোগ অস্টিওপ্যোরেসিস সমস্যাআর সমাধান আগে থেকে নিতে হলে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বা প্রয়োজনে ট্যাবলেট খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট

গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মা চেষ্টা করেন নবাগত সন্তানের যথাযথ পুষ্টি নিশ্চিত করতে। গর্ভধারণের পূর্বেই মায়ের শারীরিক অবস্থা (অর্থাৎ শারীরিকভাবে মায়ের শরীরে সব পুষ্টি উপাদান যথাযথ আছে কি) জানা খুব জরুরী। তার মধ্যে একটি হলো মায়ের ক্যালসিয়াম ও ডি এর অভাব আছে কি না।

যদি গর্ভধারণের আগে জানা সম্ভব না হয় এবং পরে এসে বুঝতে পারেন মা ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগছেন এমতাবস্থায় মায়ের জন্য ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। এখন আসি কেন গর্ভাবস্থায় মাকে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খেতে হবে সেই নিয়ে। গর্ভাবস্থায় যদি অপুষ্টিতে ভোগে তবে সন্তান মা থেকে সঠিক পুষ্টি পাবে না, ফলে সন্তানের হাড়ের সমস্যা যেমন হাড় বাঁকা, সহজে ভঙ্গুর হয়ে পড়া, হাড়ের ঘনত্ব কম হওয়া, পেশির সংকোচন প্রসারণের ব্যর্থতা ইত্যাদি হবে। এছাড়াও সন্তানের হরমোনাল সমস্যা, কম ওজন দেখা যাবে। এই সমস্যাগুলো দূর করতে গর্ভাবস্থায় মাকে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়া খেতে হবে এবং শিশু জন্মের পরও মাকে সেটা চালিয়ে যেতে হবে কিছুদিন।

গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় মাকে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ানোর সময় সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা ভুল ডোজ খাওয়ানো হলে সন্তানের উপর তার প্রভাব পড়বে। সন্তানের সুস্থতার প্রতি লক্ষ করে গর্ভাবস্থায় মাকে সচেতন হতে হবে প্রতিটি খাবার খাওয়ার সময়, তেমনিভাবে ঔষধ খাওয়ার সময়ও সচেতন থাকা জরুরি।

গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম হলো:- মায়ের বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয় তাহলে মাকে ১০০০ মি.গ্রা এর ট্যাবলেট খেতে হবে। মায়ের বয়স যদি ১৮ এর বেশি হয় তবে ১০০০ -১৩০০ মি.গ্রা এর ট্যাবলেট খেতে হবে। মূলত মা কিরূপ অপুষ্টিতে ভুগছেন সেই অনুযায়ী তাকে ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। দেখা যেতে পারে উপরোক্ত পরিমাণের চেয়ে কম বেশি ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের প্রয়োজন হতে পারে মায়ের ওজন, উচ্চতা অনুযায়ী। তবে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার আগে গর্ভবতী মাকে অবশ্যই নিকটবর্তী ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার অপকারিতা

সকল জিনিসের যেমন উপকারিতা আছে তেমনি কমবেশি অপকরিতাও থাকতে পারে এই বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। না জেনে বুঝে কোনো ঔষধ বা ট্যাবলেট খাওয়া উচিত নয়। চলুন তাহলে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের অপকারিতা সম্পর্কে অবগত হই।

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের অপকারিতা বললে আসলে তেমন কিছু নেই, তবে ট্যাবলেটটি গ্রহণ করলে এক এক জনের শরীরে এক এক রকম কিছু লক্ষণ দেখা যায়। সেগুলো হলো:

  • বমি বমি পাওয়া ও দুর্বল লাগা।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হওয়া।
  • মাথাব্যথা ও শরীরের অন্যান্য অংশে ব্যথা অনুভব করা।
  • প্রেসার কম বেশি হওয়া, প্রস্রাবের সমস্যা হওয়া।

উপকারিতা জানার পাশাপাশি অপকরিতা জানলে সতর্ক থাকা যায়। তাই দুটোই জানতে হবে।

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খেলে কি হয়?

ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে এক্টিভ ফর্ম ভিটামিন D3 এর সমণ্বয়ে এই ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট তৈরি করা হয়। এখন আপনি ভাবতেই পারেন অন্য সব ভিটামিন আর মিনারেল বাদ দিয়ে কেন এই দুইটি উপাদান দিয়েই ট্যাবলেট বানানো হয়েছে এর উত্তরটা জানা খুব জরুরী, তা হলো- আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি আর ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয় তখন আপনার হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। যাদের ক্যালসিয়াম ও ডি এর অভাব ক্যালসিয়াম জনিত রোগ আছে তাদের জন্য ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলা দুষ্কর।

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট এর নাম ও দাম

বাজারে নানা ধরনের ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এই নিয়ে আপনি একটু বিভ্রান্ত হতে পারেন প্রথমে । তবে কিছু বেসিক তথ্য জানা থাকলে আপনি নিজেই বুঝবেন আপনি কোনটা কিনবেন। ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে এক্টিভ ফর্ম অর্থাৎ শরীরে দ্রুত শোষণ হয় বা ভালো শোষণ হয় হলো ক্যালসিয়াম কার্বনেট ও ক্যালসিয়াম সাইট্রেট। আর ভিটামিন ডি এর মধ্যে সবচেয়ে এক্টিভ ফর্ম হলো D3, যাকে কোলেক্যালসিফেরল বলা হয়। আপনি বাজারে গিয়ে সবার আগে দেখবেন এই উপাদানগুলো কোন ট্যাবলেটে আছে।

এছাড়াও আমাদের আজকের আর্টিকেলে কিছু ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের নাম আপনাদের জানাবো যা সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে অর্থাৎ মানুষের কাছে চাহিদা বেশি। ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের কয়েকটি নাম ও তাদের বর্তমান দাম হলো-

১৷ Calbo-D Tablet: Calbo -D Tablet টি মূলত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর একটি পণ্য।বেশিরভাগ সময় এটি ৩০০-৩৫০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। আর এই প্যাকেটে সাধারনণত ৩০ পিস করে থাকে প্রতিটি পিসের দাম ১০-১৫ টাকা করে। তবে জায়গা ও ফার্মেসি অনুযায়ী দামের কম বেশি হতে পারে এবং কম পিচ কিনলে দামটাও বেশি রাখে। আপনি যদি প্যাকেটসহ কিনেন তাহলে দাম কম পাবেন।

২৷ Caldical-D Tablet: Caldical-D Tablet টি হলো জিসকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর একটি পণ্য। এটিও সাধারণত পিস ৭-১০ টাকা করে রাখে।প্রতিটি প্যাকেটে ১৫ বা ৩০ বা ৫০ টি করে থাকে এবং সেই অনুযায়ী দাম নির্ধারণ হয়।

৩৷ Calbon- D Tablets: Calbon-D Tablets টি হলো এরিস্টোফার্মা লিমিটেড এর একটি পণ্য। এই কোম্পানির ঔষধটি প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ৭-১০ টাকা করে রাখে। বিভিন্ন ফার্মেসি অনুযায়ী দামের ভিন্নতা হতে পারে।

৪৷ Calcin-D Tablet: Calcin-D Tablet টি হলো রেনেটা ফার্মা লিমিটেডের একটি পণ্য। মূলত ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেটের দাম প্রায় সব কোম্পানির কাছাকাছিই; দামের তেমন কোনো ভিন্নতা নেই। এই কোম্পানির ট্যাবলেটটি প্রতি পিস ৮-১০ টাকা করে বিক্রি হয়।

এখানে উল্লিখিত সব কোম্পানির ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট-গুলোর দাম বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রকম হতে পারে; সাথে অনলাইনেও দামের অনেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও বাজারে আরো বিভিন্ন কোম্পানির ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট আছে, তবে এই উপরোক্ত কয়েকটি বাজারে বেশি প্রচলিত তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলে এই কয়েকটা ট্যাবলেটের কথা বলা হয়েছে। আপনি চাইলে আপনার নিকটস্থ দোকানে যেসব ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট আছে সেগুলোও খেতে পারেন।

শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট হলো এক ধরনের সাপ্লিমেন্ট যেটা খাদ্য তালিকা বাদ দিয়ে কখনোই গুরুত্ব দেওয়া ঠিক নয়। খাদ্য তালিকা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি না পেলে তবেই ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খেতে হবে। শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির অনেক উপায় আছে। আপনাদের কাছে আজ সেটা নিয়েও কথা বলবো যাতে আপনারা খাদ্য থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে পারেন। ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়গুলো হলো-

  • দুধ খেতে হবে ও দুগ্ধজাতীয় অন্যান্য খাবার যেমন: দই, ছানা,পনির, মাখন,দই এর লাচ্ছি ইত্যাদি।
  • বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার যেমন চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, কুমড়োর বিচি, শিমের বিচি,চিয়া সিডস ইত্যাদি।
  • যে সকল মাছ সামুদ্রিক বা তৈলাক্ত সেগুলো খেতে হবে ,যেমন: পাঙ্গাস মাছ, ইলিশ মাছ, কোরাল মাছ ,স্যালমন ,রূপচাঁদ মাছ ইত্যাদি।
  • সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন ফলের রস বা শরবত খেতে হবে।

উপরোক্ত খাবারগুলো ছাড়াও আরো খাবার আছে যা আপনার শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করবে। তবে চেষ্টা করবেন সব সময় সব ধরনের তাজা শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার পাশাপাশি উপরোক্ত খাবারগুলো খাওয়ার।

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয়?

আমরা সবাই জানি যে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। তেমনি অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট বা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে শারীরিক নানা সমস্যা হতেই পারে। চলুন জেনে নিই শরীরে ক্যালসিয়াম ডবি ট্যাবলেট বেশি হলে কি হয়-

  1. ক্যালসিয়ামের পরিমাণ রক্তে বেড়ে গেলে একে হাইপারকেলেসিমিয়া বলে।হাইপারকেলেসিমিয়া হলে বমি বমি ভাব, দুর্বলতা বোধ, ক্লান্তি অনুভব হয়। হাত, মুখ শুকিয়ে যায়।
  2. অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম খেলে হজমে সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়।
  3. বেশি পরিমাণ ক্যালসিয়াম কিডনি ফিল্টার করতে সমস্যা হয়। অনেক সময় কিডনিতে পাথর ও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণের ফলে।
  4. আবার অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম খেলে রক্তচাপের পরিবর্তন হয় আবার অনেকে মনে করেন কারো কারো হার্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে কিভাবে বুঝবো অতিরিক্ত পরিমাণ খেয়েছি কিনা বা কম খাচ্ছি কি না। কারণ অতিরিক্ত খেলেও সমস্যা হয় কম খেলেও সমস্যা হয়। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে পারেন। আবার যেসব মায়েরা বাচ্চাকে দুধ খাওয়ান তাদের বেশি ক্যালসিয়াম খেতে হয়। সাধারণত ১০০০ মিলিগ্রাম থেকে ১৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গর্ভাবস্থায় ও প্রসূতি মাকে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে ব্যক্তিবিশেষে এর পার্থক্য হতে পারে। খাবার থেকে এই চাহিদা পূরণ না হলে ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ ছোটদের কাশির সিরাপ এবং খাওয়ার নিয়ম

ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার সময়

আপনি যতই বিজ্ঞ হোন না কেন ঔষধ বা ট্যাবলেট খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে খাবেন। আপনাকে আপনার স্বাস্থ্য অনুযায়ী যে পরি পরিমাণ ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খেতে বলা হয়েছে আপনি সেই পরিমাণ ট্যাবলেটই খাবেন। ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট কোনো চুষে খাওয়ার ট্যাবলেট নয়। এটি পানি দিয়ে সাধারণ ঔষধের মতো খেতে হয়। ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার ভালো সময় হলো- রাতে বা সকালে খাওয়ার পর খেতে পারবেন। এছাড়াও খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে ও পরে অন্যান্য ঔষধ খাবেন না কারণ এতে শোষণে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

পরিশেষে এটাই বলবো যে, আপনি আমাদের আর্টিকেল থেকে ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও বিস্তারিত তথ্য জেনে কারো পরামর্শ ছাড়াই এটি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। কেননা আপনার শরীরে কি পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি দরকার তা একজন ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞই বলতে পারবেন। তাই শারীরিক কোনো পরীক্ষা না করে বা অভাবজনিত লক্ষণ না থাকা সত্বেও ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাবেন না, আর যদি খান তবে খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। পরবর্তীতে নতুন কোনো টপিক নিয়ে আবার আপনাদের কাছে আসবো সেই পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলের সাথেই থাকুন।

Categories
বেসরকারি

নিটল মটরস লিমিটেডে বড় নিয়োগ

বাংলাদেশের সনাম ধন্য কোম্পানি নিটল মটরস লিমিটেডে ‘এক্সিকিউটিভ/সিনিয়র এক্সিকিউটিভ’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীগণ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: নিটল মটরস লিমিটেড কোম্পানি।
বিভাগের নাম: অ্যাকাউন্টস

পদের নাম: এক্সিকিউটিভ/সিনিয়র এক্সিকিউটিভ। পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিএস/এমবিএ/সিএ (সিসি)

কাজের অভিজ্ঞতা: ০২থেকে ০৫ বছর থাকতে হবে। বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে। চাকরির ধরন: ফুল টাইম। প্রার্থীর ধরন: পুরুষ। বয়স: কমপক্ষে ২৩-৩৫ বছর। সুক্সোগ সুবিধা: সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে।
কর্মস্থল: ঢাকা।

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীগ্ণ jobs.bdjobs.com এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
সূত্র: বিডিজব ডট কম

Categories
সরকারি

গাজী গ্রুপ সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সেলস ম্যানেজার পদে

বাংলাদেশের শীর্ষে গাজী গ্রুপ সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের সেলস বিভাগে লোকবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীগণ অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার। পদের সংখ্যা: নির্ধারিত নয়। আবেদন যোগ্যতা: এমবিএ/মাস্টার্স পাস থাকতে হবে। কাজের অভিজ্ঞতা: প্রার্থীদের কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সেলস ডিপার্টমেন্টে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

যেকোনো সময় আউটডোর কাজের আগ্রহ থাকতে হবে এবং পরিশ্রমী হতে হবে। টার্গেট পূরণে সক্ষমতা হতে হবে। সব ধরনের চাপ সামলে কাজের আগ্রহ থাকতে হবে। কর্মস্থল: চূড়ান্ত নিয়োগের পর বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে কাজের আগ্রহ থাকতে হবে।

বেতন: বেতন আলোচনা সাপেক্ষে। সুযোগ সুবিধা: কোম্পানির নীতিমালা অনুসারে অন্যান্য আনুসাঙ্গিক সুবিধা প্রদান করা হবে। আবেদন যেভাবে: পার্থীর ধরন: পুরুষ। চাকরির ধরন: ফুলটাইম।

আগ্রহীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের শেষ সময়: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২পযন্ত।

আরও পড়ুন

কোম্পানির তথ্যবলী(Gazi Group)

গাজী গ্রুপ বিগত ৪ দশকে উৎপাদন, ব্যবসা, বিতরণ, আইসিটি, কমিউনিকেশন, রিয়েল এস্টেট, ব্যাংকিং, ইন্স্যুরেন্স এবং মিডিয়া ব্যবসায় শক্তিশালী পদচিহ্ন রেখে দেশের একটি স্বনামধন্য গ্রুপ কোম্পানি। গাজী গ্রুপ এবং এর কৌশলগত ব্যবসায়িক ইউনিট 1972 সাল থেকে সফলভাবে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গাজী টায়ার, গাজী অটো টায়ার, গাজী ট্যাংক, গাজী সিঙ্ক, গাজী পাইপ, গাজী ফিটিং, গাজী টয়স, গাজী ইন্টারন্যাশনাল, গাজী কিচেন স্টোভ, গাজী রাবার প্ল্যান্টেশন, গাজী স্যাটেলাইট টেলিভিশন লিমিটেড, গাজী নেটওয়ার্কস লিমিটেড, গাজী কমিউনিকেশনস লিমিটেড, গাজী নবায়নযোগ্য শক্তি লিমিটেড, এবং গাজী ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড গাজী গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের কৌশলগত ব্যবসায়িক ইউনিটগুলির প্রধান উদ্বেগ।

গাজী গ্রুপের স্পনসর এবং শেয়ারহোল্ডারদের অন্যান্য ব্যবসায় (প্রাইভেট এবং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি) বিনিয়োগ রয়েছে। এই ব্যবসার মধ্যে যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, দেশ টেলিভিশন (প্রা.) লিমিটেড, প্রগ্রেসিভ প্রপার্টিজ লিমিটেড, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, এবং যমুনা ব্যাংক লিমিটেড উল্লেখযোগ্য।

Categories
বেসরকারি

সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রানার গ্রুপ

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোম্পানি সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রানার গ্রুপ। এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের ট্রান্সপোর্ট শাখার প্রশাসন বিভাগে লোকবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীগণ অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের সংখ্যা: অফিসার/ সিনিয়র অফিসার। পদের সংখ্যা: নির্ধারিত নয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করতে হবে। পদ সংশ্লিষ্ট কাজে মিনিমাম এক থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ট্রান্সপোর্ট মেইনটেনেন্স, ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। অটোমোবাইল সংক্রান্ত ব্যবসায় ধারণা থাকতে হবে।

প্রার্থীর বয়সসীমা সর্বচ ২৮ বছর হতে হবে।প্রার্থীর ধরন: নারীও পুরুষ উভয় আবেদন করতে পারবেন। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। ডায়নামিক, ইনোভেটিভ ও সমস্যা সমাধানে পারদর্শী হতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। কর্মস্থল: চূড়ান্ত নিয়োগের পর ঢাকায় কাজের আগ্রহ থাকতে হবে।

বেতন: বেতন আলোচনা সাপেক্ষে। সুযোগ সুবিধা: কোম্পানির নীতিমালা অনুসারে টিএ/ বিল, ভ্রমণ ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড দুপুরের খাবার, ইনক্রিমেন্ট, বার্ষিক তিনটি উৎসব ভাতা ও বিমার সুবিধা প্রদান করা হবে। অন্যন্য আনুসাঙ্গিক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।

আবেদন যেভাবে: আগ্রহীগণ অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন

আবেদনের শেষ সময়: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২পযন্ত।

আরও পড়ুন

কোম্পানি তথ্যবলী(Runner Group)

Runner Group, starting business adventure with the flagship company Runner Automobiles Limited (RAL) in the year 2000, has flowed as a prominent business agglomerate in Bangladesh. Runner Motors Limited (RML), a grown-up concern of Runner Group, was formally permitted on 12th October 2004 in Dhaka, Bangladesh. As per agreement with Eicher Motors Ltd. of India inked in 2004, RML has been playing the intruduction of Exclusive Distributor of eminent Eicher brand trucks and pickups in Bangladesh.

RML has organized its dealer network and well covered service supports countrywide and is now having around 20 request share in overall marketable vehicle assiduity and 35 request share in the Light and Medium( LMD) member in Bangladesh. Since first time of operations( 2004- 05), RML entered theNo. 1 Overseas Distributor award from VECV for the last eleven times consecutively.

Over time, Runner has expanded its business gambles in diversified fields like automotive, oil painting and gas, lubricant and energy, real estate, land development, green technology generated bricks manufacturing, leather and footwear etc.
Our Vision We’ll establish RUNNER as a trusted brand through satisfying guests ’ need offering asked products & services at an affordable price.

Our Mission
Our charge is to establish our brand image by meeting client demand through terrain friendly technology and taking care of return on investment of stakeholders.
We’ll materialize our vision with effective and effective mortal resource using spare manufacturing process with high productivity.
We’ll exceed client perceived value to make this world a better living.

Core Values of Runner Group

  • R=Respect guests ’ passions.
  • U=Unite together as a platoon and celebrate success.
  • N=No destruction is admissible.
  • N=noway being perfunctory.
  • E=Enjoy responsibility.
  • R=Fete social and environmental mindfulness
Categories
বেসরকারি

ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড

বাংলাদেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে লোকবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীগণ অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি। পদের সংখ্যা: ১টি। আবেদন যোগ্যতা: বিবিএ/এমবিএ পাস। তবে ফাইন্যান্স বিষয়ে স্নাতক থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সিজিপিএ ন্যূনতম ৩ থাকতে হবে।

যোগাযোগ দক্ষতা, বিশ্লেষণ করার সক্ষমতা ও ক্লাইমেট চেঞ্জ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। ওয়ার্ড প্রসেসিং ও স্প্রেডশিট এর কাজ জানতে হবে। প্রার্থীর বয়সসীমা ৩০ বছরের মধ্যে।

আবেদনের শেষ সময়: ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২পযন্ত।

বেতন ও সুযোগ সুবিধা: ৬৩৯৭০ টাকা। এছাড়াও উৎসব ভাতা, এলএফএ, গ্র্যাচুয়েটির সুবিধা এবং এর সাথে অন্যন্য সুবিধা প্রদান করা হবে।

আবেদন যেভাবে: আগ্রহীগণ আবেদন অনলাইনের করতে হবে। আবেদন http://idcol.org/home/vacancies এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যেমে করতে পারবেন।